"🌿 আমার বাংলা ব্লগ 🌾" এ দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা : বিষয় - "রচনা প্রতিযোগিতা - নিজের প্রিয় গ্রাম বা শহর"
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহ তা-আলার অশেষ রহমতে এই করোনাকালে হেফাজতে এবং সুস্থ আছেন।আমি @haideremtiaz বাংলাদেশ থেকে আজকের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।আজকে প্রতিযোগিতার বিষয় হলো নিজের প্রিয় গ্রাম বা শহর নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা। তো আমি আজকে আমার গ্রাম সম্পর্কে রচনা লেখার চেষ্টা করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
চলুন শুরু করা যাক..
গ্রামের নামঃআচারগাও মধ্যপাড়া
উপজেলাঃনান্দাইল
জেলাঃময়মনসিংহ
দেশঃবাংলাদেশ
ভূমিকা
প্রাকৃতিক লীলাভূমিক্ষেত আমাদের এই বাংলাদেশ।বাংলাদেশে ৬৪ জেলায় প্রায় ৮৭,১৯২ টি গ্রাম রয়েছে।আমাদের গ্রামটি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার পাশে অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম। আমাদের গ্রামের নাম আচারগাও মধ্যপাড়া।গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে একটি নদী। নাম তার নরসুন্দা।গ্রামের সৌন্দর্য অনায়াসে যেকোনো মানুষকেই আকৃষ্ট করে।এই ছোট গ্রামটিই আমার জন্মভূমি।
গ্রামের রাস্তাঘাট
গ্রামের মাঝ দিয়ে আঁকাবাঁকা একটি সরু রাস্তা চলে গেছে।গ্রামের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট পাকা।এই রাস্তাঘাট দিয়েই মানুষ প্রতিদিন যাওয়া আসা করে।অল্প কিছু রাস্তা এখনও মাটির তৈরি রয়েছে।তবে সরকারি উদ্যোগে অতি শীঘ্রই রাস্তাটি পাকা করে দেওয়া হবে।ফলে মানুষের চলাফেরার দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে।
গ্রামের পরিবেশ
গ্রামের পরিবেশ যে কাউকেও আকৃষ্ট করে।শহরের তুলনায় গ্রামে নির্মল বায়ু পাওয়া যায়।বুক ভরে শ্বাস নেওয়া যায়।গ্রামের সবুজ শ্যামল গাছপালা সত্যিই এক অসাধারণ অনুভূতি কাজ করে।
আয়ের উৎস
গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস ধান।সমতল ভূমি হওয়ায় এখানে ভালো ধান জন্মে।তবে মৌসুমভেদে ধান চাষ হয়।বারোমাসে এখানে দুইবার ধান চাষ হয়।এখানকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজে নিয়োজিত। বুরো,আমন ধান অনেক চাষ হয় এখানে।ধান বিক্রি করেও অনেকেই টাকা উপার্জন করে।
ধান চাষের পাশাপাশি মৌসুমভেদে ঢেড়স,কচুরশাক,পাটশাক ইত্যাদি চাষ করে থাকে।অনেকেই ঢেড়স বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।গ্রামের প্রতিটা পরিবারেই কোনোনা কোনো কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত।
দর্শনীয় স্থান
আমাদের এখানে অনেক দেখার মতো জায়গা রয়েছে।তার মধ্যে ভাষা সৈনিক খালেক নওয়াজ খান স্মরণে নির্মিত স্মৃতি পাঠাগার অন্যতম। এটি আলতাফ মঞ্জিল নামে বেশি পরিচিত।সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে।বিশেষ করে ২১ শে ফেব্রুয়ারি তে অনেকেই এখানে আসে।
আমি গিয়েছিলাম আলতাফ মঞ্জিলে। তারপর এই ছবিগুলো তুলেছিলাম।সত্যিই আমার অনেক ভালো লেগেছিল।আমাদের গ্রামের এ একজন বিখ্যাত সন্তান যে কিনা ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়েছিল।আমাদের গ্রামবাসীদের গর্বের বিষয় এটি।
গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থা
গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের এতো পড়ালেখা করা হয়নাই।তবে তাদের সন্তানদের অনেককেই এখন স্কুলে পড়ালেখা করছে।করোনার জন্য অনেকই আবার পড়ালেখা বাদ দিয়ে কাজ করছে।আমাদের গ্রামে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।
গ্রামের বাড়িঘর
গ্রামের বাড়িঘরগুলো সাধারণত টিন এবং ইটের তৈরি হয়ে থাকে।তবে বেশিরভাগ বাড়গুলো টিনের তৈরি।
মৎস্যচাষ
গ্রামে অনেক পুকুর রয়েছে।পুকুরগুলোতে অনেক মাছ চাষ হয়।মাছ চাষ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে।
গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা
গ্রামের মানুষেরা সাধারণত সাদামাটা জীবনযাপন করতে ভালোবাসে।গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান।তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক বসবাস করে।হিন্দু -মুসলিম সাম্প্রদায়িক ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই আমরা বসবাস করছি।একইসাথে ঈদ এবং দূর্গাপূজা উদযাপন করি।বিপদে একে অপরের পাশে থাকে সকল মানুষ।একটি পরিবারের মতো সবাই আমরা বসবাস করে আসছি।
উপসংহার
আমাদের গ্রামটি আমাদের মায়ের মতো এবং আমরা তার সন্তান গ্রামের প্রকৃতি আমাদের কে করে তোলে মুগ্ধ এবং পাশ দিয়ে নরসুন্দা নদী বয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের গ্রামের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সত্যিই আমি অনেক গর্বিত।ভালোবাসি প্রিয় মাতৃভূমি এবং স্বদেশকে।
Cc:
@rme
@rex-sumon
@blacks
সমাপ্তি
আমাদের এখানে অনেক দেখার মতো জায়গা রয়েছে।তার মধ্যে ভাষা সৈনিক খালেক নওয়াজ খান স্মরণে নির্মিত স্মৃতি পাঠাগার অন্যতম। এটি আলতাফ মঞ্জিল নামে বেশি পরিচিত।সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে।বিশেষ করে ২১ শে ফেব্রুয়ারি তে অনেকেই এখানে আসে।
আমি গিয়েছিলাম আলতাফ মঞ্জিলে। তারপর এই ছবিগুলো তুলেছিলাম।সত্যিই আমার অনেক ভালো লেগেছিল।আমাদের গ্রামের এ একজন বিখ্যাত সন্তান যে কিনা ভাষা আন্দোলনে শহীদ হয়েছিল।আমাদের গ্রামবাসীদের গর্বের বিষয় এটি।
গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থা
গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তাদের এতো পড়ালেখা করা হয়নাই।তবে তাদের সন্তানদের অনেককেই এখন স্কুলে পড়ালেখা করছে।করোনার জন্য অনেকই আবার পড়ালেখা বাদ দিয়ে কাজ করছে।আমাদের গ্রামে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে।
গ্রামের বাড়িঘরগুলো সাধারণত টিন এবং ইটের তৈরি হয়ে থাকে।তবে বেশিরভাগ বাড়গুলো টিনের তৈরি।
মৎস্যচাষ
গ্রামে অনেক পুকুর রয়েছে।পুকুরগুলোতে অনেক মাছ চাষ হয়।মাছ চাষ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে।
গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা
গ্রামের মানুষেরা সাধারণত সাদামাটা জীবনযাপন করতে ভালোবাসে।গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ মুসলমান।তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক বসবাস করে।হিন্দু -মুসলিম সাম্প্রদায়িক ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই আমরা বসবাস করছি।একইসাথে ঈদ এবং দূর্গাপূজা উদযাপন করি।বিপদে একে অপরের পাশে থাকে সকল মানুষ।একটি পরিবারের মতো সবাই আমরা বসবাস করে আসছি।
আমাদের গ্রামটি আমাদের মায়ের মতো এবং আমরা তার সন্তান গ্রামের প্রকৃতি আমাদের কে করে তোলে মুগ্ধ এবং পাশ দিয়ে নরসুন্দা নদী বয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের গ্রামের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সত্যিই আমি অনেক গর্বিত।ভালোবাসি প্রিয় মাতৃভূমি এবং স্বদেশকে।
Cc:
@rme
@rex-sumon
@blacks
গ্রামগুলো সবসময় অনেক সুন্দর হয়। আপনাদের গ্রামটা অনেক সুন্দর, নিরিবিলি।
জি ভাই।দাওয়াত রাইখেন। একবার এসে ঘুরে যান
খুবই সুন্দর উপস্থাপনা এবং গ্রামের ফটোগুলো সত্যি অসাধারন হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
ধন্যবাদ আমাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ভাল লিখেছেন আপনি আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।