সন্ধ্যায় শপিংমলে কিছুক্ষণ [10% লাজুক খ্যাকের জন্য ]
24-04-2022
১১ বৈশাখ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? ভালোই আছেন তাহলে! ঈদ তো চলে আসছে কে কি কিনলেন? একটি বছর পর মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর হয়ে থাকে। আর এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদের অনুভূতিটাই অন্যরকম। সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা ধনী-গরিব এক সাথে ঈদ পালন করে থাকি। এখন যেহেতু সময়ও বেশি নেই ঈদের তো মার্কেট সবাই করে ফেলতেছে। প্রত্যেক ঈদেই কিছু না কিছু কেনা হয়। তবে ছোট বেলার মতো সেই নতুন জামা পড়ে ঈদে যাওয়ার সাধ এখন আর পায় না। ঈদ আসলেই যেন আনন্দে মেতে থাকতাম সবসময়। এখন ভাবী শুধু সে দিন কি আর আছে? শৈশবের সেই কাটানে ঈদের মুহূর্ত বড্ড মিস করি।
কয়েকদিন ধরেই বন্ধুরা প্লেন করছিল মার্কেট করবে। পরীক্ষার জন্য সময় করে মার্কেটেও যাওয়া হয়ে উঠেনা। তো পরীক্ষা শেষ হলো ভাবলাম এবার মার্কেটে যাওয়া যায়। আর এটাও ভেবেছিলাম বাড়ি থেকে এখানে অর্থাৎ ফেনীতে মার্কেট করলে ভালো হবে। শুনেছি এখানে দাম একটু কম রাখে। তবে ঈদের বাজারে দাম তো বেড়ে যায়। যায়হোক বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম মার্কেট করার উদ্দেশ্য। মূলত বন্ধুর জন্য মার্কেট করার প্লেন। কারণ আমার কাছে টাকাও নেই এজন্য পরে করবো ভাবছি। বন্ধু আমাকে বলে রেখেছিল মার্কেট করার সময় সে আমাকে নিয়ে যাবে। আমার বন্ধুর নাম হচ্ছে রাজন। যায়হোক ইফতার করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। আর আজকে রোদের কারণে তাপমাত্রাও বেশি ছিল। সারাদিন রোযা রাখার পর শরীর প্রায় ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর মার্কেটে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে পড়লাম। আর সন্ধ্যাবেলায় মার্কেট করলে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। তো ফেনীতে দুটি বিখ্যাত মার্কেট আছে সেটা হচ্ছে শহীদ মার্কেট আর তমীজিয়া মার্কেট। অনেক জায়গা থেকে এ মার্কেট গুলোতো মানুষ মার্কেট করতে আসে। এ দুই মার্কেটে সারাবছরই বলা চলে ভীড় থাকে। আর ঈদ আসলে তো কথাই নেই। যদিও আমি কখনও যায়নি মার্কেট করতে।
আমি আর আমার বন্ধু মিলে প্রথমে শহীদ মার্কেটে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করেই বুঝতে পারলাম যে অনেক গরম ভিতরে। অনেক দোকানে দেখলাম এসির ব্যবস্থা আছে আবার অনেকে দোকানে ফ্যান দিয়ে গরম নিবারন করা হচ্ছে। বন্ধুকে আমে আগেই বলে রাখছিলাম যে ভিতরে বেশিক্ষণ থাকা যাবেনা। তো বিভিন্ন দোকান প্রথমে পরিদর্শন করলাম। বন্ধু প্যান্ট আর গেঞ্জি কিনবে। শহীদ মার্কেট ছিল মূলত পাচঁ তলা বিশেষ। দ্বিতীয় তলা থেকে জামা কাপড়ে দোকান শুরু। দ্বিতীয় তলা থেকে দোকানে প্যান্ট আর গেঞ্জি দেখতে লাগলাম। হরেক ডিজাইনের প্যান্ট আর গেঞ্জি দেখতে পেলাম। বন্ধুকে বললাম কোনটা চয়েস হয়! প্রথমে তো তার চয়েসই হয়না। সব ঠিক ঠাক হয় শেষে প্যান্টের কোমড় বড় হয়ে যায়।
এই নিয়ে পড়লাম বিপাকে। এভাবে প্রায় ২০-৩০ টা দোকান দেখে ফেললাম। দামে মিললে কোমড়ের সাইজ বড় হয়ে যায় আবার কোমড়ের সাইজ ঠিকঠাক মিললে দামে মিলে না। প্যান্টের জন্য বাজেট হলো ৬০০ টাকা। কিন্তু ঈদের বাজারে কাপড়ের দাম একটু বেশি থাকবেই। যেটা ছিল আগে চারশ টাকা এটা এখন আটশত টাকা। এই নিয়ে পড়লাম বিপাকে। এই গরমের মধ্যে অনেকগুল দোকান ঘুরতে ঘুরতে আমি একদম দূর্বল হয়ে গিয়েছিলাম। বললাম মেসে চলে যায় কিন্তু সে না কিনে যাবেনা। সারাদিন রোযা রাখার এভাবে দৌড়াদৌড়ি করার আমি আর পারতেছিলাম না একদম। যাক ফাইনালি একটি দোকানে গেলাম। অনেকগুলো প্যান্ট দেখালো দোকানদার, সাইজ মিল পড়লো কিন্তু দাম একটু বেশি চেয়ে বসলো। প্যান্টের দাম চাইলে ৮০০ টাকা। কিন্তু এ দামে সে প্যান্ট কিনবেনা। তারপর আমি ৭৫০ টাকা বলে প্যান্টটা কিনে ফেলি। কারণ এতোক্ষন দৌড়াদৌড়ি করতে মোটেও ভালো লাগতেছিল না।
তারপর আবার টিশার্ট কিনার পালার। এটা জন্য অবশ্য বেশি কষ্ট করতে হয়নি। এখন যেহেতু গরম বেশি এজন্য বললাম সফটের মধ্যে একটি টিশার্ট কিনে নিতে। একটা টিশার্ট চয়েস হলো সেটার প্রাইজ ছিল ৩৫০ টাকা। আমার কাছেও টিশার্ট ভালে লাগলো।
যাক অনেক ঘুরাঘুরির পর মার্কেট করা শেষ হলো। তারপর রাত হয়ে গেছে বেশি এজন্য তাড়াতাড়ি রওয়ানা দিয়ে দিলাম। বাসায় আসতে আসতে সাড়ে এগারোটা বেজে যায়। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নেয়। তারপর আজকের সন্ধ্যায় শপিংমলে কাটানো মুহূর্ত লিখতে বসে পড়লাম। যায়হোক আশা করি আপনাদেরকে ধন্যবাদ আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
ডিভাইস | oppo A12 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @haideremtiaz |
লোকেশন | w3w |
ধন্যবাদ
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
সন্ধ্যার সময় শপিং মলে কেনাকাটা বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির অদৃশ্য আমার খুব ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর বর্ণনা মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন কেনাকাটার বিষয়গুলো।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই
ঈদের কেনাকাটা করে ফেললেন বুঝি, আমার এখনো কিছু কেনা হয় নায়।কিনব কিনব কিন্তু এই গরমে বের হতে ইচ্ছা করে না। আপনার শপিং করার সময়টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।শুভ কামনা রইল
আমি করেনি তে ভাইয়া। আমার বন্ধুকে কিনে দিয়েছি। এই গরমে শপিং না করাটাই ব্যাটার হবে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে
আপনি তো অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন ভাই। আর আমাদের মাঝে সেই মুহূর্তগুলো উপস্থাপন করেছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
দেখেই বোঝা যাচ্ছে সন্ধ্যায় শপিংমলে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন বন্ধুর সাথে। সামনে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করাটাই স্বাভাবিক।
আর এই কেনাকাটা যদি সন্ধ্যাবেলায় করা হয় তাহলে খুবই ভালো লাগে। গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড তাপমাত্রায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে, সকাল অথবা দুপুর টাইমে মার্কেটে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
এই গরমে মার্কেটে না যাওয়াটাই ভালো হবে ভাই আমি মনল করি। যে রকম ভিতরে! ঈদের পরে করলে রিলেক্স এ করতে পারবেন। আপনাকে ধন্যবাদ
Link
বাহহ অনেক কেনা কাটা করছেন আসলে শপিং করার মধ্যে অনেক মজা আছে তবে ছোট বেলায় যেমন মজা পেতাম তেমন মজা আর এখন রিয়েলাইজ করতে পারি না।অনেক দারুব সময় ছিল ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
কেনাকাটা ভাই আমি করেনি, বন্ধুর ক্জন্য কিনেছি।
সকলে দেখছে ঈদের কেনাকাটা করে ফেলেছে। আমরাতো করব করব বলে এখনো করতে পারিনি। আপনিও ঈদের কেনাকাটা করে ফেলেছেন দেখছি। খুবই ভালো লাগলো আপনার কেনাকাটা দেখে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কাটানো এত সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আমি কিছু কিনেনি এখনও। আমার বন্ধুর জন্য কিনেছি মূলত
দেখছি আপনিতো ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ফেললেন। আমরা তো এখনো করতে পারিনি। একটা কথা ঠিকই বলেছেন এখন বড় হয়ে যাওয়াতে জামা কাপড় কিনলেও ছোটবেলার মতো এখন আর জামাকাপড় পড়ে ঈদে যাওয়া হয়না। বেশ সুন্দর সুন্দর মার্কেটিং করলেন। মুহূর্তটা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপু ফেনী এই শহীদ মার্কেট যে ভীড় থাকে! আর গরমে পুরাই শেষ। আর আপু কেনাকাটা তো আমি করেনি, আমার বন্ধুকে কিনে দিয়েছি
আপনার বন্ধুর জন্য মার্কেটে গিয়েছেন মার্কেট করার অনুভূতির গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমরাও কয়েকদিনের মধ্যে মার্কেটে যাবো বন্ধুদের সাথে বন্ধুদের সাথে মার্কেট করতে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।।
বাহ শপিং শেষ করে ফেললেন দেখছি। আসলেই ভাইয়া,ছোটবেলায় যেমন আনন্দ থাকতো এখন আর সেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে আনন্দ খুঁজে পাওয়া না গেলে কি হবে শপিং করা কিন্তু কেউ বাদ দেয় না🤭 ভালোই ছিল আপনার শপিং গুলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু শপিং কিন্তু আমার জন্য না আমার বন্ধুর জন্য করেছি 🙂