প্রকৃতি পাশে থাকে সকল প্রয়োজনে || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। আমি যদিও এখনো সুস্থ্যতা নিশ্চিতের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। তবে হ্যা, ফিজিওথেরাপিতে বেশ ভালো অনুভব করছি। সত্যি বলতে ডাক্তারের দেয়া ঔষধগুলো এক সপ্তাহ খেয়েছিলাম। কিন্তু তারপর অফিসের বসের সাথে বিষয়টি শেয়ার করলাম এবং বস সেটা সাথে সাথে বন্ধ করতে বললেন। কারন উনি ঔষধ খেতে খেতে বেশ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তাছাড়া উনার নিজেরও এই জাতীয় সমস্যা রয়েছে।
ঔষধ খাওয়া শুরু করার আগেই আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা দাদার সাথে বিষয়টি শেয়ার করেছিলাম, প্রেসক্রিপশন দেখেও দাদা সতর্ক করেছিলেন যে এই ঔষধগুলোর মারাত্মক সাইড ইফেক্ট হবে। তখন অবশ্য একটা দো-টানায় ছিলাম ঔষধগুলো খাওয়ার ব্যাপারে। যাইহোক, পরবর্তীতে সেটা বন্ধ করি এবং অফিসের বসের পরামর্শে তার ফিজিওথেরাপিষ্টের নিকট যাই। তারপর এক সপ্তাহ নিয়মিতভাবে প্রতিদিন থেরাপি নেই এবং তার সাথে সাথে বেশ কিছু ব্যায়াম আয়ত্বে আনার চেষ্টা করি।
সত্যি বলতে এক সপ্তাহ পর বেশ ভালো অনুভূত করছি এবং ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করার চেষ্টা করছি। আসলে আমরা সব কিছু জানি এবং অনুভব করি কিন্তু সেটা কখনো নিয়মিতভাবে করার চেষ্টা করি না। এখানে আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো ভালো কিছুর অভ্যেস আমরা কখনোই গড়তে পারি না এবং সেটা ধরে রাখতে পারি না। আমি ছোট বেলায় বেশ ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলাম এবং জাতীয় কিশোর লীগে খেলেছিলাম, এটা আগেও একবার শেয়ার করেছিলাম। তখনও কিন্তু এই ব্যায়ামগুলো করেছিলাম, কিন্তু সেগুলো যদি ধরে রাখতে পারতাম তাহলে হয়তো আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতাম না।
যাইহোক, পরিস্থিতি আমাদের অনেক কিছু নতুনভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। প্রকৃতি সব কিছুকে তার নিজস্ব গতিতে ফিরিয়ে আনে। তাই হয়তো আমিও আবার সেই ছোট বেলার ব্যায়ামগুলো নতুনভাবে এবং নিয়মিত করার চেষ্টা করছি। নিয়মিত সেগুলো করার পর, ব্যথাগুলো বেশ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ফিজিওথেরাপিষ্ট বলেছেন এগুলো নিয়মিত প্রতিদিন করতে হবে, তাহলে আর খুব একটা সমস্যা হবে না।
তবে হ্যা, ভিটামিট ডি’র বিষয়টির প্রতি আরো বেশী যত্নশীল থাকার চেষ্টা করতে বলেছেন। নিয়মিত কিছুটা সময় হলেও রোদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা কিন্তু আমি আগেও বলেছি, আমরা যারা শহরের মাঝে বসবাস করি তারা খুব একটা সময় পাই না রোদে বসার কিংবা রোদ উপভোগ করার। এই কারনে হয়তো আমাদের ভিটামিট ডি’র সমস্যাগুলো শেষ বয়সে বেশ প্রকট হয়ে দেখা দেয়।
তাই প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সাথে কিছুটা ফ্রি ভিটামিট ডি সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। এটা নিয়মিত করতে হবে ঠিক ব্যায়ামগুলোর মতো করে। যেহেতু আমাদের এই দিকের পরিবেশ এখনো অনেকটা সবুজ রয়েছে, কৃষিজমির উপস্থিতি অনেক বেশী রয়েছে, সেহেতু আমি এখন হতেই নিয়মিত চেষ্টা করছি প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগের সাথে সাথে রোদের মাঝে থাকার। আরো একটু সুযোগ নিয়েছি, সেটা হলো ফটোগ্রাফি করার হি হি হি।
তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Posted using SteemPro Mobile
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার কি সমস্যা হলো সেটা না জানা আমি 🙂। তবে ঔষধ যেহেতু রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি এটার অবশ্যই সাইড ইফেক্ট রয়েছে। ঔষধগুলো না খেয়ে রেগুলার থেরাপি আর ব্যায়াম করলে আশা করি আপনার সমস্যা আর থাকবে না। আসলেই শহরে সূর্যের তাপ তেমন উপভোগ করা যায় না। এতো বড় বড় দালানকোঠার ভিতর দিয়ে সূর্যের রশ্মি আসতেও পারে না। গ্রামে আরামছে সূর্যের তাপ উপভোগ করা যায়।
প্রতিটা ওষুধের সাইড ইফেক্ট থাকে, দাদা হয়তো সেই ওষুধের সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে জানতেন এ জন্যই আগে থেকে আপনাকে সাবধান করেছিলেন। কিছু কিছু সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে ওষুধের চেয়ে থেরাপি বেশি কাজ করে আর হ্যাঁ রোদের আলোর থেকে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি সংগ্রহ করে।
প্রথমেই আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। দাদা ও বসের পরামর্শ মেনে ঔষধ বন্ধ করে ভাল করেছেন ভাইয়া। আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি যারা ছোট বেলায় অনেক অ্যাকটিভ থাকত কিন্তু বড় হয়ে একটিভিটি কমিয়ে দেয় তাদের অনেক সমস্যা দেখা দেয়।আমিও এর ভুক্তভোগী। আবারো আপনার সুস্থতা কামনা করি।
অনেকদিন যাবত ভালই সমস্যায় ভুগছেন দোয়া করি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। আর ঠিকমতো মেডিসিন সেবন করুন ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। আর বেশি বেশি ব্যায়াম করতে থাকুন অভ্যাসটা ধরে রাখার চেষ্টায় থাকলে কোন সমস্যা হবে না । প্রকৃতির মাঝে এভাবে গিয়ে ব্যায়াম করবেন খুবই ভালো লাগবে। এই মানব যন্ত্রে কখন কি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তা কেউ বলতে পারেনা সেজন্য চেষ্টায় থাকতে হবে সবসময় সুস্থ থাকার।
আপনি এখন একটু সুস্থ আছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আমার কাছেও মনে হয় বেশি বেশি ওষুধ খাওয়া থেকে ফিজিওথেরাপি ব্যয়ামই ভালো পন্থা। সত্যি বলেছেন ভাই সূর্যের আলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। আমাদের সবার শরীরের জন্য ভিটামিন ডি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ভাই প্রকৃতি থাকে আমাদের সকল প্রয়োজনে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
শুনে কিন্তু ভালোই লাগলো ভাইয়া আপনি এখন কিছুটা সুস্থ। তবে আমিও বলবো ওষুধ না খাওয়াই ভালো। ওষুধ কখনোই রোগকে স্থায়ীভাবে কিউর করতে পারে না। তাই ব্যায়াম করে আপনি ভালো করছেন। সেই সাথে যুক্ত করেছেন প্রকৃতির ভিটামিন ডি। আসলে আমিও এখন প্রতিদিন একবার করে রোদে দাঁড়াই। ভাইয়া আমরা বেশিদিন ভালো থাকতে পারি না, কারণ আমাদের বদভ্যাসগুলো সারাক্ষণ আমাদের পিছে লেগে থাকে কখন তাদেরকে ইউজ করব। হিহিহি
একজন সুস্থ্য মানুষের সপ্তাহে আড়াইঘন্টা ব্যায়াম করা উচিত। কিন্তু এটা করে কতজন বলেন ভাই। আপনি যে ভালো ফুটবল খেলতেন এটা আগেও একদিন শুনেছি। শুনে বেশ ভালো লাগল। মানুষ যত বাহাদুরি করুক না কেন শেষ পযর্ন্ত কিন্তু সেই প্রকৃতির কাছেই ফিরে আসা লাগে ভাই। ব্যস্ততা থাকলেও চেষ্টা করতে হবে সময় দিয়ে ব্যায়াম করা রোদে থেকে ভিটামিন ডি এর কোঠা টা পূরণ করা।
আপনার অফিসের বস আপনাকে ফিজিওথেরাপিস্ট এর কাছে নিয়ে গিয়েছিল এবং কয়েকদিন থেরাপি নিয়েছিলেন,সেই পোস্ট পড়েছিলাম। যাইহোক এখন আপনি অনেকটা ভালো অনুভব করছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। আসলেই আমরা ছোটবেলায় যেমন ব্যায়াম করতাম,সেগুলো যদি নিয়মিত করতাম, তাহলে হয়তোবা ব্যথা সংক্রান্ত অনাকাঙ্খিত ঝামেলাগুলো আমাদেরকে পোহাতে হতো না। যাইহোক নিয়মিত ব্যয়াম চালিয়ে যান এবং ভিটামিন ডি সংগ্রহ করুন,আশা করি অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।