হ্যালো বন্ধুরা,
যুদ্ধ এক নির্মম ধ্বংস যজ্ঞের নাম, যুদ্ধ ভালোবাসার রঙীন আকাশ অন্ধকারে ঢেকে দেয়া অমাবশ্যার কালো রাত্রি এবং সম্পর্কগুলো নিশ্চিহ্ন হওয়ার ধূসর আক্রমনাত্মক জলরাশি। সবুজ সুন্দর পৃথিবীর এক বিষফোঁড়া, যার আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ পৃথিবীর সুন্দর চেহারা। যুদ্ধ বিগ্রহ শুধু ধ্বংসই করে না বরং আমাদের ভেতরের হিংসা এবং ভিন্ন চেহারার লোভী মানসিকতাকে দারুণভাবে সম্মুখে নিয়ে আসে।
আসলে ক্ষমতা দম্ভ, সক্ষমতার লড়াই কিংবা হৃদয়ে লুকায়িত আগ্রাসী মনোভাবের চূড়ান্ত রূপই হলো যুদ্ধ। সেই পৃথিবীর জন্ম লগ্ন হতে যতো ধ্বংস যজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে এই পৃথিবীতে সবগুলোর মূলেই রয়েছে এই যুদ্ধ। একবিংশ শতাব্দির উন্নয়নের এই যুগে এসেও আমরা বের হয়ে আসতে পারি নাই সেই অতীত মানসিকতা হতে। বরং দিন দিন তা আরো বেশী স্পষ্ট হয়েছে, দিন দিন আরো বেশী সন্দেহ ও সংশয় তৈরী করেছে। মানুষ আরো বেশী অধীক মাত্রায় মরণাস্ত্র তৈরীতে মনোযোগি হয়েছে। নিজেকে পারমানবিক শক্তিতে শক্তিশালী করার নিমিত্তে আরো বেশী মনোযোগী হয়েছে।
সত্যি আধুনিক প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠ যুগে বসবাস করেও আমরা এক অনাকাংখিত ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত, মরণাস্ত্র পারমানবিক বোমা চিন্তায় বেশ অস্থির মানবজাতি। কারন কমবেশী প্রায় ১৬,৩০০ মতো পারমাণবিক বোমা রয়েছে বিশ্বের ভিবিন্ন দেশের হাতে, যা সেই হিরোশিমা-নাগাসাকিতে ফাটানো বোমার তুলনায় অধীক বেশী শক্তিশালী। আমরা জানি না, কি হবে আমাদের সুন্দর এই পৃথিবীর, আমরা জানি না শেষ গন্তব্য কোথায় হবে এই সকল পারমাণবিক বোমাগুলোর? কিন্তু আমরা এটা বলতে পারি, যুদ্ধ কোন সমাধান হতে পারে না, যুদ্ধ শুধুই ধ্বংস করছে এবং আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে বসবাসের অনুপোযুক্ত করে তুলছে। তাই যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, আর সেই অনুভূতি নিয়ে আমার আজকের কবিতা-
সাম্য-ভ্রাতৃত্ববোধ হৃদয়ে জাগায় ভালবাসা
যুদ্ধ ধ্বংস করে- হৃদয়ের সুন্দর কোমলতা,
অস্ত্রের জোরে হয়তো বাড়ে সক্ষমতা
কিন্তু হৃদয়ের ভালোবাসা কভু আসে না।
গোলাবারুদের পোড়া গন্ধে
ছিন্ন ভিন্ন সভ্যতার মানবতা,
শুনছে না কেউ কান্না-আকুতি
কোমল হৃদয়ের নিরব মিনুতি।
মায়ের সম্মুখে সন্তানের দেহ
চঞ্চলতা হারিয়ে হচ্ছে নিথর,
বুলেটে ঝাঁঝরা হৃদয়ের আবরণ
সম্পর্ক বিনাশে হচ্ছে রক্তক্ষরণ।
শিশু-বৃদ্ধার ভালোবাসার স্পর্শ
চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে
ক্ষমতার মোহ আর আধিপত্যের-
নির্মম নিষ্ঠুর বিবর্ণ আঘাতে।
শান্তির বাণী নিঃশব্দে হারাচ্ছে
আধিপত্যের আগ্রাসনের আড়ালে,
ধ্বংস হচ্ছে, নিশ্চিহ্ন অতীত ঐতিহ্য
ইতিহাসের পরিবর্তন হচ্ছে আঁধারে।
আধিপত্য, আগ্রাসন, অস্ত্রের সামীপ্যে
উন্নত হোক শান্তির মম শির,
ক্ষপায় হারাক উন্মত্ত যুদ্ধের ব্যগ্রতা
শান্তি-স্বস্ত্যয়নে আলোকিত হোক সভ্যতা।
Image from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাই এইগুলো সব পৃথিবী ধ্বংসের আলামত। আবার যদি পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়, আমাদের প্রাণের নিরাপত্তা আর থাকবে না। পৃথিবী থেকে করোনা নামক মহামারীর প্রভাব পুরোপুরি দূর না হতেই আবার বিশ্ব যুদ্ধের আভাস। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।(আমিন)
আর ভাই আপনার কবিতার কথাগুলো দারুন ছিলো। সময় উপযোগী অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। ধনবাদ আপনাকে। ❣️❣️
খুবই সুন্দর হয়েছে বাস্তবধর্মী কবিতাখানি।সত্যিই যুদ্ধ দ্বারা একটি নতুন দিনের সূচনা হয় বটে কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ নির্মমভাবে।যেটি রক্ত ,অমানবিকতা ও ধ্বংসের বিনিময়ে যা আধুনিক যুগে বেমানান।আমরা চাই যুদ্ধ নয়,কোনো কিছু আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা।করোনার ভয়াবহতা কাটাতেই যুদ্ধের তান্ডব,পৃথিবী আবার শান্ত ও আলোকিত হোক এটাই কাম্য।ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর লিখেছেন।
ভাইয়া আপনি অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন যা পড়ে আমার এতটাই ভাল লাগল যে ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না কি বলে মন্তব্য করবো পুরো কবিতাটা অনেক সুন্দর ছিল তবে এই ক'টি লাইন আমার কাছে সেই লেগেছে ইনশাআল্লাহ আগামীতে আরো সুন্দর কবিতা আপনার কাছে প্রত্যাশা করছি♥♥
আসলে আমরা কেউ যুদ্ধ চাইনা কারণ যুদ্ধ মানেই হচ্ছে নিজের সর্বস্ব হারানো। যুদ্ধ মানেই নিজের প্রিয়জন হারানোর বেদনা। যুদ্ধ মানেই হচ্ছে চোখের সামনে প্রিয় মানুষগুলোর নিথর দেহ। আসলে যে মানুষগুলোর আরো কিছুদিন এই পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার ছিল সেই মানুষগুলো এই যুদ্ধের ভয়াবহতায় নিজের জীবন দিয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার মা তার সন্তানকে হারিয়েছে। এই যুদ্ধের কারনে হাজার হাজার পরিবার তার প্রিয়জনকে হারিয়েছে। গোলা বারুদের পোড়া গন্ধ চারপাশে মানবতাকে বিলীন করে দিয়েছে। যারা এই গোলা বারুদের গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে দিচ্ছে তারাও তো কোন না কোন মানুষ। তবে কেন তাদের মাঝে আজ মানবিকতা নেই। কেন আজ তারা কারো কান্না শুনতে পায়না। কেন আজ তারা অসহায় মানুষগুলোর আকুতি শুনতে পায়না। তারা যদি এই ভয়াবহতা নিজের হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারত তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা কবিতার প্রতিটি লাইন হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
যুদ্ধের ভয়াবহতা ও নির্মমতার কথা মনে হলেই হৃদয় কেঁদে ওঠে। মায়ের সামনে তার সন্তানকে হত্যা করা হয়। হাসিখুশি চঞ্চল একটি মানুষ নিমিষেই বিলীন হয়ে যায়। যুদ্ধের এই নির্মমতা আমরা আর দেখতে চাই না। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার অনুভূতিগুলো সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। অনেক সুন্দর ভাবে এই কবিতাটি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
বর্তমান বিশ্বের এই করুণ অবস্থা দেখে গা শিউরে উঠে। আসলেই বারুদের গন্ধে আর ছিন্নভিন্ন এই মানবতা। আপনার কবিতাটির মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে বর্তমান বিশ্বের অবস্থা ফুটে উঠেছে। পুরো কবিতাটি পড়তে পড়তে আমার গা ঝিম ধরে গেছে। 🥺
সত্যি বলতে ভাইয়া কবিতা আসলেই আবেগি তবে বাস্তব। বর্তমান ইউক্রেন এবং রাশিয়া যে যুদ্ধ চালাচ্ছে সত্যি আমাদের ভাবায় কতো শত মানুষ মারা যাচ্ছে।আমরা কেউ ই যুদ্ধ নয় শান্তি চায়।🙏🙏🙏
খুব চমৎকার এবং বাস্তববাদী একটি কবিতা লিখেছেন, যুদ্ধ আসলে আমাদের কারোরই কাম্য নয় আমরা কেউ যুদ্ধ পছন্দ করি না কারণ এর মাধ্যমে কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না।
ঠিক যেনো বর্তমান বিশ্বের এক প্রতিচ্ছবি। চারিদিকে গোলাগুলি। কিন্তু কারো যেনো টনক নরছেইনা। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মানব সভ্যতাই হুমকির মুখে পরে যাবে। জানিনা কবে বন্ধ হবে সেই যুদ্ধ।
আপনি অনেক সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনি আপনার এই কবিতার মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালেই শুধু হাহাকার আর আর্তনাদ। এরকম বিশ্ব আমরা চাই না আমরা চাই একটি সুন্দর সতেজ ভালোবাসায় চারিদিকে আবদ্ধ এমন একটি বিশ্ব। যুদ্ধ কখনোই বিশ্বের বুকে শান্তি বয়ে আনতে পারে না, যুদ্ধের মাধ্যমে শুধু ক্ষতি সাধিত হয়। যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবী তার নিজস্ব রূপ-লাবণ্য হারিয়ে ফেলে সেইসাথে বিশ্বের মানুষ ও তার দিকে আর্তনাদে ফুলে-ফেঁপে ওঠে সত্যিই খুব কষ্ট লাগে এরকম দৃশ্য দেখলে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে, বর্তমান প্রেক্ষাপট কে উদ্দেশ্য করে এরকম একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।