সময়ের সাথে আমাদের ভাবনার পার্থক্য || My Golden Hour Photography
হ্যালো বন্ধুরা,
আমরা মানুষ কারন আমাদের মাঝে হুঁশ জ্ঞান রয়েছে। কোন কিছু করার পূর্বে আমরা সেটার সম্পর্কে ভালোভাবে চিন্তা করার সুযোগ পাই এবং তারপর সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারি। কিন্তু আদতে কি আমরা সবাই সেই কাজটি করছি বা করার চেষ্টা করছি? এটা বাস্তবিকই একটা সময় উপযোগী প্রশ্ন, যদি আপনি সেটা নিয়ে চিন্তা করেন আর যদি না করেন তাহলে তো কোন কিছুই বলার নেই।
দেখুন আমরা যেটা নিয়ে চিন্তা করি না সেটার ব্যাপারে আমাদের মাঝে কোন ধরনের কৌতুহল সৃষ্টি হয় না। আবার আমরা যে বিষয়টি নিয়ে বেশী চিন্তা করি সে বিষয়টির নানাদিক আমাদের সম্মুখে আসে এবং আমরা সে বিষয়গুলো সম্পর্কে একটু বাড়তি আগ্রহবোধ করি। এটা সহজ হিসেব তবে তার মাঝে যদি নামক শব্দটির উপস্থিতি এবং প্রভাব ব্যাপক, যা নতুন করে ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছি না। কারন কম বেশী এই বিষয়গুলো আমরা বুঝি বা বুঝার উপস্থানে রয়েছি।
দেখুন প্রকৃতির কিছু দারুণ অবস্থান রয়েছে সেগুলোকে আমরা বেশ উপভোগ করার চেষ্টা করি। সময় সুযোগ তৈরী করে বহু দূরে ছুটে যাই শুধুমাত্র সেই দৃশ্যগুলোকে উপভোগ করার জন্য। কিন্তু তারপর সব ভুলে যাই, সেটা নিয়ে বা সেই দৃশ্যগুলো নিয়ে চিন্তা করার চেষ্টা করি না। আমাদের হুঁশ আছে ঠিকই কিন্তু সেটা জাগ্রত না। যার কারনে উপভোগ করছি কিন্তু সেটা নিয়ে চিন্তার গভীরে যেতে পারছি না।
একটু পরিস্কার করে বিষয়টি উপস্থাপন করছি। প্রকৃতির মাঝে চমৎকার একটি সময় রয়েছে যার প্রভাবে চারপাশের পরিবেশটা বেশ সুন্দর এবং আকর্ষনীয় হয়ে উঠে। আমরা সে সময়টাকে নানাভাবে যেমন উপভোগ করার চেষ্টা করি ঠিক তেমনি সেই সুন্দর মুর্হুতটিকে ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টাও করি। সেই সময়টি হলো সূর্যাস্তের সময়, যাকে আমরা গোল্ডেন টাইম হিসেবে চিনে থাকি।
এই সময়টি কিন্তু ঘড়ির কাটা ঘুরে প্রতি দিন নির্দিষ্ট ঘন্টা বা সময় শেষে ফিরে আসে। আমাদের জীবনের সুযোগগুলোও কিন্তু সেই রকম, নির্দিষ্ট সময় শেষে সেগুলো নানা ভাবে বার বার আমাদের সম্মুখে আসে কিন্তু আমরা সেগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে পারি না এবং আমাদের জীবনকে গোল্ডেন টাইমের মতো আকর্ষনীয় করে তুলতে পারি না। আসুন একটু চিন্তা করি হুঁশ নামক উপাদানটিকে জাগ্রত করার চেষ্টা করি এবং আমাদের জীবনের সময়গুলোকে গোল্ডেন টাইমের মতো আকর্ষনীয় ও সফল করে তোলার চেষ্টা করি।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২২ ইং।
লোকেশনঃ কাহালু-বগুড়া।
ক্যামেরাঃ Redmi 9, Xiaomi স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
ভাই সবার অংক মেলে আমার অংক মেলে না। গোল্ডেন টাইম জীবনে অনেকবার পেয়েছি কিত্তু ধরে রাখতে পারি নাই নিজের কিছু ভুলের জন্য৷ তবে আশায় আছি আবার কখন আসবে গোল্ডেন সেই গোল্ডেন টাইম। তবে আবার সুযোগ পেলে আর হারাতে দেবো না।
আর ছবিগুলো ছিলো দেখার মতো। গ্রামের এই সব দৃশ্যের সাথে পরিচিত তবু নতুন ভাবে ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি দেখে। ঢাকা আসলেই গ্রামকে মিস করি। ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।❣️❣️
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো যখনই পড়ি তখন আমি খুবই মনোযোগ দিয়ে পড়ি। কারন আপনার প্রতিটি লেখা থেকে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় জানতে পারি এবং অনেক শিক্ষা লাভ করি। আসলে আমাদের এই জীবনটা একটু বিচিত্র ধরনের। সময়ের সাথে আমরা নিজেকে জাগ্রত করতে পারিনা। সময় যেমন নিজের গতিতে বয়ে চলে এবং ঘড়ির কাঁটার মতো ঘুরতে ঘুরতে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আটকে থাকে না তেমনি আমাদের জীবনে কখনো নির্দিষ্ট কোন গন্ডির ভিতর আটকে থাকে না। সময় যে যার মতো বয়ে চলেছে কিন্তু আমরা নিজেকে জাগ্রত করতে পারিনি। কারণ আমাদের সেই ইচ্ছা শক্তি নেই। ওই গোল্ডেন টাইম এর মত আমরা যদি আমাদের জীবনের গোল্ডেন টাইম দেখতে চাই এবং আমরা যদি নিজেকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে চাই তাহলে অবশ্যই সেই সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে, ঘড়ির কাঁটার সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেকেও জাগ্রত রাখতে হবে। তবেই আমরা সফল হতে পারবো। সময়ের সাথে নিজেকে বদলাতে হবে ও নিজের ভাবনা গুলোকে বদলাতে হবে। অনেক সুন্দর ভাবে শিক্ষনীয় একটি পোস্ট সকলের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখাগুলোর প্রতি আপনার মনোযোগ দেয়ার জন্য, হ্যা, আমি অতোটা হয়তো ভালো লিখি না তবে নিজের অভিজ্ঞতা হতে সব কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করি।
আজকের লেখাগুলো সল্প ভাইয়া।তবে বেশ অর্থপূর্ণ।আমার ও তাই মনে হয় কোনো কাজ একবারে করা যায় না তার পূর্বে চিন্তা করতে হয় ,ভাবতে হয়।তবে সেই ভাবনাকে গভীরভাবে নিয়ে যেতে হবে।
ঠিক আপনার এই কথার মতো ভাবনাগুলোকে জাগ্রত রাখতে হবে।সুন্দর ছিল ছবিগুলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী কিছুটা ছোট ছিলো বটে, তবে যথাযথ চেস্টা ছিলো বিষয়টিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার।
ভাই আপনার লেখাগুলো বরাবরই আমাকে খুব আকর্ষণ করে। কোন বিষয় গুছিয়ে লেখার ক্ষেত্রে আপনার বেশ মুন্সিয়ানা আছে। তবে আজকের বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত হতে পারলাম না। বেঁচে থাকলে পৃথিবীর নিয়ম অনুযায়ী সূর্যাস্ত বারবার পাওয়া যায় কিন্তু মানুষের জীবনে সুযোগ আর চলে যাওয়া সময় বারবার আসেনা। সময় এর উপযুক্ত ব্যবহার করার মাধ্যমেই মানব জীবনের সার্থকতা। যাই হোক আমাদের হুঁশ ফেরানোর জন্য আপনার এই প্রচেষ্টা কে জানাই সাধুবাদ। সেইসঙ্গে আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
মুন্সিয়ানা আছে এটা একদমই ঠিক না এখনো অনেক দুর্বলতা আছে আমার লেখার মাঝে, তবে চেষ্টা চলে সব ঠিক ঠাক রাখার।
আমার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে, জানার আছে। যার মধ্যে এই বোধটি কাজ করে আমি মনে করি তিনিই পারফেক্ট। এভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যান ভাই, আমরা আছি আপনার সাথে।
চমৎকার একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাইয়া পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে গোল্ডেন টাইম এর ফটোগ্রফি গুলো একদম গোল্ডেন এর মত লাগছে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় ফটোগ্রাফি গুলো আসলেই অনেক সুন্দর হয়। গোল্ডেন টাইম গুলোকে যদি আমরা গোল্ডেন মোমেন্টে রূপান্তরিত করতে পারি তাহলে জীবনের সার্থকতা। ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
জ্বী এটা সত্যি আমাদের জন্য খুবই গরুত্বপূর্ণ যদিও আমরা সেটা কখনোই সঠিকভাবে বুঝতে পারি না।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাই আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আছে চমৎকারভাবে লিখেছেন। আপনার প্রতিটি লেখা পড়তে বেশ ভাল লাগে কেননা তার মধ্যে অনেক শিক্ষনীয় কিছু বার্তা প্রকাশ পায়। আর আজকেও আপনি খুবই দারুণ একটি উদাহরণ দিয়ে পুরো বিষয়বস্তু গুলোকে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
সত্যি আমাদের সকলেরই উচিত নিজের অভ্যন্তরীণ জ্ঞান এবং বিবেক-বুদ্ধি জাগ্রত করা যাতে করে আমরা বর্তমান সময়গুলো আলোকিত করে উপভোগ করতে পারি। সূর্যাস্তের সেই গোল্ডেন টাইম এর মতন আমাদের সকলের জীবনেই সুখকর মুহূর্ত বয়ে আনুক এই কামনা করি।
ভাই আমরা সত্যি সব কিছু বুঝি কিন্তু ঐ যে বিবেকটা জাগ্রত না যার কারনে আমরা সঠিকভাবে সঠিক উপায়ে কোন কিছু সম্পূর্ণ করতে পারি না।
আসলেই ভাইয়া সূর্যাস্তের সময় এটি গোল্ডেন টাইম। এই সূর্যাস্ত দেখার জন্য আমরা কতজন কত জায়গায় যাই। কিন্তু ইচ্ছা করলেই যে বাড়ির পাশে থেকে সুন্দরভাবে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যায় এটা আমরা অনেকেই বুঝি না।
আপনার প্রত্যেকটা লেখার মধ্যে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় থাকে।তাই আমি মনে করি আপনার লেখাটি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব এবং অনেক কিছু জানতে পারবো।ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর সুন্দর লেখনি তুলে ধরার জন্য।
শুনে ভালো লাগলো, আপনাদের ভালো লাগে বলেই লিখে একটা শান্তি পাই।
হুঁশ থাকেনা বলেই আসলে গোল্ডেন টাইমকে কাজে লাগাতেই পারিনা একদম।দারুণ একটি বিষয় নিয়ে ভেবেছেন ভাইয়া আজ।
একদমই ঠিক তাই আপু, আমরা চেষ্টা করি তবে সেখানে আমাদের হুঁশটা সঠিক মাত্রায় থাকে না।
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো যখন পড়ি তখন নতুন করে নিজের আশা গুলোকে জাগ্রত করার অনুপ্রেরণা পাই। আপনাদের মত বড় ভাই আমাদের সাথে আছে বলেই আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখার উৎসাহ পাই। সত্যি কথা বলতে যখন আপনার লেখাগুলো পড়ি তখন আমি সেই লেখাগুলো থেকে সবসময়ই বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করি। আপনি আপনার লেখা গুলোর মাঝে এত সুন্দর ভাবে আমাদের জন্য উৎসাহমূলক কিছু কথা উপস্থাপন করেন যেগুলো আসলে সত্যি আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আমরা আসলে সব কিছুই বুঝি, সব কিছুই জানি, কিন্তু আমরা নিজের চিন্তা ধারাকে জাগ্রত করতে পারিনা। আসলে যে জিনিসটা করলে আমাদের ভালো হবে সেটা বুঝতে পারি কিন্তু সেই জিনিসটি সম্পর্কে গভীর চিন্তা করতে পারিনা এবং চিন্তা করতে চাইনা। আমরা যদি আমাদের জীবনকে সুন্দর করে সাজাতে চাই তাহলে অবশ্যই সবকিছু নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে এবং নিজের চিন্তা ধারার পরিধি বিস্তার করতে হবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আপনার লেখায় উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।❤️❤️❤️❤️❤️
একদম সেটাই ভাই, আমাদের চেষ্টা, কাজে এবং আগ্রহে একটা ঘটতি থাকে সর্বদা আর সেটা হলো আমাদের হুঁশের কমতি।