কলমি শাক ভাজি রেসিপি || Bengali Food Recipe by @hafizullah || 5% abb-charity
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, বাংলাদেশ হতে আরো একটি স্বাদের বাঙালি রেসিপি নিয়ে এসেছি আজ।
আজ আমি আমার পছন্দের এবং প্রিয় একটি শাকের রেসিপি ভাগ করে নেব। এই শাকটি এখন প্রায় পুরো বছর বাংলাদেশ পাওয়া যায়। তাছাড়া দামের দিক হতেও খুব সস্তা কিন্তু পুষ্টির দিক হতে অসাধারণ। আসলে প্রতিটি শাকই আমাদের জন্য উপকারি কারন শাক হলো আশঁজাতীয় খাবার, যার কারনে এটি শরীরের নানা ধরনের উপকার করে থাকে। বিশেষ করে যাদের কোষ্টকাঠিন্য রয়েছে তাদের জন্য বেশী উপকারি শাক। আজ যে শাকটির রেসিপি ভাগ করে নেব সেটি হলো কলমি শাক। বেশ স্বাদের একটি শাক।
পুষ্টির দিক হতে কলমি শাক কিছুটা ভিন্ন কারন এর মাঝে রয়েছে চমৎকার নানা ধরনের উপকরণ যা আমাদের শারীরিক দূর্ববতা, চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখা এবং রক্তশূণ্যতা দূর করতে বেশী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এগুলো আমাদের খুবই কমন সমস্যা। সুতরাং এই দৃষ্টিকোন হতে কলমি শাক আমাদের বেশী বেশী খাওয়া উচিত। যাইহোক, চলুন দেখি আজকের রেসিপিটি তৈরী করতে কি কি উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।
উপকরণ সমূহঃ
- কলমি শাক
- পেয়াঁজ
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- লবন এবং
- তৈল।
আসলে শাক ভাজি সহজ একটি রেসিপি, তাই খুব বেশী উপকারণের প্রয়োজন হয় না এটি তৈরীতে। তাছাড়া পেয়াঁজ, রসুন ও তেল এগুলো সকল কিছুর জন্যই কমন উপকরণ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে আমরা শাকগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে নেব, তারপর এগুলোকে কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে রাখবো।
এখন একটি প্যান কিংবা কড়াই চুলায় দিয়ে কিছু পরিমান তেল দিবো এবং তা গরম করবো।
এরপর পেয়াঁজ কুচি, রসুন কুচি ও কাঁচা মরিচসহ সবগুলো উপাদান প্যানে দিয়ে কিছুটা সময় রান্না করবো।
পেয়াঁজের রং কিছুটা পরিবর্তন হলেই আমরা এগুলোর সাথে পূর্বে কুচি কুচি করে রাখা শাকগুলো ঢেলে দিবো। প্রয়োজন মতো লবন দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করবো সবগুলো উপাদানের সাথে। কিছু সময়ের জন্য শাকগুলো ঢেকে দিবো।
মাঝে মাঝে ঢাকনা সরিয়ে চেক করুন এবং শাকগুলো একটু নেড়ে দিন। শাকগুলো সিদ্ধ হয়ে কমে আসবে। দেখুন এখন কি সুন্দর হয়েছে দেখতে। রান্না প্রায় হয়ে গেছে আমাদের।
দেখুন এখন কতটা সুন্দর এবং স্বাদের মনে হচ্ছে, কলমি শাক ভাজি। মাঝে মাঝে অবশ্য আলু দিয়ে ভাজি করি কলমি শাক আমরা, কারন আলু দিয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম স্বাদ লাগে।
ধন্যবাদ সবাইকে রেসিপিটি উপভোগ করার জন্য।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
কলমি শাক আমার অনেক প্রিয়। আপনার রান্না দেখে আমার ওখেতে ইচ্ছে করছে।
ভালোই হয়েছে । গতকালকে খেয়ে ছিলাম, সঙ্গে মসুরের ডাল ছিল ।ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।
হ্যা, আমিও একবার রান্না করেছি স্বাদ নিয়েছিলাম, খারাপ না ভালোই লাগে ভাই মসুরের ডাল দিয়ে। ধন্যবাদ
কলমি শাক ভাজি আমার খুব প্রিয়। আপনার রেসিপি টা অসাধারণ হয়েছে। কলমি শাক আমাদের ক্রয় করা লাগে না। আমাদের বাড়ির পাশের মাঠে অনেক কলমি শাক আছে।
হ্যা, এটা সত্য। এটা বাড়ীর চারপাশে এমনিতেই হয়ে যায়, তবে কলমি শাকের ডোগা বুনে দিতে হয়। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
শাক ভাজি আমার খুবই প্রিয় খাবার। বিশেষ করে আমাদের দেশে বর্ষাকালীন মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়।
দারুণ স্বাদের কলমি ভাজা
মজা হয়েছে খেতে
ইচ্ছে হলেও পারবোনা ভাই
তোমার বাড়ি যেতে।
শুভ কামনা তোমার তরে
রেধেছো অনেক ভালো
আমার বাংলা ব্লগে তুমি
নব প্রদীপ জ্বালো।
ডাটা পুতে রাখলেই এই শাক হয় জন্য সবার সাধ্যের মধ্যেই পড়ে।আর ব্যক্তিগতভাবে আমি এই শাকের একজন বড় ভক্ত।
হাফিজ ভাইয়া খালি খাবারের রেসিপি দিয়ে আমাদেরকে লোভ দেখান, খেতে দেন না একদিনও। এটা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। আমি বাজারে কলমি শাক দেখলেই কিনে আনি ভাজি খাওয়ার জন্য।
রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।
শুভ কামনা ভাইয়া।
কলমি শাক আমি কখনো খাইনি কিন্তু আপনার রান্নাটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। রেসিপিটি অনেক ভালো হয়েছে ভাইয়া।
অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে দেখিয়েছেন। আর কলমি সাক আমার খুব প্রিয় খাবার।
রেসিপি টা ভালই হবে মনে হচ্ছে।