আমার বাংলা ব্লগ-বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট-৮৮ || ABB Special Hangout Report-88

in আমার বাংলা ব্লগlast year

Hangout Format 88.png

ভূমিকাঃ

“আমার বাংলা ব্লগ”- এখন শুধু একটি কমিউনিটির নাম না বরং সকলের নিকট জনপ্রিয় মাধ্যম, নিজের ভাষায় আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশের। দিন দিন যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শীর্ষে উঠে আসছে র‌্যাংকিং এ। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর যাত্রা শুরু হয় মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশে স্টিম ব্লকচেইন এ সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটিকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে ভাষার প্রতি ভালাবাসা সৃষ্টি করা এবং নিজেদের বন্ধনকে আরো মজবুত করা। আমাদের বিশ্বাস আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মাঝে আমাদের লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হবো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এখন পর্যন্ত ৪,৮৫৫ জন সদস্য হয়েছেন এবং বর্তমান এ্যাকটিভ পোষ্টের সংখ্যা ১৭২।

হ্যাংআউট-৮৮

আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @shuvo35 ভাই যথা সময়ে উপস্থিত হোন এবং শুরুতেই নিজের কিছু অনুভূতি শেয়ার করেন। যেহেতু এবারের হ্যাংআউটটি হবে বিশেষ হ্যাংআউট তাই আমরা গতানুগতিক বিষয়গুলো নিয়ে আজ খুব একটা আলোচনা করবো না। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আজকের হ্যাংআউটটি বিশেষ হ্যাংআউট হিসেবে বিবেচিত হবে। তারপর শুভ ভাই ভাষা শহীদদের প্রতি নিজের বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অনুভূতি শেয়ার করেন। এরপর বিশেষ হ্যাংআউটের মূল পর্ব শুরু করা হয় অমর একুশের সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে।


তারপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং সংগীত নিয়ে নিজের অনুভুতি শেয়ার করেন এবং পুনরায় এটা বলেন যে আমরা আজকে একটু ভিন্নভাবে হ্যাংআউটটি পরিচালনা করার চেষ্টা করবো। এরপর আমি @hafizullah কথা বলি, সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের ৮৮তম সাপ্তাহিক হ্যাংআউটে। যেহেতু আজকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে বিশেষ হ্যাংআউটের আয়োজন করা হয়েছে, তাই আমি একটা কথাই বলবো শুধু সেটা হলো, ভাষার প্রতি ভালোবাসা হোক চিরন্তন, সারা বছরের জন্য-সারা জীবনের জন্য।

আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @swagata21 দিদি কথা বলেন এরপর, শুরুতেই দিদি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের পটভূমি নিয়ে কিছু কথা বলেন। প্রথমে সবাইকে একুশে ফেব্রুয়ারীর শুভেচ্ছা জানান। একুশে ফেব্রুয়ারী একজন বাঙালীর কাছে যেমন গৌরবের তেমন অনেক আবেগেরও। পৃৃথিবীতে একমাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, ভাষার জন্য এতো বড় আত্মবলিদান আর কোন জাতি দেন নি। তাই এই মহান আত্মত্যাগকে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মান জানানোর জন্য জাতিসংঘ এই দিনটাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সালাম, রফিক, বরকতের রক্তে বাংলা ভাষা দীর্ঘজীবী হয়েছে তা কিন্তু ইতিহাসে এক অনন্য।

Untitled-001.png

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে সক্রিয় পটভূমি তৈরী হয়েছিলো এই ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। আর ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারী বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার তাগিদে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা যে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলো তা পাক শাসকদের ভিত্তি নড়বড়ে করে দিয়েছিলো। তাই নির্বিচালে গুলি চালিয়ে বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেন। এই একুশে ফেব্রুয়ারীতে ভাষা শহীদদের রক্তে রাঙা হয়েছিলো বলে আমাদের মুখে আজও বাংলা ভাষায় প্রথম মা ডাক উচ্চারিত হয়। এই সকল মহান ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। সেই সাথে আসুন সবাই মিলে শপথ করি ভাষা শহীদদের এই আত্ম বলিদান যেন বৃথা না যায়। এই মায়ের ভাষাকে আমাদেরই ভালোবেসে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই জাতি হিসেবে আমরা আরো সমৃদ্ধ হবো।

আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন @nusuranur আপু কথা বলেন এরপর, প্রথমেই সকলকে একুশে ফেব্রুয়ারীর শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানাই। সেই সাথে এই মাতৃভাষার জন্য যারা যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের জন্য জানাই মন থেকে গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। এই দিনটি আমাদের বাঙালির জন্য কত বড় একটা দিন তা আমরা সকলেই জানি। কারণ আমরা একমাত্র জাতি যারা এই ভাষার জন্য লড়াই করেছে। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই কমিউনিটির মূল বিষয়টাই হচ্ছে আজকের এই দিন টা। অর্থাৎ এই দিনটার জন্যেই আজ এত বড় একটা কমিউনিটি রয়েছে। এই কমিউনিটির মূল উদ্দেশ্য টা হলো বাংলা। আর এটি একটি বাঙালি জাতির জন্য অনেক বড় একটি গর্বের বিষয়। যে শুধুমাত্র বাংলার জন্যই এত সুন্দর একটি কমিউনিটি আমরা পেয়েছি। তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদাকে, কারণ দাদার জন্যেই আমরা এতো সুযোগ পেয়েছি।

আমার মতে আমরা প্রতিটা বাঙালি কখনো না কখনো যখন অন্য ভাষায় লেখালেখি করি। তখন আফসোস করি যে এই লেখাটা যদি আমরা বাংলায় লিখতে পারতাম, তাহলে কতই না ভালো হতো! সেই স্বপ্নটাকে পূরণ করে দিয়েছে আমার বাংলা ব্লগ এবং নিজেকেই নিজে বলবো যে আমার নিজের ভাষাকে নিয়ে কখনোই আমরা হীনমন্যতায় ভুগবো না এবং অবশ্যই নিজের ভাষাকে নিয়ে গর্ববোধ করবো আমরা সবাই। কারণ এটি আমাদের মায়ের ভাষা। আমরা প্রথম যে ভাষাটি শুনেছি তা হলো এই বাংলা ভাষা। যে বাংলা ভাষাকে আমরা ভালোবাসি এবং শ্রদ্ধা করি। এই ভাষাটা গুরুত্বপূর্ণ বলেই এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক ভাবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আবার ও সকলকে জানাই মহান মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা।

তারপর কথা বলেন কমিউনিটির এ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স) @rex-sumon সুমন ভাই, প্রথমেই আত্মউৎসর্গী ঐ সকল ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি, যাদের জন্য আমাদের এই বাংলা ভাষা, যাদের জন্য আমরা এই বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি, তাদের জন্যই আমরা আজ মাকে মা বলেই ডাকতে পারছি। শুধু সম্মান জানানোকেই আমি যথেষ্ট মনে করি না, প্রত্যেকটা ধর্মে যে নিময় আছে, যেমন মোনাজাত করা। আমরা প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ ধর্মের নিয়ম অনুসারে তাদের জন্য দোয়া করি, যে সকল শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই ভাষা এবং এই স্বাধীনতা। আর শুধুমাত্র এই ফেব্রুয়ারী মাসটা না বরং বাকি যে এগারো মাস রয়েছে সেই এগারোটি মাসেও আমাদের এই সম্মানটি দেখানো উচিত। আমাদের যে ভাষাটা, বাংলা ভাষাটা এতো কষ্টে অর্জিত ভাষা। এই ভাষাটা আমাদের সবার বুঝতে হবে আমরা কখনো যেন কোনভাবেই এই ভাষাটার ভুল ব্যবহার না করি, নোংরা কোন কিছুই যেন ব্যবহার না করি, তবেই ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাটা দেখানো সম্ভব হবে। শুধু কথায় না আমরা যেন নিজেদের কাজের মাধ্যমে সেটা দেখাতে পারি।

এরপর কমিউনিটির এ্যাডমিন (উইটনেস এবং ডেভ টীম) @moh.arif আরিফ ভাই কথা বলেন। প্রথমেই তিনি ভাষা শহীদদের স্মরণ করেন। তাদের আত্ম ত্যাগের বিনিময়েই আমরা এই বাংলা ভাষাটা পেয়েছি। তাদের কারনেই আমরা এখন এই বাংলা ভাষায় যে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি, লিখতে বা বলতে পারছি এটা আসলে তাদেরই অবদান। না হলে আমরা এভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে প্রকাশ করতে পারতাম না। আমরা অন্যের ভাষায় কিংবা অন্য ভাষায় কথা বলতে হতো। তারপর তিনি নিজের কিছু অনুভূতি শেয়ার করেন, যখন প্রথম স্টিমিটে জয়েন করেন তখন কিন্তু বাংলা ভাষায় লেখা কিংবা কাজ করার এই রকম কোন সুযোগ ছিলো না। হয়তো বা কেউ কেউ দুই একজন লিখতো। তখন তারা সাপোর্টতো পেতোই না বরং এগুলোকে স্প্যামিং হিসেবে গন্য করা হতো। সে সময়ের অনুভূতির সাথে বর্তমান সময়ের অনুভূতির তুলনা করেন। বর্তমান এই সুযোগটি করে দেয়ার জন্য দাদাকে ধন্যবাদ জানান।

Untitled-0012.png

এরপর কমিউনিটির এ্যাডমিন (সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং) @shuvo35 শুভ ভাই কথা বলেন, শুরুতেই আরিফ ভাইয়ের অনুভূতির সাথে সহমত পোষণ করেন তারপর তার প্রথম দিককার কিছু অনুভূতি তুলে ধরেন। কারন তার নিজের অভিজ্ঞতাগুলো খুব একটা সুখকর ছিলো না। বাংলা ভাষায় করার আগ্রহ দেখে দাদাকেও প্রশ্ন করেছিলেন এটা কিভাবে সম্ভব? আজকে এই বিশেষ দিনে এই কথাগুলো হয়তো না বললেও চলবে কিন্তু তবুও তা শেয়ার করতে চাইছি কারন বাংলা ভাষায় লেখালেখি করে এই রকম একটা আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে সুউচ্চ অবস্থানে আসতে পারাটা মোটেও সহজ ছিলো না। এটার জন্য সব দিক হতে দাদার পরিকল্পনা, বিনিয়োগ এবং সমর্থন ব্যাতিত সম্ভব ছিলো না, হ্যা হয়তো আপনাদের সকলেরও চেষ্টা ছিলো। তাই আবারও দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শুভ ভাই। তারপর সুন্দর একটা অনুকবিতা আবৃত্তি করেন।

এরপর কমিউনিটির মডারেটরগণ কথা বলেন, প্রথমে @rupok ভাই বলেন। প্রথমেই ৫২ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আমার কথা শুরু করছি। আমরা আজকের প্রজন্ম যারা তারা কি কখনো চিন্তা করতে পারি? আজকে যদি আমরা নিজের মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ না করতে পারতাম? তাহলে অবস্থাটা কেমন হতো? যদি আমাদেরকে অন্য কারো চাপিয়ে দেয়া ভাষার মাধ্যমে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে হতো? তাহলে সে পরিস্থিতিটা কতটা ভয়াবহ হতো? তাই যে মানুষদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নিজের মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি তাদেরকে প্রতি আবারও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। আর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু। কারণ কারণ ৫২ ভাষা আন্দোলনের যে অগ্নি স্ফুলিঙ্গের সূচনা হয়েছিল সেটা থেকে পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু হয়েছিলো। এই মুহূর্তে লেবেল ফোরে চারজন মেম্বার আছেন। তাদের ভেতর দুজন মেম্বারের এক্টিভিটিস খুবই কম। যদিও তারা তাদের মোবাইল সংক্রান্ত সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছেন। তারপরেও তাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা দ্রুত নিজেদের সমস্যার সমাধান করে কাজে ফিরে আসুন।

এরপর কথা বলেন কমিউনিটির মডারেটর @alsarzilsiam ভাই। এটা ভাষা আন্দোলনের চেয়ে কম কিছু বলে আমি মনে করি না। যেখানে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হতো না সেখানে এখন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি অনেকটাই ভালো পজিশনে রয়েছে। অনেকটা যুদ্ধ করেই আমার বাংলা ব্লগ আজ এই পজিশনে এসেছে। তাই দুই দাদাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং সেই সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি যাদের জন্য আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি। সেই সাথে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত করা হয় যা আমাদের বাঙ্গালীদের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। আমরা বাংলা ভাষার প্রতি সতর্ক হবো, বাংলা ভাষার বানানের প্রতি সতর্ক হবো। তাহলেই এই মাতৃভাষার প্রতি আমাদের সম্মান করা হবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

এরপর কথা বলেন কমিউনিটির মডারেটর @kingporos ভাই। নমস্কার। শুরুতেই ভাষা আন্দোলনে আত্মাহুতি দেওয়া সেই মহা মানবদের শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানালেই কি আমাদের কর্তব্য শেষ হয়ে যায়, আসলে তা হয় না। দিন প্রতিদিন আমরা ভাষার যে বিকৃতি করে চলেছি তাতে তাদের সঠিক সন্মান জানানো হয় না। আমরা অনেকেই ভয়েস টাইপ করি অথচ কেউই কি লিখলাম বা বানান গুলো সঠিক হলো কিনা সেদিকে নজর থাকে না। আমরা সকলেই যদি এই জায়গাটাতে খেয়াল রেখে ভয়েস টাইপ করার পরিবর্তে হাতে লিখে কাজ গুলো সম্পন্ন করি তাহলেই অনেকটাই লেখা শুদ্ধ হবে। আমার বাংলা ব্লগ যেমন ছোটো থেকে শুরু হয়ে আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে তেমনি আমাদের ছোটো ছোটো প্রয়াস গুলো বাংলা, বাঙালি ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি আমাদের সঠিক সম্মান জানানো হবে। ধন্যবাদ।

এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন, তারপর কমিউনিটির মডারেটর @tangera তানজিরা ম্যাডামের কথা লিখে প্রকাশ করতে অনুরোধ করেন। আসসালামুআলাইকুম, ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঝরিয়ে যারা আমাদেরকে মায়ের ভাষায় কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রথমেই তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তাদের ঋণ কখনোই ভোলার নয়।তাদের এই আত্মত্যাগের কারণেই ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা খুবই গর্বিত একটি জাতি। কিন্তু এখন ফ্যাশনে দাঁড়িয়েছে যে যত বেশি ইংলিশে কথা বলতে পারবে সে তত বেশি মর্ডান। আমরা আমাদের ইতিহাসকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি, শিকড়কে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।যাই হোক আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে সত্যিই ধন্য কারণ এ যেন আমার নতুন করে বাংলা শেখার চর্চা হচ্ছে। একারণে মনের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক দোয়া ও ভালবাসা রইলো দাদার প্রতি যিনি আমাদেরকে এত বড় একটি সুযোগ করে দিয়েছেন। এটিই ছিল বলার , অনেক ধন্যবাদ সকলকে।

Untitled-00123.png

এরপর কথা বলেন কমিউনিটির মডারেটর @ayrinbd আপু। ভাষার প্রতি ভালোবাসা থাকবো প্রতিদিন, প্রতিটি মাস এবং প্রতিটি বছর। আমরা সত্যি গর্বিত কারন আমরা বাঙালি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো আমাদের প্রতিটি বাঙালির কর্তব্য। তাই ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আপু একটা কবিতা আবৃত্তি করেন। বেশ সুন্দর করে আবৃত্তি করেন এবং সবাই মুগ্ধ হয়ে সেটা উপভোগ করেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করেন। শুভ ভাইও তাকে ধন্যবাদ জানান দারুণ একটা কবিতা আবৃত্তি করার জন্য। তারপর শুভ ভাই সবাইকে নিয়ে ভাষা শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদা, শুরুতেই দাদা শুভেচ্ছা জানান এবং উল্লেখ করেন যে এটা মানে এই দিনটি শুধুমাত্র বাংলা ভাষার জন্য না, যতগুলো জাতি আছে সারা বিশ্বে সবারই তাদের মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানানোরই দিন ছিলো একুশে ফেব্রুয়ারী। সকল মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানানোর দিন। সময় একটা নিরন্তন পরিবর্তনশীল। ভাষা কখনোই এক থাকে না পরিবর্তন হতেই থাকে। বেশী দিন আগের না, আমরা যদি বাংলা ভাষার এক হাজার বছর আগের ইতিহাস দেখি তাহলে কিছুই বুঝতে পারবো না। এমনকি চর্যাপদ পড়েও আপনারা কেউ কোন কিছু বুঝতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। দাদাও পড়ে তেমন কিছু বুঝেন নাই। ভাষা অনেকটা সংকেতময়, নানা ধরনের সংকেত, চিহ্ন এগুলো ব্যবহার করেই ভাষার উদ্ভব। যেহেতু এটা নিরন্তন পরিবর্তনশীল সেহেতু ভাষায় অনেক শব্দ আসবে, নতুন নতুন শব্দযোগ হবে, বাক্যগঠনের পরিবর্তন এটাও হবে। যেমন আগের চর্যাপদ যেভাবে লেখা হতো বা বাংলা ভাষা যেভাবে লেখা হতো, বেশী না একশ বছর আগের বাংলা ভাষা যেভাবে লেখা হতো সেগুলো বুঝতে গেলে আপনারা শেষ, কিছুই বুঝতে পারবেন না।

বর্তমানে দাদা একটা বই পড়ছেন যার নাম বাংলার ডাকাত। তাতে ১৯১০ সালেরও সরকারি গেজেটের যে লেখাগুলো ছিলো সেগুলো পড়েও দাদার মথা ঘুরে যায় বুঝতে পারেন না বলে। আর ১৮৭৮, ১৮৫৬ সালেরও কিছু লেখা আছে পত্রিকার, সেগুলো কাটিং এই বইতে আছে। তো সেগুলো পড়ে আসলে বুঝা খুব কঠিন। তখনকার বাংলা ভাষা আর এখনকার বাংলা ভাষার মাঝে বিস্তর তফাত। এই জন্যই বলেছেন ভাষা পরিবর্তনশীল। তা সত্বেও বর্তমানে বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দ ঢুকে গেছে, খাঁটি বাংলা শব্দের ব্যবহার অনেক কম, তৎসম শব্দের ব্যবহার অনেক বেশী। আমরা যে সকল বাংলা ভাষার শব্দ ব্যবহার করছি এসব আসলে তৎসম থেকে উৎপত্তি। এসম্পর্কে দাদা কয়েকটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করেন। আমাদের বাংলা ভাষার অধিকাংশ শব্দই তৎসম শব্দ, এছাড়াও অনেক শব্দ সংগৃহীত হয়েছে অন্যান্য নানা ভাষা হতে। কিছু কিছু শব্দ এমন হয়ে গেছে যেগুলোর কোন বাংলা হয় না, যেমন চেয়ার ও টেবিল। এগুলো আসলে বাংলা ভাষার মাঝে ঢুকে গেছে। এ প্রসঙ্গে আরো কিছু উদাহরণ দেন দাদা।

পৃথিবীর যার যার মাতৃভাষা সেটা কিন্তু পরিবর্তনশীল। কিন্তু আমরা যদি সেটার খুব বেশী যত্নশীল না থাকি তাহলে কিন্তু সেটা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রচুর ভাষা বর্তমানে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশী ভাষা বিলুপ্ত ঘটছে আফ্রিকা মহাদেশে। তাদের নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি সব হারিয়ে ফেলছে পশ্চিমা দুনিয়ার দাপটে। দক্ষিন আমেরিকার অবস্থাও ঠিক একই রকম। পেরু, আর্জেন্টিনা ব্রাজিল এদের মূল ভাষা যেগুলো ছিলো সেগুলো বাদ হয়ে এখন অধিকাংশের রাষ্ট্রীয় ভাষা স্পেন ভাষা। দীর্ঘ বছর স্পেনরা তাদের দেশসমূহ দখলে রেখেছিলো। তার মানে তাদের মাতৃভাষা কিন্তু তারা ভুলে গেছে। এই জিনিষটাই ভয় পাচ্ছি আমরা সবাই, বাংলা ভাষাটা কি থাকবে নাকি থাকবে না। যদিও বাংলা ভাষা এতো সংখ্যক মানুষ কথা বলে তবুও খুব রিস্কের ভিতর আছে। এ প্রসঙ্গে দাদা পশ্চিম ভঙ্গের কিছু উদাহরণ এবং বাংলাদেশের উদাহরণ দেন। তারপর কোলকাতার বিষয়ে উদহরণসহ কথা বলেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন। সচেতনভাবে চর্চা করতে হবে যাতে ভাষাটা বিলুপ্ত না ঘটে। শুধুমাত্র একটা দিন পালন করলেই ভাষাটা থাকে না। মাতৃভাষা যেহেতু আমাদের বাংলা সেহেতু আমাদের সকলের চেষ্টা করতে হবে ভাষাটা যেন টিকে থাকে।

Untitled-001234.png

এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের কো-ফাউন্ডার @blacks দাদা, সারা পৃথিবীতে একটাই মাত্র জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে এবং জীবন দিয়েছে। এতো বড় আত্মত্যাগ অন্য কোন জাতি এখন পর্যন্ত দেয়নি। সেই মহান আত্ম বলিদানকেই শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা গুরুত্ব দেয়ার জন্য এটাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বলে। দিনটি প্রত্যেক ভাষাভাসি জাতি নিজেদের মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে, এতোটাই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন যেটাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেটা হচ্ছে এই ভাষা আন্দোলন। নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম এবং সফল আন্দোলন। যতগুলো দেশ রয়েছে তার মাঝে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অত্যন্ত গৌরবময়, ভারতের স্বাধীনতা কিন্তু অতোটা গৌরবময় না, স্বাধীনতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন কিন্তু এখানে অনেকটা সমাঝোতার মাধ্যমে ভাগ করা হয়েছে। যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। সেখানে অবশ্য ভারতের একটা বড় অবদান রয়েছে, সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

কারণ তখনকার এতো আধুনিক অস্ত্রের মোকাবেলায় খালি হাতে কিংবা লাঠি নিয়ে যুদ্ধ করা যেতো না, এক্ষেত্রে ভারত সব দিক হতে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলো, সেটা মানতেই হবে। এটা সব সময় স্বীকার করতে হবে। একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ভারত। নিজের ভাষায় কথা বলবো এটা অন্য কেউ ছিনিয়ে নিবে, তা আসলে কেউ মেনে নিতে পারেনি। আর এখানে ছাত্ররাই প্রথম প্রতিবাদ করেন, একটা দেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় ভীত হচ্ছে ছাত্র রাজনীতি। কিন্তু বর্তমান সময়ের ছাত্র রাজনীতি অনেকটা নোংরা হয়েগেছে, সন্ত্রাসী হয়ে উঠছে ছাত্র রাজনীতি কিন্তু এই ছাত্র রাজনীতিই একটা দেশের রাজনীতির অত্যন্ত শক্ত ভীত গড়ে দেয়, সেটা ইতিহাসে বার বার দেখা গিয়েছে। প্রতিটি আন্দোলন, সেটা বলুন ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, বিশ্বের যে কোন আন্দোলন। ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলন, সংগ্রাম সব ছাত্ররাই কিন্তু শুরু করে। তারপর আস্তে আস্তে সেটা ছড়িয়ে যায়। কারণ একটা জাতির মেরুদন্ড প্রথম সারির ছাত্ররাই, জাতির প্রতি সবচেয়ে বড় দায় তাদেরই। সেই ক্ষেত্রে ৫২ ভাষা আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ভাষার জন্য জীবন দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন নাই।

সেই ভাষা কিন্তু এখন দুঃখের বিষয় অনেকটা বিলুপ্তি পথে বাংলাদেশ আছে তার জন্য এখনো টিকে আছে। কিন্তু বেশ সংকটে আছে। নিজেদেরকেই নিজেদের ভালোবেসে বাংলাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ভারতের পশ্চিম বাংলায় খুবই খারাপ অবস্থা, অন্যান্য জায়গায় যাবেন যেমন তামিল তেলেগু, এদের ভাষাই কিন্তু প্রথম প্রাধান্য থাকে, তাদের সিনেমার ক্ষেত্রেও প্রথম নিজেদের ভাষার সিনেমা চলে কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের এখানে প্রথমে অন্যান্য ছবি চলে এবং স্লট ফাঁকা থাকলে বাংলা সিনেমা চলে। আর আমরা বাংলা কথা বলতেই পারি না, বাংলা কথা বললে ভাবে আন্ডার রেটেড। এই একটা ধারণা তৈরী হয়ে গেছে বাংলা ভাষা সম্পর্কে। এই বাংলা ভাষাটাকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে, কারন এটাই আমাদের ইতিহাস, এটাই আমাদের পরিচয়। এই ভাষা নিয়েই সাহিত্য ও বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে, রাজনৈতিক চর্চা করতে হবে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও। ভাষা হচ্ছে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। আপনি হিন্দি জানেন না, ইংরেজী জানেন না সমস্যা নেই, আপনি বাঙালি বাংলা জানলেই হবে। এই দিবসে একটা কথাই বলবো, নিজের ভাষা এবং দেশকে ভালোবাসতে হবে। তাহলে একটা জাতি বিশ্বের দরবারে নিজেকে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

Untitled-00123456.png

তারপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং প্রসঙ্গক্রমে নিজের অনুভুতি প্রকাশ করেন। তারপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা @rme দাদার কাছে সপ্তাহের সেরা ব্লগারের নাম জানতে চান, দাদা পরবর্তীতে ডিসকর্ডে ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেন, বিজয়ী হয়েছেন, @shimulakter @Nevlu123 এবং @rahimakhatun। এরপর স্বাগতা দিদি কথা বলেন এবারের প্রতিযোগিতার ফলাফল নিয়ে, বেশ ভালো অংশগ্রহণ ছিলো, সকলের অংশগ্রহন বেশ মুগ্ধ করেছে তাকে। প্রতিযোগিতায় কোন পুরস্কার পেতে হবে এমন কোন কথা নেই, আপনারা যে চেষ্টা করেছেন সেটা আমাদের নিকট অনেক মনে হয়েছে। এভাবে প্রতিটি প্রতিযাগিতায় অংশগ্রহণের আহবান জানান। তারপর শুভ ভাই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন এবং তাদের অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ করে দেন। এরপর কুইজ পর্ব শুরু করার জন্য আরিফ ভাইকে আমন্ত্রণ জানান। এই পর্বে আরিফ ভাইকে সহযোগিতা করেন মডারেটর রুপক ভাই, এ্যাডমিন সুমন ভাই এবং যথারীতি আমি। এরপর একে একে চারটি কুইজ শেয়ার করেন, বিজয়ীদের পরবর্তীতে রিওয়ার্ডস পাঠিয়ে দেয়া হবে, এই জন্য মডারেটরকে কুইজের বিজয়ীদের নাম এবং হ্যাংআউটের ক্রমিকসহ দিতে বলেন। এরপর দাদার পক্ষ হতে দুটো কুইজ ধরা হয় আর মডারেটর তানজিরা ম্যাডামের পক্ষ হতে একটা কুইজ ধরা হয়। তারপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং সুপার এ্যাকটিভ তালিকা প্রকাশ করেন।

তারপর গানের পর্ব শুরু করেন শুভ ভাই, শুরুতেই সাথি আপুকে স্টেজে আমন্ত্রণ জানান এবং নিজেদের মাঝে কৌশল বিনিময় করেন। তারপর সাথি আপু ছন্দের যাদুতে মিষ্টি কণ্ঠে একে একে সবাইকে স্টেজে ডাকেন @shyamshundor কবিতা আবৃত্তি, @bristychaki গান, @joniprins গান, @tasonya কবিতা আবৃত্তি, @bristy1 গান, @tuhin002 কবিতা আবৃত্তি, @sshifa গান, @saymaakter গান, @mahbubul.lemon গান, @pujaghosh কবিতা আবৃত্তি, এবং @selinasathi1 আপু দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।

সবশেষে শুভ ভাই সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে হ্যাংআউটের সমাপ্তী ঘোষণা করেন।

ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন এবং মডারেটদের, যারা রিপোর্টটি তৈরী করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
@hafizullah

break .png

Community TEAM

@rme ADMIN ✠ Founder 🔯
@blacks ADMIN Co-Founder ♛【IND】
@winkles ADMIN Executive Admin 🇮🇳 ✨
@hafizullah ADMIN Executive Admin 🇧🇩 ✨
@swagata21 ADMIN Community Admin 【IND】
@nusuranur ADMIN Community Admin 🇧🇩 ✨
@rex-sumon ADMIN Regulatory compliance Admin ✨
@shuvo35 ADMIN Social Media & Marketing ✨
@moh.arif ADMIN Witness & Dev Team Admin ✨
@rupok MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@kingporos MOD Community Moderator 🇮🇳 ✨
@alsarzilsiam MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@tangera MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@ayrinbd MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@abb-school MOD Steem School ✍
@shy-fox MOD Extreme Curator
@amarbanglablog MOD Primary Curator ♛♝
@curators MOD Secondary Curator ♝
@photoman MOD Secondary Curator ♝
@royalmacro MOD Secondary Curator ♝
@abuse-watcher MOD Steem Watcher

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png

Sort:  
 last year 

ভাই আপনি যেভাবে নিখুঁত করে হ্যাংআউট রিপোর্ট উপস্থাপনা করেন। এটা অন্য কারো পক্ষে করা খুবই মুশকিল। আপনার এই পোস্টটা পড়লে হ্যাংআউটে কি কি হয়েছিল সে সম্বন্ধে যে কোন মেম্বার একটি পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই পোস্টের জন্য।

 last year 
দেখতে দেখতে আমাদের থেকে হ্যাংআউট -৮৮ শেষ হলো।এবারের হ্যাংআউটটি অসাধারণ লেগেছিল।বিশেষকরে,এবারের অনুষ্ঠানটি ছিল বাংলা ভাষার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তাদের স্বরণে।তাই অনুষ্ঠানটিকে ঘিরে ছিল এক ভিন্ন রকমের উন্মাদনা।আর ভাষা শহীদের স্বরণে এডমিন,মডারেটর,ছোট দাদা ও বড় দাদা তাদের অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।যা শুনে বেশ ভালো লেগেছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

দেখেত দেখতে হ্যাংআউট এর ৮৮ তম হয়ে গিয়েছে। আন্তজাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউট এ বেশ ভালোই লেগেছে। আসলে বাংলা কথা বলার মধ্যে যা সুখ পাই তা আর কোন ভাষাতেই পাই না।ধন্যবাদ

 last year 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ৮৮ তম বিশেষ হ্যাংআউট টি খুবই সুন্দর ছিল।সম্মানিত এডমিন,মডারেটরগণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।তাছাড়া বড় দাদা,ছোট দাড়াও কথা বলেন মাতৃভাষা নিয়ে।আপনি পুরো সময় এর বর্ণনা খুব সুন্দর লিখেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এবারের হ্যাং আউট সত্যি ই খুব ভাল লেগেছে।যখন একুশের গানটা বাজানো হলো চোখ দুটো আমার ছলছল হয়ে যাচ্ছিল,অবশ্য সব সময়ই হয় এমনটা। ভাইয়া এত সুন্দর করে আপনি পোস্ট শেয়ার করেন যে কেউ অনুষ্ঠানে কোন কারনে না থাকতে পারলেও সব স্পষ্ট বুঝতে পারবে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।

 last year 

ভাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট শেয়ার করেছেন। যদি কোন মেম্বার হ্যাংআউটএ উপস্থিত না থেকে থাকতো তাহলে পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারবে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের সম্মানিত এডমিন মডারেশন গন ও দাদা খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলেছিল সেখানে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি রিপোর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে কমিউনিটিতে কাজ করতে পারিনি। তাই হ্যাংআউটের আনন্দ থেকে বঞ্চিত ছিলাম। অনেকদিন পর ৮৮ তম হ্যাংআউটে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর সেই ৮৮ তম হ্যাংআউট রিপোর্ট আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। আপনার ধৈর্য ও দক্ষতার প্রশংসা না করলেই নয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে রিপোর্ট টি পেশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট পড়ে ভালো লাগলো। বিশেষ হ্যাংআউটে সবাই চমৎকার চমৎকার গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। সবাই মিলে বিশেষ হ্যাংআউট অনেক সুন্দর ভাবে রিপোর্ট তৈরি করেছেন। আপনার হ্যাংআউট রিপোর্ট সব সময়ই নিখুঁত হয়ে থাকে। সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

 last year 

আসলে গত হ্যাংআউট এ অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করেছে। বিশেষ করে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সবার আলোচনা গুলো মন বয়ে যাওয়ার মত ছিল। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে রিপোর্টটি তুলে ধরার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 69995.16
ETH 3735.97
USDT 1.00
SBD 3.74