হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আমি...... কি বলবো বলেন? একে শারীরিক অসুস্থ্যতা যা বেড়েই চলছে, তারপর কিছুটা মানসিক চাপ যা ক্রমগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে যখন আপনি অসুস্থ্য থাকবেন তখন যে কোন বিষয় নিয়ে আপনি একটু বেশী চাপ অনুভব করবেন। হ্যা, আরো একটা বিষয় আছে যেটা একটু বেশী সমস্যার সৃষ্টি করছে। আসলে করোনা ভাইরাসের সেই দুই বছরের প্রভাব অনেক প্রতিষ্ঠানে তাৎক্ষনিকভাবে পড়েছিলো কিন্তু আমাদের মতো সিএ ফার্ম সমূহে তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারে নাই কারন আমরা রুটিন মাফিক কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো, বেশ কঠিন একটা মুহুর্ত পার করছি আমি, গত মাসে দুই কিস্তিতে পেয়েছিলাম, সুতরাং বুঝতেই পারছেন সময়টা কতটা কঠিন যাচ্ছে। এদিকে বিশাল একটা ঋণের বোঝা তারপর বাংলাদেশের আগাম দূর্ভিক্ষের খবর, সব মিলিয়ে একটা অন্য রকম পরিস্থিতির মাঝে রয়েছি আমি। হ্যা, জীবন মানেই চাপ আর সেই চাপটা সর্বদা নিয়স্ত্রণের মাঝে থাকবে সেটা ভাবাটা ভুল।
কিন্তু তবুও, মাঝে মাঝে চারপাশের পরিস্থিতি আমাদের একদমই অপ্রস্তুত করে দেয়। যার কারনে আমরা সহজ অনেক বিষয়গুলোকে সহজভাবে সামলে নিতে পারি না। আমি আমার একটু বেশী দুর্বল, যে কোন বিষয়ে খুব দ্রুত নার্ভাস হয়ে যাই এবং সেটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা শুরু করে দেই। হয়তো সেটা আপনারা ইতিমধ্যে বেশ ভালো ভাবেই টের পেয়েছেন, অনেক কিছুই-অনেক সমস্যাই আপনাদের সাথে খুবই সাবলিলভাবে প্রকাশ করে নেই। হয়তো কেউ কেউ সেটাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন আর হয়তো কেউ কেউ ভাবছেন এসব শেয়ার করার কি আছে?
আসলে কি বলেন তো? যার যার সমস্যা তার তার কাছে কিন্তু তবুও মানুষ বিষয়গুলো শেয়ার করে যাদেরকে কাছের মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের নিকট। কিন্তু কেন? তারা কি সেই সমস্যাগুলোর তাৎক্ষনিক সমাধান দিয়ে দিবে? না সেটা না, আসলে মানসিক প্রশান্তির একটা বিষয় আছে, কাছের মানুষগুলো যখন সেটাকে স্বাভাবিক মেনে নেয় এবং ভিন্নভাবে শান্তনার বানীতে আশ্বস্ত করতে থাকে, তখন কিন্তু চাপ সহ্য করার একটা সামর্থ হৃদয়ে এমনিতেই তৈরী হয়ে যায়। আমার একটা সমস্যা আছে, আমি যাদের আপন ভাবি তাদের সাথে আমার মনের ভিতর যত কথা জমানো আছে সব অবলিলায় বলে দেই, আগ পিছ চিন্তা করি না, এটা এখনো আমার মাঝে আছে। মাঝে মাঝে আপনাদের ভাবি সেটা নিয়ে খোটাও দেয়, বলে মুখে তালা দেয়ার ব্যবস্থা করো, বয়সতো আর কম হলো না, বুঝেন এবার আমার অবস্থা!।
যাইহোক, অসময়ে কাছের মানুষগুলোর সহযোগিতা কিংবা প্রভাব আমাদের জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশী জরুরী হয়ে পড়ে এবং তাদের সেই সময়ের সহমর্মিতা কিংবা ভালোবাসা সেটা আমাদের জন্য খুবই কার্যকর হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকে। আমি সত্যি ভাগ্যমান সেই দৃষ্টিতে, আমি যাদের কাছের ভাবি কিংবা যাদের কাছে টানি, তারা কখনো আমাকে নিরাশ করে নাই, অন্ততঃ এই ক্ষেত্রেও আমাকে ভাগ্যবান বলতে পারেন, হয়তো ঈশ্বরের সুনজর রয়েছে আমার প্রতি। বিষয়টি তাহলে পরিবর্তন করি এবং কাজের মানুষের উদ্দেশ্যে লেখা একটা কবিতা আপনাদের সাথে ভাগ করে নেই। চলুন কবিতাটি পড়ি-
তোমার পারফিউমের মিষ্টি সুভাষ
চঞ্চল করে আমার ইন্দ্রিয়
তোমার চুলের মিষ্টি ঘ্রাণ
জাগ্রত করে আমার হৃদয়।
তোমার চোখের দুষ্টু চাহনি
উতলা করে হৃদয়ের আবেগ
তোমার ঠোটের রাঙ্গা আভা
ভাবিয়ে তোলে আমার বিবেক।
তোমার মিষ্টি হাতের ছোয়ায়
অমৃত হয়ে উঠে সকল রান্না
তোমার টক-ঝাল মুখের কথায়
ছন্দতা ফিরে আসে সকল কবিতায়।
তোমার চোখের ইশারায়
ঝড় উঠে আকাশে আমার
তোমার শীতল স্পর্শেই
উষ্ণতা ছড়ায় হৃদয়ে আমার।
তুমি আছো বলেই হয়তো
হৃদয় এতোটা রঙিন
তুমি আছো বলেই হয়তো
জীবন এতোটা স্বপ্নীল।
তোমার স্পর্শ, তোমার আবেগ
হৃদয়ে থাকুক জাগ্রত
তোমার ভালোবাসা, তোমার উষ্ণতা
হৃদয়ে চঞ্চল থাকুক অনন্ত।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাইয়া ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখুন দেখবেন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে এই সময়ে অধৈর্য্য হলে চলবে না। বর্তমান পরিস্থিতি সবার জন্য অনেক চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দিন দিন যে হারে দাম বেড়ে যাচ্ছে তাতে করে সংসার চালানো অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায়। তারপরও এতটুকু ভেবে মনকে শান্তনা দেই যে এখনো দু'বেলা দুমুঠো খাবার খেতে পারছি, আগামী দিনগুলোতে কি হবে জানিনা। ঋণ বোঝা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি মাথা থেকে নেমে যাবে কিন্তু সেই টেনশনে নিজের শরীর কে নষ্ট করা যাবেনা ভাইয়া। ঈশ্বর আপনার সকল সমস্যার সমাধান করুক এই প্রার্থনা করি।🙏 কবিতার কথা আর কি বা বলি আপনার কবিতার মন্তব্য করার মতো দুঃসাহস আমার নেই। এক কথায় অসাধারণ। ধন্যবাদ ভাইয়া। সবসময়ই ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি বলতে হাফিজ ভাই সামনের দিনগুলো নিয়ে যদি ভাবি তাহলে যেন দম বন্ধ হয়ে আসতে নেয়। এখনই যে পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে এর থেকেও খারাপ হলে বাঁচায় সম্ভব নয় হয়তো। আর আপনার সাথে আমার একটা ভালো মিল আছে ।আমিও মনের কথা চেপে রাখতে পারি না ,সব খুলে বলে দেই।
ভাই আজকের লেখাটা ভাবির জন্য পারফেক্ট মনে হচ্ছে 😅। চুপি চুপি একবার শুনিয়ে দেবেন। খুব খুশি হয়ে যাবে। তবে বিশ্বাস করলে হয় যে এটা আপনার লেখা 🤪🤪
এইতো মাত্র কয়েকদিন আগে থেকে হাফিজ ভাইয়ের কবিতা পড়া শুরু করেছি। খুব অল্প সময়ের মাঝেই ভাই আজ অনেকটাই পরিণত। শুভেচ্ছা রইল অনেক ভাই।
সত্যি ভাই, মাঝে মাঝে তো ভয়ংকর বকা খাই আপনার ভাবির নিকট হতে, তারপর সেটাকে আমার হজম করে নেই হি হি হি। না অফিসে আসার সময় বলে আসছি আজকের কবিতাটা তোমার জন্য, পড়ে নিও। ধন্যবাদ
ভাইয়া ধৈর্য ধরুন। রাত যত গভীর হয়,ভোর তত নিকটে আসে।ভাল সময় আসবেই।আর হ্যা দুঃখ কষ্ট শেয়ার করলে কমে যায়।প্রার্থনা করি খারাপ সময় গুলো তারাতারি কেটে যাক,আপনি খুব জলদি সুস্থ হয়ে উঠুন।আর কবিতাটি বরাবরের মতই অসাধারণ ছিল।ভালবাসার মানুষের স্পর্শ,সুবাস সব কিছুই আমাদের মন,হৃদয় উদ্দীপ্ত করে।এত সমস্যার মাঝে থেকেও এত সুন্দর কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন আপনি, রাত যতই গভীর হবে ভোর ততোই নিকটে আসবে। দেখা যাক কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নিজেকে ধৈর্য পরীক্ষায়। ধন্যবাদ
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলে অসুস্থ থাকলে বাড়তি একটু চিন্তা-ভাবনা এবং চাপ সৃষ্টি হয়ে যায়। আমিও এটা ভাবতেছি আসলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে মনে হয় দেশের মধ্যে।একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন এই দেশের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।আপনি খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন।আসলে প্রিয়জনের এমন পারফিউমের গন্ধ বলেন, প্রিয়জনের হাসি বলেন সবকিছুই ভালো লাগে।এক কথায় প্রিয়জনের সবকিছুই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে এত অসুস্থতার মাঝেও, টেনশন অবস্থায় ও সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
দিনগুলো কারোই ভালো যাচ্ছে না।চারপাশের মানুষই অসুস্থ। দেশের অর্থনৈতিক কথা না বাই বললাম।হুর হুর করে প্রয়োজনীয় জিনিসপএের দাম হাতের নাগালে চলে যাচ্ছে। যাই হোক ভাই চিন্তা করিয়েন না খুব শীঘ্রই সৃষ্টিকর্তা সকল কিছু সমাধান করে দিবে।খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন ভাইয়া
লাইনগুলো খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে কেন যেন মনে হচ্ছে আপনার সমস্যা গুলো আমি ফেস করছি। অর্থাৎ আমার জীবনের সাথে আপনার কথার অনেক মিল খুজে পাচ্ছি। আসলেই সময় যখন খারাপ যায় তখন আমরা নরমাল বিষয় কেউ নরমাল নিতে পারি না সেটা অনেক বড় বোঝা মনে হয় তারপর আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি এখন খুবই খারাপ। যাইহোক এত কিছুর মাঝেও খুব সুন্দর একটি কবিতা উপহার দিয়েছেন আমাদের মাঝে। পড়ে কিছুটা সময় হলেও মনকে প্রশান্তি করতে পেরেছি।
ভাইয়া সকলেরই একই অবস্থা সবাই সামনের দিনের কথা ভাবলে অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে। সামনে আরো ভয়াবহ মন্দা এবং কঠিন সময় মোকাবেলা করতে হবে যেটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আর মানুষ যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি শিকার হলে সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে প্রিয় মানুষগুলোর পাশে চায় এবং যারা সবসময় পাশে থাকে আশ্বস্ত করে সেটা কিন্তু অনেক বড় পাওয়া। যাইহোক, কবিতাটিও দারুন ছিল অনেক সুন্দর লেখেন কবিতা।
প্রথম অংশটা পড়ে মনে হচ্ছিল আজ মনে হয় আবেগ বা কষ্টের কবিতা হবে। পরে কবিতা পড়ে মনে হলো তার উল্টো। এটা তো হাই ক্লাস প্রেম এর কবিতা, হাফিজ ভাই। হা হা হা...
আশাকরি আপনার সব ডিপ্রেশন কেটে যাবে অতি দ্রুত। আসলে আমাদের সবার জীবনই একই রকম কাটছে। কিছুটা দুশ্চিন্তা আর কিছুটা হতাশার মধ্য দিয়ে।
এটা করোনা হবে মনে হয় হাফিজ ভাই।
জ্বী সেটা ভুল ছিলো, সংশোধন করা হয়েছে। ধন্যবাদ বিষয়টি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনার প্রতিটি কথাই আমার সাথে মিলে যায়, আর এটা বাস্তব যে অসুস্থায় থাকলে ছোট থেকে ছোট চিন্তা গুলোকেও অনেক বড় মনে হয়, আবার এটাও ঠিক যায় চিন্তা ভাবনা তার কাছে, তবে আপন মানুষদের বলি একটু শান্তনা পেতে, আপনার প্রতিটি কথা সত্যি অনেক মূল্যবান।
যাইহোক ভাইয়া আবেগের কবিতাটি আমার খুবই ভালো লেগেছ, পুরো কবিতাটিতে ভালোবাসায় ভরপুর, শেষের লাইন গুলো জাস্ট অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া, শুভকামনা রইলো আপনার।
সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন।