সৌন্দর্য উপভোগ করার সঠিক মানসিকতা প্রয়োজন
শুভ বিকেল সবাইকে,
আমাদের চারপাশের দৃশ্যাবলীর মাঝে উপভোগ্য অনেক কিছুই রয়েছি কিন্তু আমরা কি সবকিছু সেভাবে উপভোগ করতে পারি? প্রশ্নটির উত্তর খুব বেশী কঠিন না, তবে উত্তরটি দেয়ার আগে সবাই একটু ভাবতে চেষ্ট করবে, এটা আমি বুঝতে পারি। কারন যে কোন বিষয় যখন নিজের সাথে মেলে না তখন সবাই সেটাকে সহজে উত্তর দিতে চায় না। কিন্তু যে কোন বিষয় কিংবা জিজ্ঞাসা নিজের সাথে যখন মিলে যায়, তখন আমরা তাৎক্ষনিক সেটার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি।
এ প্রসঙ্গে স্কুল জীবনের একটি বিষয় স্মরণ হয়ে গেলো। আমরা যেদিন শিক্ষকদের পড়া শিখে যেতাম কিংবা বাড়ীর কাজ পূর্ণ করে যেতাম। সেদিন শিক্ষক বলার আগেই তার সম্মুখে তা নিয়ে যেতাম। কিন্তু যেদিন আমরা পড়া শিখে যেতাম না কিংবা বাড়ীর কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যেতো, সেদিন স্যার প্রশ্ন করলেও চুপচাপ থাকতাম সবাই। এটা সত্যি দারুন একটি ব্যাপার ছিলো, আর স্যারও সহজেই বুঝে যেতেন আমাদের অবস্থা কি, হি হি হি।
যেটা বলতেছিলাম, প্রকৃতি এবং তার ভেতরের সৌন্দর্য। আসলে আমাদের মানসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন সময়ের সাথে সাথে সব কিছু পাল্টে যাচ্ছে, দৃশ্যপট দারুনভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, সেখানে আমাদের স্থির থাকার কোন সুযোগ নেই। তাই সময়ের সাথে সাথে আমরা এবং আমাদের মানসিকতা দ্রুততার সাথে পাল্টে যাচ্ছে। যার কারনে প্রকৃতির প্রতি আমাদের ভালোবাসার পরিমান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রকৃতির সজীবতা হতে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। যার কারনে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার টান কিংবা উপভোগ্য বিষয়গুলো আমাদের কাছে টানে না।
এখন বৃষ্টির সময়, হুট হাট করেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায়। যেমন আজ বৃষ্টি নিয়ে ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। কারন আজ অফিসে আসার সময় ছাতা আনতে ভুলে গিয়েছি। তাই চিন্তা করতেছি যদি গতকালের মতো মুষলধারে বৃষ্টি নামে তাহলেতো ভিজে ভিজে বাড়ী যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। আর সড়কগুলোতো খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল হয়ে যাবে। কারন বৃষ্টির পরিমান বাড়ার সাথে সাথে আমাদের সড়কগুলো কেমনে জানি কিছুটা নীচু হয়ে যায় এবং পানির তলে হারিয়ে যায়। মাঝে মাঝে তো নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় থাকে না। সত্যি বৃষ্টি আমাদের কত কিছু উপভোগ করার সুযোগ করে দেয়, সড়কের উপর নৌকা, হা হা হা।
এই প্রকৃতির মাঝে অনেক কিছুই নিজের অস্তিত্ব তুরে ধরার চেষ্টা করেন, তাদের মাঝে অন্যতম হলো মাশরুম জাতীয় ছত্রাক। তবে ইতিমধ্যে মাশরুম নিয়ে রহস্যময় গল্প লিখে আমাদের এ্যাডমিন দাদা প্রচুর হিট হয়ে গেছেন। আমারতো মনে হয় দাদার মাশরুমের পরবতী সিরিজ নিয়ে চিন্তা করার সময় চলে এসেছে আর আমরা দারুণভাবে সেটার জন্য অপেক্ষা করছি, হি হি হি। সত্যি বর্ষায় প্রকৃতির মাঝে মাশরুম দারুণভাবে তাদের উপস্থিতি জানান দেয় এবং আমাদের ভিন্ন কিছু উপভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।
বিশেষ করে, ছোট আকৃতির কিছু মাশরুমরূপি ছ্ত্রাক রয়েছে, যেগুলোর গঠন প্রণালী আপনাকে দারুনভাবে আকর্ষীত করতে পারে। তবে সেগুলো মাইক্রো ক্যামেরার মাধ্যমে একটু বড় করে দেখলে, চমৎকার কিছু দেখার সুযোগ নেয়া যায়। আজকের লেখার সাথে আমি এই রকম ক্ষুদ্রাকৃতির কিছু মাশরুম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, সবগুলো দৃশ্যই মাইক্রো ক্যামেরার মাধ্যমে ক্যাপচার করা হয়েছে। আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনারা উপভোগ করবেন।
W3W Code: https://what3words.com/thumb.apron.october
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
আমি সত্যিই আপনার ফটোগ্রাফি পছন্দ করি, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
শুনে খুবই খুশি হলাম বন্ধু।
ভাইয়া এই মাসরুররুপি ছত্রাক গুলো সত্যি খুব
চমৎকার ও মনোমুগ্ধকর।
"রাস্তার উপর নৌকা" ব্যাপারটা যেমন বিপাকের তেমনি কথাটা কিন্তু হাস্যকর।😅
ধন্যবাদ, আপনাকে কিছুটা হলেও হাসাতে পেরে।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর তুলেছেন।পরভোজি এই উদ্ভিদের ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। এর মধ্যে যে এত সুন্দর সৌন্দর্য রয়েছে সেটা আপনার ছবি গুলো না দেখলে বুঝতাম না।সত্যিই ফটোগ্রাফি গুলো প্রশংসার দাবিদার।
বাস্তব ঘটনা ভাই। একদম বাস্তব।অনেক ধন্যবাদ ভাই এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুভেচ্ছা রইল।
খুবই বাস্তব ঘটনা ভাই, জীবন হতে নেয়াতো হি হি হি
ধন্যবাদ
❤️❤️
ভাইয়া আপনার লেখা বরাবরের মতোই সুন্দর হয়েছে।বেশি মজার লেগেছে স্কুলে পড়া না হলে স্যারের সামনে চুপ করে বসে থাকা টা।স্কুল জীবনে এরকম অনেক বার হয়েছে।আর আপনার ছবির মাশরুম রুপি ছত্রাকের ছবি গুলি অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করি, বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোকে প্রকাশ করার, আপনাদের ভালো লাগে এটাই আমার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ
স্কুল জীবনের কথাগুলো পড়ে, মনে পড়ে গেলো সেই সেকেন্ড বেঞ্চে বসে থাকার দিনগুলো। আর ভাইয়া প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখার জন্য সুন্দর একটা মনের মানসিকতার প্রয়োজন হয়। যেটা আমাদের অনেকের মাঝে থাকে না, এজন্য আমরা সৌন্দর্যের আকর্ষণ সুন্দরভাবে উপলব্ধি করতে পারিনা। তার সাথে ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য চাই সঠিক মানসিকতা। ধন্যবাদ
বাহ আপনার ফটোগ্রাফি খুব ভাল, মাশরুমের চেহারা খুব পরিষ্কার এবং সুন্দর, এবং আমি আপনার পোস্ট পড়েছি অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি।
ধন্যবাদ
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।
আসলে ভাই আশেপাশের খারাপ এবং বাজে জিনিস দেখতে দেখতে চোখের অবস্থা এমন হয়েছে যে প্রকৃতি যে এত সুন্দর তা এখন আর আমাদের চোখে ধরা পড়ে না যার কারণে আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য বুঝতে না পেরে প্রকৃতিকে ধ্বংস করি।
কিন্তু প্রকৃতি কিংবা সবুজ দৃশ্যবলীর দিকে যত বেশী তাকাবেন, আপনার দৃষ্টিশক্তি ততো বেশী ভালো থাকবে, এটা এখন প্রমানীত সত্য ভাই।
সুন্দর মনের দৃষ্টি দিয়ে দেখলে, সুন্দর জিনিস দেখতে দূরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না মাইলের পর মাইল বরং আমাদের বাড়ির আশেপাশেই হাতের কাছেই লুকিয়ে থাকা ক্ষুদ্র জিনিসের মধ্যে সৌন্দর্য খুঁজে মুগ্ধ হওয়া যায়।অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।তবে শহরে সড়কের উপর দিয়ে নৌকা চলে হাস্যকর ব্যাপার।ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যা, সেটাই আপু নিজের মানসিকতাই হলো আসল ব্যাপার। ধন্যবাদ
আসলেই।মানসিকতা ছাড়া সুন্দর কেও সুন্দর মনে হয়না।মন দিয়ে খুজলে সবকিছুতেই সৌন্দর্য খুজে পাওয়া যায়।
খুব ভালো লিখেছেন।শুভ কামনা রইলো 🥀
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সত্যি ভাইয়া আপনি খুব ভালো লিখেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার আমার স্কুল জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। আসলে স্কুল জীবনটা খুব সুন্দর ছিল তখন কিন্তু বুঝতাম না এখন বুঝি। আপনার প্রত্যেকটি ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার জন্য।