ক্ষয়িত হৃদয় || আবেগের কবিতা
শুভ বিকেল বন্ধুরা,
আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। শীতের উষ্ণতায় ক্ষয়িত হৃদয় আমার বারে বারে হিমেল বরফ হয়ে যায়, তবুও ভেতরের জমা থাকা ব্যথাগুলোকে কবিতার ছন্দে প্রকাশ করার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। হ্যা, আমি জানি হয়তো কবিতা আমার হয়না অতোটা ছন্দময়, হয়তো কবিতায় থাকেনা অতোটা আবেগের ছোঁয়া কিন্তু তবুও ক্ষয়িত হৃদয়ের যন্ত্রনা প্রকাশের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
কবিতা মানেই শুধু ছন্দ না বরং কথায় লুকিয়ে রাখা হৃদয়ের লুকায়িত আবেগ এবং ভিন্নভাবে প্রকাশ করা অনুভূতির কথা মালা। আজকের কবিতাটি বর্তমান বাস্তবতার আলোকে লেখা, সমাজের বর্তমান চিত্রকে উপলক্ষ করে যোগ্যতা সমূহ অযোগ্যতার ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া কিছু মানুষের যন্ত্রনাকে পূঁজি করে লেখার চেষ্টা করা হয়েছে। হয়তো ততোটা ভালো নাও লাগতে পারে আপনার, হয়তো পংতিগুলো পড়ে অতোটা তৃপ্তি নাও আসতে পারে, তবে বাস্তবতাকে আড়াল করে আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করা হয় নাই মোটেও।
তবুও আশা প্রকাশ করছি, হয়তো কিছুটা হলেও ভালো লাগবে কবিতাটি, হয়তো কিছুটা হলেও অনুপ্রেরণা পাবো আপনাদের নিকট হতে। চলুন তাহলে দেখি আজকের কবিতাটি-
মাঝে মাঝে হতাশার চাদরে
ঢেকে যায় এ হৃদয়,
অপ্রাপ্তির নির্মম আঘাতে
বিক্ষত হয় অন্তরিন্দ্রিয়।
স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির কারণে
বঞ্চিত হয় যোগ্যতা
সুযোগের গর্হিত ব্যবহারে
লাভবান অনুপযুক্ত ব্যক্তিরা।
শিক্ষার মূল্যায়ন হচ্ছে কোথায়?
চারদিকে অসততার জয়গান,
ঘুষ আর উপকৌটনের ভিড়ে
অসমর্থবানরা থাকেন এগিয়ে।
আমি তুমি যোগ্যতার লড়াইয়ে
নিষ্ফল হয়ে ফিরি বারংবার,
কারণটা নয়তো অজানা
তবুও দোষারোপ করি ভাগ্যের।
সভ্যতার আলোয় লুকায়িত ব্যর্থতা
স্বচ্ছতার শিকলে বন্দি সততা,
জ্ঞানপাপীদের দৃষ্টিহীন আচরণে
কমজোর থেকে যায় উপযুক্ততা।
ব্যর্থতার ক্ষত নাশ করে সামর্থ্য
অন্ধকারে ঢেকে যায় প্রত্যয়,
সংগ্রামের টিকে থাকা নিরর্থক
গতি হারায় ক্ষয়িত হৃদয়।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
লেখাটার আড়াল থেকে একটা চাপা কষ্ট ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠল মনে হল । আপনার লেখার শব্দচায়ন এবং গভীরতা দুটোই অনবদ্য থাকে সব সময়। একদম সহজ সরলভাবে যদি বলি বর্তমান সময়ের প্রকৃত ছবি ফুটে উঠেছে এই লেখাতে। খুব ভালো ছিল দাদা।
অনেক ধন্যবাদ আপু, খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার মাধ্যমে অনুপ্রাণীত করার জন্য।
কথাটি ৪ লাইনের কিন্তু অনেক গভিরতা রয়েছে। আজ কাল যোগ্যতারর ও কোন মূল্য নাই। মামা-চাচা ও টাকা ছারা চাকরির কথা চিন্তুা করা ও পাপ। বাস্তবাদী কবিতাটি অনেক ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, আসলে এসব নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি না আজকাল, বরং সবাই নিজের স্বার্থ ঠিক রাখায় ব্যস্ত। ধন্যবাদ
সত্যিই বলেছেন ভাই কবিতা মানুষের হৃদয়ের কথা বলে। কবিতার এক একটি লাইনের মাঝে লুকিয়ে থাকে হাজারো কথা। আপনার কবিতাটি বর্তমান সময়ের জন্য যুগোপযোগী বলে মনে করি আমি। স্বজনপ্রীতি এবং বৃত্তবানরায় যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও তারা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে। উপরমহল থেকে শুরু করে একজনকে অফিস সহকারি পর্যন্ত মানুষের মাঝে উপঢৌকন পাওয়ার প্রত্যাশা কাজ করে সেখানে কিভাবে যোগ্য লোকেরা তাদের সঠিক মূল্যায়ন পাবে!
ভাই আপনার কবিতার সারমর্ম নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করছি যদি কোথাও ভুল হয়ে থাকে দয়া করে একটু ঠিক করে দেবেন।
সারমর্ম: যোগ্যতা মানুষের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বহন করে বর্তমান সময়ের জন্য। মানুষের মাঝে স্বজনপ্রীতি থাকার কারণে যোগ্য ব্যক্তিরা আজ অবহেলিত এবং তাদের সঠিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এবং নিষ্ফলা গাছের মতো নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে ফাস্ট ক্লাস রেজাল্ট ভূমিকা নিয়ে বাসার দুয়ার খুলে ভারাক্রান্ত মনে চিন্তা করতে হয়।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটাই বাস্তবতা, আর এই কারনেই আজ যোগ্যরা অবহেলিত এবং অযোগ্যরা সকল ক্ষেত্রে নির্বাচিত। ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দরভাবে অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
একদম চরম সত্য কথা লিখেছেন। আমাদের দেশে সরকারী চাকরি সে তো সোনার হরিণ। শিক্ষার যতার্থ মূল্যায়ন নেই। সব জায়গায় ঘুষ আর ঘুষ সরকারী চাকরি তো দূরের কথা প্রাইভেট কোনো চাকরির খোঁজ করতে গেলেও ঘুষ ছাড়া কোনো কথা নেই। কবে যে এই সমাজ ব্যবস্থা ঠিক হবে কে জানে!!
সমাজের প্রতিটি স্তরে আজ দূর্নীতির শিকড় ঢুকে গেছে, জানি না এই অবস্থা থেকে কমে আমরা মুক্ত হতে পারবো। ধন্যবাদ
ভাইয়া বিশ্বাস করেন,এই লাইনগুলো আমি অনেক সময় বলে থাকি,যদিও একদম আপনার কবিতার লাইনের মত নয়।কারো যোগ্যতা, আর কারো অসততা-ঘুষ সব এক হয়ে যায়।যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয় না আর আমরা শুধু ভাগ্যের দোষ দিয়ে যাই।আমার খুব ভালো লাগলো আপনার এই কবিতাটি। বাস্তবতা নিয়ে লিখা এই কবিতা আমার মন ছুয়ে গেল।
কারন আমাদের হাতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই ভাগ্যের দোষারোপ করা ছাড়া, আর ভাগ্যের দোষারোপ করে নিজেদের একটু শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করি মাত্র। ধন্যবাদ
কথাগুলো অনেক শক্ত,এবং একদম বাস্তববাদী।সমাজটা আসলে এভাবেই চলে।যোগ্য মানুষকে যোগ্যতা অনুযায়ী দাম দেওয়া হয় না।কবিতাটা কপি করলাম না,পুরোটা কবিতাই সুন্দর।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনারা আবেগের কবিতা পড়ে আমার তো একেবারে আবেগ বেড়ে গেল। প্রত্যেকটা কথা যেন হৃদয়ে গাঁথা।
বিশেষ করে এই লাইনগুলোর সাথে আমি একেবারে একমত। এরকম কবিতা আরো দেখতে চাই ভাইয়া। আমাদের মাঝে এত অসাধারন একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবো আপু, আপনাদের অনুপ্রেরণা নিয়ে আরো কিছু লেখার। ধন্যবাদ
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন। আপনার কবিতাটি পড়ে আমি খুবই মর্মাহত হলাম। একদম বাস্তব সম্মত কথাগুলো কবিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। সমাজে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের যোগ্যতার কোন মূল্যায়নে করা হয়না। শিক্ষা, কর্মদক্ষতায়, এবং যোগ্যতা এই তিনটি এখন অর্থ বিত্তের কাছে পরাজিত। যাই হোক কবিতাটি আমার খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর বাস্তবধর্মী কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকবেন।
আসলে সমাজে সবচেয়ে বেশী অবহেলিত আজ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা, যোগ্যতা থাকা সত্বেও তারা কোন সুযোগ পাচ্ছে না। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই, আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।