আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ বিপরীতমুখী বিশ্বাস ]
হ্যালো বন্ধুরা,
আমরা মানুষ সব কিছু দেখে বিশ্বাস করতে চাই, কারণ আমরা নগদে বিশ্বাসী। কিন্তু সত্যি কি আমরা সব ক্ষেত্রে নগদে বিশ্বাস করি? দেখুন আমরা মাঝে মাঝে নিজেদেরকেই ভিন্ন সমীকরণের মাঝে দাঁড় করিয়ে দেই নিজের অজান্তে। বুঝলেন নাতো, আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি। আমাদের কাজ কর্ম দ্বারা মাঝে মাঝে আমরা এই রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করি যে, তার দ্বারা আমরা নিজেদের বিশ্বাসকেই আবার অবিশ্বাসীদের মতো উপস্থাপন করি।
আচ্ছা দরুণ আপনি রাস্তা দিয়ে কোথায় হেঁটে যাচ্ছেন কিন্তু সেই রাস্তাটি কিছুটা নিরব ছিলো, তো কোন একজন লোক হঠাৎ করো দৌড়ে এসে আপনাকে বললো ভাই ঐদিকে যাওয়া ঠিক হবে না কারন সেখানে ডাকাত বসে আছে। এই কথা শুনার পর আপনি কি দ্বিতীয় বার সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন নাকি উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করবেন? কেন আপনি তো আর ডাকাত দেখেন নাই, তাহলে সেই রাস্তায় যাওয়ার সাহস করলেন না কেন?
এইটা একটা বিশ্বাসজনিত ঘটনা, কারন এসব ঘটনা আমরা না দেখলেও ঠিক বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে মনে করি এবং তা র্নিদ্ধিধায় মেনে নেই। যার কারনে আমরা কেউ এই কথা শুনার পর আর সেই রাস্তায় বা পথে পরের দুইদিনও হাঁটার চেষ্টা করবো না, এটা আমাদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তবে এর উল্টোও কিন্তু আমরা করে থাকি, সত্য প্রমান পাওয়ার পরও আমরা সেটা মানি না এবং মানার চেষ্টাও করি না। এই রকমও অনেক ঘটনা বা উদাহরণ আমাদের সম্মুখে আছে। আমরা প্রমান পাওয়ারও সেগুলোকে মানি না এবং মানার আগ্রহও দেখাই না। চলুন সেটাও একটু দেখি কিভাবে করি আমরা।
আচ্ছা আমাদের সম্মুখে ঘটছে এবং আমরাও সেটাতে প্রতিনিয়ত আসক্ত হয়ে পড়ছি এই রকম একটা উদাহরণ দিচ্ছি। সিগারেট খুবই পরিচিত এবং স্বাদের একটা জিনিষ, না আমার কাছে না কারন আমি তো এটার স্বাদের কথা জানি না কিন্তু আপনাদের আসক্তি দেখে এটা অনুমান করছি যে নিশ্চয় খুবই স্বাদের। যার জন্য আমরা সর্বদা উদগ্রিব হয়ে থাকেন এর স্বাদ নেয়ার জন্য। অনেকেই যেমন প্রকাশ্যে ধুমপান করেন ঠিক তেমনি অনেকে আবার গাছের তলায়, পুকুর পাড়ে কিংবা বাথরুমের আড়ালে গিয়ে ইচ্ছে মতো সুখ টান দেন। সেটা দেখে যে কারো মনে হতেই পারে, এটার স্বাদ বোধহয় অত্যাধিক, তাই এটা নিয়ে এতো লুকোচুরি।
আমার জীবনের দ্বিতীয় চাকুরী ছিলো ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে, যার সুবাদে কিছু বিষয় সহজেই জানতে পেরেছিলাম। যেমন একটু বৃষ্টি হলেই সিগারেটের সেল মানে বিক্রি বেড়ে যেতো। যেদিন আবহাওয়া কিছুটা মেঘলা থাকতো সেদিন বেশী অর্ডার আসতো। মানুষের মনোভাব কিছুটা এই রকম বেশী সিগারেট খেলে নাকি শরীরের উষ্ণতা বেশী আসে। আমি আসলেই বিষয়টি একদমই বুঝতে পারছি না, যদি ঘটনা তাই হতো। তাহলে এতো টাকা খরচা করে পাগলেও বিয়ে করতো না, শুধু সিগারেটের পিছনে দৌড়াতো।
যাইহোক, মূল কথায় ফিরে আসি। এটা প্রমানীত সত্য যে সিগারেট খেলে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জলির রোগ হয়ে থাকে। আমি নিজেই দেখেছি আমার এক ক্লাস বন্ধুর বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন, উনার গলায় ক্যান্সার হয়েছিলো। কারন উনি প্রচুর সিগারেট খেতেন সেটাও আমি নিজের চোখের সম্মুখে দেখিছি। ক্যান্সার হওয়ার পরও উনি সিগারেট ছাড়তে পারেন নাই কারন সিগারেটের প্রতি প্রেম কিংবা আসক্তি কোন একটা হবে। একদিন আমার সামনেই উনি কাশতে কাশতে বমি করে দিলেন তার সাথে প্রচুর পরিমানে রক্তও বের হয়েছিলো। এই রকম অসংখ্য উদারহণ রয়েছে আমাদের চারপাশে। কিন্তু তাতে কি? জলজ্যান্ত এই রকম সত্য উদাহরণ আমাদের সম্মুখে থাকার পরও আমরা সেটা মানতে পারছি না এবং সিগারেট খাওয়া বন্ধ করছি না।
কিন্তু ডাকাতের কথা শুনা মাত্রই সে রাস্তা দিয়ে হাঁটা বন্ধ করে দিয়েছি যদিও সেটা নিজের চোখে দেখি নাই। সত্যি কি অদ্ভুত সমীকরণ! না দেখেই অনেক কিছু বিশ্বাস করে নিচ্ছি এবং তা মানার চেষ্টা করছি। আবার অন্য দিকে নিজের চোখে দেখার পর, সম্মুখে জলজ্যান্ত উদাহরণ থাকার পরও সেটাকে মানতে পারছি না। কারণটা আপনাদের নিকট হতে এবার জানতে চাইবো? কি মনে করছেন আপনি এ বিষয়টি, আপনার বক্তব্য জানার অপেক্ষায় রইলাম। পরবর্তীতে অন্য কোন বিষয় নিয়ে হাজির হবো ধারাবাহিক সিরিজ আবোল-তালোব জীবনের গল্প নিয়ে।
Image Taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
খুব জটিল একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন।উত্তর দেয়ার মতো ভাষা আমার শেখা নাই কিংবা বয়স ও হয়নি😶।
তবে আমি যেটুকু বুঝি,তাতে এটা আমাদের মুদ্রাদোষ।এর প্রতিকার কি বা আদৌ আছে কিনা তা আমার জানা নাই।হয়তো প্রকৃতির নিয়মই এমন।
কথা যেগুলো বলেছেন একদম ১০০/১০০ সত্য।আর আপনার এই সিরিজের প্রায় সব গল্পই পড়েছি।শুভ কামনা রইলো ❣️
হুম, শুধু মুদ্রাদোষ না বরং সাথে সাথে এটা ভাজে এবং খারাপ একটা অভ্যেস। আমরা অনেকটা শিকলে বন্দির মতো বদ অভ্যেসগুলোর কাছেও বন্দি।
ব্যাপারটা খুবই জটিল ভাইয়া। সিগারেট খেলে যদি উষ্ণতা আসতো তাহলে মানুষ বিয়ে করত না 😅। ভাইয়া আপনার লেখা পড়ার পর সিগারেট ও বিয়ের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি একদম ঠিকই বলেছেন আমরা আসলে বিপরীতমুখী মানুষ। যেই কাজটি করলে আমাদের ক্ষতি হবে এটা জেনেও সেই কাজ গুলোই করি। আর যে কাজ করার ফলে ভালো কিছু হতে পারে সেই সম্ভাবনা গুলোউ নষ্ট করে দেই। কারণ আমাদের চিন্তা ভাবনাই হচ্ছে বিপরীতমুখী। আমাদের বিশ্বাস খুবই অল্প। যেটা বিশ্বাস করার কথা নয় তাই বিশ্বাস করি আর যেটা বিশ্বাস করা প্রয়োজন সেটাই বিশ্বাস করিনা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হা হা হা হা ভাই বেশী পার্থক্য খুজতে যাইয়েন না, তাহলে মাথা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে।
ভাইয়া সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে অব্দি লেখা থাকে ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যারা লেখা না বুঝে তাদের জন্য ছবিও দেওয়া থাকে। তারপরও এই সুখটানের প্রতি এত আগ্রহ,কেন তা আমি জানি না,কিন্তুু যারা ধুমপান করে তারা ভাত না খেতে পারলে না খাবে, সিগারেট অন্যর কাছ কাছ থেকে চেয়ে হলেও খাবে।আমি এমনও মানুষ দেখেছি।যারা ভাত খেতে ভাত পাচ্ছে না,কিন্তুু সিগারেটা কিভাবে যেনো ম্যানেজ করে। ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
সেটাই তো, অজানা অস্যটা ঠিকই আমরা বিশ্বাস করি কিন্তু জলজ্যান্ত সত্যিটাকে স্বীকার করতে পারছি না। ধন্যবাদ
আসলে কিছু কিছু বিষয়ে এমন থাকে যেটা কারো কাছে শুনেই আমরা বিশ্বাস করি আবার কোনোটা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া উদাহরণ দেখো আমরা বিশ্বাস করতে পারি না এটা নিতান্তই বাস্তবতা।আরো নিবিড় ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় দেখে কিংবা শুনে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু সত্যকে অনুভব করতে হয়।আপনার লেখাটা দারুন ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।সেইসাথে অশেষ কৃতজ্ঞতা♥♥
এটাই হলো আমাদের প্রকৃত অবস্থা, বিপরীতমুখী বিশ্বাসটা আমাদের মাঝে খুব বেশী পরিমানে দেখা যায়। ধন্যবাদ আপু
প্রকৃতপক্ষে অধিকাংশ লোক ঐ রাস্তা দিয়ে যাবে না। আমিও তাই করব যাব না। কিন্তু আমাদের উচিত অন্যের কথা বিশ্বাস না করে নিজে গিয়ে দেখে আসা। বেশ শিক্ষনীয় ছিল আপনার আজকের এই ব্লগটা।
হুম, ভাই একবার শুনার পর আমি তো পরের তিনদিন আর সেই রাস্তায় হাঁটতে যাবো না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাই নিজের বন্ধুবান্ধবের মধ্যে সিগারেট খুরের অভাব নাই। তাদের আপনার পোস্টটা পড়া দরকার। অবশ্য তাতেও কোনো লাভ হবে না। এই নিকোটিনে যারাই আসক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে কম লোকই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারছে। আমার কিছু বন্ধুর মুখে শুনছি মদ,গাজা অন্যান্য নেশা নাকি ছেড়ে থাকা যায় তবে সিগারেট ছাড়া সম্ভব না।
সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে যে একটা ভয়ংকর ছবি থাকে সেইটা দেখে হলেও ধুমপান ছাড়া উচিত। অবশ্য যারা ধুমপান করে তারা ঔ ছবি এবং প্যাকেটের গায়ে লেখা ফানি হিসেবে দেখে। এখন তো ক্লাশ ৪-৫ থেকেই ছেলেরা শুরু করে দেয়।
আল্লহর রহমতে এ পর্যন্ত সিগারেটে টান দেই নাই। আগে বন্ধুরা অনেক বলতো ট্রাই করার জন্য। কিন্তু নিজেকে কন্টোল করছি। সত্যি বলতে ধুয়ার বিশ্রি গন্ধ নাকে আসলেই বিরক্ত লাগে, এই জিনিস ট্রাই করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। যাইহোক, আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো ভাই।
তাতেও খুব একটা লাভ হবে না ভাই, কারন যারা সিগারেট খায় তারা কোন যুক্তির ধারধারে না, এটাই বাস্তবতা।
ঠিক বলছেন ভাই।
আসলে আমরা সবকিছু সহজেই বিশ্বাস করে ফেলি। কখনোই না আমি ওই রাস্তায় যাওয়ার চেষ্টা করব না। আসলেই সিগারেট মানুষ কেন যে খায় এটা ভাবার প্রশ্ন। যত কাজ থাকুক না কেন? টেনশন এর ভিতরে থাকলেও মানুষ সবকিছু ছেড়ে দিয়েও সিগারেট খাবে। একটা কথা আমাদের এখানে যখন লকডাউন ছিল তখন সব দোকানপাট বন্ধ ছিল তখন সিগারেট কিনার জন্য এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আসলে আমরা জানার পরেও সিগারেট খায়। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাও মানুষ থাকতে পারে না এবং সিগারেটের প্যাকেট এর উপর ছবি দেওয়া থাকে তাও খায়।আসলে মানুষ এটিকে ছাড়তে পারে না । হ্যাঁ আমাদের সামনেও এরকম দেখা গেছে। মুরুব্বী হয়ে গেছে তাও সিগারেট ছাড়তে পারেনা 💔
আসলে এর পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে, নানা সমস্যা কিংবা যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু কথা হলো সত্যটা জানার পরও আমরা সেখান হতে ফিরে আসতে পারি না।
আমাদের এই মানবজীবন বিপরীত সমীকরনে চলে। আমাদের মানসিক চিন্তা ধারা ও বিশ্বাস-অবিশ্বাসের খেলা সবসময়ই বিপরীতমুখী। আমাদের বিশ্বাসগুলো অনেকটা ঠুনকো কাঁচের মত বা মাঝে মাঝে মনে হয় ছায়ার মত। ছায়া যেমন হারিয়ে যায় তেমনি আমাদের বিশ্বাসগুলো হারিয়ে যায়। যেগুলো আমরা বিশ্বাস করি সেগুলো করতেই বেশি গুরুত্ব দেই। কিন্তু তার মাঝেও যে ভুল থাকে তা আমরা বুঝতে পারি না। এটা আমাদের সমস্যা নয় এই সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের মানসিকতার। লোকের কথায় কান না দিয়ে আমরা যদি নিজের মানসিকতাকে পরিবর্তন করি ও নিজের লক্ষে এগোতে পথ চলি তবেই সঠিক পথের সন্ধান পাব। ভাইয়া আপনি আপনার এই লেখার মাঝে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন এবং খুবই শিক্ষণীয় কিছু কথা বলেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে যাইহোক ভাইয়া সিগারেট কিন্তু খুবই পরিচিত সবার কাছেই। সবাই দেখি চিপায়-চাপায় গিয়ে সিগারেট খায়। চিপায়-চাপায় সিগারেট খাওয়ার মজা আজও বুঝলাম না। 😅😅😂
খুবই চমৎকার একটা কথা বলেছেন আপু, সত্যি আমাদের বিশ্বাসগুলো অনেকটাই ছায়ার মতো, এই আছে এই নেই। ধন্যবাদ
আসলে আমাদের মনের অগচরে আমরা যেটি আমাদের ব্রেন কে বিশ্বাস করিয়ে নিয়েছি সেটি সত্যি মিথ্যা আমরা যাচাই করি না। কারন আমাদের সাবকনসিয়াস মাইন্ড সব সময় ঐ বিষয় টিকে বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস করে বসে আছে। আমরা স্বাভাবতই ভয় পাই যে কারনে ডাকাতের ভয়ে আমাদের ব্রেন সাথে সাথেই বিশ্বাস করে নেয়। অপরদিকে ক্যন্সার হয়েছে জেনেও সিগারেট ছাড়তে পারছি না কারন কারন আমাদের শরীরে নিকোটিন সবসময় আমাদের কে আবেগী করে তুলছে সিগারেট পান করার জন্য এবং রোগ টাকে উপেক্ষা করিয়ে ব্রেন কে বারবার বলছে একটি খেলে কিছু হবে না। ফলে আবারো সে সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ছে। যাই হোক খুব ভালই লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
জ্বী ভাই এটা ভালো বলেছেন আপনি। আপনার যুক্তির সাথে আমিও সহমত পোষন করছি। ধন্যবাদ সুন্দরভাবে আপনার অনুভূতিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে মনে হয় এসব এর কারণগুলো হলো,
আমাদের নিজেদের বিচার করার শক্তি দিনদিন লোপ পাচ্ছে।আমরা ভুল,সঠিক আলাদা করতে পারছিনা।
আসলেই আমরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের বিবেককে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হচ্ছি, যার কারনে এই অবস্থা। ধন্যবাদ