প্রকৃতির সজীবতার যত স্মৃতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। শীতের সকালের ঠান্ডা ও মুগ্ধকর পরিবেশের মাঝে থেকে আরো বেশী চঞ্চলতা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। প্রকৃতির শীতল এবং স্নিগ্ধ এই দৃশ্যগুলো আমাকে বেশ দারুণভাবে আলোড়িত করে, আমি সেই ছোট বেলা হতেই এই রকম দৃশ্যের প্রতি মুগ্ধতা অনুভব করতাম। বিশেষ করে শীতের সকালের দৃশ্যগুলো, গ্রামীন পরিবেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যগুলো, কেন জানি আমার কাছে একটু বেশী ভালো লাগতো। এখনো আমি সেই রকম অনুভূতি খোঁজার চেষ্টা করি, সুযোগ পেলেই প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার চেষ্টা করি।
হ্যা, যে সময়গুলো চলে যায় সেগুলো হয়তো আর ফিরে আসবে না, যে দৃশ্যগুলো স্মৃতি হয়ে যায় সেগুলো হয়তো আর চঞ্চল হবে না কিন্তু তবুও আমরা সেই দৃশ্য এবং স্মৃতিগুলোকে স্মরণ করে বার বার নিজেদের ফিরিয়ে নিতে চাই। বাস্তবতা সত্যি কেমন জানি অদ্ভুত, সে জিনিষগুলো সামনে থাকলে আমরা সেগুলোর কদর বুঝি না বা মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি না, একটা সময় পর সে জিনিষ বা বিষয়গুলোর গুরুত্ব আমরা নিদারুণভাবে উপলব্ধি করি এবং সেই সময়টার জন্য বার বার আফসোস করি। আসলে আমরা কোন কিছু না হারানো পর্যন্ত সেই জিনিষগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারি না বা ব্যর্থ হই।
তারপর দেখেন আমরা সতর্ক হই না এবং সে মতে কাজ করার চেষ্টা করি না। যদি সেটা করতাম তাহলে হয়তো আমাদের পরিবেশ এবং প্রকৃতি আরো বেশী সুন্দর ও সতেজ থাকতো। তবে হ্যা, আমার খুব ইচ্ছে আছে, শেষ বয়সে হলেও প্রকৃতির মাঝে ফিরে যাওয়া এবং শৈশবের সেই স্মৃতিগুলোকে জাগ্রত করা। অন্ততঃ নিজের বাড়ির চারপাশটা তো সবুজের সতেজতায় নির্মল করতে পারবো, একটুও হলেও নিজের অবস্থান হতে প্রকৃতির জন্য চেষ্টা করতে পারবো, সেটাই বা কম কিসে। আমার বিষয়টি যদি আমি ভালোভাবে বুঝি এবং নিজের সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করি, সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট।
যাইহোক, গত শনিবার অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় বিজয় দিবসে অফিসের এক কলিগের স্বাধীনতা হারানোর উৎসবে যোগ দিয়েছিলাম। যেদিন দেশের বিজয় দিবস, এরপর হতে সেই কলিজ সেদিন নিজের স্বাধীনতা হারানোর দিবস পালন করবেন, হা হা হা। বিষয়টি ভেবে আমি দারুণ মজা পেয়েছিলাম, আর বলেছিলাম এমন একটা দিনে এই রকম সিদ্ধান্ত কেউ নেয়। জাতীয় বিজয় দিবসে বিজয়ের আনন্দের খুঁশিতে বিয়ে। তারপর বুঝবে আসল মজা কোথায়, আর বিজয় উৎসব হারাবে কোথায় হা হা হা। আমরা অবশ্য অফিসের বসসহ সবাই গিয়েছিলাম, শেষ বারের মতো তার বিজয় উৎসবে অংশগ্রহণ করার।
বেশ সুন্দর এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে ভরা ছিলো তাদের গ্রামটা, অবশ্য খুব বেশী পুকুর দেখেছিলাম সেখানে। ঐ দিকে নাকি মাছের চাষ বেশী হয় তাই পুকুরের সংখ্যা এতো বেশী। সে যাইহোক, আমার কাছে দৃশ্যগুলো ভালো লেগেছিলো। সবুজ প্রকৃতি, তার মাঝে মাঝে বড় বড় সাইজের পুকুর। বেশ কয়েকটি পানকৌড়ি দেখেছিলাম আমি, টুসটাস ডুব দেয় আর হারিয়ে দেয়। তবে বেশী ভালো লেগেছিলো হাঁসের দৃশ্যগুলো। বেশ দারুণ লাগে আমার কাছে এই দৃশ্যগুলো। দলবেঁধে ছুটে চলা এবং পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়া, তারা কিন্তু বেশ সুন্দর এবং শৃঙ্খলতার সাথে এগুলো করে থাকে। কখনো দলনেতার বিরুদ্ধাচারণ করে না।
অবশ্য বিয়ে বাড়ি হতে ফিরে আসার পর সেই দৃশ্যগুলো কলিগকে দেখিয়েছিলাম, এতোগুলো হাঁস কার সেটাও জিজ্ঞেস করেছিলাম। অবশ্য সেগুলো ছেলের মামির ছিলো জানার পর খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করি। তারপর সে আশ্বস্ত করে সুযোগ পেলে অবশ্যই হাঁস খাওয়াবে। গ্রামীন পরিবেশে বিশেষ করে বাড়ির হাঁসগুলো খেতে দারুণ সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর একটা বিষয় বলি, বিয়ের বাড়ির আয়োজনে কিন্তু মুলো সালাদ ছিলো, যা দারুণভাবে আমাকে আনন্দিত করেছিলো। এই ভাবে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে মুলোর সালাত খেতে পারবো সেটা কিন্তু কল্পনায়ও ছিলো না। বিশেষ আয়োজনে মুলোর কদর এখনো আছে সেটা দেখে বেশ শান্তি পেলাম হৃদয়ে হি হি হি।
তারিখঃ ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে অতীতে ফেলে আসা প্রকৃতির মাঝে কাটানো সময় বর্তমান সময়ের অনেকটা পার্থক্য হয়ে গিয়েছে । তবুও আমরা চেষ্টা করি পিছনে ফেলে আসা সেই অতীতকে নতুন করে ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশায় । যাইহোক শীতকালীন সময়ে গ্রামীন পরিবেশের এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পাই। যেমনটা আপনি কলিগের বাড়িতে গিয়ে সেটা উপভোগ করেছেন। বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে ভাই।
অনেক পার্থক্য ভাই, শুধু পরিবেশগত নয় বরং মানসিকতগতও। তবে শীতকালের পরিবেশটা এখনো ভালো লাগে।
আসলে ভাই শৈশবের স্মৃতিগুলো বড় হয়ে বেশ মনে পড়ে। বিয়ে করলে স্বাধীনতা হারিয়ে যায় বিষয়টি বেশ দারুন তো 😍 সব বিয়ে বাড়িতেই মুলার সালাদ রাখলে তো বেশ ভালই হবে তাহলে। আসলেই ভাই গ্রামের এইসব দেশি হাঁস গুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
হা হা হা, শুধু দারুণ না ভাই বিয়ে করলে আরো অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারবেন।
হুম ভাই। ভাই বিয়ে করল স্বাধীনতা হারিয়ে যাবে না তো ?
হাহাহা! ১৬ ডিসেম্বর তাহলে আপনার কলিগের উইকেটের পতন ঘটলো! ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ মজা লাগলো কিন্তু! তবে গ্রামের পরিবেশটা আসলেই ভালো লাগার মতোই ছিল ভাইয়া। আমরা আসলে কোনো জিনিসকে কদর করতে চাই না, জীবন থেকে যখন হারিয়ে যায় তখনই বুঝতে পারি! তবে বিয়ে বাড়িতে মুলোর সালাদ এটাও আনএক্সপেকটেড বলা যায় 😂
আবার জিগায়, বেচারা পরে মাঠের বাহিরে চলে আসতে বাধ্য হবে হা হা হা।
😂😂
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে একদম শেষের দিকে এসে আমারতো হাসিতে লুটিয়ে পড়ার অবস্থা হয়েছিল। বিয়ে বাড়িতে মুলোর সালাদ, এও কি সম্ভব। যাইহোক ভাইয়া, মলোটাকে আপনি খুব বেশি পছন্দ করেন তো এজন্যই হয়তো আপনার রিজিকে সব সময় মুলো জুটে যায়। যাইহোক আমিও তো মুলো পছন্দ করি তবে কখনো এভাবে বিয়ে বাড়িতে মুলো দেখব বলে মনে হয় না, সে দিক থেকে আপনি বড়ই ভাগ্যবান হাহাহা। প্রকৃতির সজীবতার যত স্মৃতি নিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সম্ভব ভাই এখন সব কিছুই সম্ভব, তবে ভালো ছিলো শসা, মুলো এবং টমেটোর সালাদটি।
ভাইয়া যে কি মজা করেন না। আমি তো ভাবলাম যে আপনার কলিগ আবার কেমন করে স্বাধীনতা হারালো? ভেবেই পাচ্ছিলাম না। কিন্তু পড়তে পড়তে দেখি বেচারা বিয়ে করেছে। বিয়ে করলে তো সবাই স্বাধীন থাকে।পরাধীন আবার কেমন করে হয়? আচ্ছা ভাইয়া ভাবী জানে তো আপনি যে পরাধীন। বেশ সুন্দর ছিল আপনার বন্ধুর গ্রামের প্রকৃতি। সব মিলিয়ে এত সুন্দর লেখার যাদুতে আমাদের কে মুগ্ধ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
হা হা হা, হুম কে স্বাধীনতা হারায় আর কে পায় সেটা আমাদের থেকে কেউ ভালো বলতে পারবে না। ভাবী না জানলে কে জানবে তাহলে?
এটা চরম সত্যি কথা, কোনো কিছু না হারালে আমরা সেটার মর্মতা বুঝি না। সেজন্যই তো বলা হয় দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা নেই। আপনার মতো আমারও গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। আর শীতের সকাল তো বরাবরই বেশ উপভোগ করি। যাইহোক আপনার কলিগ তো চমৎকার একটি দিনে পরাধীন হয়েছে। এই দিনটা একেবারে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিয়ের পর ছেলেরা আসলেই পরাধীন হয়ে যায় 😂। বাড়িতে পালন করা হাঁসের মাংস খেতে দারুণ লাগে। আর এই শীতকালে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই তরতাজা এই হাঁসের মাংস খেতে পারবেন। তবে বিয়ে বাড়িতে ও মুলা’র সালাদ রয়েছে তাহলে। ভাই আপনার কপাল টা আসলেই খুব ভালো 😂। সব জায়গায় মুলা’র ছড়াছড়ি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে খুব ভালো লাগে শীতকালে প্রাকৃতিক দৃশ্য। তাছাড়াও ভালো লাগে বর্ষাকালের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো। আপনি ঠিক বলছেন কেন জানিনা আমার কাছেও গ্রামের পরিবেশ গুলো খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতকালের মুহূর্তে। একদম ঠিক বলছেন যখন কোন জিনিস সামনে থাকে তার গুরুত্ব বুঝি না। যখন সেটা জীবন থেকে হারিয়ে যায়। কিংবা দূরত্ব তৈরি হয় তখন গুরুত্বটা বুঝে থাকি। অনেক ভালো লাগলো প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলোর সাথে আপনার সুন্দর অনুভূতি।