সবুজ প্রকৃতির মাঝে একদিন
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
প্রকৃতি এবং আমি, কি মনে হয় একটা আরেকটা পরিপূরক? ধুর এটা হতে যাবে কেন বরং একজনকে বেঁচে থাকার জন্য অন্যটির সহযোগিতা ভিষণ প্রয়োজন। কারন আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান উপাদান অক্সিজেন এর ফ্রি যোগানদাতা হিসেবে কাজ করে এই সবুজ প্রকৃতি। যার কারনে আমাদের সুস্থ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এবং আমাদের এই পৃথিবীকে আরো বেশী সবুজ ও নিরাপদ রাখার জন্য সবুজ প্রকৃতির উপস্থিতি অত্যাবশ্যক।
আমি যেটা করি, অন্তত প্রতি সপ্তাহে না হলেও মাসে একবার গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং সবুজ প্রকৃতির দৃশ্যাবলী উপভোগ করি, সবুজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। আর কিছুক্ষন পর আম্মু ডাকা-ডাকি শুরু করে এবং বলে তুই বাড়ী আসলেই খালি এদিক ওদিক কই যাস? আমি বলি মা, প্রকৃতির সজীবতায় কিছুটা প্রশান্তি খোঁজার চেষ্টা করি। নিজের অনুভূতিগুলোকে কিছুটা তাজা রাখার চেষ্টা করি। তখন আম্মু বলে, কত করে বলি একেবারে চলে আয়, তা তো আসবি না, তোদের ছাড়া কি আমারও ভালো লাগে? বুঝতে পারি মা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে, তাই আর কথা বাড়াই না আমি। একটু চালাকতো হইছি নাকি, হি হি হি।
আসলে এটা বাস্তবতা এবং সত্য কথা যে, আগের দিনের মানুষগুলো মোটেও শহর পছন্দ করেন না, কারন তাদের চিন্তা চেতনায় এখনো প্রকৃতি এবং সুন্দর পরিবেশ রয়েগেছে। আম্মুকে ঢাকায় নিয়ে আসলে বলে তার দম বন্ধ হয়ে আসে, নিজেকে অসুস্থ্য মনে করেন। তাছাড়া সারাদিন বাড়ীতে বসে থাকতে তার ভালো লাগে না বরং খোলা পরিবেশ এবং সবুজ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে অনেক বেশী সুস্থ্য ও কার্যকর মনে করেন। এই জায়গায় আম্মুর সাথে কোনদিনও দ্বিমত পোষণ করতে পারি নাই, আর দ্বিমত পোষণ করার সুযোগও নেই।
তবে আজ আপনাদের সাথে আমাদের গ্রামের সবুজ ও সুন্দর কিছু দৃশ্য ভাগ করে নেব, যদিও এখন চারদিকে শুধুই পানি। এই সময়টা গ্রামের অধিকাংশ জায়গা পানির নীচে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি প্রচুর হয় এবং নদীতেও প্রচুর পানি থাকে। যার কারনে মাঝে মাঝে অনেক জায়গা পানির নীচে চলে যায়। তবে পানিতে থই থই হলেও কিন্তু গ্রামের দৃশ্যগুলো মোটেও খারাপ লাগে না, বরং আকর্ষণটা আরো বেশী বেড়ে যায়, ভালোলাগাটা আরো বেশী কাজ করে তখন।
গত শুক্রবার গ্রামের বাড়ীতে গিয়েছিলাম, হঠাৎ করেই কারন আম্মু কিছু অসুস্থ্যবোধ করছেন, তাই ভোর সকালেই চলে গিয়েছি। যদিও খুব বেশী দূরে না কিন্তু ট্রাফিক জ্যামের কারনে বেশ সময় লেগে যায়। তারপর বেশ কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে ব্যয় করি এবং সবুজ দৃশ্যাবলীর ফটোগ্রাফি করি, যেটা আমি সব সময়ই করে থাকি। আর যেহেতু এখন নিয়মিত ব্লগিং করি, সেহেতু ফটোগ্রাফির পরিমান আগের তুলনায় অনেক বেশী বেড়ে গেছে, কাজের ফটোগ্রাফি যাকে বলে হি হি হি হি।
যাইহোক, ভালো লাগার বিষয়টির জন্য না শুধু, বরং আমাদের চারপাশের পরিবেশ ও প্রকৃতিকে ঠিক রাখা উচিত সুন্দর এই পৃথিবীটাকে আরো বেশী সুন্দর ও নিরাপদ রাখার জন্য। সবুজ প্রকৃতি ঠিক থাকলেই আমাদের পরিবেশ ঠিক থাকবে এবং আমাদের আগামী প্রজন্মের আবাসভূমি নিরাপদ থাকবে। আসুন প্রকৃতি ও সবুজ পরিবেশ নিয়ে কিছুটা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করি। আমাদের একটু চেষ্টা রাখতে পারে বড় ভূমিকা এই ক্ষেত্রে।
W3W Code: https://what3words.com/screen.builder.takers
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কারনা ভালো লাগে।প্রকৃতির সাজে সজ্জিত গ্রামের পর গ্রাম।সতেজ নিঃশাস্ব নিতে হলে বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রয়োজন।যেটা গ্রামের সবুজ গাছ পালা থেকে পাওয়া যায়। তাই আপনার প্রকৃতিবিহীন শহর থেকে গ্রামে আসার গল্পটা অসাধারণ ছিল ভাই। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন। গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
আসলে আমরা গাছপালার কারণে কিন্তু ভালোভাবে অক্সিজেন নিতে পারি বেঁচে থাকতে পারে কিন্তু শহর অঞ্চলের গাছপালা কম থাকার কারণে সত্যিই আপনার আম্মু বলে যে অসুস্থ মনে হয় এটা সঠিক কথা।শহরের মানুষ প্রতিটা মানুষ অসুস্থ কিন্তু গ্রামাঞ্চলের যারা বসবাস করি তারা কিন্তু এই সবুজ-শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশকে যেদিকে তাকাই না কেন শুধু গাছপালা খুবই সুন্দর লাগে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছেন যা অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
হুম এটা সত্য এই জন্যই আম্মুকে জোর করে ঢাকায় নিয়ে আসি না। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনার ছবিগুলা দেখে আমার বাড়ীর কথা মনে পরে গেল ।আমি বাড়ী ও দেখতে এমন ।তবে দাদা দাদী নাই বলে যাওয়া হয় না ।আপনি যখন বললেন প্রতি সপ্তাহে বাড়ি যাওয়ার ব্যাপার টা তখন আমার ও খুব যেতে ইচ্ছে করলো ।আর হ্যা আমাদের জীবন বাচানোর জন্য গাছ এর কথা আর কিছু বলার নাই ।
আসলে গ্রাম হলো আমাদের শিকড়, শিকড় ছাড়া যেমন টিকে থাকা সম্ভব না, ঠিক তেমনি আমাদের গ্রাম ছাড়া শহরের জীবনও ঠিক রাখাটা সম্ভব না। ধন্যবাদ
সব পিতা-মাতাই সন্তানদের নিজের কাছে রাখতে চান এবং সর্বদা ভালো উপদেশ দেন।আপনার আম্মু ঠিকই বলেছেন, খোলা প্রকৃতিও সবুজ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বেশি সুস্থ ও কার্যকর মনে হয়।আমার ও গ্রামের সবুজ প্রকৃতি খুবই ভালো লাগে।এছাড়া পরিবেশকে সবুজ রাখার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
যথার্থ বলেছেন আপনি। তবে প্রকৃতির ব্যাপারে আমাদের আরো বেশী সচেতন থাকতে হবে। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
ভাই আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন ।গ্রামীণ প্রকৃতির মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর মজাই অন্যরকম ।প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়ালে মনটাও যেন সজীব হয়ে ওঠে। আর আমরা যারা শহরের বদ্ধ জায়গায় থাকি তাদের মনে হয় প্রকৃতি একটু বেশিই ভালো লাগে ।আপনার গ্রাম টা আসলেই অনেক সুন্দর ।এই জন্যই তো আপনি বারবার ছুটে যান আপনার গ্রামের প্রকৃতির টানে ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন প্রকৃতির কাছে গেলেই চরম একটা অনুভূতি কাজ করে। বেশ সতেজ লাগে নিজেকে। ধন্যবাদ
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া। সবুজ প্রকৃতি ঠিক থাকলে আমরাও সুস্থ থাকব। এবং আপনার গ্রামের বাড়িতে সপ্তাহে ১ বার ঘুরতে যাওয়া আপনার মায়ের সাথে কথোপকথন এবং গ্রামের দৃশ্য বলি এত সসুন্দর প্রতির দৃশ্য গুলো অসাধারণ হয়েছে।। সবুজে সবুজময় আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ♥
ভাইয়া আপনার লেখার মধ্যে কেমন একটা কবি কবি গন্ধ পাওয়া যাইতিছে।অতীতে কবি ছিলেন নাকি???
অনেক সুন্দর লিখেছেন এবং অনেক সুন্দর সময় পার করেছন।
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সবুজ গাছপালার কোন বিকল্প নেই।অক্সিজেনের একমাত্র প্রধান উৎস হলো গাছপালা।
আসলে ভাই অনেক দিন পর পর মায়ের কাছে যান তাই মা আপনাকে দেখতে চায়, আর আপনি প্রকৃতি দেখতে বাহিরে যান।এজন্য মা হয়তো আপনাকে ডাকাডাকি করে। প্রকৃতির সাথে সাথে মায়ের ভালোবাসা নিয়ে আবার শহরে ফিরে সুন্দর জীবন যাপন করুন।ভালোবাসা রইলো মা এবং আপনার প্রতি।
আপনার গ্রামের প্রকৃতি খুবই সুন্দর।আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি মায়ের মত মমতাময়ী।দেখে কখনো সৌন্দর্য শেষ করা যায় না।
ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
একদম খাঁটি একটা কথা বলেছেন যে আগের দিনের মানুষগুলো একদম ই শহর পছন্দ করেন না।আমার নানুকে অনেক কষ্টে আমাদের বাসায় আনি। তাও সর্বোচ্চ দশদিন রাখা যায় এরপর ই শুরু করে চলে যাবো,চলে যাবো,বাড়িতে কাজ আছে আরো নানান বাহানা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকেও খুব টানে, সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।