প্রকৃতি নিয়ে যত কথা || Original Photography by @hafizullah

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকার জন্য আমরা কত কিছু করে থাকি? দেখুন আমাদের জীবনের সকল প্রচেষ্টার মূলে কিন্তু একটাই চাওয়া থাকে আর সেটা হলো ভালো থাকা। কিন্তু আমরা কি আদৌ সেটা করতে পারছি? শত চেষ্টার পরও আমরা কি নিজেদের ভালো রাখতে পারছি? প্রশ্নটির উত্তর আমি দিচ্ছি না বরং আপনাদের মনোভাব জানতে চাইছি। ইতিমধ্যে দাদা একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন শৈশব এর ঘটনা কিংবা মজার অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য। যদিও বিষয়টি সকলের মাঝে তেমন একটা আগ্রহ তৈরী করতে পারে নাই। মনে হচ্ছে সবাই কিছুটা হলো অতীতের সেই স্মৃতিগুলো আর সামনে আনতে চান না।

হতে পারে সেই মধুর স্মৃতিগুলোর সাথে বর্তমান সময়টার মাঝে ব্যবধানটা খুব বেশী হয়ে গেছে, যার কারনে মজার স্মৃতিগুলোকে সামনে এনে বর্তমান সময়ের অনুভূতিগুলোকে পাল্টে ফেলতে চাচ্ছেন না। সে যাইহোক এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই, তবে আমি যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো শৈশবের স্মৃতিগুলো এবং সময়গুলো সত্যি অনেক বেশী সতেজ ও উপভোগ্য ছিলো। যা কিছুই করতাম দারুণ একটা অনুভুতি কার্যকর থাকতো এবং আনন্দ খুঁজে পেতাম। আসলে সব কিছুর পেছনে পরিবেশ দারুণ একটা ভূমিকা পালন করতো। একটু লক্ষ্য করে দেখুন তো বর্তমান পরিবেশ এবং আমাদের পরিবারের মাঝে সম্পর্কের পরিবেশটা কতটা নাজুক, যার প্রভাব আমাদের বর্তমান সময়ের উপর দারুণভাবে পতিত হচ্ছে।

IMG_20230714_113021.jpg

IMG_20230714_113046.jpg

আমাদের শৈশবটা যতটা সুন্দর ছিলো বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের শৈশবটা কি অতো সুন্দর ও উপভোগ্য হচ্ছে? হ্যা, হতে পারে বর্তমান প্রজন্মের কাছে বর্তমান সময়টা তাদের দৃষ্টিকোন হতে সুন্দর কিন্তু আমরা যে পরিবেশে ছিলাম সেটা যদি তাদের দেখাতে পারতাম তাহলে কখনোই তারা বর্তমান সময়টিকে মেনে নিতো না বরং আমাদের সেই শৈশবের সময়ের মাঝে ফিরে যেতে চাইতেন। সুন্দর পরিবেশের সেই সতেজময় অনুভূতি হৃদয়ের মাঝে কার্যকর রাখার চেষ্টা করতেন। মাঝে মাঝে সত্যি আমার কাছেও বর্তমান প্রজন্মের জন্য আফসুস হয়, স্কুল এবং মোবাইল ফোন এর মাঝেই তাদের দুনিয়া বন্দি হয়ে আছে, চাইলেও তাদেরকে এর বাহিরে বিষয়বস্তুগুলোর সাথে পরিচয় করাতে পারি না, সে বিষয়ে তাদের কোন আগ্রহও নেই।

IMG_20230714_113006.jpg

IMG_20230714_113026.jpg

আসলে এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী, আজকের এই পরিবেশটা কাদের সৃষ্টি? হ্যা, প্রযুক্তি তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাবে, দিন দিন আরো বেশী বিপ্লব সাধিত হবে এবং উন্নয়নের দারুণ ছোঁয়া সব কিছুতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের অবস্থান হতে আমরা যেটা করতে পারতাম সেটা কিন্তু করি নাই বরং নানাভাবে নিজের স্বার্থ দেখে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং বর্তমানেও করছি। প্রযুক্তি দোষ দিয়ে আমরা হয়তো কিছু সময়ের জন্য নিজেদের শান্তনা দিতে পারবো কিন্তু প্রকৃত অবস্থা হতে নিজেদের ভূমিকাকে আড়াল করতে পারবো না।

IMG_20230714_111721.jpg

প্রকৃতির আজকের এই অবস্থান এর পিছনে আমাদের ভূমিকাই ছিলো সবচেয়ে বেশী। আমরা ছোট বেলায় দেখেছি পরিবারের মাঝে কোন শিশুর আগমন ঘটলে, পরিবারের বড় যারা তারা স্মৃতিটিকে ভিন্নভাবে ধরে রাখার জন্য খোলা পরিবেশে সেই শিশুর নামে গাছ লাগতেন এবং বলতেন পরিবেশের সাথে সাথে শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষা দিবে এই গাছটি। দেখুন তাদের চিন্তা ভাবনা কতটা সতেজ ছিলো এবং তারা সঠিক কাজটি কতটা আনন্দ নিয়ে করতেন। কিন্তু আমরা বর্তমানে কি করছি, নতুন শিশুর আগমন ঘটলে তার জন্য বড় করে অনুষ্ঠান আয়োজন করছি এবং সেই অনুষ্ঠানের খরচের টাকার জন্য বাড়িতে থাকা বড় গাছগুলোকে কেটে সাবার করছি, এই হলো পার্থক্য!

IMG_20230714_113011.jpg

তারিখঃ জুলাই ১৪, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 last year (edited)

আসলেই প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে আমরা কত কিছু এড়িয়ে যাচ্ছি।দিন দিন বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারা খেলার জন্য মাঠ পাচ্ছে না,কিংবা পরিবার থেকে সময় পাচ্ছে না।তাই তাদের বিভিন্ন ডিভাইসে আসক্ত হয়ে অপকর্ম বেড়ে চলেছে।যাই হোক কথা গুলো বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।

 last year 

লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। দিন যাচ্ছে আর প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে।বড়দের কাছ থেকে মাঝে মাঝে গল্প শুনি তাদের ছোটবেলা নাকি অনেক মজার ছিলো।ছিল না কারো মধ্যে ফোনের আসক্তি । আমরাও ছোটবেলায় মজা করেছি। তখন কোন প্রকার ডিভাইসের উপর মানুষের এমন আসক্তি ছিল না। কিন্তু এখনকার জেনারেশন গুলার জন্য খুব আফসোস হয়। এখনকার বাচ্চারা স্কুল যাওয়া আর ফোন ছাড়া কিছুই বোঝেনা। তারা প্রকৃতি থেকে অনেক দূরে।

 last year 

ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে প্রকৃতির কিছু কথা এবং কয়েকটি ছবি তুলে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রকৃতি আমার বেশ প্রিয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শৈশবে দিনগুলো আজ ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন ডিভাইজের ব্যবহারে মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। যে কারণে আজ প্রকৃতি এত সাজে সজ্জিত হয়েও শৈশবের শিশুদের মনটাকে ভরাতে পারছে না। কারণ এখনকার কিশোর-কিশোরী রা প্রকৃতির সাথে মিশতেই চায়না।

 last year 

ভাইয়া প্রকৃতি নিয়ে বেশ কিছু কথা লিখেছেন প্রত্যেকটি কথা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
সুন্দর একটি পরিবেশ থেকে আজকের শিশুরা
বঞ্চিত কারণ তারা চার দেয়ালে বন্দী ও মোবাইল ফোনে আসক্ত। পড়ালেখার ব্যস্ততায় ও মা-বাবার সময় স্বল্পতার কারণে মন খুলে খেলতেও পারে না। শিশুরা এক প্রকার প্রকৃতি থেকে বঞ্চিতই হচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ।

 last year 

কথাগুলো ভীষন ভালো লাগলো। আর কথাগুলো খুব সত্যি। আমরা সবাই আজ খুব বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার করছি।সবুজ প্রকৃতির মাঝে কতজনাই বা সময় কাটাচ্ছি।আমাদের শৈশব আর এই জেনারেশনের শৈশব এক নয়।এখন তারা নানা রকমের ডিভাইস এর প্রতি আসক্ত।এর শেষ কোথায় তা আমার জানা নেই। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58551.09
ETH 2617.32
USDT 1.00
SBD 2.44