ফেওয়া শুটকি ভর্তা || Bengali Recipe by @hafizullah
বন্ধুরা, কেমন আছো সবাই?
আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছো। আজ আমি বাংলাদেশ হতে আরো একটি স্বাদের রেসিপি ভাগ করে নেব। কারন স্বাদের রেসিপিগুলোর ব্যাপারে আমি সব সময় আপোষহীন। আজকের রেসিপিটি একটু ভিন্ন কারন এটি শুটকি ভর্তা। শুটকি ভর্তা অনেকেই পছন্দ করেন কিন্তু খাটনির ভয়ে অনেকেই তৈরী করতে চান না।
আসলে যে জিনিষটা তৈরী করতে কষ্ট কিংবা ঝামেলা বেশী হয় সেটা খেতে বেশী স্বাদের হয় । শুটকির তরকারী কিংবা ভর্তাগুলোর ব্যাপারেও এই যুক্তিটি প্রযোজ্য। তবে আজ যে শুটকির ভর্তা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, এই মাছটির নাম অনেকেই হয়তো জানেন না। আমি নিজেও পুরান ঢাকায় আসার পর জেনেছি। এটি হলো ফেওয়া শুটকি, শটকি হিসেবে পুরান ঢাকায় বেশী জনপ্রিয় এটি। পুরান ঢাকার অধিকাংশ দোকানে এই শুটকিটি পাওয়া যায়। তবে দাম খুবই সস্তা।
যাইহোক, যারা শুটকি পছন্দ করেন, তারা যে কোন ভাবেই হোক সেটা খাওয়ার চেষ্টা করেন। সুতরাং কষ্ট এখানে মুখ্য বিষয় না। আমাদের বাড়ীতে প্রায় প্রতি সপ্তাহে শুটকি তরকারী কিংবা ভর্তা খাওয়ার চেষ্টা করা হয। চলুন দেখি ফেওয়া শুটকি ভর্তা কিভাবে তৈরী করতে হয় সেটা দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- ফেওয়া শুটকি
- পেঁয়াজ
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- লবন এবং
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে শুটকিগুলোকে গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিস্কার করে নেব, অনেকেই ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিস্কার করে। তবে গরম পানি দিয়ে পরিস্কার করতে শুটকির ঘ্রাণটা একটু কমে যায়। শুটকিগুলো পরিস্কার করে একটি পাত্রে রাখবো।
এখন একটি প্যান অথবা কড়াই দিয়ে অল্প পরিমানে তেল দিয়ে গরম করবো।
তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ও লবন দিয়ে একটু গরম করবো।
কিছুক্ষন পর আমরা পরিস্কার করে রাখা শুটকিগুলো এগুলো মাঝে দিবো এবং কিছু পরিমান পানি দিয়ে ঢেকে দিবো যাতে দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়।
মাঝে মাঝে চেক করতে হবে সিদ্ধ হয়েছে কিনা, দৃশ্যগুলো দেখুন সিদ্ধ হয়েগেছে। এখন আমরা এগুলো নামিয়ে ফেলবো বেং ভর্তা বানাবো।
আমাদের দেশে এখনো ভর্তা জাতীয় কিছু কিংবা হলুদ, মরিচ কিংবা আদার পেষ্ট তৈরীর জন্য শীল পাটা ব্যবহার করা হয়। তাই আমিও এখানে ভর্তার জন্য শীল পাটা ব্যবহার করবো।
দেখুন পাটায় কিভাবে ভর্তাটি তৈরী করা হয়েছে। আপনি চাইলে বেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন, কারন আজ কাল সকল কিছুই বেন্ডারে ফাঁকি কিংবা পেষ্ট করা হয়।
দেখুন ভর্তাটি এখন কত সুন্দর ও মসৃণ হয়েছে, আর এটা যত বেশী মসৃণ হবে খেতে ততো বেশী স্বাদের হবে। আশা করছি ভর্তাটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং নিজেরাই এখন তৈরী করতে পারবেন। গরম ভাত কিংবা খুদের ভাতের সাথে শুটকির ভর্তা সেই লাগে। অন্য একদিন খুদের ভাতের রেসিপি শেয়ার করবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
খুব ভাল পোস্ট এবং খুব সহজেই মানুষ এই রেসিপি সম্পর্কে বুঝতে পারে।
ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
খুবই মজাদার একটি খাবার! দারুন বানিয়েছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
শুঁটকি মাছ আমি তেমন পছন্দ করি না।কিন্তু ভাইয়া, আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।নিশ্চয়ই অনেক স্বাদের হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
কি বানালেন ভাইয়া আমার তো জিভে জল চলে আসলো। আমার শুঁটকি ভর্তা খুবই ভালো লাগে কিন্তু ওই যে আপনি বললেন বানানোর ঝামেলা তাই বানাতে পারি না।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শুঁটকি ভর্তা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। ফেওয়া শুটকি ভর্তা দেখে জিহবায় জল চলে আসছে। তবে এই শুটকি আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় সম্ভবত ভিন্ন নামে ডাকা হয়। কিন্তু এরকম নাম আমি প্রথম বার শুনেছি। কিন্তু আরেকটি কথা হচ্ছে ভর্তা টি কে তৈরি করেছে? সেই ক্রেডিট কিন্তু দিলেন না! ধন্যবাদ ভাই
শুটকি মাছ আমি তেমন পছন্দ করি না। কিন্তু আমার খুব পছন্দ হয়েছে রেসিপিটি। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাদের হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া
ওয়াও,,খুবই মজাদার একটি খাবার রান্না করেছেন ভাই,যাই আমি ও কিছু খেয়ে আসি আর থাকতে পারলাম না
ভাই সুটকি😀 ভরতার এতটাই পাগল😋 ছিলাম যে বন্যা হয়য়ার সময় এবং পরে৪ প্রতিদিন মাছ ধরতে জাইতাম,অনেক ভাল হইছে ভাই দেখেই খাইতে মন চাচ্ছে😋😋😋😋😋😋