হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। পুরনো বিষয়গুলো বার বার সম্মুখে আসে আর আমি বার বার সেই চেষ্টাটা করি, যেন কোন সন্দেহ দানা বাঁধার সুযোগ না পায়। আমি রেসিপিগুলো একা একা করি না কারন আমার ম্যানেজার মানে আপনাদের ভাবি সব সময় আমার পাশে থাকেন। তবে হ্যা, বহু বার আমি একা একা রান্না করেছি এবং বাড়ীর সবাই সেটা খেয়ে বেশ প্রসংশা করেছিলেন। যেহেতু নিয়মিত এখন রেসিপি শেয়ার করছি সেহেতু সব কিছুর অবস্থান সঠিক রাখার নিমিত্তে আপনাদের ভাবি আমার সাথে পাশে থাকেন। আর হ্যা, আরো একটা কথা আমার ব্লকচেইন যাত্রার সেই শুরু হতেই কিন্তু আমি নানা ধরনের রেসিপি শেয়ার করে আসছি।
সুতরাং এই বিষয়ে কোন সন্দেহ পোষন করবেন না, আশা করছি বিষয়টি আপনাদের নিকট একদমই পরিস্কার। কারন কারো সন্দেহের তীর আমার দিকে থাকুক, আমি এটা একদমই পছন্দ করি না। তবে আপনি চাইলে আমার দুই বছর আগের ভিডিওগুলোও দেখতে পারেন, যেখানে রান্নার পুরো বিষয়টি ধারাবাহিক উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আসলে কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো আপনি নিয়মিত করতে থাকলে, একটা সময় পর সেটার ব্যাপারে দারুণ একটা অভিজ্ঞতা চলে আসবে এবং আপনি সে বিষয়ে বেশ ভালো দক্ষ হয়ে উঠবেন।
তবে আরো একটা বিষয় বলে দেই, যেহেতু রান্নাটা বুঝি সেহেতু রান্না খেয়ে আমি বলে দিতে পারি কোন বিষয়টির উপস্থিতি কম কিংবা বেশী হয়েছে। তাই মাঝে মাঝে কোথায় দাওয়াত খেতে গেলে আপনাদের ভাবি আগেই বলে দেন, খাবারের কোন ভুল ধরবে না। আমি শান্ত ছেলের মতো একদম চুপচাপ থাকি, গিন্নি বলে কথা না হলে পরে বাতাস অন্য দিকে বইতে পারে হি হি হি। যাই হোক এখন মূল আলোচনায় ফিরে আসি। আজ গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় একটি শাকের ভাজি রেসিপি উপস্থাপন করবো। এটি হলো খেসারি শাক, আমার খুব পছন্দের একটা শাক। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
উপকরণ সমূহঃ
- খেসারি শাক
- আদা
- রসুন
- পেঁয়াজ
- লবন
- শুকনা মরিচ
- কাঁচা মরিচ
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
শাক ভাজির রেসিপিগুলো সত্যি খুবই সহজ এবং সময় অনেক কম লাগে। শুরুতে শাকগুলোকে পরিস্কার করে কুচি কুচি করে কেটে দিয়েছি। তার সাথে আদা এবং রসুনগুলোকেও কুচি করে নিয়েছি।
তারপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে কিছু পরিমানে তেল ঢেলেছি এবং সেগুলোকে গরম করে শুকনা মরিচগুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা মরিচ স্লাইস করে দিয়ে কিছুটা ভাজার চেষ্টা করেছি।
তারপর পরিস্কার করে কুচি করে রাখা শাকগুলো দিয়ে দিবো এবং তার সাথে আদা কুচি ও লবন দিয়ে দিবো।
কিছু সময়ের জন্য শাকগুলোকে ঢেকে দিবো, তাতে শাকগুলো দ্রুত সিদ্ধ হয়ে আসবে এবং পরিমানও বেশ কমে আসবে। ঢাকনা সরিয়ে মাঝে মাঝে একটা নেড়েচেড়ে দিবো। তারপর শাকগুলো হয়ে আসলে নামিয়ে নিবো।
দেখুন হয়ে গেলো আমাদের আজকের সহজ এবং স্বাদের খেসারি শাক ভাজি। এই শাকটি ভাজি করার সময় আদা কুচি দেয়া হয় বলে আমার কাছে বেশী ভালো লাগে। এমনিতেও এই শাকটি বেশ মজার এবং পুষ্টিকর।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
প্রথমেই বলবো আপনার দিকে সন্দেহের তীত তোলার কোনো প্রশ্নেই উঠে না। কারণ আপনি আমার বাংলা কমিউনিটিতে রেসিপির যুগান্তকারি পরিবর্তন এনেছেন। আসলে আপনার রেসিপি দেখার সময় একটা ভালো লাগার কাজ করে কারণ আপনার পোস্ট থেকে নতুন কোনো রেসিপি থেকে ধারণা পাওয়া যায়। আপনি আপনার রেসিপি চালিয়ে যান ভাই। আমি আপনার পাশে আছি। আর হ্যাঁ, মাঝে মাঝে মুলার রেসিপি চাই।
খেসারী শাক ভাজি খুব একটা খাওয়া হয় নাই আগে। আমি শুধু লাল শাক ভাজতে পারি। 😄 ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপির জন্য। ❣️❣️
প্রিয় ভাইয়া♥
খেসারি শাক ভাজি রেসিপি |এবং আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া টা অনেক সহজ ছিল।খেসারি শাক আমি আজ পর্যন্ত খাই নি।তবে আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেলো ইনশাআল্লাহ আমিও আপনার রেসিপি দেখে বাসায় করার চেষ্টা করব।যদি আমাদের এখানে খেসারি শাক পাওয়া যায়।এত চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় ভাইয়া♥♥
ওয়াও ভাইয়া আপনি খুবই মজাদার একটা খেসারি শাক রান্না করেছেন। ভাইয়া এটা কিন্তু খুবই মজাদার হয়।আমরা প্রতিবছরই লাগিয়ে থাকি কলোই শাক। কিন্তু এবার একটু সমস্যার কারণে লাগানো হয়নি। তাই এবার বাড়িতে গিয়ে ও খেতে পারিনি। তবে ভাইয়া কলোই শাকের ডাল বেজে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। জিবনে অনেক খেয়েছি খেঁসারি শাক গরম গরম বাতে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। যাইহোক আজকে আপনি সবার আগে খেঁসারি শাকের রেসেপি শেয়ার করলেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময় এই কামনা রইলো।
জ্বী ভাই সত্যি এই শাকটা খুবই স্বাদের এবং মজার, আমার খুব প্রিয় একটি শাক এটি।
খেসারি শাক খুবই মজাদার একটি রেসিপি। ডিম দিয়ে ভেজে খাইলে আরো বেশী মজার হতো। এই বছর অনেক বার খেয়েছি কেননা গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। রেসিপিটি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর করে প্রেজেন্ট করছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া💝
না এই শাকটি এখনো ডিম দিয়ে ভাজি করে খাওয়া হয় নাই কারন আমার কাছে এভাবে একটু আদা দিয়ে ভাজি করলে বেশী ভালো লাগে।
খেসারির শাক কখনো খাওয়া হয় নি ভাইয়া।আপনার কাছে আমি প্রথমবার এই শাকের সম্পর্কে জানলাম।অবশ্য আপনার থেকে বিশেষ কিছু রেসিপিই নতুনভাবে দেখি।আর আজকের এই শাকের রেসিপিটিও আমার কাছে নতুন।খুব ভালো লেগেছে আজকের এই খেসারির শাক ভাজির রেসিপিটি।
বলেন কি? আপনার তো জরিমানা করা উচিত, এই রকম একটা মজার শাক আপনি এখনো খান নাই!
খেসারি শাক ভাজি রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। এই শাক আমি কখনো খাইনি এবং নামও শুনিনি, আজকে আপনার এই রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই আমার ইচ্ছা জাগল এই সুস্বাদু রেসিপি খাবার। তাই আমি পরবর্তীতে চেষ্টা করব। এই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করার। আপনার উপস্থাপন দেখে আমি তৈরি করার পদ্ধতি শিখতে পেরেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের মাঝে সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হায় হায় হায়!
আপনি এইডা কি বললেন ভাই, বাঙালী হিসেবে আপনার ষোলআনাই ব্যর্থ হয়ে গেলো।
খেসারিয়া গানা খেতে খুবই পছন্দ করি মাঝেমধ্যে খাওয়া হয় বিশেষ করে সকালের নাস্তায় রুটির সাথে।
খুবই লোভনীয় ভাবে আপনি খেসারি শাক ভাজি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।।
হুম ভাই স্থানভেদে আমাদের খাবারগুলোর পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে তবে খেতে বেশ স্বাদের এটা নিশ্চিত।
ভাই বাংলায় একটা কথা প্রচলিত আছে যে, কলা গাছ কাটতে কাটতেই একদিন ডাকাত হয়। যার মানে হচ্ছে প্র্যাক্টিস মেকস আ ম্যান পারফেক্ট। আপনার রান্না করার যে ইতিহাস শুনলাম তাতে আর কোনরকম সন্দেহের অবকাশ নেই। সব সন্দেহের মেঘ কেটে গিয়ে এখন পূর্ণিমার আকাশের মত ঝলমলে সবকিছু। যাই হোক আমাদের এলাকায় এই শাক গুলো কে কলাই শাক বলে থাকে। আমার কাছে খেতে দারুন লাগে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
না না না ধুর ভাই আমার ঐদিকে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই বিশেষ করে আমি খালি মুলা কাটতে বেশী পছন্দ করি গাছ না হা হা হা।
ভাই আপনার রেসিপি পোষ্ট গুলো নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। কারণ অনেক আগে থেকেই এবং নিয়মিত হবে আপনার রেসিপি পোস্ট গুলো দেখে আসছি। আর আপনার একটা কথা বেশ ভালো লেগেছে-তা হল কোন একটা জিনিস নিয়মিত করতে থাকলে সেই বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করা যায়। সেটা এখন যেকোনো কাজেই হোক না কেন। আপনার আজকে রেসিপিটাও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। রেসিপের প্রস্তুত প্রণালি গুলো সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বী ভাই এটা বাস্তব, আপনি যে জিনিষটি জানেন না সেটা যদি নিয়মিত করতে থাকেন তবে একটা সময় পর আপনি সে বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে পারবেন।
খেসারির শাকের ভর্তা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি আজকে খেসারির শাকের ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এই ধরনের শাক ভাজি খেতে। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার শাক ভাজি রেসিপি। এখন শুধু মজা করে খাওয়ার পালা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
জ্বী ভর্তাটাও অনেক স্বাদের হয়ে থাকে। তবে আমার কাছে শাকটার ভাজি বেশী মজা লাগে।