পরিস্থিতি অনেক কিছু করতে বাধ্য করে || জীবনের গল্প
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সুস্থ্যতার বিষয়টি আর বলবো না চিন্তা করছি কারন শীত চলে আসতে শুরু করেছে তাই অসুস্থ্য হওয়ার বা থাকার খুব একটা বেশী সম্ভাবনা দেখছি না। যদিও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ অসুস্থ্য এই মুহুর্তে। থাক রাজনীতি বাদ থাক, অবশ্য যারা শীত কাতর তাদের বিষয়টি ভিন্ন কিন্তু যারা শীত প্রিয় তাদের জন্য সুখবর। আমার যেহেতু শীতকাল প্রিয় সেহেতু আমার জন্য সুখবর, আর যত দিন শীতের এই উষ্ণতা থাকবে ততোদিন নিজেকে দারুণভাবে চঞ্চল রাখতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করছি।
আসলে শীতকালে আমার ঘুমটা দারুণ হয়, যেহেতু শরীর খুব একটা ঘামে না সেহেতু শারীরিক সুস্থ্যতা দারুণভাবে ধরে রাখতে পারি। আর একটা বিষয়তো প্রায় বলে থাকি সেটা নিশ্চিত আপনারা জানেন। যেহেতু শীতকালে রবিশষ্য পাওয়া যায় আর রবিশষ্যগুলো মানেই স্বাদের পুরো ষোলআনা পাওয়ার সুযোগ, সেহেতু স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুটোর দারুণ একটা সজীবতা থাকে আমার মাঝে। যাইহোক শীতের বিষয়ে আরো অনেক কথা বলার সুযোগ পাবো পুরো শীতকাল জুড়েই, তাই আজ আর এই বিষয়ে কথা বলবো না। নতুন পুরাতন সড়ক বাদ দিয়ে নতুন পথে অফিস যাওয়ার অনুভূতি এবং কয়েকটি দৃশ্য আজ ভাগ করে নিবো।
নির্বাচন যত বেশী ঘনিয়ে আসছে সড়কের যানজট যেন ততো বেশী বাড়ছে, তবে হরতাল আর অবরোধের চিত্রটা ভিন্ন। সত্যি বলতে সকাল সাতটায় বাসা থেকে বের হয়েও দশটার মাঝে অফিস পৌঁছাতে পারছি না স্বাভাবিক দিনগুলোতে। শুরুর দিকে সকাল সাড়ে আটটায় বাসা হতে বের হয়েও সাড়ে নয়টার মাঝে অফিস পৌঁছাতে পারতাম। কিন্তু দিন দিন যেভাবে সড়কের মাঝে ভিআইপি কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচী অথবা কর্মসূচী প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে আমাদের যাতাযাত দিন দিন আরো বেশী অসহ্যকর হয়ে উঠছে। তাই বাধ্য হতে প্রধান সড়ক বাদ দিয় বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কারন এছাড়া আর কোন বিকল্প উপায় নেই, আর শহরের মাঝে পুনরায় ফিরে আসার কোন ইচ্ছাও নেই।
তবে বাইপাস সড়কটি আমার বাসা হতে অনেকটাই উল্টো পথের মতো হয়ে যায় কিন্তু তবুও এখন সেই পথে অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করছি। অনেকগুলো স্টেশন এবং বাস পরিবর্তন করে তারপর কাংখিত লক্ষ্যে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এতে যেমন ভালো দিক আছে ঠিক তেমনি আবার খারাপ দিকও আছে। আগের তুলনায় ডাবল বাস বাড়া যাচ্ছে এখন তাই খরচ বেড়ে গেছে। আর ভালো দিকটি হলো আগের মতো অসহ্যকর যানজটের মাঝে বসে থাকতে হয় না, খুব দ্রুত সময়ের মাঝে অফিসে পৌঁছানো যায়। তাই খরচ বেশী হলেও অফিসে আগে পৌঁছানোর সুবিধা পাওয়ার আসায় নতুন পথে মানে বাইপাস সড়কে যাতায়াত করছি।
আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সড়ক ধরে দিয়াবাড়ি, তারপর মিরপুর এক এবং দুই হয়ে মিরপুর দশ, তারপর মিরপুর চৌদ্দ এবং ক্যান্টনমেন্ট হয়ে সৈনিক ক্লাব এবং সবশেষে মহাখালী ডিওএইচএস। অবশ্য বেশ কিছুটা পথ হাঁটা লাগে, যেহেতু শীতের দিন আসতেছে সেহেতু এটাও শরীরের জন্য ভালো হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা যেমন মাঝে মাঝে অসহায় হয়ে যাই ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের বাধ্য হয়ে অনেক সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলতে হয়। তবুও ভালো, আমরা আমাদের চেষ্টায় বিকল্প উপায়ে সফল হওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের দেশের কর্তাব্যক্তি বর্গরা যদি সেই চেষ্টাটা একটু করতেন তাহলে হয়তো আমাদের দেশের চেহারাটা অনেক আগেই পাল্টে যেতো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া তো দেখছি আমার প্রতিবেশী। আরে ভাই আগে বললে তো আপনার অফিসে যেয়ে শুধু চা নয় আরও কিছু খেয়ে আসা যেত। সেই সাথে সেলফি তুলে পোস্ট করা যেত রোমান্টিক হাফিজ ভাইয়ের সাথে হঠাৎ দেখা। কেমন হতো বলেন তো ভাইয়া? যাক সে না হয় হবে একদিন। শীত তো দেখছি আপনার বেশ প্রিয়। ভালোই হবে সামনে আরও অবরোধ হলে আপনি হাটতে হাটতে শীতটাকে বেশ অনুভব করতে পারবেন। আজ আর কি বলবো। আপনার পোস্ট গুলো আমার তো বরাবরই ভালো লাগে।
দিলেন তো আবারও রাজনীতিবিদদের মতো ভয় দেখিয়ে হা হা হা। হুম শুধু হেটে উপভোগ নয় মাঝে মাঝে ভয়ে দৌড়ও দেয়া লাগতে পারে, যে অবস্থা চলছে। অনেক ধন্যবাদ
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ভাইয়া। রাজনৈতিক পরিস্থিতি তো ভাই খুবই অসুস্থ। শীত আসলে ভাইয়া নতুন নতুন ড্রেস পড়া যায় ভীষণ ভালো লাগে 😅😅শীতের ঘুমটা দারুন হয়। সকালে যেন উঠতেই মন চায় না কিন্তু শীতের সকালের পরিবেশটা অনেক ভালো লাগে। মনকে অনেক প্রশান্তি দেয়। আপনি নতুন পথে অফিস দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভীষণ ভালো ছিল ভাইয়া। সাতটায় বের হয়েও দশটায় অফিসে পৌঁছাতে পারছেন না। এটা খুবই দুঃখজনক ভাইয়া। আমরা কিছুই বুঝতে পারতেছি না। যারা গ্রাম অঞ্চলে থাকি আসলে যারা ঢাকায় শহরে থাকে তাদের তো দেখছি অনেক কষ্টকর একটা মুহূর্ত। নির্বাচন যত সামনে আসবে ঢাকার অবস্থা তো অনেক ভয়ানক হবে মনে হচ্ছে।যাক নতুন রাস্তা দিয়ে খুব সহজে আপনি অফিসে পৌঁছাতে পারেন আলহামদুলিল্লাহ।
সর্বনাশ! পুরো ঢাকা ঘুরে আসেন মহাখালী ডিওএইস এ! তবে যানজটের হাত থেকে রক্ষা পেলেন কিন্তু ভাড়াটা বেশি গেল। আর এখন যে অবস্থা ঢাকার রাস্তাঘাটের সেটা আর নাই বললাম! একের পর এক অবরোধ, রাস্তা ব্লক হচ্ছে প্রতিনিয়ত
শরীরে যখন রক্ত গরম ছিল তখন মনে হতো গ্রীষ্মকাল টাই ভালো। কিন্তু ভাই এখন মনে হয় শীতকাল টাই ভালো। শীতকালে বেড়ানো ঘুমানো খাওয়া সবগুলোই যেন নিজের কাছে পারফেক্ট মনে হয়। আমার মনে হয় মানুষ সম্ভব প্রাকৃতির কাছে সবকিছু করতে বাধ্য থাকে। সময় আপনাকে বলে দেবে কখন কি করতে হবে। এবং সময় আপনাকে সেই কাজটি করতে বাধ্য করাবে। ঢাকা শহরে বসবাস করে অফিসে যাওয়া মানে বিশাল প্যারা। সকাল সকাল না বের হলে মনে হয় না ঠিক সময় মত অফিসে পৌঁছানো যাবে। তারপরও মানুষ সময়কে মেনটেন করেই চলছে।
বাইরে যারা কাজ করে সময় মতো নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে বেশ বেগ পেতে হয়।যদিও আমি বাসায় থাকি।কিন্তু ফিলটা ঠিকই করি।শীডকাল আপনার প্রিয় ঋতু।কারন আরামে ঘুমাতে পারেন।মজার মজার খেতে পারেন।আমার অবশ্য বসন্তকাল খুব প্রিয়।যাই হোক আপনি অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে রোজ অফিসে যান। তাই নতুন, পুরাতন পথ বদলে অন্য পথে এখন অফিসে যান।খরচ একটু বেশী হলেও ভালো যানযটে তো আর বসতে হয় না।অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার যেহেতু শীত পছন্দের তাই আপনার প্রিয় দিনগুলো আসছে সামনে।শীতে সুস্থ থাকতে পারলে তো ভালোই তবে এই সময়টাতে ঠান্ডার সমস্যাটা অনেকের বেশি দেখা যায়।আপনি সুস্থ থাকেন এটা বেশ ভালো।আমার আবার এই শীতকাল অপছন্দ।এই শীতের দিনে হাঁটতে সুবিধা তাছাড়া শরীরের জন্যও ভালো।এটা ঠিক যে,পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের সিদ্ধান্ত পাল্টে নিতে হয়।ভালো লেগেছে পোস্টটি ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রিয় ঋতু শীতকাল চলে এসেছে। তাহলে বেশ ভালই উপভোগ করবেন আপনি বুঝা যাচ্ছে। যদিও হরতাল কিন্তু ডিসেম্বরের মধ্যে আশা করি শেষ হয়ে যাবে এসব গ্যাঞ্জাম। তারপরে জমিয়ে জীবনটা উপভোগ করবেন এটাই কামনা করি। তবে আপনি যে রাস্তা বেছে নিয়েছেন যাতায়তের জন্য। যদিও টাকা খরচ হয় কিন্তু নিরাপদে যেতে পারছেন। সেটা আপনার জন্য অনেক বেটার কারণ আগে হচ্ছে নিজের জীবনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। টাকা পয়সা খরচ করলেও সেগুলো পড়ে ফিরে পাওয়া যাবে ইনকাম করলে। অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মতো শীতকাল আমারও ভীষণ পছন্দ ভাই। সারাবছর অপেক্ষা করে থাকি শীতকালের জন্য। কারণ এমনিতেই আমার গরম অনেক বেশি। যাইহোক বাস ভাড়া বেশি গেলেও বাইপাস দিয়ে যাতায়াত করতে বেশ সুবিধা। কারণ যানজটের ঝামেলা থাকে না তেমন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এত কষ্ট করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে কিন্তু রাজনৈতিক সংগঠন ঠিকই আরামে পা দোলাচ্ছে।হরতাল অবরোধের কারণে এখন সবদিকে একরকম অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর আপনি বাইপাস রোড দিয়ে ঘুরে অফিসে যেতে হচ্ছে খুব কষ্টকর একটা ব্যাপার। সময় কম লাগলেও ভাড়া কিন্তু ঠিকই বেশি যাচ্ছে। তবুও জ্যামের মধ্যে থাকতে হচ্ছে না এটাই তো বড় কথা। যাই হোক দ্রুত যেন সব কিছু স্বাভাবিক হয় সেই প্রত্যাশা রইল।