বিষাক্ত মাশরুম ফটোগ্রাফি
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
সময় এবং পরিস্থিতি দুটোই আমরা নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হই শুধুমাত্র আমাদের মানসিকতার কারনে। তবে শুধু মানসিকতাকে দোষারোপ করবো না আমি বরং এই ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি না করতে পারাটাই বেশী দায়ী। হ্যাঁ, মানসিকতা ঠিক থাকলে সব কিছুই সময় মতো করা সম্ভব।
আমরা কিন্তু সব কিছুই বুঝি কিন্তু সময় থাকতে কাজটি করার চেষ্টা করি না। এই মানসিকতার কারনেই আমরা বহু ক্ষেত্রে অনাকাংখিতভাবে পিছিয়ে যাই। তারপর পরিস্থিতি আফসুস করি। কিন্তু ততোক্ষনে সব কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যায়। তাই আফসুস করা ছাড়া তখন আর কিছুই করার থাকে না আমাদের। তাই সময়ের সঠিক মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে মানসিকতার পরিবর্তন খুবই জরুরী। সঠিক মানসিকতা নিয়ে চেষ্টা করলে শুধু সময় না পরিস্থিতিও আমাদের অনুকূলে থাকবে।
বিষয়টি আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে সক্ষম হবো, ততো তাড়াতাড়ি আমরা ভালো অবস্থান সৃষ্টি করতে পারবো।
এইতো গেলে আজকের ভূমিকা, যদিও বেশীর ভাগ সমই আমি মূল প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে ভূমিকা শেয়ার করি। আজকের বিষয়টি হলো মাশরুম ফটোগ্রাফি তবে আজকের মাশরুমগুলো কিছুটা বিষাক্ত ধরনের। তবে দাদার রহস্যময় মাশরুমের মতো অতোটা বিষাক্ত না। আমাদের লেভেল অনুযায়ী বিষাক্ত, আর আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা দাদার রহস্যময় মাশরুমগুলো ছিলো আমাজন বনাঞ্চলের বিশেষ বিষের বিষাক্ত মাশরুম। তবে যেগুলোকে খাওয়া হয় সেগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মত মাশরুম বলা হয়। আর বাকিগুলো মাশরুমরূপী বিষাক্ত ছত্রাক বৈ আর কিছুই না।
আমাদের দেশে সাধারণত ছত্রাকরূপী নানা ধরনের মাশরুম দেখা যায়, সবগুলোই খুব বেশী বিষাক্ত ধরনের হয় না। সাধারণত বৃষ্টির সিজনে খুব বেশী স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এগুলো তৈরী হয় এবং অল্প সময়ের মাঝেই আবার নষ্ট হয়ে যায়। এগুলোর স্থায়ীত্বকাল খুব বেশী সময়ের হয় না। বড়জোর দুইদিন পর্যন্ত এগুলোর আকৃতি ঠিক থাকে। কিন্তু স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ছাড়া যে মাশরুমগুলো তৈরী হয়ে থাকে, সেগুলোকে মোটামোটি বিষাক্ত ধরনের হয়ে থাকে, এগুলোর মাঝে নানা ধরনের জীবানু থাকে।
বিশেষ করে পুরনো কাঠ বা মরা গাছের মাঝে এই ধরনের বিষাক্ত ধরনের মাশরুম বেশী লক্ষ করা যায়। সেদিন সড়কের পাশে একটি মৃত শুকনো গাছের মাঝে এই রকম কিছু মাশরুম দেখে তার কাছে যাই এবং মাইক্রো ক্যামেরার মাধ্যমে বেশ কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করি। যা আজকের লেখার মাধ্যমে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি। আশা করছি বড় সাইজের মাশরুমগুলোর দৃশ্য আপনাদের ভালো লাগবে।
W3W Code: https://what3words.com/mastering.transfers.acrobat
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া মাশরুম নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিলেন 😊😊মজা করলাম।
ভেজা কাঠে এই ধরনের মাশরুম জন্মে। ছবিগুলো অনেক ভালো হয়েছে। আমিও একদিন মাশরুমের ছবি পোস্ট করব।
আসলে মাশরুমে বিষাক্ত হয় কিন্তু শুনছি মাশরুম খাওয়া যায় এবং আপনি মাশরুমের বিভিন্ন দিক গুলো আমাদের মাঝে পরিবেশন করেছেন যা আমাদের জানা ছিল না অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং অনেক আমাদের গ্রাম অঞ্চলে মাশরুম থাকে তা হয়তো বিষাক্ত। আমাদের আপনার পোস্ট থেকে শিক্ষা নিতে পারলাম অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকেও, আসলে আমি নিজেও অনেক কিছু জানি না, এখনো অনেক তথ্য অজানাই রয়েগেছে আমাদের মাশরুম সম্পর্কে।
ভাইয়া আপনার আজকের লেখার ভূমিকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।সময়ের সঠিক মূল্যায়ন সঠিক মানুষিকতার মাধ্যমেই করতে হবে।কিছুটা দূরদর্শী বা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে আমাদেরকে।মাশরুমগুলির আকার অনেক বড়ো।ফোটোগ্রাফিগুলি খুব সুন্দর।ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি, ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
ভাইয়া মাশরুম সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। আপনার ফটোগ্রাফী খুব সুন্দর হয় তবে মাশরুম গুলোকে দেখলে কেমন যেনো ভয়ংকর লাগতেছে আমার কাছে। 😛
অনেকেই বুঝে না ভাইয়া এটা,অনেকেই ভাবে সব মাশরুম ই খাওয়া যায়। এই বিষয়গুলো আসলেই সবার জানা উচিত।
হুম বিষাক্ত জিনিষ সব সময় ভয়ংকর লাগে না কিন্তু। ও তাই, আসলে এগুলো তো মেকআপ করার সুযোগ পায় নাই, তাই দেখতে এই রকম লাগছে, হি হি হি
এর পর থেকে আপনি করার দিয়েন। 😜😜😜
খুবই ভালো লিখেছেন মাশরুম সম্পর্কে, কিছু ধারনা পেলাম বিষাক্ত মাশরুম সম্পর্কে। পুরনো কাঠ বা মরা গাছের মাঝে যে মাশরুম থাকে তা বিষাক্ত জানতাম না। আপনি আসলেই অনেক বড় মাশরুম ক্যপচার করেছেন, দেখে বুঝা যাচ্ছে।
ভাই এই মাসরুম গুলি যে বিষাক্ত এটা আগে জানতাম না ।কারণ এই ধরনের মাসরুম অনেক দেখেছি ।আর একটা জিনিস ভাই ।দুটো ছবি কিভাবে পাশাপাশি ফ্রেম সহ দিতে হয় এটা শিখে গিয়েছি ।আপনারা টেবিল এর ফর্মুলাটা অনুসরন করেন ।আপনার ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনি টেবিল এর বিষয়টি জানতেন না এটা কিন্তু আমি বুঝতে পারি নাই, শুধু আমরা না ভাই সবাই একাধিক ফটো একসাথে শেয়ার করার ক্ষেত্রে টেবিল ব্যবহার করে থাকেন। ধন্যবাদ
এই মাশরুম গুলো আমি গ্রামে মরা গাছে দেখতাম। আমি ছেলে বেলায় এ গুলো খেলা করলে মা বকা দিত। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।এবং অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার পোস্ট গুলো পড়তে আমার ভালো লাগে। আপনার পোস্ট গুলো শিক্ষণীয় হয়।এত সুন্দর মাশরুমের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে আমি একটি বিষয় জানলাম যে মাশরুমের বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। আমি শুধু আগে জানতাম যে ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে এটিকে মাশরুম বলা হয়। তবে এখন দেখি ভিন্ন রকম আছে। এবং আপনার তোলা মাশরুমের ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন বৃষ্টির দিনে অর্থাৎ বর্ষাকালে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে এসকল মাশরুম দেখা যায় এবং এগুলো আবার কিছুদিন পরে হারিয়েও যায় নিজে থেকে। মাশরুম যেমন খুব উপকারী তেমনি বর্ণ মাশরুম বিষাক্ত যেটা আমাদেরকে যাচাই-বাছাই করে তারপরে খাওয়া উচিত। তবে সে যাই হোক আপনার ছবিগুলো অসাধারণ ছিল এবং অনেক চমৎকার করে বর্ণনা করেছেন।
সকল মাশরুম ই পরভোজী হয়ে থাকে সাধারণত।এই ধরনের মাশরুম আমি অধিকাংশ সময় মরা গাছ অথবা কাঠের মধ্যে দেখি।তবে মরা কাঠের মধ্যেই এক ধরনের ছত্রাকের মতো পরভোজী মাশরুম দেখেছি যেটার নাকি ঔষুধি গুন রয়েছে।সেই মাশরুম টা খোয়ারি রঙের হয়।
আপনার মাশরুম এর ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা খুবই সুন্দর হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আরো একটি বিষাক্ত মাশরুম সম্পর্কে জানতে পারলাম।ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইলো অভিরাম।
হ্যা, এগুলো সাধারণত মরা গাছ কিংবা পুরনো কাঠের মাঝে বেশী দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাই আপনাকেও
💖