হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? যথারীতি আশা প্রকাশ করছি সবাই ভালো আছেন এবং সময়গুলোকে উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। আমি আমার মতো আছি, হ্যা আগের থেকে ভালো আছি পরিবর্তিত অবস্থায় এটা চোখ বন্ধ করে বলতে পারি। দেখুন পরিস্থিতি কিংবা প্রত্যাশা কখনো পূর্ণতা পাবে না? এগুলো কখনো শতভাগ আমাদের মন মতো হবে না। বরং প্রত্যাশা পূর্ণতা পাওয়ার সাথে সাথে অপূর্ণতার পরিমান কিংবা সীমানা বাড়তে থাকবে। সুতরাং প্রত্যাশার শতভাগ পূর্ণতার আশা করা মানে বোকামী এবং হাতের কাছে থাকা সুযোগগুলো বোকার মতো নষ্ট করার পাগলামী। এই জন্য আমি কখনো অপূর্ণতাগুলোকে নিয়ে অতো বেশী মাথা ঘামাই না, বরং যা কিছু আছে বা পূর্ণতা পেয়েছে সেগুলোকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করি।
হ্যা, আমাদের চেষ্টাটা হতে হবে সর্বাত্মক, তাহলে হয়তো সেটার স্বার্থকতার পরিমানটা বৃদ্ধি পাবে কিছুটা হলেও। কিন্তু আমরা কি সেটা শতভাগ নিষ্ঠার সাথে করতে পারছি? কি করছেন আপনি ভেবে দেখে বলুন তো? নিষ্ঠার সাথে চেষ্টাগুলো চলমান রাখার চেষ্টা করছি নাকি অপূর্ণতার আফসুস নিয়ে নিজেকে থামিয়ে রাখছেন ভাগ্যের দোহাই দিয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুলটা কিন্তু আমরা এখানেই করি, প্রয়োজনের সময় আমরা নিশ্চুপ থাকি আর অপ্রয়োজনে আমরা ভাগ্যের দোহাই দিয়ে আফুসস করতে থাকি, কি অবস্থা এবং কি ধরনের চিন্তা ভাবনা আমাদের। সত্যি বলতে আমাদের মানসিকতাই আমাদেরকে অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং আলোতে থেকে নিজেকে আলোকিত হওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
এখন আপনি বিষয়টিকে কিভাবে গ্রহণ করছেন সেটা সম্পূর্ণরূপে আপনার উপর এবং আপনার মানসিকতার উপর নির্ভর করছে, এ ব্যাপারে হয়তো আমি বেশী কিছু বলতে পারবো না আর বলার চেষ্টাও করবো না। তার চেয়ে বরং সুন্দর ও স্বাদের কোন রেসিপি ভাগ করে নেই সেটাই বেশী ভালো হবে। আজকে তাহলে একটু ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি শেয়ার করি। ভিন্ন ধরনের মানে আমার কাছে ভিন্ন, হতে পারে আপনার কাছে ভিন্ন নয় কিংবা আপনার কাছে পুরনো। তাহলে চলুন চেক করি দেখি রেসিপিটি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- রুই মাছের মাথা ও টুকরা
- কাঁঠালের বিচি
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- আদা রসুন পেষ্ট
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- তেল
- লবন।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে কিছু তেল গরম করেছি তারপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিয়েছি।
এরপর সব মসলাগুলো পরিমান মতো দিয়ে মিক্স করে নিয়েছি এবং হালকা পানি দিয়ে কষা করেছি।
তারপর মাছের মাথা ও টুকরাগুলো দিয়ে মসলাগুলোর সাথে বেশ কিছুটা সময় কষিয়ে নিয়েছি এবং তারপর মাছের মাথা ও টুকরাগুলো উঠিয়ে রেখেছি।
এরপর কষানো মসলাগুলোর সাথে পরিস্কার করে রাখা কাঁঠালের বিচিগুলো দিয়েছি।
কিছু সময় এভাবে রান্না করে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি বিচিগুলো দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য।
তারপর কষিয়ে উঠিয়ে রাখা মাছের মাথা ও টুকরাগুলো দিয়েছি এবং ঝোলের জন্য পরিমান মতো পানি দিয়ে রান্না করেছি।
তারপর ঝোলের পরিমান কমে ঘন হয়ে আসলে হালকা জিরা গুড়া দিয়েছি এবং অল্প কিছু সময় পর সেগুলোকে নামিয়ে নিয়েছি।
হয়ে গেলো আমাদের স্বাদের ভিন্ন ধরনের রেসিপি, কাঁঠালের বিচি দিয়ে রুই মাছের মাথা রান্না। এই রান্নাটি সত্যি বেশ স্বাদের হয়েছিলো। আসলে কাঁঠালের বিচি দিয়ে যে কোন ধরনের রেসিপি একটু বেশী স্বাদের হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
আমরা যখন মাছের কোন রেসিপি করে থাকি অধিকাংশ সময় মাছকে আগে ভাজি করে নি তাহলে ভাজা মাছগুলো তরকারির ঝোলে অন্যরকম টেস্ট এনে দেয়। দাদা ,আপনি রেসিপি শুরু করার আগে যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো অনেক দামি কথা। সত্যিই তাই জীবনে প্রত্যাশার শতভাগ পূর্ণতার আশা করা চরম বোকামী। পূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের খুশি থাকতে হবে এবং অপূর্ণ বিষয় থেকে আমাদের কিছু শিক্ষা গ্রহণ করে নিতে হবে। অপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে দুঃখী হয়ে বসে থাকলে চলবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাংলায় একটা কথা আছে যেমন কর্ম তেমন ফল।। সুন্দর একটি আলোচনা উপস্থাপন করেছেন আপনারা আলোচনাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।। আসলে আমরা বাঙালিরা এমনই পুরোনো চুপচাপ অপ্রয়োজনে বেশি নাক গলায়।।
যাইহোক কাঁঠালের বিচি বরাবরই আমার খুব ফেভারিট যে কোনভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।। আপনার প্রস্তুত করা মাছের সাথে কাঁঠালের বিচির রেসিপিটি দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
পূর্ণতা -অপূর্ণতা নির্ভর করবে নিজ কর্মের উপর।যদিও শতভাগ পূর্ণতা মানবজীবনে কখনো সম্ভব নয়, তবে দৃঢ় চেষ্টার ফলে শতভাগের কাছাকাছি সফলতা পাওয়াই যায়।অসময়ে কাঁঠালের বিচি,দারুণ রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যা কাঠালের বিচি দিয়ে বানানো যে কোন জিনিসই আলাদা স্বাদের হয়।যদিও আমার ভাজা টাই বেশি পছন্দের।তবে ভাই আমার একটা প্রশ্ন। আপনারা এত দিন পরেও কাঠালের বিচি কই পাচ্ছেন?
রুই মাছের মাথা ও কাঠাল এর বিচি দিয়ে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া।রেসিপি তৈরির প্রসেস গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে আমরা সঠিক জায়গায় সঠিক উপায়ে চেষ্টা করলে কখনো পিছিয়ে পরবো না।আসল সফলতার জন্য চেষ্টার কোন বিকল্প নেই, যাই হোক শুধু কাঠালের বিচি দিয়ে মাছের রেসিপি খাওয়া হয়নি,তবে মুরগী দিয়ে খেয়েছি।আমার কাছে কাঠালের বিচি রান্না করে খেতে ভালোই লাগে।ধন্যবাদ
জীবনে পূর্ণতার শতভাগ কখনোই নিশ্চিত করা যায় না।কেননা আমরা অনেক কিছুই প্রত্যাশা করি কিন্তু বাস্তব জীবনে রূপ নেওয়া হয় খুবই অল্প সংখ্যক। হবে যেই বাস্তবতা বড়ই কঠিন তার চেয়ে আপনার সহজ রেসিপিটি দেখে নেওয়াই ভালো। ভাইয়া আমি কাঁঠালের বিচি অন্য সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খেয়েছি কিন্তু শুধু মাছের মাথা দিয়ে কাঁঠালের বিচি এভাবে ঝোল করে কখনো খাওয়া হয়নি ।মনে হচ্ছে ভালোই হয়েছে রেসিপিটি।
ভাইয়া প্রথমে আপনার উপরের কথা গুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো। আসলে আমরা যথাযথ চেষ্টা না করে ভাগ্যের দোহায় দিয়ে বসে পড়ি। একথাটা ১০০% সত্য।
আর রেসিপিটা ভাল ভাবে লক্ষ করলাম। অনেক মজাদার রেসিপি হয়েছে। তবে সবার থেকে আলাদা যেটা সেটা হলো আপনার কড়াইটা অনেক পরিষ্কার। ধন্যবাদ।