মিষ্টিময় একদিনের গল্প
শুভ বিকেল বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছো।
মিষ্টি কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবারের সাথে বাঙালির একটি দারুন সম্পর্ক রয়েছে, এ যেন শেকড়ের মতো সম্পর্ক। কারন বাঙালির প্রতিদিন এবং প্রতিটি অনুষ্ঠান আরো বেশী সুন্দর ও মধুর হয়ে উঠে নানা জাতীয় মিষ্টির মাধ্যমে। যার কারনে আমরা মিষ্টি ছাড়া কোন বিশেষ দিন কিংবা উৎসব এর কল্পনা করতে পারি না। কারন মিষ্টি জাতীয় দ্রব্যাদি ছাড়া সবকিছু যেমন যেন অপূর্ণ থেকে যায় এবং স্বাদটা বড্ড বেশী পানসে লাগে।
এছাড়াও বাঙালি জাতির সংস্কৃতিতে এক বড় অংশ দখল করে আছে এই মিষ্টি । কারন সুদূর অতীতকাল হতেই বাঙালির সাথে মিষ্টির সুসম্পর্ক বেশ লক্ষনীয়। আর অতীত সংস্কৃতির অংশ হিসেবে যুগের পর যুগ আমরা এটাকে ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কোথায় বেড়াতে যাবো, কিংবা বাড়িতে মেহমান আসবে, প্রথম চিন্তায় থাকে মিষ্টি জাতীয় কিছু। আমার বাড়ীতে বিশেষ কোন আয়োজন হবে, খাবার শেষে কিংবা শেষ পাতে মিষ্টি অথবা দই থাকাটা নিশ্চিত বিষয়। কারন এটা ছাড়া স্বাদটা পূর্ণতা পাবে না।
আর যাইহোক, মিষ্টি ছাড়া আমরা কিছু কল্পনা করতে পারি না, এটা বাঙালি ছাড়া অন্য জাতিরাও বেশ ভালো জানে। কারন আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ দিনগুলোতে তারাও মিষ্টির মাধ্যমে আমাদের শুভেচ্ছা জানাতে চেষ্টা যেমন করে, ঠিক তেমনি তারাও বাঙালি সংস্কৃতির অংশ এই সকল মিষ্টির মাধ্যমে দিনটি উপভোগ করার চেষ্টা করেন। এখনতো আরো বেশী উন্নত ও আধুনিক নাম নিয়ে নানা ধরনের ব্রান্ড তৈরী হয়েগেছে এই মিষ্টি নিয়ে এবং তার সাথে সাথে দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এদের নাম এবং সুনাম।
যাইহোক, গত শুক্রবার বেড়াতে গিয়েছিলাম, ঢাকার বাহিরে। আসলে শুক্রবারটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার সুবাধে, দিনটিকে ভিন্নভাবে উপভোগ করার চেস্টা করি আমি। কারন ঐ যে অন্য সময় সুযোগ পাওয়া যায় না। আর চাকুরীজীবীদের জন্য সত্যি এটা একটা সমস্যা, চাইলেই কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায় না সহজে। অনেক কিছু চিন্তা করতে হয় এবং ছুটির একটি বিষয়ও থাকে এখানে। তাই সব মিলিয়ে সব সময় সে সুযোগটা আর পাওয়া যায় না। তাই অগ্যতা শুক্রবারটিকে সব সময় বেছে নিতে হয়।
যেহেতু নারায়নগঞ্জ গিয়েছিলাম, যেহেতু আমার প্রিয় মিষ্টির দোকানটিকে বেছে নেই। দোকানটির নাম হলো প্রাণ বল্লভ, নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের খুবই জনপ্রিয় একটি নাম এটি, আমি সেই ছোট বেলা হতে দেখে আসছি এই নাম। সেই একভাবে এখনো জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন তারা। আসলে ভালো জিনিষের কদর সবাই করে, প্রাণ বল্লভ সেই ক্ষেত্রে দারুন উদাহরণ। আর তাদের অনন্য সৃষ্টি স্পন্স মিষ্টিটি আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে সব সময়। বাকিগুলোর কথা নাই বল্লাম আজ।
তবে হ্যা, দই এর কথা আলাদা অবশ্যই বলতে হবে। কারন এখন পর্যন্ত আমি যতগুলো ব্রান্ডের দই এর স্বাদ চেক করেছি, প্রাণ বল্লভ এর দইয়ের মতো স্বাদ কোথায় পাই নাই। যার কারনে আমি কখনো এই দিকে আসার সুযোগ পেলেই দই নেয়ার সুযোগটি কখনো মিস করি না। বাড়ীর জন্য নিয়ে আসি এক হাড়ি। এটা তখন আমার জন্য বাড়তি পাওয়া হয়ে যায়।
যাইহোক, আপনার দিনটি প্রাণ বল্লভ মিষ্টির মতো মিষ্টিময় হয়ে উঠুক এবং বাঙালির সংস্কৃতির অংশ মিষ্টি টিকে থাকুক তার কাংখিত অবস্থানে, তার সাথে সাথে আমাদের দিনগুলো হয়ে উঠুক আরো বেশী উপভোগ্য ও আনন্দময়।
W3W Code: https://what3words.com/plugs.situation.smashes
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
ঠিকই বলেছেন ভাই মিষ্টির সাথে বাঙালির অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে যার জলজ্যান্ত উদাহরণ আমি। মিষ্টি আমার অত্যন্ত প্রিয় মেয়ে একসাথে অনেকগুলো খেতে পারি। আমার সবচাইতে গরুর দুধের ছানার মিষ্টি টা অনেক ভালো লাগে।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া মিষ্টি ছাড়া বাঙালির কোনো উৎসবই সম্পন্ন হয়না।আপনার বিভিন্ন মিষ্টির ছবি দেখে তো আমার এখনই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আজকের বিকেলটা মিষ্টি হয়ে গেলো ভাই।আসলে যারা চাকুরীজীবী তারা পরাধীন নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে থাকতে হয়।আসলে আপনাদের জন্য শুক্রবার বিশেষ দিন।আমরা বিন্দাস কোন পেরা নাই।
মিষ্টি গুলো ছবি ভাই খুব অসাধারণ হয়েছে।সময় পেলে পোড়াবাড়ির মিষ্টি খেয়ে জায়েন।দাওয়াত রইলো।
মিষ্টির প্রতি দুর্বলতা আমাদের বাঙ্গালীদের একটি সহজাত ধর্ম বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জে আরো কয়েকটা ভালো মিষ্টির দোকান আছে। যেমন গোপালের মিষ্টি ঘরের মিষ্টি গুলোও দারুন খেতে। আরেকবার নারায়ণগঞ্জ গেলে প্রাণ বল্লবের মিষ্টিও পরখ করে দেখবো ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি মিষ্টি নিয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি ও আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে দই এর ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়ছে কারণ আমার দই খেতে খুব ভালো লাগে।
খাবারের পোস্ট দেখলেই যেন খেতে ইচ্ছা করে। অনেক সুন্দর উপস্থাপনার সাথে দুর্দান্ত স্বাদের সুস্বাদু মিষ্টি গুলি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভেচ্ছা অবিরাম।
আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর মিষ্টি ছাড়া তো কাউর ভালো কাজের উৎযাপন হয় না। মিষ্টির ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।
মিষ্টির ছবিগুলো দেখে মন ভরে গেল। মিষ্টি সম্পর্কে আপনি সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।এছাড়া ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান সম্পর্কে জানতে পারলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি কখনো এমন পুরনো দোকান গুলোর মিষ্টি খাইনি।সবসময় ফুলকলি,ওয়েল ফুড এমন ধরণের মিষ্টিই খাই কারণ আব্বু তো দেশে থাকেনা এমন খুজে খুজে আনার জন্য।আমার খুব ইচ্ছে এমন দোকানের মিষ্টি খাওয়ার।শুনেছি এগুলো খুব মজা হয়। আপনার পোস্ট পড়ে তো আরো খেতে ইচ্ছে করছে।আহা 🤕
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বাঙ্গালীদের কি মিষ্টি ছাড়া চলে? আমার মনে হয় এমন কোন বাঙালি পাওয়া যাবে না যে মিষ্টি পছন্দ করেনা, আমাদের এখানেও বাঙালি, ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানের দোকানগুলোতে মিষ্টি পাওয়া যায় কিন্তু এই মিষ্টিগুলোর স্বাদ বাংলাদেশের মতো নয়, কিছু কিছু আবার একেবারে খারাপও নয়। এদেশের ইংলিশ মানুষেরা কিন্তু মিষ্টি খায় না, তাদেরকে মাঝে মাঝে আমাদের এই মিষ্টি টেস্ট করাই তারা খেয়ে খুবই খুশি হয় আর বলে কোথায় পাওয়া যায় এই মিষ্টি।