আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ নিয়ম ]
হ্যালো বন্ধুরা,
আমরা নানা ধরনের নিয়মের কথা বলি, অন্যদের এগুলো অনুসরণ করার কথাও বলে থাকি কিন্তু নিয়ম আসলে আসে কোত্থেকে? কোথায় থাকে নিয়ম গুলো? আপনি কি কখনো এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করেছেন? অথবা কখনো কি বিষয়গুলো আপনার মাথায় ঘুরপাক খেয়েছে?
আসলে নিয়ম আমাদের কাছ হতেই তৈরী এবং আমরাই এগুলো সবার সম্মুখে নিয়ে আসি। দেখুন কোন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি কিছুটা সফলতা পেয়েছেন অথবা নিজের কাংখিত অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন সবাই আপনার কাছে আপনার সফলতার রহস্য জানতে চাইলে আপনি সে বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করতে বলবেন সবাইকে, যেগুলোর সঠিক অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি সঠিক বা কাংখিত অবস্থানে আসতে পেরেছেন।
যার কারনে আমার কাছে, আপনার কাছে এই বিষয়টিগুলো একটা নিয়ম হিসেবে বিবেচ্য হবে, আমি-আপনি সবাই চাইবো সেই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে, যে বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে সে কাংখিত অবস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। এগুলো আমাদের নিকট নিয়ম হতে শুরু করবে। সুতরাং নিয়ম থাকে না বরং আমরা আমাদের সুবিধার্থে তা করে নেই, আমাদের প্রয়োজন মতো আমরা তা তৈরি করি।
আমি মাঝে মাঝে এই রকম অনেক বিষয় নিয়ে চিন্তা করি, আচ্ছা কে এই নিয়মটি তৈরী করলো? ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে কিভাবে কাজ করতে হবে? মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করতে হলে কিভাবে মোবাইল সেট হাতে ধরতে হবে? কতটা এঙ্গেল এ মোবাইল রাখতে হবে? কতটা আলোতে ফটোগ্রাফি করা উচিত? অথবা বহুল প্রচারিত রুল অব থার্ডস কি? কে এগুলোকে সম্মুখে নিয়ে আসলো, ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাবনাগুলো আমাকে ঘিরে ধরে এবং নতুনভাবে অনেক কিছু চিন্তা করার পথ তৈরী করে দেয়।
তারপর নিজের অবস্থান পরিস্কার করার চেষ্টা করি, কেন আমি সেই নিয়মগুলোকে খুঁজতে খুঁজতে নিজেকে অন্যের নিয়মের মাঝে হারিয়ে ফেলছি? কেন আমি নিজের মতো করে নিজের চেষ্টাটা করছি না? কেন আমি আমার মতো করে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলমান রাখছি না? এই ভাবনাগুলো আবার আমার জানার ইচ্ছেটাকে প্রবলভাবে ধাক্কা দেয় এবং নিজের এক্সপেরিমেন্ট অভিজ্ঞতাটা বৃদ্ধি করার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। তখন নিয়ম বাদ দিয়ে নিজের মতো করেই সব কিছু চিন্তা করা শুরু করি।
না আমি এখনো মোবাইল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে রুল অব থার্ডস নিয়ে খুব বেশী ঘাটাঘাটি করি নাই, ক্যামেরার অবস্থান এবং এঙ্গেল নিয়ে ভাবি নাই কিংবা কতটা আলোর থাকা জরুরী সেটা বিবেচনায় রাখি নাই, বরং ফটোগ্রাফি করার সময় নিজের পছন্দ, ভালোলাগা এবং চক্ষুদ্বয়কে পূর্ণ ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। আর এভাবে শুরু হতে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছি, নিজের নিয়ম নিজের কাজেই ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। হয়তো আপনি ভিন্ন কিছুকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করছেন, সেটা আপনার দৃষ্টিকোন হতে ঠিক আছে কিন্তু আমার দৃষ্টিকোণ হতে ঠিক নাও থাকতে পারে। তাই কিছু করার ক্ষেত্রে নিজের মূল্যায়নটাকে, নিজের ভালোলাগার বিষয়টিকে বেশী প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করি আমি।
তাই আজকের আবোল-তাবোল পর্বে, নিজের ভালো লাগার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছি আমি, নিজের নিয়ম নিজেই তৈরী করার পক্ষপাতিত্ব করছি আমি। আমার অবস্থান হতে, আমার সুবিধা গুলো বিবেচনায় নিয়ে, আমার অভিজ্ঞতা গুলোর পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করাই আমার নিয়ম- যা আমার নিকট হতে শুরু এবং আমার মাঝেই শেষ। হয়তো শেষ নয়, অন্যদের ভালো লাগতে পারে এবং তারাও সে দিকে উৎসাহিত হতে পারে। তাই হয়তো .... .... .... ... .... ... ... এরপরের বিষয়গুলো উহ্য থাকুক।
আশা করি আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে, হাঁটার পথে যা কিছু ভালো লেগেছে, সবই ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি, এটা সবসময় করে থাকি আমি।
W3W Location Code: https://what3words.com/reviewed.conquests.giants
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
ভাইয়া,সত্যি কথা বলতে কি আপনার প্রতিটি লেখা খুবই মূল্যবান আমাদের কাজে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিয়মগুলো আমাদের সুবিধার্থে আমরা তৈরি করে থাকি। নিয়মগুলো আমাদের থেকেই তৈরি হয়। নিয়মগুলো যদি মানতে চায় তাহলে নিয়মের গন্ডিতে আটকা পড়ে থাকবো।নিজের মধ্যে যে সৃজনশীলতা নিজের মধ্যে যে পরিবর্তনশীলতা সেটা আর প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।
আবোল তাবোল জীবনের গল্পের লেখাটির মধ্যে আমার এই লেখাটি খুবই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। সুন্দর একটি বাস্তবসম্মত গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একটা বিষয় সত্যি বলছেন ভাইয়া নিয়ম আসলে আমরা নিজেদের সুবিধার জন্যই তৈরি করে থাকি ।অন্যের অনুকরণ করার নিয়ম আসলে আমাদের জীবনে তেমন সফলতা আনে না বললেই চলে। কারন অন্যের দৈনন্দিন জীবনের সাথে তো আমাদের জীবন মিলবেনা তার চিন্তা-ভাবনা চলাফেরা সাথে আমাদের চিন্তা ভাবনার মিল হবে না । আমাদের উচিত আমাদের সুবিধার জন্য এমন একটি নিয়ম করা যার মধ্য দিয়ে সব গুলোকে আমরা সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিয়ে নিজের জীবনকে ছন্দময় করতে পারি ।আপনার লেখায় একটা জিনিস খুব ভালো লাগে আপনি কিছু ন্যাচারাল পিকচার অ্যাড করেন আবোল-তাবোল আপনার গল্পগুলো ভালো লাগে বাস্তবসম্মত গল্প নিজেকে নিয়ে।
প্রথমেই ধন্যবাদ দিচ্ছি আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য। এটা সত্যি এবং বাস্তব অন্যদের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা আমাদের নিজের ভিতরের যোগ্যতাগুলোকে চাপা দিয়ে ফেলি।
বর্তমান জীবনের লক্ষ্য হয়েছে পরনির্ভরশীল যেটা কাম্য নয়। নিজের মেধা শক্তিকে কাজে লাগানোর ইচ্ছা শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।আমাদের চিন্তা চেতনা মূল লক্ষ্যে পৌছানো দরকার। বাস্তবিক চিন্তা ভাবনা ও আবোল তাবোল গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। 😍😍
ঠিক বলেছেন ভাই, পরনির্ভরশীলতা আমাদের ভিন্ন পথে নিয়ে যায়।
হ্যাঁ আপনি যদি সফলতা লাভ করেন তখন আপনি কিভাবে সফলতা লাভ করলেন আপনি তারপর কিছু বক্তব্য দিলেন। ওই নিয়ম যদি কেউ অনুসরণ করে তাহলে একটা নিয়ম তৈরি হয়ে গেল। আসলে নিয়ম মানুষই তৈরি করে।হ্যাঁ কিছু করার ক্ষেত্রে নিজের মূল্যায়ন কেই প্রধান্য দেওয়া উচিত। আসলেই অনেক ভালো কথা বলছেন ভাইয়া। নিজের উপর ভরসা করা উচিত
ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের নিয়ম নিজেই তৈরি করার মধ্যে আলাদা যে মজা পাওয়া যায় তা অন্য কোনো নিয়ম পালন করে মজা পাওয়া যায়না। তবে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত আমরা নিজেরা যে নিয়ম নীতি গুলো তৈরি করবো বা করছি ওই নিয়ম কানুন গুলো যেনো অন্যের কাছে ভালো না লাগলেও, অন্যের কাছে তা দৃষ্টি কটু না হয়। নিয়ম গুলো এমন হওয়া উচিত যাতে নিজের ও ভালো হয় এবং অন্যের ও। আপনার ছবি তোলা সব সময় ই ভালো লাগে
বেশি ভালো লাগে সিম্পল জিনিষ গুলোকে কত সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারেন!এই গুণ টা আপনার মধ্যে মাশাল্লাহ অনেক বেশি।
মাশাল্লাহ বলে নিছেন, তাইলে এখন আর মুখ দোষ লাগবো না, হি হি হি
ধন্যবাদ ম্যাডাম।
আমরা আমাদের জীবনটা বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ করে নিয়েছি। অন্যের সাফল্যের পথ গুলো অনুসরণ করতে গিয়ে নিজেকে তাদের সাফল্যের নিয়মে বেঁধে ফেলেছি।হয়তো আমরা ভাবছি অন্যকেউ যেভাবে সফলতা অর্জন করেছে আমরা নিশ্চয়ই সেই পথ গুলো অনুসরণ করে সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারব। কিন্তু এর মধ্যে হারিয়ে গেছে আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব। আমরা কেন নিজেরা নিজেদের সফলতার পথ বেছে নিচ্ছি না বা কেনইবা আমরা অন্যকে অনুসরণ করবো এটাই ভাবার বিষয়। তবে এই পৃথিবীটাই এমন সবাই সফল ব্যক্তিদের অনুসরণ করে এবং তার দেখানো পথ গুলোকে নিয়ম হিসেবে মেনে নিয়েছে। আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যা, এটা সত্য বলেছেন নিজেরাই নিজেদের জীবনকে আবদ্ধ করে ফেলছি নানা নিয়মের মাঝে। ধন্যবাদ
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া এতো সুন্দর একটা বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমরা হলাম নিয়মের দাস। একটা নিয়ম একবার আমাদের আওতাধীন হলে সেটা বেশি একটা ভুল হয় না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এমন যে,,, একটা নিয়ম যেটা কিনা সবারই মানা লাগবে, পরিবার আমাকে বলবে অন্যদের নিয়ম মতো চলতে, যেন আমার নিজের কোনো স্বাধীনতা বলতে কিছু থাকে না জীবনটা যেন অন্যের বেধে দেওয়া নিয়মে চলতে শুরু করে।
আপনার আজকের লেখাটা অনেক সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুভ কামনা ভাইয়া।
হুম নানা কারনে আমরা আজ নিয়মের দাস হতে বাধ্য হচ্ছি, আর এর মূলে রয়েছে আমাদের ভুল নিয়েমের পিছনে ছুটে চলা। ধন্যবাদ
আসলে নিয়ম বলে আমি মনে করি কিছুই না আমরা যদি প্রত্যেকটা কাজ নিজের মতো করে বা নিজের মনে করে করি তাহলে কোনো কাজেই খারাপ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের এইখানে আমরা খুব সর্টকাটে কোন একটা কাজ করে তা থেকে ভালো কিছু পাওয়ার চিন্তা করি। আর এই সর্টকাট করতে গিয়ে আমরা প্রকৃত কাজটা থেকে দূরে সরে যাই এবং সেটা থেকে কোন আশানুরূপ ফলাফল পাই না। যার কারণে আমাদের প্রত্যেককেই যেকোনো কাজের জন্য নিয়ম করে করা উচিত। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। নিয়ম নিয়ে আপনি অসাধারণ কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা
হ্যা, যতক্ষন আপনি নিজের ভালো লাগার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিবেন, নিজের হৃদয়ের কথা শুনবেন, ততক্ষন নিজের নিয়মগুলোই নিজের কাছে সহজসাধ্য মনে হবে। ধন্যবাদ
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আমি জানি যে আমি যদি তার নিয়ম অনুসরণ করে চলি তবে তা আমার জন্য কঠিন হবে এবং আমার সময় শ্রম বেশি ব্যয় হবে।তবুও অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় আমরা অন্যের নিয়মই মেনে চলি কেননা দুজনের কাছে সেই নিয়ম প্রশংসনীয়।যদি তাল মেলাতে পারি তো মানতে সমস্যা নাই কিন্তু যেখানে আমি পারছিইনা তো আমার কি দরকার তার নিয়ম মানার।নিজের বুদ্ধিমত্তা খরচ করে নিজেই নিজের মতো করে নিয়ম বানিয়ে জীবনকে সহজ বানিয়ে নেবো।এতে নিজের প্রতিভাগুলোও বিকশিত হবে ভালোভাবে।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই ❣️🥀 ভালো লাগছে অনেক🥰
জ্বী ঠিক বলেছেন, নিজের বুদ্ধির সঠিক ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে আমাদের, আমার মতো করে আমার নিয়ম তৈরী করতে হবে। ধন্যবাদ