আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ প্রশ্ন ]
শুভ দুপুর বন্ধুরা,
আবোল-তাবোল জীবনের গল্প নিয়ে ধারাবাহিক কিছু বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি, কারন কিছু বিষয়ে আমাদের যেমন চরম উদাসীনতা রয়েছে ঠিক তেমনি কিছু বিষয়ে আমাদের অধীক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেগুলোর মাঝ হতে আজ আমি একটি বিষয় উপস্থাপন করবো, নিজের আবেগ ও অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার চেষ্টা করবো এবং বিষয়টি নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিবো।
আসলে অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাটা খুব সহজ বিষয় না, আবার অনেক সহজসাধ্য বিষয়ও হতে পারে, যদি আপনি বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেন এবং আপনার মনোযোগ কিংবা চেষ্টা একটু বৃদ্ধি করেন। আমাদের চেষ্টা এবং মনোযোগ সেখানে সঠিক মাত্রায় থাকে, সেখানে আমরা ভালো কিছু করতে সমর্থ হই এবং হতে বাধ্য। কিন্তু যেখানে উদাসীনতার বিষয়টি উপস্থিত থাকে, সেখানে কিছুই প্রাপ্তি ঘটে না বা ঘটবে না, এটাই সহজ সমীকরণ।
যাইহোক, আজকের বিষয়টি প্রশ্ন নিয়ে। দেখুন প্রতিটি শিশু একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুসরণ করে শেখার চেষ্টা করে, সকলের মাঝেই কিন্তু একই রকম প্যাটার্ন খুঁজে পাবেন না, কারন ব্যক্তি হিসেবে আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন সত্তার। তাই আমাদের শেখার বৈশিষ্ট্যটিও ভিন্ন। কিন্তু একটা বিষয়ে আমাদের সকলের মাঝে দারুণ একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায় আর সেটা হলো প্রশ্ন। শিশু হতে শুরু করে সকল শ্রেণীর বা বয়সের মানুষের এই প্যাটার্নটায় বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
শেখার শুরুটা করা হয় প্রশ্ন দিয়ে। কারন মানুষের আগ্রহ কিংবা কৌতুহল প্রকাশ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো প্রশ্ন। আর যদি শেখার আগ্রহ কিংবা জানার কৌতুহল আপনার মাঝে না থাকে, তবে যত আকর্ষণীয় বিষয় সম্মুখে আসুক না কেন আপনার মনে কোন প্রশ্ন আসবে না বা জাগবে না। কারন শেখার কিংবা জানার আগ্রহের থেকেই মানুষের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। আমার ১৯ মাসের ছোট মেয়েও নতুন কিছু দেখলেই বলে বাবা কি কি কি? কি শব্দটা সে তিনবার উচ্চারণ করেন, শুধুমাত্র আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এবং বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য।
যতক্ষন পর্যন্ত এই বিষয়টির উপস্থিতি তার মাঝে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সেগুলোকে চিনবে। কিন্তু যদি এই আগ্রহ এবং কৌতুহলটি তার মাঝে না থাকতো, তাহলে নতুন কোন বিষয়ে জানার সুযোগ সে পেত না, তার জানার কিংবা তথ্য ভান্ডারটি ছোটই থেকে যেতো। বিষয়টি এখন পরিস্কার আমাদের নিকট, যত আগ্রহ-যত কৌতুহল ঠিক ততো বেশী প্রশ্ন। আর যত বেশী প্রশ্ন ততোবেশী শেখা বা জানার সুযোগ এবং নিজের জ্ঞান কিংবা তথ্য ভান্ডার বৃদ্ধি নিশ্চিত।
কিন্তু কেন জানি আজকাল আমাদের মাঝে শেখার আগ্রহটা হারিয়ে যাচ্ছে, আমরা নতুন বিষয়ে কিছু জানতে বা প্রশ্ন করতে আগ্রহ দেখাচ্ছি না। কারণটা কি? কেন আমাদের এই রকম অবস্থা? কারন আমরা দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছি, অন্যের উপর নিজেকে নির্ভরশীল করে তুলছি। কোন বিষয় নিয়ে কষ্ট বা সাধনা করতে ইচ্ছুক না। যার কারনে আমাদের অবস্থার উন্নতি ঘটছে না এবং আমরা আমাদের বৃত্ত হতে বের হয়ে আসতে পারছি না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক আমাদের জন্য।
প্রশ্ন করুন, যা কিছু দেখছেন বা শুনছেন তা নিয়ে। নিজের ভেতরে শেখার আগ্রহ তৈরী করুন, তবেই নিজের বৃত্ত এবং সীমাবদ্ধতাকে দূর করতে সক্ষম হবেন। সবকিছু এখন আপনার মানসিকতার উপর নির্ভর করছে, এভাবে থাকবেন নাকি নিজের মাঝে পরিবর্তন আনবেন!
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
আজকাল এই সমস্যা দেখতে পাচ্ছি আজকালকার বাচ্চাদের মধ্যেও। আজকালকার বাচ্চারা একটু হাটতে চলতে শিখতেই শুরু করে দেয় ফোন চালানো আর তাদের জ্ঞান তার মধ্যেই আটকানো শুরু করে। প্রশ্ন আমার জ্ঞান বৃদ্ধির একটা মাধ্যম।
হুম ঠিক ধরছেন আপনি, নিজের আবেগ প্রকাশ করতে চায় না প্রশ্ন করতে চায় না।
"যত বেশী প্রশ্ন ততোবেশী শেখা বা জানার সুযোগ এবং নিজের জ্ঞান কিংবা তথ্য ভান্ডার বৃদ্ধি নিশ্চিত।" আমি পুরোপুরি একমত ভাইয়া৷ আসলেই শিখার এবং জানার কোন শেষ নেই, নির্দিষ্ট বয়স নেই। খুব দারুণ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন, আমার খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে আমারও ভালো লেগেছে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাইয়া আপনার কথা গুলু পুরাই যুক্তি যুক্ত ,প্রশ্ন ,,,,এই প্রশ্ন আমাদের শেখাতে পারে , এই প্রশ্ন আমাদের জ্ঞান বাড়াতে পারে ,আবার এই প্রশ্ন আমাদের নতুন কোনো বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারে।
সত্যি কথা এটা যে আমরা এই প্রশ্ন করা থেকে বিরত আছি , ও দিনের পর দিন থাকছি ও আমরা বুজতে পারছিনা এই জিনিস গুলা আমাদের বেসিক্যালি জ্ঞান থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এই পথ থেকে আমাদের সরে আসতে হবে। অনেক সুন্দর কথা বলেছেন ভাইয়া , ধন্যবাদ।
আজ কাল অনেকেই প্রশ্ন করতে চায় না, নিজের সংকোচ দূর করার চেষ্টা করেন না, এটা হতে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনার কথা গুলো খুব তাৎপর্যপূর্ণ কথা। আপনি খুবই সুন্দর কথা বলেছেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
সত্যি আমরা ইচ্ছা করলেও অনেক কিছু জানার জন্য লজ্জাবোধ করি। এই কারনে বলতে পারি না আসলে এইটা আমাদের নিজেদের অনেক ক্ষতি হয়।আসলেই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে কিন্তু আমরা প্রকাশ করি না।এজন্য সবকিছু থেকে পিছিয়ে থাকি। আমাদের উচিত বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং নতুন জ্ঞান অর্জন করা। সত্যি আপনার মেয়ে যখন কোন কিছু দেখে এবং প্রশ্ন করেছে ছোট থেকেই প্রশ্ন করার একটি চাহিদা তার ভিতরে দেখলাম।খুবই ভালো লাগলো কথাটি শুনে এবং আমাদের যেকোন বিষয়ে কেন বলতে হবে যে এটা কেমনে হলো তাহলে সে অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবে। অনেক ভাল ছিল ভাইয়া। আপনার আজকের বক্তব্য টি
হ্যা, লজ্জাবোধ আমাদের মাঝে খুব বেশী এখন, তাই না বুঝলেও প্রশ্ন করতে চাই না।
সত্যিই ভাইয়া,আপনার সবগুলো কথায় একটা অনুপ্রেরণা আছে৷ পূর্বের লিখাগুলোর মত এখানেও আপনি অনেক কিছু শিখিয়ে দিলেন। আমরা নিজেরা নিজেদের জানতে ভুলে যাচ্ছি,জানার আগ্রহ বা ইচ্ছাটাকেও হারিয়ে পেলতেছি। হয়ত সবকিছু আমাদের অলসতা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন সবটা।
একদম তাই, আমাদের মানসিকতার কারনেই আমরা সর্বদা পিছিয়ে থাকি। ধন্যবাদ
আপনি একদম বাস্তব কথাটি বলেছেন। আমার মনে হয় শুধু অলসতাই এর কারণ নয়, আরো কিছু কারণ আছে যেগুলোর মধ্যে একটা হল যখন আমরা উল্টো দিকের মানুষকে প্রশ্ন করি তখন ওনারা সেই উত্তর না দিতে চাইলে বকাবকি করেন বা আমাদের থামিয়ে দেন। এই কারণে কিছু ছেলে মেয়ে প্রশ্ন করতে ভয় পায় বা ইতস্তত বোধ করে। কিন্তু আমি আপনার সাথে একমত যে প্রশ্ন করা উচিত। প্রশ্ন না করলে জ্ঞান বৃদ্ধি হবে না,জানতেও পারব না কিছু, যে কোনো কোন বিষয়েই অজানা থেকে যাবে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কথাগুলো বলেছেন। সত্যি প্রত্যেকটা মানুষের শেখার এবং জানার আগ্রহ থাকা উচিত।
হ্যা, এটা একটা সঠিক কারন আপনি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমি মনে করি প্রশ্নের মাধ্যমেই আমাদের জ্ঞানের পরিধীটা বৃদ্ধি পাবে। অনেকেই আছে কোনো কিছু না জানলে বা না বুঝলেও একেবারে চুপ করে থাকে। অনেকে আবার সংকোচের কারণেও কোনো প্রশ্ন করেনা আর তখন ওই বিষয়টা তার অজানাই থেকে যায়। আপনার এই আবোল তাবোল লেখা গুলো আমার খুব বেশি ভালো লাগে কারণ অনেক যৌক্তিক কথা লিখেন।
একদম তাই, আমাদের মানসিকতা চেঞ্জ করতে হবে এবং ভেতরের কৌতুহলকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ
দারুন একটি বিষয় এর উপর আপনি আলোকপাত করেছেন।সত্যি জিজ্ঞাসু মন না থাকলে জ্ঞান এর পরিধি বাড়বে না।একজন মানুষ এর প্রশ্নের ধরণ শুনে বোঝা যায় সে ওই বিষয়ে কতটুকু জ্ঞান রাখে বা বুঝতে পারছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা, লেখাগুলো পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।