হ্যালো বন্ধুরা,
শীতকাল মানেই আমার কাছে ভিন্ন অনুভূতির মাস, না আবার মনের মাঝে উল্টা-পাল্টা চিন্তা ঢুকিয়েন না কিন্তু। আমি বলতে চাইছি ভিন্ন স্বাদের অনুভূতির মাস, নাহ এখনো উল্টা চিন্তা করতেছেন আপনারা, আরে ভাই খাবারের বিষয়টির কথা বলছি আমি। শীত মানেই তো রবি শষ্য, আর রবি শষ্য মানেই তো স্বাদের অনুভূতি। এইবার তো ক্লিয়ার হইলেন বিষয়টি নাকি? হা হা হা হা
আসলে একটু মজা কিংবা আনন্দের অনুভূতি ছাড়া পোষ্ট লেখার মাঝে যেমন মজা খুঁজে পাই না আমি ঠিক তেমনি আপনাদের ভেংচি কাটা হাসির মুখ না দেখলেও আনন্দ পাই না আমি। আমার মূল উদ্দেশ্য ছিলো লেখা কিংবা মন্তব্যের মাঝে একটা আনন্দের ভাব তৈরী করা। হ্যা, বলতে পারেন এই ক্ষেত্রে আমি বেশ অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ এখন অনেকেই তাদের লেখাগুলোকে আমার মতো জীবন্ত করার চেষ্টা করছেন এবং কমেন্ট করার ক্ষেত্রেও হাসির একটা লেস জুড়ে দিচ্ছেন। আমার কাছে সত্যি এ বিষয়টি বেশ উপভোগ্য মনে হচ্ছে।
আসলে আমি যেটা মনে করি, বিনা রসে লেখাগুলো যেমন উপভোগ্য হয় না, ঠিক তেমনি কমেন্ট করার ক্ষেত্রে একটা দুষ্টু ভাব না থাকলে মন্তব্য পড়ে রিপ্লাই দেয়ার মানসিকতা তৈরী হয় না। এটা ঠিক আমি সবার পোষ্টে মন্তব্য করতে পারি না, তবে যাদের কে কমেন্ট করি, তারা অন্তত কমেন্টগুলো পড়ে একটু মুচকি হাসবেন এবং কমেন্টের রিপ্লাই দেখার ক্ষেত্রে আগ্রহ অনুভব করবেন। আপনি যদি ঠিক এই কাজটা করতে পারেন, তাহলে আমি চোখ বুঝে বলতে পারবো, আপনার লেখা কিংবা মন্তব্যের ব্যাপারে একটা দারুণ অডিয়েন্স তৈরীতে আপনি সক্ষম হবেন। বাকিটা আপনার চিন্তা শক্তির উপর নির্ভর করছে।
যাইহোক, আজকের মূল বিষয়ে ফিরে আসছি আর সেটা হলো শীতের স্বাদের অনুভূতি। হ্যা, আজকে আমি স্বাদের একটা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের রেসিপিটি হলো লাউ নিয়ে, লাউকে আমাদের বাড়ীতে বলা ঠান্ডা এবং সতেজ সবজি। আর এর স্বাদটা তখনই পারফেক্ট মনে হয় যখন এটাকে রান্না করা হয় চিংড়ি কিংবা শোল মাছ দিয়ে। তবে আমি আজ চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ এর রেসিপি শেয়ার করবো, চলুন তাহলে শুরু করি-
উপকরণ সমূহঃ
- লাউ
- চিংড়ি মাছ
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- হলুদ গুড়া
- মচির গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- আদা-রসুন পেষ্ট
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে লাউটিকে সুন্দর করে স্লাইস করে নিবো, এগুলো খুব বেশী মোটা কিংবা পাতলা করা যাবে না।
এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কিছু তেল ঢালবো তারপর পেঁয়াজ কুচিগুলো ঢেলে দিবো।
তারপর আমরা মসলাগুলো দিয়ে দিবো এবং কিছুটা সময় কষা করার চেষ্টা করবো।
সমসাগুলো কষানো হয়ে গেলে চিংড়ি মাছগুলো ঢেলে দিবো, তারপর কিছুটা পানি দিয়ে আরো একটু কষা করবো।
কষাটা ঠিক ঠাক হয়ে গেলে লাউ এর স্লাইসগুলো দিয়ে দিবো।
এরপর মসলাগুলোর সাথে লাউয়ের স্লাইসগুলোকে মাখানোর চেষ্টা করবো, তারপর একটা ঢাকনা দেয় লাউগুলোকে ঢেকে দিবো, যাতে দ্রুত সিদ্ধ হয়।
লাউ সিদ্ধ হয়ে আসলে একটু নেড়েচেড়ে দিবো তারপর কিছুটা পানি ঢালবো।
ঝোল কমে আসলে ধনিয়া পাতা এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দিবো। তারপর প্রয়োজন মতো ঝোল রেখে নামিয়ে নিবো।
তো, হয়ে গেলো আজকের স্বাদের লাউ রান্না চিংড়ি মাছ দিয়ে, দেখেই বুঝতে পারছেন স্বাদের পরিমানটা কি রকম হতে পারে? আমি যাই স্বাদের পরিমাপটা ঠিক ঠাক করে আসি, হে হে হে হে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, পোস্ট পড়ার সময় কিছু সময় দুষ্টুমিও করতে হয় তাহলে পোস্টির প্রতি একটি আকর্ষণ থাকে এবং কমেন্ট করে অনেক মজা পাওয়া যায়। ভাই শীতের কালে আমিতো এখন নরসিংদীতে আছি, শীতের কোন সবজি এখন খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটি আমার জিভে জল এনে দিলো!! এখন আমার করনীয় কি?
আমি এই শীতের ভিতরে আসছি আপনার বাড়ি।আপনার দাদা ফিরলে বলবো ভিসা করে দিতে। শুধু মজার মজার খাবার রান্না করে ভাবী আর আপনি আমাদেরকে লোভ দেখিয়ে খান। তাই আপনার নামে মামলা করবো ভাইয়া। হা হা হা। আপনার লেখা পড়ে সত্যি খুব হাসি পেয়েছে। আপনার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে। আর ও ভালো লাগে আপনার কমেন্ট গুলো খুব হাসি ও পায়। লাউ ও চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে অসাধারন লাগে। আপনার রেসিপি দেখে খুব লোভ হচ্ছে ভাইয়া। আপনার রান্না দেখে মনে হয় খুবই টেস্টি হয়েছে। এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
খুব খুশি হবো তাহলে বৌদি, আমিও পাসপোর্ট করতে দিয়েছি তারপর বেড়াতে আসতেছি আপনাদের ওখানেও, হে হে হে।
আপনিও কিন্তু অনেক মজার মজার রান্না করেন, আমিতো এখনো শিখছি। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাইয়া আমি কিন্তু আপনার উপরের লেখাটি পড়ে সত্যি সত্যি মুখ ভেংচি কেটে হাসি দিয়েছি আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন? আপনার লেখাগুলো পড়লে আসলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এবং আপনার কমেন্টগুলো পড়ে সত্যিই অনেক মজা লাগে এবং হাসি আসে।
ভাইয়া মনে হয় লাউ এর জন্মই হয়েছে শোল মাছ আর চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করার জন্য। এ দুটি মাছ দিয়ে রান্না করলে তরকারি এত ভালো লাগে কি আর বলব তারপরে উপর দিয়ে যদি ধনিয়াপাতা দেওয়া হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।আপনি তো সেইরকম করে ধনিয়াপাতা দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলেন দেখে তো মনে হচ্ছে এত মজা হয়েছে আমি কিন্তু মনে মনে খেয়ে ফেললাম ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই জন্যই তো ভেংচির কথাগুলো বলে দিলাম আজ, আমি ঠিক আন্দাজ করতে পারি আপু। আপনাদের মন্তব্যগুলো পড়েই বুঝতে পারি (কল্পানায়, আমার কল্পনা শক্তি খুবই বেশী) হে হে হে।
এইডা একদম ঠিক বলেছেন আপু, চিংড়ি কিংবা শোল মাছ ছাড়া লাউ কল্পনাই করা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের সময় শাকসবজির মধ্যে আলাদা স্বাদের চাহনি পাই।ভাই খুব সুন্দর একটি রেসিপি রান্না নিয়ে হাজির হলেন।চিংড়ি মাছ আমার খুবই ফেবারিট। আমার আম্মা বাড়িতে চিংড়ি মাছ ভাজি করলে খেয়ে সাভার করে দিই।অনেক দিন চিংড়ি মাছ খাওয়া হয় নাহ আপনার রেসিপি দেখে খাওয়ার ইচ্ছে পোষণ জাগলো ভাই। 😍😍
একদমই, মানে সবজির আসল স্বাদ শীতকালেই পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
জিভে জল আসার মতো রেসিপি ভাইয়া।আপনার প্রতিটা রেসিপি অনেক সুন্দর হয়।আজকের রেসিপিটাও তেমন সুন্দর হয়েছে।লাউ আর চিংড়ি এক সাথে কখনো খাইনি।তবে আপনার পোস্ট দেখে জিভে জল চলে আসল।তাই ভাবতেছি খুব তাড়াতাড়ি এটা তৈরি করে খাব।
লাউ চিংড়ি একসাথে খান নাই, শুনে খুবই কষ্ট পেলাম, শুধু আমি না বোধহয় লাউও অনেক কষ্ট পেলো, হে হে হে
হা হা হা ভাই। অবাক হওয়ার কিছু নাই গ্রাম এলাকায় সব খাবার এ অচেনা লাগে।
লাউ চিংড়ি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাইয়া। লাউ ও চিংড়ি মাছ একসাথে রান্না করলে খুবই ভালো লাগে খেতে। বিশেষ করে শীতকালে লাউ চিংড়ি খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনার লাউ চিংড়ি রান্নার প্রক্রিয়া গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হুম, সত্যি এই রেসিপিটি আমার কাছেও দারুণ লাগে। ধন্যবাদ
ভাইয়া আমরা মজা করতে পারি কি মজার ছলে তো একদিন বাসায় দাওয়াত দিতে পারেন আমাদের। আপনার সাথে খুনসুটি করতে আমাদের বেশ ভালই লাগে। যাই হোক আপনি লাউ দিয়ে চিংড়ি দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন। রবি শস্য মানেই হচ্ছে শাকসবজির সমারোহ ।শীতকাল আসলেই বিভিন্ন ধরনের সবজিতে বাজারে ভরে যায় । এত সুন্দর ভাবে একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। বিশেষ করে শীতকালে লাউ ঠান্ডা তরকারি আমার অসম্ভব ভালো লাগে আমাকে।
হা হা হা ঠিক ঠিক একদমই ঠিক, কিন্তু সত্যি বলছি দাওয়াত দেয়ার বিষয়টি আমার একদমই মনে থাকে না কেন জানি? আপনি দাওয়াত দিয়ে সেটাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন কিন্তু।
লাউ চিংড়ি আমার কাছে দারুণ লাগে শীতের অন্যান্য সবজির মাঝে। ধন্যবাদ
আচ্ছা ।দাওয়াত দিবানে );-
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
লাভার চিংড়ির রেসিপি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাই দেখে কেমন যেন লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্য । মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে ।এটা তো বলতে গেলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার বিশেষ করে শীতের সময়।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে, রেসিপিটি দেখে আপনার মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছ খেতে খুবই মজা। আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখে খেতে ইচ্ছা করে।আপনি এত সুন্দর সুন্দর লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেন যা খেতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু খেতে পারি না, আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।