ঢাকা টু বগুড়া - শর্ট ভ্রমনের ভিন্ন অভিজ্ঞতার ফটোগ্রাফি (পার্ট-২)
হ্যালো বন্ধুরা,
এর আগে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলাম বগুড়া ভ্রমন বিষয়ে, বিয়ের দাওয়াতে গেলেও আমরা খুব বেশী সময় সেদিন ব্যয় করতে পারি নাই। কারন অফিসের সবাই মিলে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম তাই পরের দিন অফিসে যোগদান করার একটা ব্যাপার ছিলো। যেহেতু অফিস এর লোকেশন পরিবর্তন করার পূর্বে বিয়ের সিডিউল ছিলো, তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমরা বগুড়া থাকতে পারি নাই। যদিও আমরা একবার পরিকল্পনা করেছিলাম যে একদিন থেকে তারপর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবো। কিন্তু অনেকেই অফিসে যোগ দিবে এবং কাজের পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল রয়েছে তাই আমরা আবার তা পরিবর্তন করে ফিরে আসার সিদ্ধান্তে অটল থাকি।
তবে একটা বিষয় কি মাঝে মাঝে ছোট বা শর্ট ভ্রমনগুলো খুব বেশী আর্কষণীয় হয়ে থাকে। মনে হয় একটু দীর্ঘায়িত করা গেলে আরো বেশী আনন্দ উপভোগ করতে পারতাম। সত্যি অনেক কিছু দেখার সুযোগ ছিলো কিন্তু কাজের চাপের কারনে সেটা সম্ভবপর হয়ে উঠে নাই। আসলে জীবন মানেই প্যারা, যত দিন জীবন আছে ততোদিন প্যারাও আছে। তাই আমাদের এই প্যারা সহ্য করেই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
তবে যতটা সময় পেয়েছি, প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে ভুল করি নাই। কারন আমি প্রকৃতির দৃশ্যগুলো উপভোগ করার সুযোগ কখনো নষ্ট করতে চাই না। তাই সেখানে যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আমি চারপাশের দৃশ্যগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করি এবং কিছু ফটোগ্রাফিও সেরে নেই। যদিও ফটোগ্রাফিতে আমি খুব দক্ষ না তবে যেহেতু স্মার্টফোন হাতে রয়েছে সেহেতু সেটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি কিছুটা।
তবে একটা বিষয় সবচেয়ে ভালো ছিলো আর সেটা হলো প্রকৃতি আমাদের বেশ পক্ষে ছিলো। যদিও আগের দিন রাতে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছিলো এবং তার কারনে আমাদের মাঝে একটা ভয় কাজ করছিলো যদি প্রকৃতি ভালো না থাকে, যদি প্রকৃতি এই রকম মেঘলা থাকে। কিন্তু সত্যি সেদিনের আবহাওয়াটা আমাদের জন্য বেশ স্বস্তিকর ছিলো এবং ভ্রমনটা ছোট হলেও আনন্দদায়ক ছিলো।
খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ-উপভোগ এবং ভিন্ন পরিবেশে সন্ধ্যার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান, বেশ ভালো লেগেছিলো আমাদের। যদি প্রকৃতির সাভাবিক অবস্থা না থাকতো তাহলে হয়তো এতোটা সুযোগ পেতাম না। কারন যতদূর শুনেছি এই দিকে প্রচুর শীত পরে এবং সবাই শীতে বেশ কাহিল হয়ে যায়। যদি সেই রকম অবস্থা হতো তাহলে হয়তো ভিন্ন অভিজ্ঞতাটা আরো কিছুটা ভিন্ন হতো হা হা হা হা।
তারপর সন্ধ্যার ঠিক আগ মুর্হুতে আমরা হোটেলে চলে আসি এবং রাতের বাস ছাড়ার আগ মুর্হুত পর্যন্ত সেখানে বিশ্রাম নেই। আশা করছি ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ কাহালু,বগুড়া।
ক্যামেরাঃ Redmi 9, Xiaomi স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ভাইয়া আপনার বগুড়া ভ্রমণ যে খুব সুন্দর হয়েছে তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি পুরো সময়টা ধরে দারুন কিছু উপভোগকরেছেন। আসলে প্রকৃতি আমাদের সহায় না থাকলে ভালো জার্নি করা যায় না। আপনি যেদিন গিয়েছেন সেদিনও যদি বৃষ্টি হতো পুরো দিনটাই আপনাদের মাটি হয়ে যেত। এতদুর থেকে একটা জায়গায় গিয়ে কিছু দেখতে পারতেন না। খাওয়া-দাওয়া আনন্দ বেশ ভালোই করেছেন মনে হলো। পরের বার রংপুরে আসবেন দাওয়াত রইলো।
হুম আসলেই আপু বেশ দারুণ একটা ট্যুর ছিলো সেটা আমার জন্য।
আমি শুনেছি বগুরা জেলাটা নাকি সুন্দর। আমাদের যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তুু করোনার কারনে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।কিছু কিছু ভ্রমণ ছোট হলো অনেক আনন্দময় হয়। প্রকৃতি পক্ষে থাকলে তো কথাই নাই। ছবিগুলো ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
জ্বী আপু সত্যি সুন্দর তবে আমি কিছুই দেখতে পারি নাই কারন সময়ের স্বল্পতা।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই জীবন মানেই প্যারা। সব সময় আমাদেরকে প্যারা সাথে নিয়ে চলতে হয়। তবু কিন্তু আমাদেরকে জীবনে এগিয়ে যেতে হবে। আর আপনার প্রাকৃতিক দৃশ্যের প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরকম দৃশ্য গুলো দেখতে আসলে অনেক ভালো লাগে। যদি এরকম দৃশ্যের ভিতরে যাওয়া যায় তাহলে ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
জ্বী প্যারা ছাড়া জীবন শুধুই একগুয়েমি ছাড়া কিছুই না। তবে হ্যা, প্যারা কিন্তু সবাই সহ্য করতে পারেন না।
বগুড়া ভ্রমণের গল্প প্রথম পর্বেই আমরা জানতে পেরেছি। আপনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এবং সবার সাথে বেশ মজা করতে করতেই গিয়েছিলেন। এবার আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন ভাইয়া। আপনার ভ্রমণের মুহূর্তগুলো যে অনেক সুন্দর কেটেছে এটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনার এই সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের গল্প ও ফটোগ্রাফি সবই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আরে বাহ আপনার তো বেশ ভালো স্মরণ শক্তি, সব কিছুই মনে থাকে হা হা হা।
ভাইয়া আপনার এই কথাটির সাথে আমি সহমত পোষণ করছি। আসলে আমরা আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনে সবসময়ই ব্যস্ত সময় পার করি। এর মাঝে যদি একটু খানি শর্ট ভ্রমণ হয়ে যায় তাহলে যেমন ভালো লাগে তেমনি মানসিক প্রশান্তি আসে। মনকে ভালো রাখতে মাঝে মাঝে এরকম শর্ট ভ্রমণে গেলে ভালো লাগে। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনি যে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা আপনার ফটোগ্রাফি প্রমাণ করে দিচ্ছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনি আপনার ফটোগ্রাফিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আমাদেরকে দারুন সব ফটোগ্রাফি দেখার ও উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জ্বী ভাই একদমই তাই কর্মময় ব্যস্ত জীবনের মাঝে মাঝে ছোট ভ্রমনগুলো বেশ ভালো প্রভাব ফেলতে পারে।
বগুড়া ভ্রমণ এর সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনি খুব সুন্দর করে সবকিছুর বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এর মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। যান্ত্রিক জীবন ছেড়ে এরকম পরিবেশে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আসলে কাজের ফাঁকে ফাঁকে জীবনে একটু শান্তি ও দরকার। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই। বগুড়া ভ্রমণ এরকম সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সেটাই আসলে যান্ত্রিক জীবনে একটা অন্য রকম অস্থিরতা কাজ করে, তবে হুট করে কোথায়ও ঘুরে আসলে বেশ ভালো অনুভূত হয় তখন।
ভাই বিয়ে খেয়ে আসছেন সেই কবে, এতদিনে তো সব খাবার হজম হয়ে গেছে। আর আমরাও প্রথম পর্বের কাহিনী ভুলে বসে আছি। ঘটনাগুলো পর পর পোস্ট করলে আমাদের জন্য বুঝতে সুবিধা হত। যাই হোক এতগুলো ছবির মধ্যে থেকে খড়ের গাদার ছবিটা দেখে আশ্চর্য হলাম। কয়েকদিন আগেও হন্যে হয়ে খরের গাদা খুঁজে বেড়িয়েছি কিন্তু একটিও পাইনি। শুভকামনা রইল
হা হা হা হা আসলে ভাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছি না, এতো এতো কনটেন্ট মাথায় গিজ গিজ করে কোনটা ছেড়ে কোন যে দেই ।
ঢাকা থেকে বগুড়া যাওয়ার ভ্রমণের সেই দিনটি আবারও মনে পড়ল। আপনি বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখানে অনেক মজা করেছেন এবং সেদিন ছিল শুক্রবার। রাস্তায় শুক্রবারের জুমার নামাজ আদায় করেছিলেন। সে দিনটি আবার মনে পড়ল। আসলেই বগুড়া শহরে খুবই সুন্দর শহর। আপনি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভ্রমণ করেছেন। আসলে কিছু কিছু ভ্রমণ আছে অল্প সময়ে হলেও এই ভ্রমণ গুলো খুবই ভালো লাগে। তখন মনের মধ্যে একটা ইচ্ছা জাগে যে যদি আর একটু ভ্রমণ বড় হতো তাহলে আরো মজা হতো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ভ্রমণ কাহিনী আমাদের সাথে শেয়ার করলেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। গ্রামীন পরিবেশের এই সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল শুভকামনা এবং সুস্থতা কামনা করছি।
জ্বী সেই দিনের গল্পের অর্ধেকটা রেখে দিয়েছিলাম আপনাদের আবার চেক করার জন্য হি হি হি।
প্রকৃতি যে আপনাদের পক্ষে ছিলো তা ছবি দেখেই বেশ টের পাওয়া যাচ্ছেনা।নাহলে এতো ভালো ভালো ছবি আসতোনা।
আসলেই জীবন মানেই প্যারা ভাই।
থাকবেই না কেন আমরা যে প্রকৃতি প্রেমিক সেটা প্রকৃতি ভালেই বুঝতে পেরেছিলো হি হি হি। প্যারা ছাড়া জীবন শুধুই একগুয়েমি আপু।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.