প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার অনুভূতি
শুভ দুপুর বন্ধুরা,
আজ আমি আপনাদের সাথে প্রকৃতি এবং প্রকৃতির অনুভূতি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো সাথে অবশ্যই কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি থাকবে। তবে শুরুতেই চলুন প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কবিতার কয়েকটি লাইন পড়ি, যদিও আমি খুব ভালো কবিতা কিংবা ছন্দ মেলাতে পারি না।
প্রকৃতির ভালোবাসা স্বার্থহীন
সতেজ এবং সজীবতায় অন্তহীন।
নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে
আমাদের বসুন্ধরাকে নিরাপদ করে।
সবুজ-সুন্দর সজীবতার আভা ছড়িয়ে
বিনাষ ঘটায় হাজারো দূষণ।
আমরা মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ-
লোভের বশবর্তী হয়ে ধ্বংস করি সবই।
প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে হাজারো কবিতা লিখেছেন কবি-সাহিত্যিকগন এবং লিখছেন এখনো। কারন প্রকৃতির অকৃত্রিম ভালোবাসার কারনেই আমরা এখনো বেঁচে থাকার শ্বাস নিতে পারছি, আমরা এখনো ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে পারছি এবং আমরা এখনো আগামী প্রজন্মের সম্ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনা করছি। আমরা হয়তো আরো নানা বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পাবো, কিন্তু যদি প্রকৃতি তার নিজস্ব রূপ ধরে রাখতে না পারে, তাহলে কি হবে?
হয়তো এই প্রশ্নের উত্তরটি খোঁজার চেষ্টা করছি না, হয়তো অনিরাপদ পৃথিবী নিয়ে ভাবছি না। কিন্তু আমাদের তো এই বিষয়ে আরো বেশী দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকা উচিত ছিলো। যে প্রকৃতি অকৃত্রিম ভালোবাসায় সজীবতায় প্রাণচঞ্চল রাখতে আমাদের, যে প্রকৃতির নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় টিকে আছে এই পৃথিবী এবং যে প্রকৃতি সবুজ আভায় হ্রাস পাচ্ছে দূষণের মাত্রা। সেখানে আমাদের প্রকৃত অবস্থান সত্যি খুবই দুঃখজনক বলতে হচ্ছে।
আমি আসলে প্রকৃতি নিয়ে নানা সময় নানা অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি, কারন প্রকৃতির সজীবতা আমাকে শুধু মুগ্ধ করে না বরং নিজেকে নতুনভাবে খোঁজে পেতে দারুনভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি অভিরাম যান্ত্রিকের মতো কাজ করতে করতে, প্রকৃতি তখন কাছে ডাকে আমায় এবং তার নিজস্ব সবুজ আভায় সতেজ করে তোলে আমাকে। আমি কিভাবে ভুলে যাই, সেই ভালোবাসার বিষয়টি?
হয়তো আপনিও এই রকম চমৎকার কিছু অনুভব করেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে যাওয়ার পর, হয়তো আপনিওি নিজেকে আরো বেশী সজীব ও কার্যক্ষম অনুভূব করেন প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় থাকার পর। কিন্তু তবুও কেন প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জন্মায় না আপনার মাঝে? কেন প্রকৃতির প্রতি আপনার এমন অকৃতজ্ঞ অবস্থান? কেন প্রকৃতির প্রকৃত রূপ রক্ষায় নেই কোন আওয়াজ আপনার ভিতর হতে?
এই রকম হাজারও কেন রয়েছে আমার ভিতর? আমি চাইলে হয়তো তারা বেরিয়ে আসবে কিন্তু তাতে কি খুব বেশী প্রভাব পড়বে? তাতে কি আপনার মানসিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে? তবে, আপনার ভিতরের সুন্দর মানসিকতাকে যদি জাগিয়ে দেয়া যায়, যদি অকৃতজ্ঞ ভাবটি দূর করা যায়, তবে হয়তো কিছুটা হলেও নিজের লেখায় স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যাবে।
কিছু দিন পূর্বে আমি ছুটির এক দিনে ভ্রমন করেছিলাম, ঢাকা শহর হতে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরের এক জেলায়। যদিও সেটা পারিবারিক কাজে হয়েছিলো কিন্তু তথাপিও প্রকৃতির সান্নিধ্য বেশ চমৎকার কিছু অনুভূতি তৈরীতে কার্যকর প্রভাব ফেলেছিলেন। প্রকৃতির চমৎকার কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আজকের অনুভূতির সাথে কিছু দৃশ্য ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনারা উপভোগ করবেন।
W3W Code: https://what3words.com/alarm.ranks.consonant
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ছবি গুলা অসাধারন ভাইয়া। নিজের অস্তিত্বকে বিলীন করে দেয় সত্যি। আমি মনে করি মানুষ যদি এমন হতো তাহলে সবাই ভালো থাকতে পারতো। অনেক সুন্দর পোস্ত করেছেন বস। আপনি আমার অনুপ্রেনা হাফিজুল্লা ভাই।আপনার প্রতিটা কথায় সত্যি অনুপ্রেরনা পাই।
বাহ, ভাইয়া তো অনেক সুন্দর কবিতা লিখতে পারে আগে জানা ছিল না। আপনি খুব ভালো লিখেন ও আপনার ফটোগ্রাফি ও অনেক সুন্দর হয়। এখন দেখছি ভাইয়া কবিতাও লিখেন। প্রকৃতি আমারও খুব ভালো লাগে। কিন্তু আমি প্রকৃতির মাঝে যেতে পারি না। ভাইয়া আপনার প্রত্যেক ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।
না বৌদি আপনাদের মতো সুন্দর করে লিখতে পারি না, মাথা হ্যাং হয়ে আসে। আপনার আর ব্লাক দাদার কবিতার মাঝে বাস্তবতার দারুণ প্রভাব থাকে। তবে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি এটা সত্যি। ধন্যবাদ
দাদা দেখি সবই পারেন। রান্না, দর্শন, কবিতা সব...
আমাদের লোভই সব ধ্বংস হচ্ছে। যদিও প্রকৃতি মাঝে মধ্যে বিরোধিতা করার চেষ্টা করছে, তবে মানুষের ক্রূর অভিসন্ধির সাথে এঁটে উঠতে পারছে।
বাড়িতে এসে নেটওয়ার্ক-এর সমস্যা বাদ দিয়ে পুরো সময়টাই বেশ কাটালাম। এতো গাছ গাছালি।
তাহলে তো এইবার ভালই রিচার্জ করলেন নিজেকে, সবুজ প্রকৃতির মাঝে থেকে।
সত্যিই দাদা একটু রিচার্জ হওয়া গেলো।
ছবিগুলোর সাথে সাথে কবিতাটিও খুব সুন্দর ভাইয়া।ছোট্ট কবিতার মধ্যে হাজারো কথা ফুটে উঠেছে।খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আপনার প্রশংসার জন্য, আসলে কয়েকটি লাইন লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র।
প্রকৃতি নিয়ে আপনার লেখা পোষ্টটি অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। প্রকৃতির কাছে আমরা অনেক ঋণী। প্রকৃতি আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমরা আজ সুস্থভাবে বেঁচে আছি সেটা শুধু প্রকৃতির দান। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আসলেই প্রকৃতির প্রতি আমাদের ঋণী হওয়া প্রয়োজন, কারন প্রকৃতি সবদিক হতে আমাদের নিঃস্বার্থ দিয়েই যাচ্ছে শুধু। ধন্যবাদ
ছবিগুলোর সাথে কবিতাটিও খুব সুন্দর ভাইয়া।খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি লিখতে লিখতেই কেমন করে জানি লেখার মাঝেই ছন্দ মিলিয়ে ফেলেন।এটা কিছু একদম শক্তপোক্ত লেখকের চিহ্ন।
আপনি ভালো লিখেন তাতে আমার সন্দেহ নেই।
তবে লেখায় যখন প্রকৃতির ছোঁয়া থাকে তা যে কতটা ভালো হয় তা নিশ্চয় বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
খুব ভালো লিখেছেন,ছবি গুলোও দারুণ।
ভাইয়া আপনি যে একজন প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষ তা আপনার ছবিগুলো দেখলেই স্পষ্ট ফুটে ওঠে। প্রকৃতি আমারও বেশ ভালো লাগে ।প্রকৃতির কাছে খুব বেশি যাওয়ার সুযোগ হয় না ।তবে যখনই সুযোগ পাই , আমি চলে যাই ।আপনার প্রত্যেকটি ছবি খুবই চমৎকার হয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা চিরন্তন ভাইয়া। প্রকৃতি আমাদের দুহাত উজার করে দেয় কিন্তু আমরা স্বার্থপর বড্ড স্বার্থপর ভাইয়া।
ভাই দেখছি সুন্দর করে মিলিয়ে মিলিয়ে কবিতা লিখতে পারেন। কবিতাটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
প্রসংশা করলেন নাকি ফুলালেন, হি হি হি হি