বুফে খাওয়ার ভিন্ন স্বাদের অনুভূতি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে যথাসাধ্য নিজেকে নিরাপদ এবং সুস্থ্য রাখার চেষ্টা করছি। জানি না পরিবেশ এবং পরিস্থিতি কতটা সুযোগ দিবে নিজেকে ভালো রাখার কিন্তু তবুও আমাদের যার যার অবস্থান হতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আসলে আমরা যার যার অবস্থান হতে যদি পূর্ণ সচেতন থাকতে পারি তাহলে হয়তো অনাকাংখিত পরিস্থিতি আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না কিংবা আমরা অন্ধকারে হোঁচট খাবো না। যাইহোক, আজকে সারাসরি মূল প্রসঙ্গে চলে যাচ্ছি, আমার বাংলা ব্লগের আরো দুইজন সম্মানিত এ্যাডমিনের সাথে বুফেতে খাওয়ার কিছু অনুভূতি এবং খাবারের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
যদিও আমি খুব একটা অভ্যস্থ নই এই রকম পরিবেশে খাওয়ার। কারন পছন্দের দুই এক আইটেম হলেই পেট পুরে খেতে কোন সমস্যা হয় না, হি হি হি। আর বুফেতে একাধিক স্বাদের আইটেম দেখে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না কিন্তু শেষ মেশ কিছুই খেতে পারি না। যেমনটা কোলকাতায় হয়েছিলো, দাদার খেয়েছেন আর আমরা হাত পা গুটিয়ে গল্প করেছি শুধু হি হি হি। যাইহোক, এবার বুফে যাওয়ার আগে দাদার পরামর্শ চাইলাম, দাদাও খুব সুন্দর করে পরামর্শ দিয়ে দিলেন সকাল হতে না খেয়ে থাকার জন্য হি হি হি। তবে আমি সেটা করি নাই কারন সেদিন অফিস খোলা ছিলো এবং অফিস শেষ করেই রাতের ডিনার সারার জন্য বুফে গিয়েছিলাম।
এবার কিন্তু নিজেকে পুরো নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলাম এবং পুরো দেড় ঘন্টা গল্পের ফাঁকে ফাঁকে অল্প অল্প করে প্রায় সবগুলো আইটেমই চেক করে করেছিলাম। আসলে এখানে পেট পুরে খাওয়ার জন্য নয় বরং ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের অনুভূতি নেয়ার জন্যই যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমরা বেশ গল্প করলাম, যতটা সময় ভেতরে ছিলাম অল্প অল্প পরিমানে খাবার নিয়ে একটা একটা করে চেক করতে থাকলাম। এটা সত্যি অন্য রকম একটা অভিজ্ঞতা ছিলো, আর কোলকাতা গিয়ে খেতে না পারার ক্ষতটা মুছার চেষ্টা ছিলো, হি হি হি। তবে আমরা কিন্তু সেটা ঠিক মতোই করতে পেরেছিলাম সত্যি। চলুন তাহলে খাবারের দৃশ্যগুলো দেখি-
এই রকমভাবে প্রতিবারই অল্প অল্প করে খাবার নিয়েছিলাম এবং তারপর অল্প অল্প করে খেয়েছি, গল্প করেছি, সেগুলোকে হজম হওয়ার সুযোগ দিয়েছি। তারপর পুনরায় নতুন প্লেট নিয়ে আবার ছুঁটে গিয়েছি। তবে আমাদের মাঝে সবচেয়ে কম খেয়েছে আরিফ ভাই, কারন আরিফ ভাই ছিলেন গল্পের মুল চরিত্র। তাই তিনি খুব একটা উঠে যাওয়ার সুযোগ পান নাই।
তবে ভর্তা কিংবা রুটির কোন আইটেমে আমি হাত দেই নাই কারন এগুলো বরাবরের মতোই আমার অপছন্দ। অবশ্য অন্যদের দেখেছি এই আইটেমগুলো বেশ পরিমানে নিয়েছেন, বুঝতে বাকি ছিলো না যে তারা পয়সা উসুল করতে এসেছেন। তাই যা খাবেন একদম গলা অব্দি খাবেন। খাবারের বিষয়ে আমি হতাশ হয়েছিলাম একদম শেষে, কারন সুমন ভাই পেস্টি আইটেমগুলো নাকি ভীষণ স্বাদের কিন্তু আমি তেমন একটা স্বাদ পাই নাই।
তারিখঃ ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ধানমন্ডি, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এবারে ঢাকাতে যাওয়ার পরেই ইচ্ছা আছে বুফেতে খাওয়ার। বুফেতে সব আইটেম অল্প অল্প করে চেক করে আসল স্বাদ নেয়াটাই বুদ্ধিমানের মত কাজ। সুমন ভাই, আরিফ ভাই আর আপনি মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলেন সুমন ভাই তো আমাদের মেসে এসে টান হয়ে শুয়ে পড়েছিল 😍 আর বলতেছিল যে আজকে অনেক মজা করেছি আর আমার আর রাহুলের লোভ দেখাচ্ছিলো 🥺 অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুমন ভাইয়ের পোস্ট পড়ে কিছুদিন আগে জানতে পেরেছিলাম,আপনারা তিনজন ধানমন্ডির একটি ব্যুফে রেস্টুরেন্টে,ব্যুফে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়েছিলেন। যাইহোক ব্যুফে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। কারণ সব ধরনের খাবার অল্প অল্প করে খাওয়ার সুযোগ হয়। আমার কাছেও সেটাই মনে হয় ,ব্যুফে তে গিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে,অল্প অল্প করে সব খাবার টেস্ট করা ভালো। যাইহোক দাদা কিন্তু ভালোই পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদিও দাদার পরামর্শ এপ্লাই করার সুযোগ পাননি। ধানমন্ডি বাফেট মানিয়া তে বেশ কয়েকবার ব্যুফে লাঞ্চ করেছিলাম।
যাইহোক এবার ব্যুফে খাওয়া দাওয়া করে, সেই ক্ষত অনেকটা মুছতে পেরেছেন ভাই 😂। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এত খাবার দেখে তো পেট ভরে গেল আমার মনে হয় অল্প অল্প করেও আমি এত খাবার খেয়ে টেস্ট করে দেখতে পারবো না। যাইহোক আপনি তো অল্প অল্প করে সবগুলো খাবারের টেস্ট করে দেখেছেন এবং খাবারের স্বাদ নিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। তবে খাবার জন্য না আমার মনে হয় দেখার জন্য হলেও একবার বুফেতে যাওয়া উচিত। এত আইটেম সত্যি খুব চমৎকার চমৎকার আইটেম করেছে দেখেই মন ভরে গেল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। পোস্টে পড়ে বুঝতে পারলাম আপনারা তিন জনের গল্প করতে করতে খুব ভাল একটা সময় কাটিয়েছেন। আপনাদের তিনজনের সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া,সর্বনাশ!এত এত আইটেম দেখালেন,আমার তো এখুনি খেতে মন চাইছে।তবে আপনি ঠিকই বলেছেন,একাধিক স্বাদের আইটেম দেখলে আমারও কেমন গন্ধে পেট ভরে যায় কিন্তু কিছুই খেতে পারি না।যাইহোক রেসিপিগুলো দেখেই মনে হচ্ছিল কেমন চাইনিজ টাইপের খাবার।তাছাড়া আমার কাছে পেস্টি আইটেমগুলো বেশি লোভনীয় লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বুফেতে খেতে যাওয়ার আগে আপাতত আপনার এই পোস্ট পড়া দরকার কেননা বাড়তি একটা অভিজ্ঞতা হবে হি হি হি। খাবারগুলো অল্প অল্প করে নিয়ে সবগুলো খাবার টেস্ট করার আইডিয়াটা কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
সত্যি ভাইয়া আমরা যে যেভাবে থাকি না কেন পরিস্থিতি বুঝে চলা উচিত। একমাত্র সাবধানতাই আমাদেরকে কঠিন বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। বুফে খাওয়া নিয়ে যদি বলতে হয় খাবার গুলো খুবই সুন্দর ছিল। এত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুন্দর পরিবেশে খাবার গুলো পরিবেশন করা হলো। এমনিতেই দেখলেই লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনার কথা কি আর বলব আমিও পেট ভরার জন্য নয় প্রতিটি খাবার টেস্ট করে দেখতাম কেমন মজার খেতে। দেড় ঘন্টা মানে সেই খাবার দাবার। অল্প করে হলেও বোঝা যাচ্ছে খাওয়ার পরিমাণটা কম হয়নি হা হা হা।
হাফিজদা আপনি দেখছি গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন কিছুটা। বুফের টেকনিকটা এইবারে রপ্ত করতে পেরেছেন। আসলে বুফেতে অল্প অল্প করে অনেক বার নিয়ে খেলে তবেই খাওয়া যায়।
আরিফ ভাইকে কেন উঠতে দিলেন না, উনি যদি তাকে নালিশ করে দেন 😆
বুফে খাওয়া টা আমার কাছেও বেশ অসস্তিকর এবং অতিরিক্ত লাগে। বুফে মানেই যেন খাবার এর অপচয়। তবে ডেজার্ট আইটেম গুলো দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগে আমার বরাবর ই।