খেজুর গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা || Bengali Recipe by @hafizullah
শুভ বিকেল বন্ধুরা,
গুড় এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিলো আমাদের দেশে, তবে এখন শহরের মানুষের মাঝে গুড়ের প্রতি খুব একটা আকর্ষন দেখা যায় না। আমার স্পষ্ট স্মরণে আছে আব্বুর সাথে যখন বাজারে যেতাম, তিনি খুব কম সময়ই চিনি কিনেছিলেন। বেশীর ভাগ সময় এবং খাবারের ক্ষেত্রে তখন চিনির তুলনায় গুড় ছিলো বেশী পছন্দের। বিশেষ অনুষ্ঠান কিংবা খাবারের ক্ষেত্রেও তখন গুড় ব্যবহৃত হতো বেশী। তখন সব কিছুতেই গুড়ের ব্যবহার করতো সবাই।
কিন্তু আস্তে আস্তে আমাদের রুচির পরিবর্তন হতে থাকে, আমরা খাঁটি বাদ দিয়ে সুন্দরের পিছনে ছুটতে শুরু করি। এখনো আমাদের দেশে দুই রকমের চিনি পাওয়া যায় লাল এবং সাদা। আমি ছোট বেলা হতেই শুনেছিলাম, লাল আটা এবং লাল চিনি তুলনামূলকভাবে বেশী নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত। কিন্তু চারপাশের মানুষকে দেখছি ঠিক তার উল্টোটা করতে, সাদা আটা এবং সাদা চিনির প্রতি সবার আকর্ষনটা বেশী।
যদিও আমি এখনো গুড় কিংবা লাল চিনি বেশী ক্রয় করি কিন্তু বাড়ীর সবাই তা খুব একটা পছন্দ করে না। তবে যখন গ্রামের বাড়ীতে যাই তখন কিন্তু গুড়ের শরবত কিংবা গুড়ের পিঠা ঠিকই খাওয়া হয়। বিশেষ করে খেজুর গুড়ের পিঠায় স্বাদটা তুলনামূলকভাবে একটু বেশী পাওয়া যায়। আজ আমি আপনাদের সাথে খেজুর গুড়ের পাটিসাপটা পিঠার রেসিপি শেয়ার করবো। এই পিঠাটা এমনিতেই খেতে বেশ লাগে কিন্তু খেজুর গুড় দিয়ে বানানো হলে স্বাদটা আরো বেশী পাওয়া যায়।
উপকরণঃ
- চালের গুড়া
- আটা
- খেজুর গুড়
- হালুয়া (যেটা আগেই তৈরী করা হয়েছে)
- পানি ও
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
আমি এখানে হালুয়া তৈরীর বিষয়টি উপস্থাপন করি নাই, এটা আগেই তৈরী করা হয়েছিলো। তাই আজ পরের ধাপগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
প্রথমে একটি মাঝারো সাইজের বোল নিতে হবে যাতে উপকরণগুলো একত্রে এটাতে মিক্স করা যায়।
এরপর আমরা চালের গুড়া, আটা, খেজুর গুড় পানি দিয়ে ভালো একটি পেষ্ট তৈরী করবো, খুব বেশী পাতলা করা যাবে না। কিছুটা ঘন রাখতে হবে।
দেখুন মিক্সটি কি রকম তৈরী হয়েছে, কিছুটা ঘন রাখা হয়েছে।
এখন একটি প্যান অথবা তাওয়া চুলায় বসাবো কিছুটা তেল দিয়ে গরম করবো । তারপর সেই মিশ্রনগুলো হতে অল্প পরিমান ঢেলে রুটির মতো গোল করার চেষ্টা করবো।
কিছুটা সিদ্ধ হয়ে আসলেই এক পাশে একটু হালুয়া দিয়ে মুড়িয়ে ভাজ করার চেষ্টা করবো।
দেখুন কিভাবে ভাজটি করা হয়েছে, এই ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানের সহিত করতে হয়, যাতে ভেঙ্গে না যায়।
হুম, তৈরী হয়ে গেলো আজকের খেজুর গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা। আপনি উপর হতে নিয়মটি দেখতে থাকুন আর আমি স্বাদটা চেক করে নেই, হি হি হি ।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
হাফিজ ভাই, এই সময় খেজুরে গুড় কই পাইলেন। আর হ্যাঁ, আমাদের বাসায় ও সবসময় লাল চিনি আনা হয়। আর লাল আটা ও তো এখন পাওয়াই যায় না।
খেজুরের গুড়ের অসম্ভব সুন্দর একটি গন্ধ থাকে যেটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
ভাই বাড়ীতে ছিলো, এখনো আছে ফ্রিজে। হ্যা, লাল আটা এখন খুব একটা বেশী পাওয়া যায় না।
অও ,ভাইয়া রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে সেই স্বাদের হয়েছে।দেখেই লোভ লেগে গেল।অসাধারণ হয়েছে রেসিপিটি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি এখনো গুড় আর লাল চিনির ভক্ত!! ভালো। পরিবার একটু কম পছন্দ করলেও মাঝে মাঝে নিজের প্রিয় জিনিসটা খাওয়ার আনন্দ অন্যরকম। পাটিসাপটা পিঠা এমনিতেই খুব চমৎকার তার ওপর যদি খাঁটি গুড় দিয়ে হয় তাহলে তো কথাই নেই। অনেক চমৎকার হয়েছে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
@tipu curate
পাটিসাপটা পিঠে খেতে খুবই টেস্ট তবে খেজুরের গুড় দিয়ে কোনদিন খাওয়া হয়নি আখের গুড় দিয়ে অনেকবার খেয়েছি আপনি খুব সুন্দর করে তৈরি করে সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন ভাই অনেক সুন্দর হয়েছে
হ্যা, এই পিঠা এমনিতেই খেতে বেশ স্বাদের হয়, তাবে খেজুর গুড় দিয়ে আরো বেশী স্বাদের হয়। ধন্যবাদ
বাহ্ বাহ্ কে বললো আপনি পারেন না ? খুবই অসাধারণ কালার হয়েছে খেজুর গুড়ের পাটিসাপটা পিঠার। আর খেজুর গুড় দিয়ে পাটিসাপটা পিঠা সত্যি অনেক মজাদার। খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
খুব পারি, কেন পারবো না, একদমই সোজা, হি হি হি
খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা পিঠা অসাধারন হয়েছে! দেখতেও যেমন খেতেও মনে হয় আরো বেশি মজাদার হয়েছে। খুব সহজ রেসিপি কিন্তু পিঠা বানানো এতো সহজ না। সবাই পিঠা বানাতে পারেনা।তবে আপনার পিঠা বানানো দেখে আমি খুবই অবাক হয়েছি। খুব ভাল লেগেছে।
হুম সত্যি খেতে সেই হয়েছিলো, খেজুরের গুড়ের কারনে স্বাদটা অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। ধন্যবাদ
শীত আসছে সাথে করে নিয়ে আসছে পিঠে পুলি। মায়ের হাতের পাটি সাপটা দারুন ভালোবাসি। দাদা তোমার টাও বেশ ভালো হয়েছে। একটুও ভাঙেনি। না ভেঙে পাটি নামানো সত্যিই কঠিন, ভালো রাঁধুনি হলেই এটা সম্ভব।
হুম সত্যি, শীত মানেই পিঠা পুলির আনন্দ, আহ কি স্বাদ!
হ্যা, এটা সত্য অনেকেই ভেঙ্গে ফেলেন, তাই আমি বেশ সতর্ক ছিলাম। ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনার পিঠা গুলো দেখতে কি সুন্দর হয়েছে ।দেখেই খেতে মন চাইছে। দিলেনতো লোভ লাগিয়ে ।খুব সুন্দর একটি রেসিপি দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চলে আসুন, চিন্তা নেই আপনার ভাবিতো আছেই, এইবার না হয় সে তৈরী করে খাওয়াবে, হি হি হি