আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ দৃষ্টিভঙ্গি ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন, তার সাথে সাথে নিজের অবস্থান নিরাপদে রাখার চেষ্টা করছেন। কারন পরিস্থিতি যেভাবে অশান্তির দিকে যাচ্ছে এবং সবার অবস্থান যেভাবে দিন দিন অনমনীয় হচ্ছে তাতে আমাদের ভালো থাকার সুযোগ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে এবং সংকোচিত হয়ে যাচ্ছে। হয়তো এটা আরো বেশী হবে, হয়তো আবার ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু কোন কিছুই যেহেতু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না সেহেতু আমরা খারাপটিকে ধরে নিবো। সেই বিবেচনায় নিজেকে যতটা সম্ভব নিরাপদে রাখার চেষ্টা করবো, তাতেই হয়তো আমাদের সকলের জন্য আরো বেশী মঙ্গলজনক হবে।
তবে কথা হলো আমরা কতটা দ্রুত নিজেকে বদলে ফেলতে পারি সেটা নিয়ে, আজ আপনি কিংবা আমি যেখানে আছি সেটাকে হয়তো চিরস্থায়ী হিসেবে বিবেচনা করছি কিন্তু কাল আমি যেখানে ছিলাম সেটাতো চিরস্থায়ী ছিলো না এই বিষয়টি বুঝতে চাইছি না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা এতো বেশী নিজেদের পরিবর্তন করছি পৃথিবীর অন্য কিছু বোধহয় এতো দ্রুত নিজেদের পরিবর্তন করে না, বেশ আজব হয়ে যাচ্ছি আমরা দিন দিন। আজকে আমরা যেমন কথার প্রসঙ্গে কথায় অন্য প্রানীতে তুলনা করি, হয়তো প্রাণী কুলও এমনভাবে আমাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করে, মানুষতো তাই এই রকম। হতে পারে আবার নাও হতে পারে, আমি শুধুমাত্র বাস্তবতার বিষয়টি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আমি আসলে মাঝে মাঝে প্রায় লেখার শুরুতে নানা বিষয় নিয়ে নিজের বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করি। আসলে প্রতিনিয়ত অর্জন হওয়া বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করে নিতে চাই এই যা, অন্য কোন উদ্দেশ্য কিংবা নিয়ত নেই আমার মাঝে। বিশ্বাস করেন আমি আপনার থেকেও অনেক বেশী নিরপরাধ এবং সহজ সরল মানুষ। যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করি। এই তো সেদিন আশ্চার্য হয়ে গেলাম একটা দৃশ্য দেখে, বাসে দুইজন যাত্রী ভাড়া নিয়ে নিজেদের মাঝে ঝগড়া করছে, অথচ তাদের সেটা করার কথা নয়, কারন তারা দুইজনই যাত্রী এবং দুইজনই চেষ্টা করবে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার। আমি পাশের জনকে বললাম ভাই উনার সাথে এটা নিয়ে কেন আপনি ঝগড়া করছেন, এই ঝগড়াটা যদি বাসের হেলপারের সাথে করতেন তাহলে বুঝতাম ঠিক আছে?
কিন্তু ভাড়া নিয়ে তাদের এই অনাকাংখিত ঝগড়াটি কি বার্তা দিচ্ছে? আমরা যে কোন বিষয়ে নিজের অবস্থান নমনীয় করতে চাই না, সেটা নিজের জন্য লাভের হোক কিংবা লসের হোক। একটা সময় দেখতাম মানুষ যাই কিছু করতো নিজের লাভের জন্য কিন্তু এখন আর সেটা হচ্ছে না বরং যা কিছুই করছে শুধুমাত্র নিজের ইগোর জন্য। কি আশ্চার্য আমরা দিন দিন কতটা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছি, নিজের ভালো মন্দের বিষয়টিও চিন্তা করছি না। অন্তত যে বিষয়ে আমার কোন লাভ হবে না সেই বিষয়ে কেন নিজেকে এভাবে জড়িয়ে ফেলবো, সেটা নিয়ে চিন্তা করলেই সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে আমাদের নিকট।
তবে পাশের লোকটি আমার কথা শুনলেন, তিনি চুপ হয়ে গেলেন এবং বুঝতে পারলেন এই ঝগড়ার কোন মানেই নেই। আমি তাকে বললাম, আপনি যদি এই ঝগড়াটা বাসের হেলপারের সাথে করতেন, যদি তাতে আপনার ভাড়ার পরিমান কিছুটা কমতো তাহলে সেটা যুক্তি সঙ্গত হতো। কিন্তু আপনি অনাকাংখিতভাবে আরো একজন যাত্রীর সাথে ঝগড়া করে কেন শুধু শুধু নিজের শক্তি নষ্ট করছেন। এরপর লোকটা আর কোন কথা বললেন না। আসলে বাস্তবতা আমাদের অনেক বেশী আগ্রাসী করে দিয়েছে, তাই ভালো মন্দের বিচার না করেই নিজের অবস্থান কিংবা ইগোকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি। কথায় বলে পাগলও নাকি নিজের ভালো বুঝে কিন্তু আমরা সেটাও বুঝছি না।
পরিবর্তন আসুক আমাদের মাঝে সেটা অবশ্যই কাম্য কিন্তু সেটা যেন নিজেদের ক্ষতির কারণ না হয়ে যায় সেই বিষয়টি সব সময় চিন্তা করতে হবে। নিজের অবস্থান আরো বেশী নমনীয় ও শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। আমি মানেই আমার পরিবার, আর আমার ক্ষতি মানেই পরিবারের ক্ষতি। আবোল তাবোল জীবনের গল্পে আজ এই পর্যন্ত, পরবর্তীতে অন্য কোন অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবো।
Image taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে শুধুমাত্র ইগোর জন্যেই মানুষ কত যে ভুল করে থাকে তার কোন ঠিক নাই। যেটা করা কোন দরকারই নাই অর্থাৎ শুধু শুধুই কারোর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকে বা কারো সাথে ঝগড়া করতে থাকে। আসলে ওনাকে আপনি পাশ থেকে বলে খুবই ভালো করেছেন কারণ সেই সময় তার হয়তোবা কোন কারনে অনেক রাগ হয়ে গিয়েছিল যার কারনে তিনি শুধু শুধু ঝগড়া করছিলেন। যাই হোক আমাদের সব সময় মনের মধ্যেই ভাল চিন্তা ভাবনা করার চেষ্টা করা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যি ভাইয়া আমরা নিজের ইগোকে অনেক বড় করে দেখি। তবে আপনি যাত্রীদের ঠিক বলেছেন তারা দুজনেই যাত্রী। তবে নিজেদের মধ্যে ঝড়গা করে কোন লাভ নেই আরো নিজের সম্মান নষ্ট হয়। সত্যি পাগলে নিজের ভালো ঠিক বোঝে আমরাই বুঝি না।ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক সুন্দর লিখেছেন।
বিষয়টার সাথে আরো কিছু বাস্তব উদাহরণ আমি দেখেছি, যারা লাভ-ক্ষতির চিন্তা না করে নিজের ইগোকে প্রাধান্য দেয়।আর সর্বশেষে নিজের ক্ষতিটাই সাধন হয়। দুজন ব্যক্তি কেনই বা নিজেদের মধ্যে ভাড়া নিয়ে ঝগড়া করছে সেই বিষয়টা এখনো ক্লিয়ার নয়। তবে এটা বুঝতে পারছি যে খামোখাই তারা নিজেদের ইগোর জন্য এসব করেছেন। না হলে ভাড়া নিয়ে যাত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধানোর কোন মানেই হয় না। পরিবর্তন করতে হয় খারাপ কিছু থেকে ভালো হওয়ার জন্য। কিন্তু খারাপ কিছুকেই যদি পরিবর্তনে নিয়ে আসি তাহলে আর কিভাবে হল।
ভাই আপনার বাস্তব সম্মত কথাগুলো আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক অনেক সময় মানুষজন এমন কর্মকাণ্ড করে ফেলে,তখন মনে হয় মানুষ পাগলের চেয়েও অদম হয়ে গিয়েছে। কারণ পাগলও নিজের বুঝ ভালো বুঝে। এটা ঠিক বর্তমানে ইগোর কারণে বেশিরভাগ মানুষ নিজের ক্ষতির কথাটাও ভাবে না। যেভাবেই হোক তর্কে বা ঝগড়াতে জিততে হবে। এতে করে যেকোনো ধরনের ক্ষতি হলেও কিছু যায় আসে না। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি আসলেই পরিবর্তন করা উচিত। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে বর্তমান পরিস্থিতিটা কি আর বলব এত অস্থির হয়ে যাচ্ছে বলার মতোই না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে ঠিকিয়ে রাখা। যদি নিজেকে টিকিয়ে রাখা না যায় তাহলে পরিবারের নিরাপত্তা থাকবেনা। এমন একটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা। যেখানে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। সেটা জিনিসের দামের ক্ষেত্রে হোক কিংবা রাস্তাঘাটে চলাচলের ক্ষেত্র হোক। সবকিছুতে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে দিন দিন। তো আপনার বাস্তবতা নিয়ে লেখা কথা গুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আসলে সব সময় অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হই আপনার মূল্যবান লেখা গুলো পড়ে।