চালের গুড়া দিয়ে বেগুন ভাজা || Bengali Recipe by @hafizullah
হ্যালো
জীবনের সকল ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে আমরা কিছুটা ব্যতিক্রম স্বাদ খোঁজার চেষ্টা করি, কারন ব্যতিক্রম কিছুর স্বাদ জীবনের গতিকে বেশ ভালোভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই জন্য মাঝে মাঝে আমি অভ্যাসের বিপরীতে কিছু করার চেষ্টা করি। আসলে সত্যি বলতে কিছু বিষয় থাকে যেগুলোর সাভাবিক ধারাবাহিকতা সব সময় আমাদের ভালো লাগে না, তখন কিছুটা ব্যতিক্রম কিছুর প্রত্যাশা করি, আর এই জন্যই আমি ঠিক এই কাজটাই করি, ব্যতিক্রম আনার জন্য।
তবে হ্যা, এখানে ভালো লাগা কিংবা না লাগার একটা বিষয় আছে, কারন সকল ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। সেটা যেন আবার উল্টো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত। ভালোর জন্য করতে গিয়ে পরে খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে। তাই সাবধানতা বেশী জরুরী এখানে। আপনি হয়তো লক্ষ্য করলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন, মাঝে মাঝে যেমন ব্যতিক্রম আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঠিক তেমনি আবার ব্যতিক্রম কিছু আমাদের মাঝে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
যাইহোক, মূল কথাটি হলো সাধারণ নিয়মের বাহিরে মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম কিছু করা কিংবা প্রত্যাশা করাটা আমাদের দিক হতে ভালো। কারণ ভিন্ন কিছুর স্বাদ পাওয়ার সুযোগ তৈরী হয়। সরাসরি বলেই দিলাম, খারাপ কিছুর স্বাদ হতেই আমরা অনুভব করতে পারি ভালোর স্বাদটা কতটা আনন্দের, হে হে হে। এই জন্য ব্যতিক্রম কিছুর স্বাদ আমাদেরকে সাভাবিক স্বাদগুলোর কথাই স্মরণ করিয়ে দিবে বার বার।
যাইহোক, আজ আমি ব্যতিক্রম কিছু শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। হ্যা, অবশ্যই সেটা রেসিপি জাতীয় কিছু। এখন শীতকাল বিকালের নাস্তায় কিংবা সন্ধ্যায় গরম গরম স্পাইসি কিছু না হলে একদমই ভালো লাগে না। আর সেই জন্যই বউ মাঝে মাঝে ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করেন। এই আইডিয়াটি তার, যদিও আমি সাথে ছিলাম আর চিন্তা করেছি কি জানি কি খাওয়ায় আজ, হা হা হা হা। চলুন তাহলে ব্যতিক্রম রেসিপিটি দেখি-
উপকরণ সমূহঃ
- বেগুন
- চালের গুড়ার পেষ্ট
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- জিরা গুড়া
- লবন
- তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে ছোট সাইজের গোল দুটি বেগুন নিবো। আমি অবশ্য সব সময় কালো বাদ দিয়ে সবুজ রং এর বেগুনগুলো বেশী পছন্দ করি। বেগুন দুটোর দুইপাশ হতে পাতলা করে কেটে নিবো বেগুনের বটুসহ। খুব বেশী পাতলা করবো না তাহলে ভাজার সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। তারপর সেগুলোকে কিছুটা কুচে নিবো ছুরি দিয়ে।
এখন চালের গুড়ার পেষ্টের সাথে মসলাগুলোকে মিশিয়ে নেব। তবে এখানে আপনারা চালের গুড়ার পরিবর্তে সুজি কিংবা বেসন ব্যবহার করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ভাজাটা একটু সফট হবে।
মসলাগুলোকে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নেব, তারপর বেগুনের স্লাইসগুলো ঢুবিয়ে পেষ্টগুলোকে মাখিয়ে নেব।
এখন একটি প্যান চুলায় দিবো, কিছুটা তেল ঢেলে গরম করবো। তারপর মাখানো বেগুন স্লাইসগুলোকে তেলে ছাড়বো।
তারপর কিছুটা ভাজা হয়ে আসলে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো, তাহলে বেগুনটা ভাজার সাথে সাথে সিদ্ধ হয়ে যাবে। না হলে ভেতরের অংশ কিছুটা কাঁচা থেকে যেতে পারে।
দেখুন বেগুন ভাজাগুলো দেখতে কেমন লাগছে এখন, খবরদার এগুলোর উপর আবার ঝাঁপ দিতে যাবেন না, তাহলে কিন্তু জিহ্বার কিয়দাংশ পুড়ে যেতে পারে, হি হি হি।
এখন সসের সাথে গরম গরম টেষ্ট করতে পারেন অথবা গরম ভাতের সাথেও স্বাদ নিতে পারেন। তবে আমরা যেহেতু চালের গুড়া ব্যবহার করেছি সেহেতু কিছুটা ক্রাঞ্চি এবং শক্ত অনুভত হয়েছে। আপনারা সুজি ব্যবহার করলে আরো বেশী স্বাদ পাবেন আশা করছি। ব্যতিক্রম কিছু হিসেবে স্বাদটা বেশ দারুণ ছিলো আমার কাছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ভাইয়া চালের গুড়া দিয়ে বেগুন ভাজি রেসিপি টা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। সত্যি এটা একটি ইউনিক রেসিপি হয়েছে। এর আগে আমি কখনও এরকম রেসিপি দেখিনি। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখে তো আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ইস যদি খেতে পারতাম ভালোই লাগতো। তবে সেটা তো আর সম্ভব না আপনার রেসিপিটি দেখে আমি সেখানে আছি বাসায় অবশ্যই ট্রাই করে দেখব। কারণ রেসিপিটি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। জন্য রইল শুভকামনা।
আসলেই একদম ভিন্ন রকমের রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এভাবে বেগুন খাওয়ার কথা তো কোনদিন মাথায় আসেনি। দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল। একা একাই সব খেয়ে ফেললেন। রেসিপি টা দেখতে অনেক সুন্দর দেখা যাচ্ছে কারণ বেগুন খুব সুন্দর করে কেটেছেন। এবং মনে হচ্ছে যেন পুরো আস্ত একটা বেগুন ভেজেছেন। মনে হচ্ছে না এটি মাঝখান বরাবর কাটা রয়েছে। খুব ইউনিক রেসিপি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু, সত্যি এটা একটু ভিন্ন রকম ছিলো তবে সস দিয়ে স্বাদটা বেশ দারুণ লেগেছিলো আমার কাছে।
ব্যতিক্রম কিছু ট্রাই করতে আমারও খুব ভালো লাগে। আর আপনার এ ব্যতিক্রমধর্মী রেসিপিটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে এটির টেস্ট কিছুটা বেগুনের মত।
হুম একদম ক্রাঞ্চি বেগুনের মতো, হা হা হা
আপনার ব্যতিক্রম চালের গুঁড়ো দিয়ে বেগুন ভাজা খুবই অসাধারণ ছিল অনেকটাই উনিক। অবশ্য আপনি ঠিকই বলেছেন সব সময় এক জিনিস ভালো লাগে না। তাদের মধ্যে যদি কোন কিছু নতুনত্ব নিয়ে আসা হয় তার স্বাধ অন্য রকম। বেশি ব্যতিক্রম কিছু করতে গিয়ে বিপরীত কিছু করা একেবারেই ঠিক নয়। তাই নিজেদেরকে সতর্কতার সাথে যে কোন কিছু করা উচিত। তবে আপনাকে ভাবী অনেক হেল্প করেছে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী আপনি আমাদের মাঝে একটা ইউনিক রেসিপি উপহার দিয়েছেন। যেটা আমি কখনো খাইনি দেখিও নাই। তবে জিনিসটা খুবই সুন্দর হয়েছে। এই তো বেশ ভালই লেগেছে মনে হয় অনেকটা বেগুনির মত খেতে মজা হয়েছে। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন এবং একটা ইউনিক রেসিপি আমাদের উপহার দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
হা হা হা এটা ঠিক বলেছেন
বেশী ব্যতিক্রম করতে গেলে আমার বিপদ চলে আসতে পারে। ধন্যবাদ
সত্যিই ব্যতিক্রম কিছু জীবনের গতিকে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে আর আপনি সত্যিই একটা ইউনিক রেসিপি নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে হাজির হলেন। এটি আমি কখনো কোথাও দেখি নাই এবং টেস্ট করা হয় নাই। এখন মন বলছে আপনার রেসিপি দেখে টেস্ট করতে এবং আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। বাড়িতে তৈরি করতে পারবো ইচ্ছা করলে।মজাদার মনে হয়েছে ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া। অনেক ভাল ছিল
এটা একদমই নতুন ভাই, স্বাদটা চেক করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
আপনার খারাপ কাজ গুলোর একটি তালিকা নির্ধারণ করবো আমি।এগুলো কোনো কথা হলো?
প্রতিদিন এতো মজার মজার খাবার খান।
আমার কাছে মনে হচ্ছে সসের চেয়ে ভাতের সাথে খেতেই বেশি মজা হবে।
হা হা হা হা
মজা পাইলাম, আজকাল সবাই দেখছি মজা নিয়ে মন্তব্য করছে, ভালো তো ভালো না, হি হি হি।
কাগজ কলম লাগলে বইলেন ফ্রিতে দিয়ে দিবো।
বাহ, এটি আমার জন্য একটি খুব অনন্য খাবার।
এভাবে বেগুন ভাজা দেখিনি।
কুল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
নিয়মের বাইরে যেতে আমাদের সবারই ভালো লাগে।নিয়মের বাইরে ব্যতিক্রম কিছু করা সেটাই তো সব মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আপনার এই চালের গুড়া দিয়ে বেগুন ভাজা রেসিপিটি সত্যিই একদম আলাদা।কখনো এভাবে ভাবার চেষ্টাও করিনি খাই ও নি কিন্তু কিন্তু দেখে ভীষণ ভালো লাগছে যে এই ভাবে নতুন করে ভেবে রান্না করা যায়। নতুন জিনিস টেস্ট করার আনন্দ কিন্তু একদমই আলাদা। বোঝা যাচ্ছে যে সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। দাদা আপনি এই রেসিপিটি প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে দেখিয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল দাদা আপনার জন্য।
দারুন বলেছেন ভাইয়া মাঝে মধ্যে আমাদের কে সাধারন কিছুর ব্যাতিক্রম খোজা ভালো এতে অনেক না পাওয়া কিছু পাওয়া যাই তবে সব কিছু আবার ব্যাতিক্রম না খোজায় ভালো হতে বিপরিত হয়ে যাবে।
দারুন একটি রেসিপি শেয়াদ করেছেন ভাইয়া। তবে একা একা খাওয়া মোটেও ঠিক না।দারুন ছিল বোঝায় যাচ্ছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
তবে সাবধান দাঁত শক্ত না থাকলে চালের গুড়া না সুজি দিয়ে বানাবেন তাহলে, কারন চালের গুড়া দেয়ার কারণে একটু ক্রাঞ্চি হয়েছে সত্য কিন্তু কিছুটা শক্ত টাইপের হয়েছিলো। ধন্যবাদ
তাহলে আব্বুর গুলো শুধু সুজি দিয়ে বানাবো। ধন্যবাদ ভাইয়া এই বিষয় টি জানানোর জন্য।