পরখ- বিষয়টির প্রতি এখনো ভয় কাজ করে
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
আমরা অজানা কিছু, যে সকল বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই সেগুলো পরখ করার ব্যাপারে সব সময় আকর্ষণবোধ করি না। তবে হ্যা, কেউ কেউ ব্যতিক্রম রয়েছে আমাদের সমাজে, যারা সর্বদা ভিন্ন কিছুতে স্বাদ খুঁজে বেড়ায়। তবে আমি তাদের মতো না, সেটা পছন্দ করি না সেটার ব্যাপারে কখনো আকর্ষণবোধ করি না, কারন একটা ভয় কাজ করে।
একটু পরিস্কার করছি বিষয়টি, experiment নিয়ে একদিন ক্লাশে স্যার বিস্তারিত আলোচনা করলেন এবং আমাদের সবাইকে উৎসাহ দিলেন। আমরা যেন মাঝে মাঝে ভিন্ন কিছু পরখ করে দেখি, তাতে আমাদের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দুটোই দারুণভাবে বৃদ্ধি পাবে। আমাদের স্কুলের শিক্ষকরা সত্যি একটু ভিন্ন ধরনের ছিলেন, তারা বই রেখে বাস্তব জীবনের উদাহরণগুলো একটু বেশী দেয়ার চেষ্টা করতেন, যাতে আমরা বেশী আগ্রহবোধ করি। তবে সেদিনের ক্লাশের পর অনেক কিছুই পরখ করেছিলাম, যেগুলো হতে সাধারণত আমি একটু দূরে দূরে থাকতাম। কারন স্যারের কথায় সাহস কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিলো, নিজেকে একটু সাহসী সাহসী ভাবা শুরু করে দেই হি হি হি।
আমি সাধারণত মসলা খুব বেশী পছন্দ করতাম না, এখনো খুব একটা পছন্দ করি না। যার কারণে বউ মাঝে মাঝে বরে তুমি চায়না চলে যাও, সেখানে সবাই সিদ্ধ জিনিষ বেশী খায়, তবে আমি তাতে মোটেও বিচলিত হই না, সাহসী বলে কথা। সেদিন স্কুল ছুটি হওয়ার পর বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ মসলা দিয়ে ঝাল মুড়ি খাবো, ব্যতিক্রম কিছু পরখ করবো। কিন্তু অর্ডার দেয়ার সময় আমি একটু আগ বাড়িয়ে বলে দেই মামা আমাকে সরিষার ভর্তা একটু বেশী দিয়েন। খানিক পর বই ফেলে আমি কান্না শুরু করলাম, আরে ধুর ইচ্ছে করে না সরিষার ঝাঁঝে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু করে দিছে।
সেদিন যে সুন্দর এবং স্মরণীয় experiment হয়েছিলো আমার, তা ভাষায় সুন্দর করে উপস্থাপন করা অসম্ভব। এর পর হতে experiment কিংবা পরখ করার বিষয়টি সামনে আসলেই একটা অজানা ভয় কাজ করে। থাক বাবা আমার পরখ করার কোন প্রয়োজন নেই, এমনিতেই ভালো আছি হি হি হি। তবে আমি জানি আপনাদের মাঝে সাহস একটু বেশী নতুন কিছুর ব্যাপারে, এই জন্যই তো সবাই কি সুন্দর সুন্দর নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করেন। আর আমি শুরু করতে চাইলেও বউ বাধা দেয়, ভয়ে কাঁচা কলা রেসিপিতে ঢুকিয়ে দেয়, আমরা সমানে সমান সাহসী, হি হি হি হি।
তবে আমার ছেলে কিন্তু আমার মতো না, সে সব কিছুতেই experiment করতে চায়, নতুন কিছু পরখ করতে চায়। এই জন্য মোবইল কিংবা স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে আমি যতটা না বুঝি তার চেয়ে বেশী বুঝে সে। এইতো সেদিন গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার পর চারপাশের দৃশ্যাবলী আধ ঘন্টা ব্যয় করে ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু খাবার খেতে বসে দৃশ্যগুলো দেখে আমার চোখ বড় বড় হয়ে যায়। কারন সবগুলো ফটোগ্রাফির রেজুলেশন এবং সাইজ ভিন্ন। কি ব্যাপার ছবিগুলো এমন হলো কেন? ছেলে বলে বাবা আমি ক্যামেরার সেটিং পরিবর্তন করেছি। কিন্তু কেন করেছো? সে সুন্দর করে উত্তর দেয়, সব সময়ইতো একই রকম ফটোগ্রাফি করো, মাঝে মাঝে ভিন্ন কিছু করা উচিত। আমি চুপ কারন পরখ করার বিষয়টি নিয়ে নতুন কিছু বলতে চাই না তাকে।
সেদিনের ফটোগ্রাফির কিছু দৃশ্য আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি তবে সবগুলো না, চলুন সুন্দর সেই দৃশ্যগুলো দেখি একটু ভিন্ন সাইজে। আশা করছি আপনারা নিরাশ হবেন না।
W3W Location Code: https://what3words.com/latter.armful.crackling
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
![banner-abb23.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb8iudwDiWcPoEeCL9ghCV5egjvdDiK7MicfoDPjaNLg4/banner-abb23.png)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
ঝাল মুড়ির ব্যাপারটা পড়ে খুব মজা পেলা। 😂
ভালোই শিক্ষা হলো আপনার। যদিও ব্যাপারটা কান্না করার কিন্তু পড়ে তো আমার মজা লাগলো তাই না?🤪আপনার লেখার ভঙ্গিটা আমার সব সময় খুব ভালো লাগে। কারণ লেখার মাঝে অনেক বেশি মজা পাওয়া যায় আর ভাবির কাজটাও বেশ মজার ছিল কাঁচ কলা ঢুকিয়ে দেওয়াটা। 😂
আপনার ছেলের জন্য ভালোবাসা রইলো।
বেশি ঝুঁকি পূর্ণ নাহলে যেকোনো বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেওয়া উচিৎ। আপনার ঝাল মুড়িখাওয়ার অভিজ্ঞতার গল্প ভালোই লেগেছে। আর আপনার ছেলের কথা কি বলবো এখন ওর মন অজানাকে জানতে চায় অচেনাকে চিনতে চায়।আপনার ছেলের মধ্যে সৃজনশীলতার বর্হিপ্রকাশ ঘটেছে। আপনার ছেলে ও আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
তা ঠিক বলেছেন তবে সেই ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকাটা জরুরী। ধন্যবাদ ভাই
আপনি পরখ করেন আর নাই করেন আপনার ছেলে কিন্তু পরখ করে। দারুন কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছে যার কারনে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন হয়েছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফের ক্যাডিট কিন্তু আপনার ছেলের। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে আদর ও ভালোবাসা জানাচ্ছি ছেলেকে♥
হা এটা ঠিক বলেছেন, বর্তমান প্রজন্ম আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। ধন্যবাদ
সত্যি ভাইয়া পরখ করতে আমরা অনেকেই চাই না কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না পরখ মাধ্যমে আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি পায়।তবে কিছু পরখ নিজের ক্ষতি ডেকে আনে যেমনটা আপনি সরিষা ভর্তা খেয়ে হয়েছিল হি হি হি খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।খুব ভাল লাগে আপনার লেখাগুলো। সবসময় আপনি খুব আনন্দ সহকারে লিখেন পড়লে মনে আনন্দ লাগে এবং হাসিও পায়।
ভাইয়া, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে দেখার মত সবগুলো ফটোগ্রাফি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম আগ্রহটা কম, তবে নতুন প্রজন্ম এই বিষয়ে বেশ আগ্রহী আমার ছেলের মতো। ধন্যবাদ
বাহ প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং সবুজের পরিবেশ আশ্চর্যজনক, আপনার ফটোগ্রাফি খুব ভাল, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
আপনার কাছে ভালো লেগেছে, শুনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ
আপনাকে স্বাগতম , কিছু দিন আগে আমি আমার সমস্ত বন্ধুদের মন্তব্য করতে পারিনি, আমার শক্তি ফুরিয়ে আসছে, আমি দুঃখিত
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো প্রতিবারই অনেক সুন্দর হয়।এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটা ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর ভাবে আপনি করেছেন। যা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার কাছে দৃশ্যগুলো ভালো লেগেছে শুনে আমারও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
ভাইয়া আমার কিন্তু মসলা খুবই পছন্দ, কিন্তু সরিষা দিয়ে মুড়ি মাখা কখনো খাওয়া হয়নি, মনে হয় খুবই মজা হবে।
experiment করা তো খুবই ভালো, নতুন কিছু আবিষ্কার করা যায় যদি সেটি আমাদের সাধ্যের মধ্যে হয়। আসলেই experiment বিষয়টি বাচ্চাদের মধ্যে কিন্তু অনেক বেশি কাজ করে, তাদের আগ্রহটা এ বিষয়ে বেশি থাকে।ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে, আমারও জানতে ইচ্ছে করছে কিভাবে এই ফটোগ্রাফির সিস্টেম করা হয়েছে?
ভাই আপনার স্যার ঠিকই বলছিলেন।অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফী গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনি পরখ না করলেও আপনার ছেলে কিন্তু পরখ করে।আর এত সুন্দর ফটোগ্রাফীর পুরো ক্রেডিট কিন্তু আপনার ছেলের।আপনার লেখা গুলো পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার ছবিগুলো সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে ।আর সরিষা বাটা দিয়ে ঝাল মুড়ি খাওয়ার গল্পটা কিন্তু সেই রকম ছিল।আসলে আমাদের সবারই উচিত নতুন নতুন জিনিসের অভিজ্ঞতা নেয়া। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ লোক ই নতুন এ ভয় পাই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
সেই ছিলো না আপু মেলা কষ্টের ছিলো সেই অভিজ্ঞতাটা। ধন্যবাদ