দোয়া হোক অন্তর থেকে টিনটিন সোনামণির জন্য
টিনটিন সোনামণির জন্মদিন নিয়ে কিছু কথা
আমরা বাঙালিরা খুব বেশী উৎসব প্রিয়, যার কারনে নানা বিষয় নিয়ে আমরা উৎসবমুখর পরিবেশ উপভোগ করার চেষ্টা করি। বাঙালি সংস্কৃতির অতীত ইতিহাস স্বাক্ষী এখানে ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী কোনদিনও বাধা হতে দাঁড়াতে পারে নাই বরং উৎসবগুলো দারুণভাবে সবাই মিলেমিশে উপভোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই জন্যই বাঙালি জাতিকে বলা হয় উৎসবপ্রিয় জাতি।
যাইহোক, কিছু বিষয় আমি কখনো সাভাবিকভাবে স্মরণে রাখতে পারি না এটা আমার সবচেয়ে বড় দূর্বলতা। যেমন জন্মদিন কিংবা বিশেষ দিনগুলোর তারিখ মনে রাখা। কেন জানি এটা আমার দ্বারা সম্ভব হয়ে উঠে না। এইতো গত বছরও বউ মেলা কথা শুনাইছিলো তার জন্মদিনের তারিখ ভুলে যাওয়ার কারনে। এটা কি কি রকম প্যারা ছিলো, সেটা আপনাদের বুঝাতে পারবো না। তবে হ্যা, বিবাহ বাষির্কীর তারিখটি এখন পর্যন্ত ভুলি নাই, এই দিন হতে এখনো নিরাপদ আছি, হা হা হা হা।
দুই দিন আগে দাদার কাছে মানে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা এ্যাডমিন এর কাছে শুনেছিলাম আমাদের টিনটিন সোনামণির প্রি-জন্মদিনের কথা, আমার কাছে বেশ দারুণ লেগেছিলো আইডিয়াটি। কারন আমি দেখেছি আমার ছেলে-মেয়ে কি রকম উপভোগ করে জন্মদিনের উৎসবটি। তাই মাঝে মাঝে আমিও প্রি-জন্মদিন হিসেবে কিছু দিন উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও এটা এখনো আমার মাঝেই সীমাবদ্ধ রয়েছে, বাড়ীর কেউই জানে না।
কিন্তু আসল বিষয়টা মিস করেছিলাম, যখন গতকাল সন্ধ্যার পর আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন সুমন ভাইয়ের ফোন পেলাম এবং জানতে পারলাম টিনটিন সোনামণির জন্মদিনের কথা। সাথে সাথে আমরা একটা দারুন পরিকল্পনা করলাম এবং নিজেদের মাঝে আলোচনাটাও সেরে নিয়েছিলাম। কিন্তু তবুও পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে পারলাম না। কারন একটা ভয় কাজ করতেছিলো মনের ভিতর। আসলে কারো প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা হতে একটা ভয়ও তৈরী হয়। কোন কারনে ভালোবাসার মানুষটি যেন রাগ না করে। এই বিষয়টিও সেই রকম কিছু বিধায় আমরা সামনে এগুনোর সাহস পেলাম না আর।
তবে হ্যা, একটা বিষয় আমাদের হাতে রয়েছে আর সেটা হলো দোয়া। না শুধু দোয়া না বরং অন্তরের গভীর হতে ভালোবাসা নিয়ে দোয়া। আমি দোয়াটা খুব বেশী বিশ্বাস করি। আপনারা কতটা করেন আমি জানি না? কারন আমার জীবনে এই রকম মিরাকল কিছু ঘটেছে, যা আমাকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে অনুপ্রাণীত করেছিলো। তাই আমি দোয়া করার ব্যাপারে কখনো কার্পন্য করি না। বরং সুযোগ পেলেই চেষ্টা করি ভেতর হতে দোয়া করার।
আমার দোয়ার কারনে কারো জীবনে ভালো কিছুর আবির্ভাব হলে সেটা সকলের জন্যই আনন্দদায়ক হয়ে উঠতে পারে। আসলে আমি বিশ্বাস করি দোয়া এবং চেষ্টার কারনে আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে, আমাদের সম্মুখের চলার পথ আরো বেশী সহজ হয়ে উঠতে পারে এবং জীবনের বাকীদিনগুলো আরো বেশী উজ্জ্বল ও রঙিন হয়ে উঠতে পারে। আর সেই বিশ্বাস থেকেই আমরা সবাই আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের টিনটিন সোনামণির জন্য দোয়া করছি-
বিধাতার কাছে আকুতি নিয়ে
আমার এই দোয়া-
ভালোবাসায় সিক্ত হোক
আগামীর প্রতিটা দিন।
আনন্দ আর উৎসবমুখর পরিবেশে
সবগুলো দিন থাকুক ভরপুর-
দুঃখ-কষ্ট কাছে আসার
সাহস যেন না পায় কভু।
ধনে-সম্পদে, জ্ঞানে-গুণে
প্রাচুর্য থাকুক সব সময়-
পরের কল্যাণে হোক অগ্রগামী
অটুট থাকুক ভালোবাসার সম্পর্কগুলো।
দোয়া শুধুই দোয়া না, কারন দোয়া বাঙালি সংস্কৃতির এক বিশেষ আশীর্বাদস্বরূপ। আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে আমরা সর্বদা বড়দের কিংবা সম্মানীদের নিকট হতে আশীর্বাদ পাওয়াটাকে নিজেদের জন্য ভাগ্যবান হিসেবে বিবেচনা করি। হয়তো এই মুহুর্তে আমি খুব কাছাকাছি নেই কিন্তু সম্পর্কের দিক হতে, মনের দিক হতে খুবই কাছাকাছি উপলব্ধি করছি। তাই দোয়াগুলো হৃদয়ের গভীর হতে টিনটিন সোনামণির জন্য রইলো।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এ্যাডমিনদের পক্ষে,
@hafizullah
|| Community Page || Discord Group ||
ভাইয়া আপনার কথা গুলো খুব ভালো লাগলো। আর কবিতাটি খুব সুন্দর হয়েছে। টিনটিন বাবুর জন্মদিনের মুহুর্ত যে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ বৌদি, আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম।
ভাইয়া সব কিছু মিলিয়ে পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে। বড় কথা হচ্ছে মন থেকে কিছু চাইলে সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই তা দেন ।আপনার দোয়া কবুল হোক এই প্রার্থনা রইলো ।অনেক অনেক ভালোবাসা প্রিয় ভাই আমার।
দাদার প্রতি ভালোবাসার সাথে ভয় ও আছে সেটাই স্বাভাবিক।
তবে আমি মনে করি দোয়াটাই আসল,এর উপরে আর কিছুই হয়না।
টিনটিন সোনার জন্য সবার মন থেকেই অনেক অনেক ভালোবাসা।
হুম, সেটা ছিলো বলেই সাহস করি নাই, তাই পোষ্টটি লেখলাম। ধন্যবাদ আপনাকেও
বাহ্ খুব সুন্দর ভাবে পোস্টটি করেছেন। খুবই ভালো লাগলো পরে। কবিতার লাইন গুলো বেশ ছিল। সত্যি অন্তর থেকে দোয়া রইলো টিনটিন সোনামণির জন্য ও শুভ কামনা রইলো সে যেন অনেক বড় হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।
যদিও আমি কবিতা লিখতে পারি না, তবে চেষ্টা করেছি কিছুটা। ধন্যবাদ
আমার শুভেচ্ছা বার্তা কবুল করুক সৃষ্টিকর্তা । সুন্দর উপস্থাপনা ছিল ভাই ।
ধন্যবাদ ভাই।
আপনি সত্যি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুজিয়ে লেখাগুলো লিখেছেন আপনার লেখাগুলো পড়ে খুব ভালোই লেগেছে। আর আপনার কবিতার লাইনগুলো খুব সুন্দর করে লিখেছেন। টিনটিন বাবুর জন্য আমার পক্ষ থেকে রইল অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা। এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
আপু ভালো লিখি ঠিক বলতে পারবো না, তবে চেষ্টা করি। আপনাদের ভালো লাগে এটাই স্বার্থকতা। ধন্যবাদ
সত্যি আপনি অনেক মূল্যবান কথা তুলে ধরেছেন যে দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হয় এবং অনেকে চেষ্টা পরিশ্রমের ফলে সফলতা অর্জনে খুবই ভালো লাগলো কথাগুলা এবং অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন আপনার প্রতি দোয়া রইল ভাইয়া
লেখাটি পড়ে আপনার মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে সত্যি বলতে আমরা দাদাকে অনেক ভালোবাসি আর যতটা ভালোবাসি ঠিক ততটাই ভয় ও পায়। আর আমার মতে সব থেকে বড় হচ্ছে দোয়া। দোয়ার উপরে কিছুই হতে পারে না।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইলো টিনটিন বাবুর জন্য।টিনটিন বাবুর আগামী দিনের পথচলা শুভ হোক।প্রতিটি দিন হোক আনন্দময়।অবশেষে টিনটিন বাবুর পরিবারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
হ্যাপি বার্থডে টু ইউ টিনটিন
ধন্যবাদ ভাই, আপনার সুন্দর দোয়ার জন্য।
কি আর করব ভাই। কিছুতো করতে পারলাম না। দাদার প্রতি ভালোবাসা আর ভয় দুইটাি তো ইকুয়াল।
তবে মনের গভীর থেকে, ভালোবাসা নিংড়িয়ে টিনটিনের জন্য দোয়া করতে তো বাধা নেই। ওর জন্য অফুরন্ত দোয়া আর ভালোবাসা রইল।
সেটাই ভাই, দোয়া হোক অফুরন্ত।