রুই মাছের রেসিপি কচুর ছড়া দিয়ে || Bengali Recipe by @hafizullah
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
মাছের ব্যাপারে আমার আগ্রহটা বরারব এটকু বেশী, তবে আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বেশ অমিল এই একটা ক্ষেত্রে। কারন তারা সব সময় রিচ ফুড জাতীয় খাবার বেশী পছন্দ করেন। আর আমি সাধারণ বাঙালি হিসেবে, বাঙালি খাবারগুলো বেশী পছন্দ করি । কারন হয়তো আমার মা, কারন মা’র পছন্দের বিষয়গুলো আমি বেশী আয়ত্ব করেছি, তাই মা যেগুলো পছন্দ করেন, আমিও ঠিক সেগুলো বেশী বেশী পছন্দ করি। অবশ্য এটা নিয়ে অন্যদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারন তারা তাদের পছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে বেশী চিন্তা করেন।
যাইহোক, এটা আমার জন্য একটু বেশী ভালো হয়েছে কিন্তু আম্মুর জন্য কষ্টকর। কারন আমরা ভাই-বোনেরা যখন বাড়ীতে যাই, তখন আম্মুকে দুই ধরনের রান্না করতে হয়। আমি যেমন শাক, সবজি এবং ভাজি খেতে পছন্দ করি অন্যরা ঠিক তার উল্টোটা। আসলে আমি টাটকা বিষয়গুলো সব সময় উপভোগ করার চেষ্টা করি। আর গ্রামের বাড়ীতে গেলে নদীর মাছ এবং তার স্বাদ, এটা আমি কখনো মিস করতে চাই না। আজও বেশ সুন্দর ইলিশ মাছ দেখেছিলাম, যেহেতু অন্যরা সম্মতি দেয় নাই তাই কেনা হয় নাই। নাহলে হয়তো আমি বেশ কিছু ইলিশ নিয়েই ঢাকায় ফিরতাম।
এটা আমার জন্য কিছুটা ভালো হতো, কারন ঢাকায় ইলিশ পাওয়া যায় কিন্তু দুটো বিষয়ে মনে ঘটকা থেকেই যায়। এক মাছের দাম আর দুই মাছটা তাজাতো? কিন্তু মাঝে মাঝে ঢাকার বাহির হতে মাছ কেনা হলে সেই বিষয়টি আর থাকে না। আচ্ছা বাদ দেন। আজ আমি আপনাদের সাথে রুই মাছের রেসিপি শেয়ার করবো, তবে তার সাথে থাকবে কচুর ছড়া। কচুর ছড়া আর ঢেঁড়স আমার কাছে একই রকম লাগে। খাওয়ার আগেই ভিতরে চলে যায়, হি হি হি হি।
উপকরণঃ
- রুই মাছ
- কচুর ছড়া
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা (বিলাতি)
- মচির গুড়া
- হলুদ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- আদা পেষ্ট
- লবন
- তৈল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে কচুর ছড়াগুলোকে ভালোভাবে ছোকলা ছাড়িয়ে নিবো তারপর ছোট ছোট স্লাইস করে রাখবো।
এরপর মাছগুলোকে পরিস্কার করে নেব কারন এগুলো ফ্রিজ হতে নেয়া হয়েছে, হলুদ, মরিচ ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নেব ভাজার জন্য। (যদিও আমি রান্নায় ভাজা মাছ খুব একটা পছন্দ করি না)।
এখন একটি প্যান বা কড়াই চুলায় দিয়ে গরম করবো, কিছু তেল দিয়ে মাছগুলোকে ভেজে রাখবো।
তারপর একটি পাতিল চুলায় দিবো, সাথে কিছু তেল দিয়ে গরম করবো এরপর পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে ভাজা ভাজা করবো।
পেঁয়াজগুলো বাদামি হয়ে আসলে হলুদ, মরিচ, জিরা, আদাপেষ্ট দিয়ে কষা করবো।
এগুলোর সাথে আমরা স্লাইস করে রাখা কচুর ছড়াগুলো দিয়ে দিবো এবং কিছুটা সময় রান্না করে মসলার সাথে মিক্স করবো।
এখন কিছুটা পানি ঢালবো, যারা বেশী ঝোল খেতে পছন্দ করেন, তার একটু বেশী ঢালবেন এবং কিছুটা সময় রান্না করতে হবে।
কিছুটা সময় রান্না করার পর, একটু চেক করে নিন সব ঠিক আছে কিনা, যদি ঠিক থাকে তাহলে ধনিয়া পাতা এবং কাচা মচির দিয়ে নামিয়ে ফেলুন।
অবশেষে হলে গেলো আমাদের আজকের রেসিপি, কচুর ছড়া দিয়ে রুই মাছের তরকারী। অল্প কিছু ঝোল রাখা হয়েছে। কিন্তু কচুর ছড়ার তরকারীতে ঝোল না দিয়ে পড়ে তা শুকিয়ে যায় একদম।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
ভাইয়া আপনার রেসিপি টা খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে কচুর খেতে আমার খুব ভালই লাগে। ধন্যবাদ রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার রেসিপি দেখে জিভে পানি চলে এল৷রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে৷আমিও রান্নার ট্রই করব ৷ ভালবাসা অবিরাম
ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার জন্য। রান্না যতো সুন্দর হয় এর স্বাদ ততো ভালো হয় এটা কিন্তু সত্য কথা, হি হি হি
অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপি ভাইয়া। রেসিপি তৈরির সাথে সাথে উপস্থাপনা অনেক ভালো হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটা রেসিপি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
কালার টা তো বেশ চমৎকার হয়েছে , আমি প্রথমে কচুর ছড়া দেখে মনে করেছিলাম এটি হয়তো ডিফারেন্ট একটা জিনিস, পরে দেখি এটি কচুর মুখি। আপনারা কচুর মুখীকে কচুর ছড়া বলেন, সুন্দর নাম নতুন শুনলাম।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই।পরিষ্কার উপস্থাপনা এবং পরিষ্কার পরিবেশনা।সব মিলিয়ে খুবই মার্জিত একটি পোস্ট করেছেন।শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
রুই মাছ সাথে কচুর ছড়া রেসিপি টা খুবই ইউনিক। ঢেঁড়স আমার কাছে খুবই পছন্দের ভাই। এতটাই পছন্দ যে এটা পেলে আমি মাংস কেও না বলতে পারি। রেসিপি টার উপস্থাপনা খুবই ভালো ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা।।
নদীর রুই মাছটা অনেক স্বাদের। আর আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। আর তাই আপনি এই বাঙ্গালীয়ানা টা আয়ত্তে রেখেছেন। আমাদের অনেকেই আছে যেটা পারেনা। আপনার রেসিপি বর্ণনা অনেক সুন্দর হইছে।
রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো ভাইয়া।খেতে মন চায় এখন 🥺🥺
ভাইয়া আপনি হ্যাংআউট এর মতই রুই মাছের রেসিপি খুবই সুন্দরভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। রুই মাছের রেসিপি কিভাবে রান্না করা হয়েছে তা বুঝতে বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় নাই। রুই মাছের রেসিপি আমার ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ভাই আপনি যেটাকে কচুর ছড়া বলছেন আমরা সেটাকে কচুর মুখি বলি। আমার বাবার খুব পছন্দের সবজি ছিল এটি। কিন্তু আমার কখনো খাওয়া হয়নি। কচু জিনিসটা আমি পছন্দ করিনা। কিন্তু রুই মাছ একটি মজার মাছ। রুই মাছ দিয়ে মাছ ভর্তা খেতে অনেক মজা লাগে। ভাই আপনার রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব মজা করে খেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।