হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা এবং বিশ্বাস সবাই ভালো আছেন। আমি হা হা হা আমি আমার মতো আছি, ভালো থাকার চেষ্টা করছি, সমস্যাগুলোকে মানিয়ে নেয়ার সমাঝোতা করছি আর আর আর ভালো থাকার অভিনয় করে যাচ্ছি। আর কিছু কি বাকি আছে? আছে অবশ্যই আছে কিন্তু জানেন তো সবকিছু শেয়ার করা যায় না, সব কিছু বলা যায় না কারন বাস্তবতা অনেক বেশী কঠিন হয়ে গেছে। আমরা অনেক বেশী মুখোশের আড়ালে চলে যাচ্ছি। মানুষগুলোর ব্যবহার এবং প্রতিনিয়ত পরিবর্তন বড্ড বেশী অবাক করে আমায়। সবচেয়ে বেশী খারাপ লাগে যখন কেউ মিথ্যা অপবাদ দেয়, কেমনে পারে মানুষ এমন করতে? তাদের বিবেক বলতে কি কিছু আছে? আমি জানি না, জানি না তাদের মনের ভেতরের খবর, তবে হ্যা, চারপাশের পরিস্থিতি দেখে একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি, এসকল মানুষগুলো কখনো ভালো থাকতে পারে না।
যাইহোক, এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। কারন আজকাল কারো সমস্যা আমাদের কাছে সমস্যাই মনে হয় না, কারো যন্ত্রনাদায়ক অনুভূতি আমাদের হৃদয়কে প্রভাবিত করে না, বরং যা হচ্ছে হোক, যা চলছে চলুক কিন্তু নিজের স্বার্থটা যেন ঠিক থাকে। আফসুস, আমরা বাস্তবতা কিংবা ভেতরের বিষয়টি না বুঝেই অযথা অন্যকে দোষারোপ করার প্রয়াস চালাই, যেন তেন ভাবে অন্যদের দোষারোপ করার চেষ্টা করি। সত্যি আমরা এবং আমাদের বোধশক্তি কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াচ্ছে সেটা একমাত্র উপর ওয়ালাই ভালো বলতে পারবেন। আর একটা বিষয় আমরা যখন নিজের অবস্থান হতে কিছু করতে ব্যর্থ হই, বা করার সুযোগ থাকা সত্বেও সেটাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করি, প্রকৃতির নিয়মে সেই ভুলটার প্রায়শ্চিত্ত কিন্তু তাকে ঠিকই করতে হয় একটা সময়, এটা চিরন্তন সত্য।
আমার বাস্তব জীবনে এই রকম বহু ঘটনার স্বাক্ষী আমি, যারা আমার সাথে অন্যায় করেছে কিন্তু আমি মুখ বুঝে সেটা সহ্য করেছি, তারপর প্রকৃতির নিয়মে সেটার প্রায়শ্চিত করার পর ঠিক আমার কাছে সেটার ভুল স্বীকারও করেছেন। হ্যা, কষ্ট হয় কিন্তু তবুও মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করি, হাসির আড়ালে সবটা লুকিয়ে রাখার প্রয়াস চালাই, নকল হাসিতে সেটা কাউকে বুঝতে দেই না। যখন আর পারি না, তখন সব কিছুর হতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে একটু নিরবে থাকার চেষ্টা করি।
সত্যি বলতে বাস্তবতা দিন দিন আমাদের আরো বেশী নিষ্ঠুর করে তুলছে এবং নিজ কেন্দ্রিক মনোভাব তৈরী করে দিচ্ছে। আমরা দিন দিন ভালো কিছু করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। সভ্যতা, সত্যি আমাদের যতটুকু দিয়েছে তার চেয়ে বেশী আমাদের নিকট হতে কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আমরা ভোগ বিলাশের প্রশান্তিতে সব কিছু ভুলে থাকার নিদারুণ চেষ্টায় মত্ত রয়েছি, মিথ্যে অভিনয়ে নিজেদের সুখি রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাইহোক, কথা প্রসঙ্গে কোথা হতে কোথায় চলে গিয়েছিলাম, মনে করে আমার ফিরে আসলাম আজকের মূল প্রসঙ্গে। আজ আপনাদের সাথে স্বাদের এবং আমার পছন্দের একটা রেসিপি ভাগ করে নিবো। সেটা হলো বরবটি আর আলুর সঙ্গে শিং মাছের কম্বিনেশন। চলুন তাহলে রেসিপিটি দেখি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- শিং মাছ
- আলু
- বরবটি
- টমেটো
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা
- হলুদ গুড়া
- মরিচ গুড়া
- ধনিয়া গুড়া
- তেল
- লবন।
- আদা রসুন পেষ্ট
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে শিং মাছগুলো পরিস্কার করে সেগুলোকে হলুদ মরিচ ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর একটা প্যান চুলায় বসিয়ে তেল দিয়ে গরম করেছি এবং মাছগুলোকে ভেজে নিয়েছি।
তারপর একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে তেল গরম করেছি এবং পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিয়েছি।
তারপর সব মসলা, আদা রসুন পেষ্ট এবং হালকা পানি দিয়ে কষা করার চেষ্টা করেছি।
মসলাগুলো কষানো হয়ে যাওয়ার পর টমেটো স্লাইস দিয়ে দিবো সেগুলোর সাথে।
এরপর টমেটো দিয়ে পুনরায় মসলাগুলোকে কষা করে নিয়েছি।
তারপর মসলাগুলোর সাথে আলু স্লাইস এবং বরবটি স্লাইস দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি।
এরপর দ্রুত সিদ্ধ হয়ে আসার জন্য ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি।
এরপর পরিমান মতো পানি দিয়ে বেশ কিছুটা সময় এভাবে রান্না করেছি।
এরপর ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে আরো কিছুটা সময় রান্না করেছি, তারপর কাঁচা মরিচ দিয়েছি।
তারপর ধনিয়া পাতা কুচি করে উপরে দিয়েছি এবং কিছুটা সময় পর নামিয়ে নিয়েছি।
হয়ে গেলো আজকের ভিন্ন রকম সবজি, আলু বরবটি দিয়ে শিং মাছের রেসিপি। আসলে একাধিক সবজি দিয়ে মাছ রান্না করলে সেটা খেতে বেশ স্বাদের হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
মানুষ এবং মুখোশ এই শব্দ দুটির মাঝে আজকাল আমি খুবই মিল খুঁজে পাই। এই শব্দ দুটো দেখলেই আমার কাছে এক মনে হয়। বাস্তবিক চলার পথে কত মানুষ কত রূপে নিজেকে উপস্থাপন করে। কিন্তু মুখোশের আড়ালে যে চেহারা লুকিয়ে রাখে তা আমরা বুঝতেই পারি না। কি আর করার সব কিছুকে মেনে নিয়েই চলতে হবে। ভাইয়া আজকে শেয়ার করা রেসিপি দারুন ছিল। বরবটি আমার খুবই প্রিয়। শিং মাছের রেসিপি আমার কাছে ভালো লেগেছে ভাইয়া।
বরবটি আলু দিয়ে শিং মাছের রেসিপি পোস্টটি বেশ ভালোই লাগলো। শিং মাছ আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ। আপনার পোস্টটি দেখে একটি রেসিপি শিখে গেলাম ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে স্বার্থের কাছে সবাই পরিবর্তনশীল। স্বার্থের টানে কেউ কাছে আসে আবার স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে আর তাকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে অপবাদ দিতেও দ্বিধাবোধ করে না এটাই এখন বর্তমান সমাজের বাস্তব রূপ।
রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করেছেন দেখেই লাভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে
মানুষের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্ববোধ সেটা লোভ পাচ্ছে ।মানুষের প্রতি ভালোবাসার এবং টান সে বিষয়টি দূরত্বের সৃষ্টি হচ্ছে । যাইহোক, বরবটি আলু দিয়ে শিং মাছের দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন । যেটা খুবই মজাদার খাবার অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপি দেখে।
আসলে উপরের কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন। আজ সত্যিই সবথেকে বেশি খারাপ লাগে যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়। এখনকার পরিস্থিতি গুলোই এরকম হয়ে গেছে। যাই হোক আপনার আজকের রেসিপিটা অনেক দুর্দান্ত লেগেছে। সবজিগুলো দিয়ে শিং মাছ রান্না বেশ ভালো লাগলো। উপস্থাপনাটা বেশ ভালো লেগেছে।
ভাই আপনার রেসিপির চাইতে বরাবরই আমার কাছে আপনার লেখাগুলো বেশি আকর্ষণীয় লাগে। আসলে সবসময় সবকিছু সহ্য করা যেমন যায় না তেমনি সহ্য করা উচিতও নয় বলে আমি মনে করি। কিছু কিছু জায়গায় প্রতিবাদ করাটা অনেকটা ফরজ হয়ে দাঁড়ায়। যাই হোক নতুন জায়গায় আপনার দিনকাল কেমন যাচ্ছে জানতে ইচ্ছে করছে। আর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
মানুষের জীবনে কমবেশি সমস্যা আসবে আর সেগুলোকে অতিবাহিত করে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আর এক্ষেত্রে মজার মজার খাবার ভোজন করার ব্যতিক্রম কোন অপশন নেই। শিং মাছের সাইজগুলো বেশ বড় ছিল আর আলু আর বরবটির সমন্বয়ে শিং মাছের রেসিপি তৈরি করা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
শিং মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয় ।এই মাছে অন্যরকম একটা টেস্ট থাকে। আমিও কিছুদিন আগে শিং মাছের রেসিপি শেয়ার করেছিলাম ।।বরবটি ও আলু দিয়ে শিং মাছের রেসিপিটি খুবই জমেছে। এ ধরনের খাবার প্রায় সবাই পছন্দ করে।। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।
সময় যত পরিবর্তন হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে মানুষের বিবেক ও মনুষত্ব বদলে যাচ্ছে। তাই একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিতেও তারা কিছু মনে করে না। আসলে এই ক্ষুদ্র জীবনে অনেক মানুষকে দেখেছি যারা অন্যের উপর দোষারোপ করতে ব্যস্ত। আর আমরা তাদের অন্যায় আবদার গুলো মেনে নিতে মিথ্যা অভিনয় করে যাচ্ছি এবং সেই সাথে কখন যে আমাদের নিজের বিবেক বদলে গেছে সেটা বুঝতেই পারিনি। যাইহোক ভাইয়া বরবটি, আলু ও শিং মাছ দিয়ে খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️
হাহাহা আশা এবং বিশ্বাস দুইজনেই হয়তো ভালো আছে 🤭🤭 । আসলে মিথ্যে অপবাদ দেয়া আসলে খুব কষ্টের বিষয় এটা । মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মানুষ জন্য আসলে কি শান্তি পায় আমি বুঝিনা ভাইয়া । শুধু শুধু একজন মানুষকে কষ্ট দেওয়ার মধ্যে সুখ নেই । যাই হোক আপনার শিং মাছ দিয়ে বরবটি রান্নার রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেল । ধনিয়া পাতা দেওয়াতে মনে হয় খাবারের স্বাদ আরো বেড়ে গেছে ।