গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খুদের ভাত রেসিপি || Bengali Recipe by @hafizullah
শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা,
আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিতে নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র আমাদের ঐতিহ্যসমূহ ধরে রাখছি না বরং আমাদের সময়গুলোকেও আরো বেশী উপভোগ্য করার চেষ্টা করছি। যুগের পর যুগ ধারাবাহিকভাবে আমরা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এগুলোকে ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এই রকম একটি ঐতিহ্যবাহী খাবারের রেসিপি আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেব।
এটি হলো খুদের ভাত। আসলে গ্রামীন অঞ্চলে এই বিশেষ খাবারের প্রচলনটি খুব বেশী। বিভিন্ন উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটি রান্না করা হয় এবং এর সাথে থাকে আরো কিছু ঐতিহ্যবাহী ভর্তা, যার মাধ্যমে খাবারটির স্বাদ বৃদ্ধি করা হয় এবং আরো বেশী উপভোগ্য হয়ে উঠে। চালের মাঝে ছোট ছোট ভাঙ্গা জাতীয় কিছু চালের অংশ থাকে, যেগুলোকে খুদের চাল বলা হয়। আর এই খুদের চালের সাথে কয়েক পদের ডাল মিশিয়ে যে রান্নাটা করা হয় তাকে আঞ্চলিক ভাষায় খুদের ভাত নামে ডাকা হয়। নানা পদের ভর্তা দিয়ে এটা খেতে বেশ স্বাদের হয়।
আমি এই খুদের ভাতের সাথে ছোট বেলা হতেই বেশ পরিচিত এবং নানা ধরনের ভর্তা দিয়ে এর স্বাদ চেক করতাম। এখনো মাঝে মাঝে সুযোগ পেলেই দুই এক ভর্তা দিয়ে খুদের ভাত খাওয়ার চেষ্টা করি। চলুন আজ দেখি খুদের ভাতের রেসিপি-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- খুদের চাল
- মুগ ডাল
- মসুর ডাল
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- তেজ পাতা
- দারুচিনি
- লবন
- এবং তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে চাল ও ডালগুলোকে ধুয়ে একটি পাত্র রাখবো, তারপর একটি পাতিল চুলায় দিয়ে কিছু তেল দিবো এবং গরম করবো। এগুলোর সাথে তেজপাতা, দারুচিনি দিবো।
এরপর পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ দিবো এগুলোর সাথে তারপর কিছুটা সময় এগুলোকে রান্না করবো।
এখন ধুয়ে রাখা চাল ও ডালগুলো এগুলোর সাথে মেশাবো এবং এর সাথে কিছুটা লবনও দিবো।
এখন এগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজন অনুসারে পানি দিবো তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিবো।
মাঝে মাঝে ঢাকনা সরিয়ে চেক করতে হবে এবং সিদ্ধ হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
হয়ে গেলো আমাদের স্বাদের ঐতিহ্যবাহী খুদের ভাত, যদিও আমি পূর্ব হতে কয়েক পদের ভর্তা প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। যাতে খুদের ভাতের আসল স্বাদটা পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ সবাইকে রেসিপিটি উপভোগ করার জন্য।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
100 SP | 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP |
দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু। দেখে লোভ হচ্ছে ভাই।
আবার জিগায়, হি হি হি
এটা খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি ভাইয়া। আগে এই খাবার প্রায়ই খেতাম। এখন আর পাই না তাই খাওয়া হয় না।আপনার রেসিপি দেখে আমার লোভ লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে আর খাবারটা দেখতেই অনেক লোভনীয় লাগছে। খুব সহজ একটা রেসিপি কিন্তু খুদের চাল কোথায় পাবো।আপনি যেদিন শুঁটকি রান্না কিরেছিলেন সেদিন খুদের ভাতের কথা বলেছিলেন আমি সেদিন থেকেই আপনার খুদের ভাতের অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু দেখেতো আর ভালো লাগছে না। খুবই খেতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি দেওয়ার জন্য।
হ্যা, এটা অবশ্য লোভনীয় একটি খাবার। কেন চলে আসুন ভাইয়ের বাড়ীতে, ভাবিতো আছেই নাকি। খুব ভালো রান্না করে আপনার ভাবি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
খুবই সুস্বাদু একটা রেসিপি। দারুন খেতে হয়েছিলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। খুব সুন্দর বানিয়েছেন দাদা। আমি ও চেষ্টা করবো রেসিপিটি বানানোর। আমার ও খেতে ইচ্ছা হচ্ছে খুব। অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর রেসিপিশেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ রেসিপিটি দেখে মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হাফিজ ভাই খাবারের চেহারাটা খুবই লোভনীয় হয়েছে। এটা এক ধরনের খিচুড়ি। আর খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের। সাথে কয়েক পদের ভর্তা হলে তো কথাই নেই। একসময় আমাদের দেশে খুদের ভাত এর অনেক প্রচলন ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তে আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকেও এটা হারিয়ে যাচ্ছে। খুবই আফসোসের বিষয়।
হুম ঠিক বলছেন, খেতেও স্বাদের হয়েছিলো ভর্তাগুলোর কারনে।
বাহ ভাই খুব ইউনিক একটি রেসিপি। এটা খুবই সুস্বাদু। ধন্যবাদ
এরকম রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হুম এটা এখন সবাই খায় না তবে আমরা রেগুলার উপভোগ করি।
ও আচ্ছা🙂
আমাদের জায়গায়, এটিকে নাসি লেমাক বলা হয় এবং এর স্বাদ খুব ভাল। এখনো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
😊
হ্যা, এই নামটা আমি শুনেছি। ধন্যবাদ
ভাইয়া এই খুদের ভাত আমার খুব পছন্দের একটি খাবার ।আগে যখন ঢাকা থেকে গ্রামে যেতাম যাওয়ার পর দেখতাম দাদি রান্না করে রেখেছে ।কারণ দাদী জানতো এটা আমার খুব পছন্দের ।এখন তো দাদী নেই তাই আর খাওয়া হয়না কিন্তু আজকে আপনার রেসিপি টা দেখে শিখে নিলাম কিভাবে রান্না করতে হয় ।আর লাস্টে যে ছবিটা দিয়েছেন দেখেই কিন্তু খুব খেতে ইচ্ছা করছে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
হ্যা, গ্রামের মানুষ এখনো এগুলো খায়, তারা খুদগুলোকে যত্ন করে রেখে দেয় এই জন্য।
হাফিজ ভাই এ কিখাবার দেখালেন মনে পড়ে গেল ছোটবেলার কথা,অনেক আগে খেয়েছিলাম এই মজার খাবারটি এখন দেখে আবার জিভে পানি চলে আসছে।
হুম, সত্যি আগে নানু দাদি এগুলো রান্না করতো কিন্তু এখন এই সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে।
খুদে ভাত ছোটবেলায় আমরা খুব মজা করে খেতাম বাট এখনও আমরা খুব মজা করে খাই বিশেষ বিশেষ দিনে,
খুদে ভাতের রেসিপি টা অসাধারন হয়েছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেই সাথে শুভকামনা জানাচ্ছি♥
সত্যি ছোটবেলার দিনগুলো অনেক মজার ছিলো।