অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২৬)steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। সুস্থ্য থাকারই কথা কারন শীতের আগমনে পরিবেশটা দারুণ সতেজ ও উপভোগ্য হয়েছে। আপনি যদি একটু ভোর সকালের দিকে উঠেন তাহলে দেখতে পাবেন সকালের প্রকৃতি কতটা সুন্দর এবং সতেজ থাকে। আবার যদি সন্ধ্যার পরে বাহিরে বের হোন বিশেষ করে গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে তাহলে শীতের উষ্ণতা দারুণভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। আমার কাছে কিন্তু এটা দারুণ লাগে, বিশেষ করে ভোর সকালের পরিবেশটা। কারন শীত আমার প্রিয় সিজন তাই তার আগমনি বার্তার পরিবেশটা আমি বেশ উপভোগ করছি।

সত্যি বলতে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শীতের দারুণ উষ্ণতা আমার কাছে সব সময়ই প্রিয় এবং উপভোগ্য। ছোট বেলা হতেই শীতকাল আমার প্রিয় সিজন। পরিবেশটা যেমন উপভোগ করা যায়, রাতের ঘুমটা তেমন সুন্দর হয় এবং দারুণ স্বাদের সকল সবজি উপভোগ করতে পারি। রবি শষ্য, সকল স্বাদের এবং পুষ্টিকর সবজিই কিন্তু এই রবি শষ্যের সিজনে হয়ে থাকে। যাইহোক আজকে আমি কলকাতা ভ্রমনের আরো একটি পর্ব শেয়ার করবো সেটা হলো ২৬তম পর্ব। এখানে আজকে শেয়ার করবো হাওড়া ব্রিজ হতে হাওয়া ফেরিঘাট এ যাওয়ার সময় ক্যাপচার করা চমৎকার কিছু দৃশ্য, যা সত্যি বেশ মুগ্ধকর ছিলো।

IMG_20230326_180853.jpg

আমরা হাওড়া ব্রিজ হতে যখন নামতে শুরু করেছিলাম নিচের দিকে তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়েগিয়েছিলো। আর সন্ধ্যায় যে হাওড়া বিজ্র ভিন্নরূপে দেখা দেয় সেটা কিন্তু আমাদের আগে জানা ছিলো না। আমরা যখন শেষ প্রান্তে চলে আসি তখন নানা রঙের লাইন ঝিলিক দেয়া শুরু করেছিলো। আমরা পেছনে ফিরে পুনরায় কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি। কারণ অন্ধকারের মাঝে লাইটিং এর কারনে দৃশ্যগুলো আরো বেশী আকর্ষনীয় ও মুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিলো। তখনও হাওড়া ব্রিজে বেশ পর্যটনের উপস্থিতি ছিলো, হয়তো তারা রাতের দৃশ্যগুলো উপভোগ করার জন্য অপেক্ষা করতেছিলো।

IMG_20230326_180508.jpg

IMG_20230326_180612.jpg

আমরা এ পাড়ে নেমে সোজা হাঁটা শুরু করলাম হাওয়া নদী ঘাটে যাওয়ার জন্য সেখান হতে একটা লঞ্চ ছাড়ে হাওড়া ঘাট হতে ফেয়ারলি BBD বাগ ফেরী ঘাট পর্যন্ত। নদী পথের এই সময়টা সত্যি দারুণ উপভোগ্য ছিলো, রাতের অন্ধকারে হুগলী নদীতে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতেও বেশ লাইটিং দেখেছি আমরা, অন্ধকারের মাঝে দৃশ্যগুলো দারুণ আকৃষ্ট করেছিলো আমাদের। হাওড়া ঘাটে আমরা বেশ মানুষের উপস্থিতি দেখেছি, সবাই এই খানে নদীর মাঝে গিয়ে হাওড়া ব্রিজের সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করার জন্য।

IMG_20230326_180857.jpg

IMG_20230326_180913.jpg

IMG_20230326_180935.jpg

IMG_20230326_180929.jpg

হাওড়া ঘাটে হাওয়ার আগে আরো কিছু মুগ্ধকর দৃশ্য দেখেছিলাম সড়কের অপর পাশে সেটা ছিলো পুরাতন রেল ষ্টেশন কমপ্লেক্স। লাইটিং এর কথা বলেছিলাম, যেটা আমরা হাওড়া ব্রিজে যেমন দেখেছিলাম ঠিক তেমনি দেখেছিলাম পুরাতন রেল কমপ্লেক্স এ এবং সবশেষে দেখেছিলাম হুগলী নদীতে থাকা লঞ্চে। আমরা সড়কে পাশে দাঁড়িয়ে পুরাতন কমপ্লেক্সের কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করি।

IMG_20230326_180941.jpg

IMG_20230326_181200.jpg

IMG_20230326_181154.jpg

তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে হাওড়া ঘাটে চলে আসি, আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম। ঘাটে যাওয়ার আগে টিকেট কাটতে হবে। আর এই কাজটি বরাবরের মতো কিংপ্রস ভাই করে আমাদের দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন। দেখলাম টিকেট বেশ সস্তা, মাত্র ছয় টাকা নিয়েছিলো প্রতিটি টিকেট। সত্যি বলছি ভাড়ার এই রেটটি আমাদের বেশ অভিভূত করেছিলো। কারন এই রকম পরিবেশে আমাদের দেশে এটা কয়েকগুন বেশী হয়ে যেতো অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে। পরের পর্বে ফেরি ঘাটের দৃশ্যগুলো শেয়ার করবো।

তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ হাওড়া ব্রিজ, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

break .png
standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

break .png


Steem Pro.png

Sort:  
 10 months ago 

আপনারা সেই কত আগে কলকাতায় গিয়েছিলেন সেটার পর্ব যে আজও শেয়ার করেছেন দেখে অবাক হলাম। আসলে আপনারা অল্প কয়েকদিনে বেশ অনেক ঘোরাঘুরি করে ফেলেছিলেন। যাই হোক অন্ধকারে এরকম রংবেরঙের লাইটিং গুলো দেখতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। এরকম সুন্দর পরিবেশে ঢোকার টিকিট মাত্র ৬ টাকা জেনে ভালো লাগলো। আর কিংপ্রস ভাই তো দেখছি আপনাদের বেশ সাহায্য করেছিল। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনাদের কলকাতা ভ্রমণের ২৬ নম্বর পর্ব টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 10 months ago 

আজ ২৬ তম পর্ব শেয়ার করলেন ভাইয়া। সত্যি কথা বলতে শুধু হাওড়া ব্রিজ ই নয়। যেকোনো ব্রিজ পরিদর্শন করতে গেলে রাতে যেতে হয়।রাতে এর আসল সৌন্দর্যটা দেখা যায়। চারিদিকে লাইটিং থাকে তখন এর সৌন্দর্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়।আপনারা লঞ্চের টিকিট কাটলেন।প্রতি টিকিট ৬ টাকা।সত্যি ই অবাক হলাম।যেখানে বিদেশি পর্যটক ও এলো। এরপরেও এতো কম।আমাদের এখানে হলে তো ৫০ টাকা করতো।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

 10 months ago 

আপনার মতো আমারও শীতকাল ভীষণ পছন্দ। শীতকালীন সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। তাছাড়া খেজুরের রস এবং বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া যায়। যাইহোক লাইটিং দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো ভাই। সন্ধ্যার পর এতো চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করার জন্য তখন এতো বেশি পর্যটক ছিলো সেখানে। তবে মাত্র ছয় টাকা টিকেটের দাম, এটা শুনে সত্যিই অবাক হলাম। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষেরা সবদিক দিয়েই ভুক্তভোগী। যাইহোক ফেরি ঘাটের দৃশ্য গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

৬ টাকা টিকিট মূল্য দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আর বাংলাদেশে সাধারণ কোন পার্কে প্রবেশ করতে গেলেও ৫০ টাকা টিকিট মূল্য দিতে হয়। যাইহোক ভাইয়া কলকাতায় গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আর লাইটিং গুলো সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে। আর অন্যদিকে বলতে গেলে শীতকাল আমাদের সবার প্রিয়। সকালবেলায় কিংবা ভোর বেলায় শীত অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। তখন প্রকৃতির শীতলতা সত্যি অনেক ভালো লাগে। সন্ধার পরেও অনেকটা শীতল থাকে পরিবেশ।

 10 months ago 

আপনারা কলকাতা গিয়েছেন সেটা তো জানি। কিন্তু তারপরের গল্প আর শোনা হয়নি অনেক গুলো পর্ব মিস করে গিয়েছি। হাওড়া ঘাট থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার লাগছে ভাই। সত্যি বেশ সুন্দর। এবং টিকিট এর মূল‍্য খুবই কম লেগেছে আমার কাছে। আমাদের এখানে তো বিশ টাকার নিচে টিকিটই হয় না। নির্মাল‍্য দাদা আপনাদের টিকিট কাটতে সাহায্য করেছিল ব‍্যাপার টা শুনে ভালো লাগল।।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59705.02
ETH 2619.44
USDT 1.00
SBD 2.39