শুভ সন্ধ্যা সবাইকে,
মাশরুম রহস্য নিয়ে মেলা কিছু হয়েগেছে ইতিপূর্বে, কারন আমাদের কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা দাদা মাশরুমের রহস্য দিয়ে সবাইকে কুপোকাত করতে সক্ষম হয়েছেন, কেউ পুরোপুরিভাবে মূল রহস্যটি উদঘাটন করতে পারে নাই। কিন্তু মাশরুম নিয়ে রহস্য সবাইকে পুলকিত করেছে এবং সবাই গল্পটি বেশ উপভোগ করেছে, এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
মাশরুম নিয়ে রহস্য আছে এবং থাকবে, কারন পুরো পৃথিবীতে হাজার রকমের মাশরুমের উপস্থিতি রয়েছে, যাদের ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং গঠনশৈলী সহজেই সবাইকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সকলের মাঝে কমবেশী কৌতুহল রয়েছে, কারন আমাদের চারপাশের পরিবেশের মাঝে আমরা প্রায় নানা ধরনের মাশরুম দেখে থাকি। সেগুলোর সৌন্দর্য আমাদের আকৃষ্ট করে এবং আমরা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে একে অন্যের সাথে দৃশ্যগুলোকে ভাগ করে নেয়ার চেষ্টার করি।
ঠিক তেমনি কিছুদিন পূর্বে বৃষ্টিভেজা এক সকালে গ্রাম্য পরিবেশে আমি রঙিন ধরনের কিছু মাশরুম দেখার সুযোগ পাই। সেগুলোকে কিছুটা কাছ হতে দেখার এবং ফটোগ্রাফি করার সুযোগটি আমি নষ্ট করি নাই। কারন এই রকম দৃশ্য আমি এবারই প্রথম দেখেছি। হয়তো গ্রামীন পরিবেশে থাকার কারনে আপনি এই ধরনের মাশরুম দেখে থাকতে পারেন। কিন্তু আমি চমৎকার ও রঙিন মাশরুম আগে খুব একটা দেখি নাই। চলুন তাহলে দৃশ্যগুলো আগে দেখে নেই-
আমি আগেও বলেছি প্রকৃতি এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য আমি দারুনভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি, যতটা সময় আমি শহরের বাহিরে থাকার সুযোগ পাই, ঠিক ততটা সময় আমি প্রকৃতির মাঝে কাটানোর চেষ্টা করি। কারন শহুরে জীবনের চাপ এবং অস্থিরতা দূর করার সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি হলো প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়া।
সেদিনও আমি প্রকৃতির কিছু দৃশ্য উপভোগ করতে বের হয়েছিলাম, যদিও সেদিন বৃষ্টি ছিলো। কিন্তু আমাকে থামাতে পারে নাই। গ্রামীন সড়কের প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য হাঁটতেছিলাম, হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে রঙিন কিছুর উপর। যা পরবর্তীতে মাশরুম হিসেবে সম্মুখে আসে।
প্রথমে আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম, আসলে এগুলো মাশরুম নাকি অন্য কিছু? এটা নিয়ে চিন্তায় পড়েগিয়েছিলাম। পরবর্তীতে যখন নিশ্চিত হই এগুলো এক জাতীয় মাশরুম, তখন কাছ হতে অনেকগুলো দৃশ্য ক্যাপচার করি। এছাড়াও আশে পাশের মানুষদের নিকট শুনেছি, এগুলো নাকি আরো অনেক বড় হয় এবং গোল আকৃতির থাকে। বড় হলে অবশ্য আরো বেশী সুন্দর হয় দেখতে। কারন সবুজের মাঝে এই রকম কিছু দূর হতে বেশ আকর্ষন সৃষ্টি করতে পারে।
ছোট আকৃতির আরো কিছু ছিলো কিছুটা দূরে, কিন্তু বৃষ্টি ভেজা পরিবেশ এবং পিচ্ছিল মাটি তাই রিস্ক নেই নাই। কারন মাশরুম অনেক ক্ষেত্রে বিষাক্ত হয়ে থাকে এবং এদের চারপাশে অনেক ধরনের বিষাক্ত পোকামাড়রও লক্ষ্য করা যায়। ইতিপূর্বে আমি এক ধরনের মাশরুমের ফটোগ্রাফি করার সময় বিষাক্ত এক ধরনের পোকার উপস্থিতি দেখেছিলাম। তাই অল্পতে সন্তুষ্ট হয়ে আমি ফিরে আসি।
W3W Code: https://what3words.com/column.matrons.duck
Device: Redmi 9, Xiaomi
আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তবে এই ধরনের মাশরুমের নির্দিষ্ট কোন নাম বা আঞ্চলিক কোন নাম জানা থাকলে আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
এই মাশরুমগুলি খুবই মোটা বা পুরো টাইপের হয় এবং এই মাশরুমগুলি কোনো বহু পুরোনো ভিজা কাঠের গুড়ি কিংবা কেটে ফেলে রাখা স্যাঁতসেঁতে কাঠের গায়ে জন্মায়।আমাদের বাড়িতে ও এই মাশরুমগুলি হয়।এছাড়া আরও 5- 6 প্রকার প্রাকৃতিক মাশরুম জন্মায় ।তার মধ্যে 1 প্রকার প্রাকৃতিক মাশরুম খাওয়ার যোগ্য।আপনি খুব সুন্দরভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন মাশরুমটি।[যে জিনিস যত বেশি তিক্ত বা বিষাক্ত সে জিনিস তত বেশি আকর্ষণীয় ও সৌন্দর্য্যপূর্ন ।]ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আমিতো মনে করলাম আপনিও মাশরুম নিয়ে কোন গল্প লিখেছেন কিনা। পোস্ট পড়ার পর বুঝতে পারলাম। না এটি কোন গল্প নয়। মাশরুম দেখার আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। মাসরুমটি আসলেই সুন্দর। আমরা সাধারণত রঙিন মাশরুম খুব কম দেখি। আমাদের আশেপাশে যে মাসরুম গুলি দেখি তার বেশিরভাগই সাধারণের সাদা বা বাদামি রঙের। তবে আপনার পোস্ট পড়ে একটি জিনিস বোঝা যাচ্ছে আপনি আসলেই একজন প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই কৌতুহল নিয়ে পুরো লেখাটি পড়ার জন্য। হ্যা, চেস্টা করি ভাই যতটা সম্ভব প্রকৃতির মাঝে থাকার এবং উপভোগ করার।
আমি বিভিন্ন ধরনের মাশরুম দেখেছি তবে এই মাশরুমটি আগে দেখিনি। ফটোগ্রাফিতে তার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
হ্যাঁ ঠিক বলছেন ভাই, বড় হলে এগুলো দেখতে আরো সুন্দর লাগবে।
হ্যা, সবুজের মাঝে এই রকম রঙিন কিছু বেশ আকর্ষনীয় লাগে দূর হতে। ধন্যবাদ
আপনাকে স্বাগতম ভাই ❤️
মাশরুম টা দেখতে অনেকটা আমাদের শরীরের কিডনির মত । অনেক কালারফুল মাশরুম সত্যিই এমন মাশরুম আমি আগে কখনো দেখিনি। সুন্দর হয়েছে পোস্টটি ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি মাশরুম। এরকম মাশরুম আমি প্রথম বারের মত দেখলাম। আগে কখনো এরকম মাশরুম দেখিনি। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নতুন একটি মাশরুম এর সাথে পরিচিত হয়েছি। ফটোগ্রাফি অসাধারণ করেছেন। অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি জিনিস আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এলাকায় এই মাসরুম টি দেখেছি অনেকবার। এই মাসরুম টা দেখতে ফুলের মত লাগে আমার। খুব সুন্দর মাসরুম টি।
অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই।ভালো লেগেছে খুব আবারও দাদার সেই মাশরুমের গল্পের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
এমনিতে অনেক রিস্ক নিয়ে ছবি তুলেছেন আর রিস্ক না নেওয়াটাই ভালো হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অচেনা রঙ্গিন মাশরুম প্রথম আজকেই দেখলাম। এই রঙিন মাশরুম সচরাচর আমরা দেখতে পারি না বা কখনো দেখিনি। ভাইয়া মাটি পিচ্ছিল থাকার পরেও আমাদেরকে নতুন মাশরুম দেখার জন্য কষ্টের সাথে এবং আপনি দেখার পরে আপনার অভিজ্ঞতা সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপনীত করেছেন। আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।
এই মাশরুম কে আমি চিনি, এদের লিঙ্গঝি ( Lingzhi ) মাশরুম বলে। এই মাশরুমগুলো সাধারনতো কিডনি আকৃতির মত দেখতে হয়। এই ধরনের দেখতে অনেক মাশরুম থাকে যেগুলো ভীষণ বিষাক্ত হয়। আর এইগুলো বৃষ্টির সময়ে বেশি দেখা যায় ঝাড়জঙলে। যাইহোক আপনার লেখার সাথে সাথে ফটোগ্রাফিও অসাধারন ছিল।
এই রঙিন মাশরুম টি আমি প্রথম দেখলাম। অন্যান্য মাশরুম থেকে কিছুটা ভিন্ন রকম। তবে খুব সুন্দর ভাবে ফুটেছে। আপনার ফটোগ্রাফি প্রশংসা করতে হচ্ছে। খুব দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য আমাদের সাথে।
আমিও প্রথম দেখে অবাক হয়েছিলাম এবং চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে নিশ্চিত হয়েছি এগুলোও এক ধরনের মাশরুম। ধন্যবাদ