অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২৮)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। যদিও ভালো থাকার খুব একটা ভালো পরিবেশ এই মুহুর্তে নেই, সকল ক্ষেত্রে সকল কিছুর মাঝে একটা অন্য রকম অস্থিরতা কাজ করছে। তবে সবচেয়ে বেশী অস্থিরতা কাজ করছে দ্রব্য মূলের বাজারে। সাধারণ মানুষের জীবন যাপন অনেক বেশী কষ্টকর হয়ে গেছে, সেটা হয়তো সবাই প্রকাশ করতে পারছে না কিন্তু পরিস্থিতি সবাইকে চুপচাপ সহ্য করতে বাধ্য করছে। যদিও জাতি হিসেবে আমরা এমনটা ছিলাম না অতীতে। সময়ের সাথে সাথে আমরাও পাল্টে যাচ্ছি এবং আমাদের স্বভাবও পাল্টে যাচ্ছে। হয়তো সামনে আরো বেশী পরিবর্তন দেখা যাবে, হয়তো অতীতের পুরো রূপটি পাল্টে যাবে।
যাইহোক, এসব বিষয়ে কথা বলাটা আজকের পোষ্টে মুল উদ্দেশ্য না বরং কলকাতা ভ্রমনের আরো কিছু সুন্দর মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিবো। আগের পর্বে শেয়ার করেছিলাম হাওড়া ঘাটে সন্ধ্যার সুন্দর পরিবেশের সাথে ঘটি গরম খাওয়ার অনুভূতি। সত্যি মাঝে মাঝে সাধারণ কিছুও অনেক বেশী অসাধারণ হয়ে যায় শুধুমাত্র উপযুক্ত পরিবেশের কারনে। হাওড়া ঘাটের সেদিনের ঘটি গরমের অনুভূতিটিও সেই রকম ছিলো। আমরা ফিরতি লঞ্চ অর্থাৎ ফেয়ারলি ঘাট হতে লঞ্চ আসার অপেক্ষা করছিলাম। নদীর শীতল বাসাত এবং সুন্দর একটা পরিবেশ, উপভোগ্য সময় ব্যয় করার দারুণ একটা মুহুর্ত ছিলো সেটি।
তারপর কাংখিত সেই লঞ্চ আসে, বেশ মানুষের উপস্থিতি ছিলো সেটায়। প্রথমে ধীরে ধীরে তারা নেমে আসেন এবং আমাদের উঠার পালা। কিংপ্রস ভাই আগেই বলে দিয়েছিলেন যতটা সম্ভব সাবধানের সাথে উঠার জন্য। আমরা দ্রুত লঞ্চে উঠে গেলাম এবং ভালো একটা অবস্থান দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে গেলাম যাতে হওড়া ব্রিজের সুন্দর কিছু মুহুর্ত ক্যাপচার করতে পারি। হালকা ঠান্ডা বাতাসের সাথে পরিবেশটা যেন আরো বেশী উপভোগ্য হয়ে গেলো আমাদের নিকট। কারন লঞ্চ চলার সাথে সাথে বাতাসের মাত্রা যেন বেড়ে গেলো।
যদিও লঞ্চের মাঝে বসার জায়গা ছিলো কিন্তু আমরা সেটা না করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নদীর সুন্দর মুহুর্তগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। অবশ্য লঞ্চে যারা ছিলেন তাদের অধিকাংশই চেষ্টা করেছেন নানা ভাবে ফটোগ্রাফি করার। অবশ্য লঞ্চ চলার সময় খুব সাবধানে ফটোগ্রাফি করতে হয় না হলে আবার মোবাইল পড়ে যাওয়ার একটা ভয় থেকেই যায়। আমরা অপর পাশে আরো একটা সুন্দর ব্রীজের দৃশ্য দেখতে পাই এবং সেটারও ফটোগ্রাফি করি।
মনে হলো খুব দ্রুত যেন আমরা চলে এলাম ফেয়ারলি ঘাটে, অল্প সময়ের জন্য হলেও বেশ উপভোগ্য একটা জার্নি ছিলো এটা। সত্যি বলতে নদীর পাড়ে কিংবা নদীতে সন্ধ্যার মুহুর্তগুলো সব সময়ই উপভোগ হয়ে থাকে। আমরা ঘাটে নেমে সড়কে চলে এলাম। তারপর হোটেলে ফেরার প্রস্তুতি নিলাম। পরের পর্বে নতুন কিছুর অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ হাওড়া ব্রিজ, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
কথাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে এই সেদিনের কথা। কিন্তু এর মধ্যেই গড়িয়ে গিয়েছে এতোটা সময়। আর লঞ্চে বসার জায়গা থাকলেও দাঁড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। রাতের হাওরা ব্রীজ নদী সুন্দর শীতল বাতাস। সত্যি একেবারে অভাবনীয়। অনেক সুন্দর লাগল ভাই কলকাতা ভ্রমণের এই পর্বটা।
ঠিক বলেছেন ভাই, সন্ধ্যার পরে নদীর পাড়ে সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। লাইটিং এর জন্য আরো বেশি ভালো লাগে দেখতে। যাইহোক লঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার কলকাতা ভ্রমণ বেশ দারুন ছিল। রাতের বেলায় হাওড়া ব্রিজের সৌন্দর্য আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নদীতে ঘোরাঘুরি করতে গেলে বসে থাকার চেয়ে দাড়িয়ে নদীর সৌন্দর্য অথবা আশেপাশের সৌন্দর্য অনেক ভালো উপভোগ করা যায়। নদীর ঠান্ডা বাতাস মনটাকেও শীতল করে দেয়
ভাইয়া লঞ্চে উঠে খুব চমৎকার সময় উপভোগ করলেন সবাই।সন্ধ্যায় নদীর নির্মল বাতাস আর চমৎকার লাইটিং এ খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ফটোগ্রাফিগুলো ও খুব সাবধানে তুলতে হলো।দারুন লাগলো আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে কলকাতা-পর্ব -২৮ শেয়ার করার জন্য।