![বরবটি ভর্তা -2.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQEzDbJGaxyREfV166XvWA74a1DgU7aacjYS63DfJ7akV/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%9F%E0%A6%BF%20%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%20-2.jpg)
হ্যালো বন্ধুরা,
আমি কিন্তু একটা বিষয়ে আগেই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, আর সেটা হলো নতুন কিছু পরখ করার ব্যাপারে আমার মাঝে এক ধরনের ভয় কাজ করে। এটা সকল ক্ষেত্রে হলে একটু ব্যতিক্রম খাবারের ক্ষেত্রটা। কারন এই ক্ষেত্রে আমি ঠিকই রিস্ক নিয়ে নেই, হি হি হি। ভয় কাজ করলেও খাবারের বিষয়ে অতো বোকামি কিন্তু করি না আমি। এই সম্পর্কে একটা ডায়লগ আছে আমাদের সমাজে, সেটা হলো ‘খাবারের স্বাদ মানে ভাল-মন্দ পাগলও বুঝে’। তাইলে আমি কেন বুঝবো না, হা হা হা।
যাইহোক, একটু ভয় কিন্তু এখানেও কাজ করতো স্বীকার করি আর নাই করি না কেন। মানে খুব বেশী সাহস দেখাতাম না। বিয়ের আগ পর্যন্ত আমরা আলু ছাড়া অন্য ভর্তাগুলো খুব একটা পরখ করার চেষ্টা করতাম না। কারন আমি এমনিতেও ভর্তা জাতীয় জিনিষ কম পছন্দ করতাম। আরো একটা বিষয় আছে সেটা হলো ঝাল এবং ঝোল, এগুলো এখনো পছন্দ করি না। কারণ আমার কাছে ভালো লাগে না। তবে ডাল খেতে পারি, জানেন তো ডাল এবং ঝোলের মাঝে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
কিন্তু বিয়ের পর ভর্তা এবং ভর্তার স্বাদের ব্যাপারে আমার অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যায়। এর পিছনে মূখ্য ভূমিকা ছিলো আমার শ্বাশুড়ীর। কারণ তিনি খুব ভালো এবং স্বাদের ভর্তা তৈরী করতে পারেন। প্রথম দিকে আমি খুব একটা আগ্রহ দেখাতাম না কিন্তু এখন বাড়ীতে গেলে আগেই বলে দেই অন্যসব বাদ ভর্তা যেন থাকে, তাও এক পদের হলে চলবে না, হি হি হি। বুঝতেই পারছেন মজাতে কেমন গলে গেছি আমি। এখন অবশ্য বাড়ীতেও ভর্তা তৈরী হয় নিয়মিত। এগুলোর মাঝে কমন একটা ভর্তা হলো বরবটি ভর্তা। চলুন আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করি বরবটি ভর্তার রেসিপিটি।
![003 (8).jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmYdXgy352b5xx184nmW2sHDrzeBDtfwqhgqb9H9WWRtD3/003%20(8).jpg)
উপকরণ সমূহঃ
- বরবটি
- রসুন
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- লবন
- তৈল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে বরবটিগুলোকে একটু পরিস্কার করে ছোট ছোট করে কেটে নিবো। একটা কথা বলে রাখছি আমাদের দেশে কয়েক রকমের বরবটি পাওয়া যায়, সবুজ, লাল এবং সাদা এই তিন ধরনের। তবে ভর্তার জন্য সবুজগুলো উত্তম এবং স্বাদ বেশী পাওয়া যায়।
![003 (10).jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWaKb3dGQUfA9onmwKDwy3Fv3pTsSdqPVcgXuehxGtXGW/003%20(10).jpg)
এখন একটি প্যান অথবা কড়াই চুলায় বসাবো, কিছু পরিমান তেল দিয়ে সেটা গরম করে নেব।
তারপর সবগুলো উপকরণ সেই প্যান অথবা কড়াইতে ঢালবো এবং একটু গরম করে নিবো। এরপর কিছু পরিমান পানি দিয়ে এগুলোকে সিদ্ধ করবো।
কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিবো যাতে দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়। দেখুন সব উপাদান সিদ্ধ হয়ে গেছে। এখন এগুলোকে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করবো।
এখন ভর্তা তৈরীর জন্য শীল পাটা নিবো। যদিও আধুনিক প্রযুক্তি ছোঁয়ার শীল পাটার ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে ভর্তার ক্ষেত্রে আমরা এখনো শীল পাটা ব্যবহার করি। অল্প অল্প করে সিদ্ধ করা উপাদানগুলো শীল পাটায় নিবো ভর্তার তৈরীর জন্য।
এখন আপনার মনের যত রাখ কিংবা ক্ষোভ আছে সব ঝেড়ে দিন শীল পাটার উপর এবং ভর্তাগুলোকে সুন্দরভাবে তৈরী করে নিন।
![003 (5).jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdjXLP33Jh16X55A6ZyWf9mAh3UzgY49U225HSzXee4y7/003%20(5).jpg)
ব্যস তৈরী হয়ে গেলো আমার স্বাদের বরবটি ভর্তা। তবে ভর্তা বানানোর সময় দুই রকম ভর্তা তৈরী করতে হয় আমাদের বাড়ীতে, একটা ঝাল ছাড়া এবং অন্যটি ঝালের সহিত। এটা ছিলো ঝাল ছাড়াটা। একটু চেক করে নেই স্বাদটা দাঁড়ান, উফফফ সেই স্বাদের হয়েছে। যাই গরম ভাতের সাথে স্বাদের পূর্ণতা দেই, হি হি হি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![Leader Banner-Final.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmf1vVwFwpbswCdJTFjNtstUPoKMfUCMZQR9pXrdHbFYDk/Leader%20Banner-Final.png)
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
![break.png](https://steemitimages.com/640x0/https://images.hive.blog/DQma7eDsaUxzt7EVhxxHm2ePVexWhgcEsgXRUqWRygQYFjW/break.png)
![banner-abb23.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb8iudwDiWcPoEeCL9ghCV5egjvdDiK7MicfoDPjaNLg4/banner-abb23.png)
ভাইয়া আপনার বরবটির ভর্তা দেখে তো আমার এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। যেকোনো ভর্তা আমার খুব পছন্দের। আর আপনার ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটা ভর্তা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাদা এমনিতেই তো আমি বরবটি খাইনা। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে টেস্ট ভালোই হয়েছে। আর আপনি যেভাবে যত্ন নিয়ে রান্নাটা করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন তাতে খুবই ভালো লাগছে।
তবে সত্যি আমার রেসিপিটি স্বাদের ছিলো, অনেগুলো গরম ভাত খাইছি, একটা একটা করে ধরে একত্রে গিলেছি, হি হি হি।
বরবটি ভর্তা খুবই ভালো লাগে খেতে।এটি আমাদের প্রায় খাওয়া পড়ে।তবে ভাতের মধ্যে দিয়ে সেদ্ধ করে।আপনার রেসিপিটা বানানোর ধরন একটু ভিন্ন।তবে বেশ মজার রেসিপিটা।ধন্যবাদ ভাইয়া।
জ্বী আপু সত্যি খেতে অনেক স্বাদের লাগে, বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে।
ভাইয়া এখন আপনার আগের থেকে ভর্তার প্রতি আগের আগ্রহ বেড়েছে শাশুড়ির জন্য। শুনে খুশি হলাম। আপনার ভর্তা রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। এভাবে একদিন আমি করে দেখবো। আমি ভাতের মধ্যে দিয়ে সেদ্ধ করে খায়। আলু ভর্তার মত। আপনার এই পদ্ধতি একদিন করে দেখবো। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। শুভেচ্ছা নিবেন ভাইয়া
হ্যা, আগের তুলনায় এখন ভর্তা বেশী বেশী খাই।
আমি আগে কখনো বরবটি ভর্তা খাইনি এবং কিভাবে বানায় তা আমি নিজেও জানিনা। আজকে আপনার এই বরবটি ভর্তা বানানোর রেসিপি দেখে আমি নিজেই শিখে গেলাম কিভাবে বরবটি ভর্তা বানাতে হয।আপনার এই বরবটি ভর্তা রেসিপি দেখে এখন আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছে করতেছে অনেক।আমি মা কে একদিন বলবো বরবটি ভর্তা আমাকে বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই পোষ্টের জন্য আমি নতুন একটা রেসিপির খোঁজ পেলাম।
জ্বী ভাই এভাবে একবার ট্রাই করে দেখেন, মজা পাবেন অনেক নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
এভাবে কখনো ট্রাই করে দেখিনি,,তবে এমনিতে বরবটি খুবই ভাল্লাগে।মনে হয় খুব ভালো হয়েছে খেতে।শুভ কামনা রইলো 🥰❣️
হুম, আবার জিগায়, মজা মানে সেই মজা।
এই ভর্তা টি আমার খুব ভালো লাগে ঝাল করে খেতে৷ প্রায় বানানো হয় বাসায়৷ আপনার রেসিপি বরবটি ভর্তা টি খুব লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া। অনেকের হাতে অনেক বেশি স্বাদ হয় ভর্তা যেমনটি আন্টির হাতের হয় বললেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হুম আপনার ভাবি খায় অনেক ঝাল দিয়ে কিন্তু আমি ঝাল খেতে পারি না, মিষ্টি ভাই বলে, হি হি হি
ভাইয়া,আপনার তৈরি করা বরবটি শিমের ভর্তা দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছা করছে।কারণ ভর্তা জাতীয় জিনিসের নাম শুনলে জিভে জল এমনি এসে যায়।
বরবটি শিমের ভর্তা খুবই সুস্বাদু প্রায় সময় আমার ঘরে তৈরি করে খেয়ে থাকি।ভাইয়া ভার্তা যেমন দেখতে সুস্বাদু লাগছে। তেমনি আপনার কথাগুলো অনেক সুন্দর লিখেছেন।
আপনার লেখা প্রতিটি খুবই সুন্দর হয় এবং হাসিও পায়। তবে এই লেখাটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
খাবারের স্বাদ মানে ভাল-মন্দ পাগলও বুঝে’। তাইলে আমি কেন বুঝবো না, হা হা হা
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হুম, সত্যি বলেছি না আমি, কি বলেন আপু। ধন্যবাদ
ভর্তা জিনিসটি আসলে মজা গরম গরম ভাতের সঙ্গে খেতে। আপনার এই বরবটি ভর্তা টি আমি একবার খেয়েছিলাম। খুবই মজা লাগে। আপনার আজকের বরবটি ভর্তা দেখে আবার আমার বরবটি ভর্তার কথা মনে পড়ে গেল ।আপনার রেসিপি দেখে আরো একবার বানাতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক ধরেছেন, গরম ভাতের সাথে ভর্তা আর কিছুই লাগে না।
এই টাইপের কিছু ভর্তা হলে মাছ মাংস কিছুই লাগে না।
বুঝি বুঝি, সব বুঝি। শ্বাশুড় বাড়ি দেখছি ভারি মজা। বিয়ে করতে হবে মনে হচ্ছে। 🤪🤪
আমার ও এই বরবটি ভর্তা খুব মজা লাগে।
তবে এই বছরের একবার ও আমার এখনো বরবটি ভর্তা খাওয়া হয়নি। আপনার বরবটি ভর্তা দেখেই আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে খুব।
হুম, দেখেনই না বিয়ে করে, কি মজা? শ্বাশুড়ীর পেদানি খেলে বিয়ের শখ মিটে যাবে, হা হা হা। আমি তো মেয়ের জামাই তাই একটু আদর বেশী পাই।