বাঙালি রেসিপি শাপলা ভাজি || Bengali Recipe by @hafizullah
শুভ দুপুর বন্ধুরা,
শাপলা প্রকৃতির সৌন্দর্যের এক প্রতীক। যদিও আমাদের সমাজে আমরা শাপলাকে একটু বেশী মর্যাদা দিয়ে থাকি, কারন আমাদের দেশের জাতীয় ফুলের আসনটিতে বসানো হয়েছে শাপলা ফুলকে। রাষ্ট্রীয় কাজের সকল ক্ষেত্রে জাতীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার প্রতিকৃতি ব্যবহৃত হচ্ছে। আসলে শুধু জাতীয় ফুল হিসেবে না, প্রকৃতির মাঝে নিজের সৌন্দর্যের মাধ্যমে সকলের নিকট আকর্ষণীয় বিষয় হিসেবে নিজের স্থান ধরে রেখেছে শাপলা ফুল।
এই সময়টা বর্ষাকাল, প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যার কারনে চারপাশের নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে যায় এবং অন্যরকম এক দৃশ্যের অবতারনা করে। চারপাশে শুধু পানি আর পানি, দেখতে অবশ্য ভালো লাগে। কিন্তু দৃশ্যটি কিছু দিনের মাঝেই আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সকলের নিকট, যখন পানির মাঝে শাপলা তার আপন পশরা সাজিয়ে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশের চেষ্টা করেন। ভিন্ন এক আবহের সৃষ্টি হয় তখন, মুগ্ধকর এক পরিবেশ সকলের হৃদয়কে আরো বেশী মুগ্ধ করে তোলে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শাপলার স্বাদের একটি রেসিপি শেয়ার করবো। বিশেষ করে পাশলা ফুলের কান্ড আমরা সবাই ভাজি হিসেবে বেশ পছন্দ করি। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। চলুন আজ আপনাদের সাথে সহজ এই রেসিপিটি ভাগ করে নেই-
উপকরণঃ
- শাপলা
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- শুকনা মরিচ
- লবন
- তেল
প্রস্তুত প্রণালীঃ
শাপলা ভাজি খুবই সহজ ও স্বাদের একটি রেসিপি, এটি তৈরী করতে খুব বেশী সময় এর প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র সিদ্ধ হতে যতটা সময় লাগে, কিন্তু হ্যা, এর স্বাদ কিন্তু আপনাকে ঠিক তৃপ্তি দিবে।
প্রথমে আমরা শাপলার কান্ডগুলোকে পরিস্কার করে ছোট ছোট আকারে স্লাইস করে নেব।
এরপর চুলায় একটি প্যান বা কড়াই দিয়ে কিছু পরিমাণে তেল ঢেলে তা গরম করে নেব। তেল গরম হয়ে সাথে শুকনা মরিচ দিয়ে একটু ভেজে নিবো।
এখন এগুলোর সাথে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে আরো কিছুটা সময় রান্না করবো, যাতে পেঁয়াজ গুলো হালকা বাদামি রং ধারন করে।
তারপর পরিস্কার করে রাখা শাপলার কান্ডগুলো এগুলোর উপর ঢেলে দিবো এবং অল্প পরিমানে লবন দিবো।
কিছু সময় পর পর এগুলোকে একটু নেড়ে দিবো, প্রয়োজনে ঢেকে দিতে পারেন। ঢেকে দিলে দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়। তারপর সিদ্ধ হয়ে আসার আগ পর্যন্ত আমাদের রান্না করতে হবে।
উপরের চিত্রটি দেখুন, রান্না শেষ করার পর কতটা স্বাদের মনে হচ্ছে। খুবই সহজ একটি রান্না, আপনারা চেক করতে পারেন। তবে আমি খেয়ে চেক করে নিচ্ছি এখন, হি হি হি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শাপলা, বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এই শাপলা ফুলের ডাটা লতা দিয়ে মজার সবজি তৈরি করা যায়। এই বর্ষা মৌসুমে বাজারে শাপলা পাওয়া যায়। অনেকেই শাপলার তরকারি বা ভাজি খেতে খুব পছন্দ করেন।
আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শাপলা ভাজি খুবই পুষ্টিগুনসম্মত একটা রেসিপি। ভাইয়ার রেসিপিটি খুবই ভালো হয়েছে। আমরা চিংড়ি মাছ দিয়ে খাই। তাহলে স্বাদ ও আরও বেড়ে যায়। আমি কি ঠিক বললাম ভাইয়া। আমার তো স্বাদ লাগে। আপনার বানানো রেসিপি অনেক সুস্বাদু হবে ।শুভেচ্ছা অবিরাম ভাইয়া
দাদা, আমি কখনো খাই নি শাপলা ভাজি। তবে আমার বাংলা ব্লগে শাপলার অনেক রেসিপি আমি দেখেছি। তাই খেতে ইচ্ছে করে খুব। মনে হয় খেতে ভালোই হবে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সবটা সাজিয়েছেন।
ভাই অনেকদিন হলো শাপলা ভাজি খাইনা। আপনার এই শাপলা ভাজি দেখে তো আমার লোভ লেগে গেলো। কালকে বাজারে গেলে আনতেই হবে দেখছি।
হে হে হে, এখনতো বাজারে বেশ উঠছে শাপলা, দামও খুব বেশী না তবে স্বাদটা সেই লাগে।
শাপলা ভাজি আমার একটা পছন্দের রেসিপি। এই সিজনে এখনো খাওয়া হলো না। একদিন এনে খেতে হবে। আপনার শাপলা ভাজির রেসিপি দারুন হয়েছে। স্বাদের কথা আর জিজ্ঞাসা করবো না কারণ আমি এর স্বাদ জানি হা হা।
তাহলে বাজার থেকে শাপলা আসবে সাথে একটা রেসিপিও হবে, স্বাদের ষোলআনা পূর্ণতা পাবে।
😁
শাপলা ফুলের এই রেসিপি সাথে আমার মা যখন মাছ দিয়ে রান্না করতো তখন খেতে খুব ভালো লাগতো। বিশেষ করে ছোটবেলায় যখন আমাদের গ্রামের বিল থেকে শাপলা ফুল নিয়ে আসতাম তখন মা সে গুলোকে ছোট ছোট করে কেটে ছোট মাছ দিয়ে রান্না করতো খেতে বেশ ভালোই লাগতো।
আপনার রেসিপিটি ধরন একটু আলাদা। মনে হচ্ছে অনেক ইন্টারেস্টিং হবে। ধন্যবাদ সুন্দর মানের কিছু উপহার দেওয়ার জন্য
হ্যা, আমরাও মাঝে মাঝে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করি, বেশ লাগে খেতে। ধন্যবাদ
অগণিত অফুরন্ত শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা রইলো
বাহ্ শাপলা ভাজিও খাওয়া যায়...!জানতামই না কখনো খেয়ে দেখি নি। আপনি যে সুন্দর ভাবে রেসিপি টা উপস্থাপন করেছেন তাতে এখনো খেতে মন চাইছে। খেয়ে দেখতে হবে কেমন স্বাদ।আপনার উপস্থাপনা আমার খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া
ভাই আমি সেই ছোট বেলা হতেই শাপলা ভাজি খেয়ে আসছি। চেক করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে।
জ্বী ভাই,চেক তো করতেই হবে
হে হে হে! 😌শাপলা ভাজি রেসিপিটি খুব দারুন হয়েছে। মনে হচ্ছে, বিশাল টেস্ট তবে আমি কখনোই খায় নাই।
আপনার রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম একদিন বানাবো ইনশাল্লাহ!
হ্যা, সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, একদিন রান্না করে দেখতে পারেন আপু।
জ্বী ভাইয়া,একদিন রান্না করবো আপনার রেসিপি টা দেখে নিয়ে।হয়তো আপনার মতো এতোটা ভাল হবেনা। তারপরো নতুন কিছু খাওয়া তো হবে। ☺
ভাই কখনো শাপলা ভাজি খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে। বাসায় একবার চেষ্টা করে দেখতে হবে।
হ্যা, ভাই চেক করে দেখতে পারেন, ভালো লাগবে।
মজার ব্যাপার কি জানেন ভাইয়া!
আমি কয়েক মাস আগেও ভাবতাম কি শাপলা খাওয়া যায় না।
কিন্তু এখন দেখি পুরো শাপলা টাই খাওয়ার যোগ্য। আপনার রেসিপি দেখে ভালই লাগলো।
রেসিপিটি আমার কাছে একদমই নতুন।