সুস্থ্যতা নিশ্চিতের নতুন প্রচেষ্টা || জীবনের গল্প
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন। আমি এখনো ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পায়ের ব্যথাটা এখনো বেশ ভোগাচ্ছে। যদিও ঔষধগুলোর সম্পর্কে অনেকেই নেগেটিভ ধারণা দিয়েছিলেন শুরু হতেই কিন্তু তবুও সপ্তাহ খানেক সেগুলো খেয়ে দেখলাম। অফিসের বসকে জানানোর সাথে সাথে বস রেগে গেলেন এবং বললেন ঔষধ খাওয়া বন্ধ করার জন্য। বস অবশ্য এই সকল ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপির উপর বেশী ভরসা করেন। তার যুক্তি ঔষধে একটা সমস্যার সমাধান হয় বটে কিন্তু তার সাথে সাথে আরো নতুন তিনটে সমস্যা তৈরী হয়। তাই ঔষধ না খেয়ে ব্যথা দিয় ব্যথা সরানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
অবশ্য আমার বস সেই দুই বছর বয়স হতেই অসুস্থ্য আর এই অবস্থায় উনি চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস পাস করেছেন। অবশ্য আমার তুলনায় উনার মানসিক শক্তি অনেক বেশী মজবুত কারন উনি সেই ছোট বেলা হতেই পরিস্থিতির প্রতিকুল পরিবেশের সাথে লড়াই করে এই পর্যন্ত এসেছেন। যাইহোক, বস নিষেধ করার পর ঔষধ সেবন বন্ধ করে দেই। তারপর গত শুক্রবার বস নিজেই আমাকে আশুলিয়ার একটি ফিজিওথেরাপির সেন্টারে নিয়ে যান। ভদ্রমহিলা বেশ আন্তরিকতা দেখালেন, আমার বস এবং ম্যাডাম দুই জনই এখানে ফিজিওথেরাপি নিয়ে থাকে প্রতি সপ্তাহের একদিন।
তারপর উনিও এক্সরে রিপোর্ট এবং প্রেসক্রিপশন দেখে ঔষধ খেতে নিষেধ করলেন। তবে সেগুলোর মাঝে একটা ঔষধে টিক চিহ্ন দিয়ে দিলেন বললেন এটা খেতে পারেন। অবশ্য উনিও আরো দুটো ঔষধ লিখে দিলেন বললেন সেগুলো খেতে। একটা বিষয় বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হলো সেটা হলো ব্যক্তি বিশেষে সকল ক্ষেত্রে মতামত বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আমি যে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবো অন্যরা সেগুলোকে সেভাবে গ্রহণ নাও করতে পারে। তাই বলে সেটা যে ভুল সেটা কখনো বলা যাবে না। হ্যা, অধিকাংশ মতের পক্ষে থাকাটা ভালো সেটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি। আমাদের সবারই উচিত অধিকাংশ মতের পক্ষে থাকা, তাতে হয়তো বেশী মঙ্গলজনক হবে।
আসলে জীবন যতদিন আছে সমস্যা ততোদিন থাকবে, সমস্যা যত দিন থাকবে আমাদের অভিজ্ঞতা ততোদিন বাড়তে থাকবে । জীবনের বিষয়গুলো সত্যি এমন, প্রতিটি মুহূর্ত নতুন নতুন সমস্যা আসবে, নতুন নতুন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে এবং নতুন বিষয়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক তৈরী হবে। দেখা যাক নতুন অভিজ্ঞতা কতটা সুখকর হয় এবং পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে, নিয়মিত এক সপ্তাহ নিয়ে দেখি ফলাফলটা ভালোর দিকে যায় নাকি খারাপের দিকে যায়। সমস্যা আছে বলেই আমরা সমাধানের পিছনে ছুটি কিন্তু যদি সমস্যা না থাকতো তাহলে হয়তো আমরা নতুন বিষয়গুলোর প্রতি কখনোই আগ্রহী হতাম না, এটাই হয়তো প্রকৃত বাস্তবতা।
তবে একটা বিষয় ক্লিয়ার হয়েছি সেটা হলো আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব না যতদিন পর্যন্ত এই সেক্টরের মানুষগুলোর মানসিকতা না বদলাবে, ব্যবসা করার কিংবা অধিক মুনাফা অর্জনের নিয়ত পরিবর্তন না হবে। একটা সময় আমিও চিন্তা করলাম মানুষ কেন চিকিৎসার জন্য এতো বেশী বিদেশে দৌড়ায়? এখন বিষয়টি একদম পানির মতো পরিস্কার। এই অবস্থার জন্য দায়ী এই সেক্টরে দায়িত্বরত কর্তা ব্যক্তিবর্গ এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তারদের পরিবর্তিত মানসিকতা। পরিবর্তন আসুক সকল ক্ষেত্রে এই কামনা করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে ভাইয়া পরিবর্তনের কথা বলে আর আমাদের লাভ নেই। কারণ এরা পরিবর্তন হবার মতো নয়। তবে আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া যতদিন জীবন থাকবে ততই সমস্যা থাকবেই। আর একেক জনের সিদান্ত একেক রকম। একজন ভুল করলেও বলা যাবে না।দোয়া করি ভাইয়া আপনি তারাতাড়ি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠুন।
কে করবে পরিবর্তন ভাইয়া। সরিষার মধ্যে ভূত থাকলে কি আর ভূত তাড়ানো সম্ভব? আর আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে অবস্থা তাতে আগামীতে কি হবে সেটাই ভাবী। যে দেশে সারাধন জ্বরের জন্য ঔষুধ লিখতে একটি প্রেসক্রিপশন ভরে যায় সে দেশে আর কি উন্নত হবে। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের একটু যাচাই করে ঔষধ খাওয়া দরকার। কিন্তু আজকাল পাবলিকও আছে মুড়ির মত করে ঔষধ খেতে থাকে। দোয়া রইল আপনার জন্য বেশ তাড়াতাড়ি মনের জোড়ে সেরে উঠুন।
সত্যি কে করবে পরিবর্তন? যদি আমরা জনগণ কিছুটা সচেতন হতাম তাহলে হয়তো কিছুটা আশা থাকতো। আপনি ঠিকই বলেছেন সাধারণ মানুষও আজকাল মুড়ির মতো ঔষধ খাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ
ব্যথার সমস্যাটা অনেক বেশি মারাত্মক। আমি কয়েক মাস থেকে কোমরের দুই পাশের ব্যথার সমস্যায় ভুগছি। মেডিসিন খেতে খেতে শরীর এতটাই দুর্বল হয়ে গেছে যে ঠিকমতো কোন কাজ করতে পারি না। আমার মনে হয় মেডিসিনের থেকে ফিজিওথেরাপি অনেক বেশি কাজের হবে। তবে আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা সত্যিই অনেক খারাপ। তাই তো সবাই দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করে। যাই হোক ভাইয়া আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
ভাইয়া আপনি এটা ঠিক বলেছেন যে,জীবন যতোদিন থাকবে ততোদিন থাকবে এবং সমস্যাও ততোদিন থাকবে।আমাদের অভিজ্ঞতাও বাড়বে।এটা একদম ঠিক যে ,আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার মান ভালো না, যার দরুন দেশের বাইরে যেতে হয় আমাদের।ভালো লাগলো পোস্টটি।বাস্তবসম্মত কথা ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।
আপনার মতো একসময় আমিও ভাবতাম, যাদের সামর্থ্য আছে তারা কেনো চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশে যায়। পরবর্তীতে এই ব্যাপারে ক্লিয়ার হয়ে যাই আমি। আমাদের দেশের চিকিৎসা খাতে প্রচুর দুর্নীতি চলে। আপনার বস আপনাকে ঔষধ সেবন করতে নিষেধ করে খুব ভালো করেছে। কারণ পা,পিঠ বা এই জাতীয় কিছু সমস্যায় ঔষধের চেয়ে থেরাপি খুব ভালো কাজ করে। যাইহোক আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই। এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বেশ কিছুদিন ধরে পা নিয়ে ভুগছেন। এখনো সুস্থ হতে পারেননি।আসলে ব্যথার ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়।তবুও আমরা ডাক্তারের পরামর্শ মতে নানা রকমের ঔষধ খেয়ে আরো নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে ফেলি।এর প্রমান আমি আমার আব্বুকে দেখেছি।প্রায় ১৫ বছর আগের কথা পা ফোলা নিয়ে ডাক্তার দেখায়। ডাক্তার কিডনির সমস্যা বলে অপারেশন করতে হবে বলল।াসবাই না করাতে আব্বুকে কলকাতা যেতে বলি।সেখানে টেস্ট করে সামান্য কিছু মেডিসিন দিয়ে দেয়।আব্বু এখনো পর্যন্ত মাশাল্লাহ সুস্থ। আসলে এদেশে বাস করে ও বলতে দ্বিধা নেই এখানে সবকিছু ই ভেজাল।আপনি ফিজিওথেরাপি নিন। ইনশাআল্লাহ ভালো হবেন আশারাখি।তবে অবশ্যই ধৈর্য ধারন করতে হবে।