প্রকৃতির অনুভূতির সাথে ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আমি দুদিন পর শহরে ফিরলাম। বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি এই বার গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে, আসলে পারিবারিক একটা সমস্যা ছিলো কিন্তু সেটার সমাধান হয় নাই, আমি ছোট মানুষ কিনা তাই আরো বড় মানুষ লাগবে মানে আমার বড় ভাইকে যাওয়া লাগবে, হা হা হা হা। মনে হলো খুব দ্রুততার সাথে সময় চলে গেলো, দুদিন দেখতে দেখতেই শেষ হয়ে গেলো। আসলে আমরা যারা শহরের মাঝে বাস করি, তাদের সর্বদা একটা নির্দিষ্ট রুটিনের মাঝে থাকতে হয়, যার কারনে একটার পর একটা টাস্ক আসতেই থাকে। কিন্তু গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার পর কাজের ধারাবাহিক কোন রুটিন ছিলো না, যার কারনে সারাদিনই নানা বিষয় নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছি এবং সত্যি বলছি বেশ উপভোগ করেছি। গ্রামের বাড়ীতে বেশী মজা হয় শীতের দিনগুলোতে।
তবে শুধু শীতকালে না বরং আমি সারা বছরই গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার চেষ্টা করি। এই দুই দিন অবশ্য খুব একটা সময় দিতে পারি নাই কমিউনিটিতে, এটা ছিলো সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা আমার জন্য। যার কারনে এনার্জি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছিলো আমার। আর আজ এসেই ঢুকেছি ডিজে পার্টিতে মানে এনার্জিটাকে একটু রিচার্জ করার জন্য। বুঝেনইতো আমার আবার এনার্জি ছাড়া একদমই চলে না। কিন্তু এনাউন্সমেন্টটা দেখে আবার মন খারাপ হয়ে গেলো, কারন দাদা কিছুটা অসুস্থ আর দাদা অসুস্থ মানে আমাদের এনার্জির লেভেল আবার পরে যাওয়া।
তবে হ্যা, দোয়া হলো সবচেয়ে বড় এবং কার্যকর মহা ঔষধ, তাই আমাদের উচিত সকলে মিলে দাদার জন্য দোয়া করা, যাতে দাদা সুস্থ থাকেন এবং আমাদের সাথে এ্যাক্টিভ থাকতে পারেন। আর দাদার এ্যাকটিভ থাকা মানে হরদম অফুরন্ত এনার্জি। আশা করছি সবাই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন আমি কি বুঝাতে চাইছি। তাই এই ব্যাপারে একদমই কাপর্ণ্য করবেন না।
যাইহোক, আজ খুব বেশী কথা বলতে পারবো না আমি নিজেও কারন খুব বেশী টায়ার্ড লাগছে শরীরটা। তবে হ্যা, আপনাদের জন্য সবুজ প্রকৃতির কিছু দৃশ্য শেয়ার করবো বরাবরের মতো। আমি গ্রামের বাড়ীতে গেলে যেই কাজটা নিয়মিত করে থাকি। সবুজ প্রকৃতি মানেই মনের সজীবতা এবং নিজের মাঝে প্রাণ চঞ্চলতা ফিরে পাওয়া। যদিও আমরা এই কাজডা ঠিক মতো করি না বা করার চেষ্টা করি না। বরং আমরা আজকাল বড্ড বেশী আলসেমিতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি শহরের সৌখিন জীবন উপভোগ করে। ফলশ্রুতিতে গ্রামীন পরিবেশ খুব একটা আকর্ষণ করে না এখন আমাদের, বরং আমরা চারদেয়ালের মাঝে সবকিছু উপভোগ করাটাকে বেশী আপন করে নিয়েছি।
আসলে, উপভোগ এবং প্রাণ চঞ্চলতা দুটো বিষয়ের পার্থক্য নিয়ে আমরা আজকাল খুব একটা চিন্তা করি না। কিন্তু বিজ্ঞান এবং বিশেষজ্ঞরা বার বার এটা প্রমান করার চেষ্টা করেছে, মানসিকভাবে সুস্থ্য এবং সজীব থাকতে হলে আমাদের প্রকৃতির মাঝে ফিরে যেতে হবে এবং একটা নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিন প্রকৃতির মাঝে কাটানোর অভ্যেস গড়তে হবে। সত্যি বলতে আমরা বুঝতে পারি তবে সব হারিয়ে, যখন আর কিছু করার থাকে না, যখন বড্ড বেশী দেরী হয়ে যায়। প্রাকৃতিকভাবে প্রকৃতির সজীবতাকে আমরা খুব একটা মূল্যায়ন করতে চাই না, কিন্তু পরবর্তীতে টাকা খরচ করে কৃত্রিমভাবে সবকিছু সবুজ করে তোলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাই।
Place: Singair, Manikgonj, Bangladesh
W3W Location Code: https://what3words.com/lists.executive.tricks
Device: Redmi 9, Xiaomi
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
ভাইয়া গ্রামীণ জীবন অনেক মজার।কাজের কোনো রুটিন থাকেনা।মন যা চায় তাই করে বেড়ায়।আর প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।আপনি দু'দিন গ্রামের বাড়িতে থাকার জন্য কমিউনিটিতে তেমন একটা সময় দিতে না পারলেও বোঝার উপায় ছিল না,কারণ অনেক সময়ই আপনাকে ডিজে তে উপস্থিত হতে দেখছি।আর দাদার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া করা উচিত।ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলে আপনি যখন ভালো লাগার বিষয়গুলো উপভোগ করবেন, তখন কিন্তু রুটিন ঠিক রাখাটা সহজ হবে না। ধন্যবাদ ভাই
আপনি খুব সুন্দর একটা কথা বলেছেন মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে গেলে অবশ্যই আমাদের প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বা কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে থাকতে হবে। প্রকৃতির ছোঁয়া আমাদের সব সময় আনন্দ দেয়। আমাদের মনকে প্রশান্ত করে। গ্রামের প্রকৃতি আমাকে বেশ টানে। আমি তেমন গ্রামে যাই না যখন গ্রামে যাই তখন সত্যি আমাকে আর আসতে ইচ্ছা করে না। তাদের স্বাভাবিক জীবন ধারা আমাকে তাদের কাছে টানে। গ্রামের সবুজ প্রকৃতি ফসলের মাঠ সবকিছুই আপনার ফটোগ্রাফিতে ফুটে উঠেছে। আপনি আপনার অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। সব সময় সুস্থ থাকবেন সতর্ক থাকবেন এই কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপু সহমত পোষণ এবং আপনার সুন্দর মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এই জন্য আমি নিয়মিত গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং প্রকৃতির সাথে নিজের বন্ধনটাকে আরো মজবুত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখি।
প্রকৃতি এর কাছে গেলে মনে হয়,সময় খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়।আগে যখন গ্রামে যেতাম তখন অনেক দিন থাকলেও মনে হয় এই তো সেই দিন এলাম।আর ভাইয়া,আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের নিদিষ্ট কিছু সময় প্রকৃতি মাঝে থাকা উচিত,তাহলে আমাদের মন মানসিকতা ভালো থাকবে।ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার লিখাগুলা অসাধারণ ছিল।
হুম এটা সত্য, ভালো সময়গুলো কেন যেন দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে গ্রামের দৃশ্যের কথাগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বিজ্ঞানের সাথে ও আপনার সাথে আমি একমত। আর তাই আমি গ্রামে গেলে বসে থাকি না। কেবল হাটাহাটি করতে চাই। খুব ভাল লাগে আর ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে যায়। গ্রাম খুব উপভোগ করছেন। ধন্যবাদ।
ভাই আজকাল আমরা বিজ্ঞানের কথাও অবহেলা করছি এবং প্রকৃতি হতে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছি। ধন্যবাদ
এই বিষয় টির সাথে এক মত এবং আমি তাই করছি বিগত ১০ বছর ধরে। চেষ্টা করে দেখবেন আশাকরি ভাল লাগবে। প্রকৃতির মাঝে সুন্দর সময় পার করেছেন সেটা বোঝা যাচ্ছে ছবি গুলো দেখে। ধন্যবাদ।
চমৎকার ভাই, আমিও চেষ্টা করছি নিয়মিত প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকার। ধন্যবাদ
ইট পথরের শহর দেখতে দেখতে একটা সময় চোখ গুলও ঝাপসা হয়ে যায়।আর গ্রাম মানেই তো প্রকৃতির ওপার ভান্ডার কিন্তু আজকাল গ্রাম গুলোও কেমন জানি সর কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু তারপরেও গ্রামের মাঠ ঘট গুলোও চোখ জোড়া শীতল করে দেয়।আর আজকের আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলোও চোখ জুড়ানো মত।🖤
দেখেন যারা সারাদিন নানা ধরনের ডিভাইস নিয়ে বসে থাকেন, বিজ্ঞান তাদের বলছে আধ ঘন্টা বিরতি দিয়ে সবুজ দৃশ্যাবলীর দিকে তাকাতে, তাহলে চোখ ভালো থাকবে।
বেশ ভালো হয়েছে আপনার প্রাকৃতিক ছবিগুলো। সত্যিই অনেক ভালো লাগলো প্রাকৃতিক ছবি দেখে। আর ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আর প্রকৃতি মানেই বুকভরা ভালোবাসা যা কোনোদিনই কমান নয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্য ভাগ করে নেয়ার জন্য।
প্রকৃতি মানেই একবুক ভরা নিশ্বাস নেওয়া সবচেয়ে বড় একটি মাধ্যম। প্রকৃতি ভালো বাসে না এমন মানুষ খুজে পাওয়াই খুব মুশকিল। আপনি ঠিকই বলেছেন শহরের চার দেওয়াল আমরা আপন করে ফেলেছি। গ্রামের প্রকৃতির যে একটা শান্তি আছে সেটা গ্রামের মানুষই বোঝে। তবে অনেকদিন পর শহর থেকে গ্রামে আসলে সত্যি প্রকৃতি দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া প্রকৃতির ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল আপনার জন্য।
একদম যথার্তই বলেছেন আপনি, নির্মল নিশ্বাস মানেই প্রকৃতি। ধন্যবাদ
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন, গ্রামের বাড়িতে শীতের দিনগুলোতে একটু বেশি মজা হয় তবে অন্যান্য দিনগুলো খুব আনন্দের সঙ্গে কাটে। গ্রামে শীতকালের প্রধান আকর্ষণ হলো খেজুরের রস ও পিঠাপুলি। তাই শীতকালে গ্রামে যেতে আমার খুবই ভালো লাগে। ভাইয়া আপনি গ্রাম বাংলার রাস্তাঘাট ,গাছপালা , সূর্যাস্ত সময়ের আকাশ সহ অল্প সংখ্যক ছবির মাধ্যমে গ্রাম বাংলার পুরো প্রকৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। এককথায় প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। আমরা সবাই দাদার জন্য সুস্থতা কামনা করি। আল্লাহ তা'আলা যেন সবাইকে সুস্থ রাখে ভালো রাখে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
শীতের আসল মজা গ্রামের বাড়ীতে, আর আমার জন্য এটা ছিলো বাড়তি কিছু উপভোগ করার দারুণ সুযোগ। ধন্যবাদ