বিশ্বাসভাজন হওয়ার গুরুত্ব || জীবনের গল্প
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি বেশ ভালো আছি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করছি। যদিও সেটা নিয়ে খুব বেশী চিন্তিত নই আমি, যেমন আছে, যেভাবে আছি, বেশ আছি, এটাই হয়তো আমার প্রাপ্য এবং এটার জন্যই আমি উপযুক্ত। যদি এই বিষয়টিকে নিজের মাঝে ধরে রাখতে পারেন তাহলে কখনোই কোন কিছু নিয়ে আপনার মাঝে আফসোস তৈরী হবে না, মন খারাপ হবে না এবং অন্যের প্রাপ্তি নিয়ে নিজের মাঝে হিংসা তৈরী হবে না। আর যদি না পারেন তাহলে সবগুলোর কঠিন অস্তিত্ব আপনার মাঝে তৈরী হতে থাকবে।
আজকে জীবনের গল্প নিয়ে কিছু অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করবো, অনেক দিন ধরেই সেটা চিন্তা করছি। যদিও সময় এবং সুযোগের অভাবে সেটা করতে পারছি না। কারন জেনারেল যে কোন পোষ্ট লিখতে আমার বেশী সময় ব্যয় হয়, কিন্তু কবিতা অথবা রেসিপির পোষ্ট লিখতে অতো বেশী সময় ব্যয় হয় না। সেগুলো মুখস্তই লিখতে পারি হি হি হি। যাইহোক, বেশ কিছু দিন পূর্বে আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা দাদা একটা বিখ্যাত বাণী শেয়ার করেছিলেন ডিসকর্ডে, যেটা অনেকটাই এমন ছিলো যে, চালাক হওয়ার পরও মানুষ শিয়াল পোষে না বরং কুকুর পোষে থাকে। কারণ চালাক হলেই হবে না বরং বিশ্বস্ত হতে হবে। আর বিশ্বস্ততার কারনে মানুষ পোষা প্রাণী হিসেবে কুকুরকে বেশী পছন্দ করেন শিয়ালকে নয়।
সেটা দেখে আমি সাথে সাথে রিএ্যাক্ট করেছিলাম এবং নিজের অনুভূতি শেয়ার করেছিলাম। সত্যি বলতে বাস্তবতা আমাদের অনেক কিছু শেয়ায় এবং উপলব্ধি করার সুযোগ করে দেয়। আমরা চালাক মানুষদের খুব বেশী পছন্দ করি না সব সময় বরং বিশ্বস্ত মানুষ যদি কিছুটা বোকাও হয় তবুও আমরা সকল ক্ষেত্রে তাদেরকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করি। আমার চাকুরী জীবনে এটা আমি বেশ ভালো ভাবেই বুঝতে এবং উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। প্রথম দিকে আমার অফিসের অনেক কিছু নিয়েই আমার মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হতো এবং অনেক ব্যাপারেই প্রশ্ন করার সাহস পেতাম না, সেখানে অবশ্য নানা কারণ থাকতো। তাই চুপচাপ সবটা দেখে যেতাম এবং কিছু বুঝার চেষ্টা করতাম।
সত্যি বলতে আমি বর্তমানে যেখানে আছি চাকুরী সূত্রে, আমার আমি কিন্তু সেখান হতেই তৈরী হয়েছি। হয়তো আমি বেশ ভাগ্যবান তাই এমন অফিসে কাজের সুযোগ পেয়েছি এবং অযোগ্য হওয়ার পরও এমন বসের সান্নিধ্য লাভ করেছি, তাও বেশ দীর্ঘ সময়ের জন্য। হয়তো যতদিন এখানে রিজিক আছে ততোদিন থাকার সুযোগ পাবো এবং আরো কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবো। যাক সেসব কথা, তো প্রতিনিয়ত একটা বিষয় আমাকে বেশ খোঁচা দিতো, তুলনামূলকভাবে অনেক কম যোগ্যতা সম্পন্ন ছাত্রদের স্যার চাকুরীর ক্ষেত্রে বেশী সুপারিশ করতেন, যা প্রায় আমাকে হতাশ করতো, না শুধু হতাশ নয় বরং অবাকও করতো। ছোট মাথায় বিষয়টি ঢুকতে চাইতো না।
সময় এবং সুযোগ বুঝে একদিন বসকে জিজ্ঞেস করে বসলাম এবং জানতে চাইলাম এর কারণটা কি? সত্যি বলতে উত্তরটির বিষয়ে আমার ন্যূনতম ধারনা ছিলো না, আমি সত্যি সেভাবে বিষযটিকে চিন্তাও করি নাই। ঐ যে বললাম নিজের অযোগ্যতার কথা, এই জন্যই সেটা বলেছিলাম, অনেক কিছুই আমি অনেক দেরীতে বুঝি, মনে হয় মাথায় গিলু একটু কম আছে হি হি হি। যাইহোক, বস খুব সুন্দরভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন এবং আমিও সেটা দারুণভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম। আসলেই মুল বিষয়টি ছিলো এমন, যোগ্যতা সব ক্ষেত্রে সঠিক মূল্যায়নের বিষয় হতে পারে না, বরং বিশ্বাসভাজন হওয়াটা বেশী জরুরী। এখানেও সেটার গুরুত্ব ছিলো বেশী, যার মাঝে যোগ্যতা কম আছে কিন্তু বিশ্বাসভাজন থাকার বিষয়টি বেশী রয়েছে তাকেই বেশী সুযোগ দেয়া উচিত সকল ক্ষেত্রে।
সত্যি সেদিন আমি বিষয়টি দারুণভাবে বুঝেছিলাম এবং উপলব্ধি করেছিলাম, ব্যক্তি জীবনে আমাদের বিশ্বাসভাজন থাকাটা কতটা জরুরী এবং এর প্রভাব কতটা বেশী পড়ে। সেদিন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা দাদাও সেটাকে সমর্থন করেছিলেন এবং তার অবস্থানও পরিস্কার করেছিলেন। আমাদের জীবনে হয়তো অনেক সময় আমরা এটা নিয়ে হাতাশা প্রকাশ করি, আমার চেয়ে কম যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়ার পরও সে কেন ভালো কিছুর সুযোগ পাচ্ছে এবং আমি সেটা পাচ্ছি না? এমন ক্ষেত্রে সবার আগে নিজের দিকে তাকানো উচিত আমাদের, যোগত্যার সাথে সাথে আমরা অন্যদের নিকট কতটা বিশ্বস্ত সেটাও যাচাই করা উচিত, তাহলে হয়তো সেই আক্ষেপটি আমাদের মাঝে আর তৈরী হবে না। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আসলে বিশ্বাস যোগ্যতা মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ কারণ একবার বিশ্বাস হারিয়ে গেলে তা ফিরে আনা বেশ কষ্টকর। এই পৃথিবীর সকল সম্পর্ক বিশ্বাসের উপরে বিদ্যমান। জীবনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। নিজের যোগ্যতা পাশাপাশি অন্যের বিশ্বস্ত হওয়া খুবই প্রয়োজন। এত সুন্দর বিষয় গল্পের মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই ভাইয়া যেমন আছি, যেটা আমার সাথে হওয়ার কথা ছিল সেটা নিয়েই যদি সন্তুষ্ট থাকি তাহলে আর আক্ষেপ থাকবে না। দাদার উক্তিটি একদম যথার্থ ছিল। মানুষ বিশ্বস্ত জিনিসই লালন করতে চাই। আপনার বসও তাই করেছে ক্যান্ডিডেট নির্বাচনের ক্ষেত্রে
কুকুর হচ্ছে প্রভুভক্ত প্রাণী, তাই সবাই কুকুরকে পোষা প্রাণী হিসেবে বেছে নেয়। যাইহোক আমাদের দাদার শেয়ার করা বাণী একেবারে যুক্তিযুক্ত ছিলো। আপনার স্যার চমৎকার ভাবে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা আপনাকে বুঝিয়ে বলেছিলেন। কারো কাছে বিশ্বস্ত হওয়া এবং মন জয় করা মোটেই সহজ নয়। যাদের মধ্যে লোভ লালসা নেই, একমাত্র তারাই পারে মানুষের কাছে বিশ্বস্ত হতে। আমিও মনে করি,কম যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ যদি বিশ্বস্ত হয়,সেটা সবচেয়ে বেশি ভালো। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।আপনার মতো আমার ও জেনারেল রাইটিং পোস্ট লিখতে সময় লাগে।কিন্তু কবিতা আর রেসিপিতে সময় বেশী লাগে না।আসলে সময় ঠিকই লাগে কিন্তু তার চেয়ে ও কম।এটা সুন্দর বলেছেন, যোগ্যতার চাইতে বিশ্বাসভাজন হওয়া ভীষণ জরুরী।আসলেই বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিকে সব সময় প্রাধান্য দেয়া উচিত।