সুই-বিহীন (needle-free) করোনা ভ্যাক্সিন?
সুই/সুচ বা নিডল ভীতি (Needle phobia) কার নাই? সবারই কম-বেশী ইনজেকশান এর ভয় আছে। মহিলা এবং বাচ্চাদের কথা আর নাই বা বললাম। এই ইঞ্জেকশানের ভয়েই অনেকে করোনা ভ্যাকসিন নিতে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছেন। কেমন হতো যদি এমন কোন টিকা থাকত যেটা নিতে হলে শরীর কোন সুই ফোটানো লাগবে না? আমার মনে হয়ে তাহলে এই ভীতুর ডিমেরা টীকা নেয়ার লাইনে সবার আগে গিয়ে হাজির হত। নো টেনশান ভাইয়েরা, বোনেরা এবং বাবুরা। সুই বিহীন করোনা ভ্যাক্সিন এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই আছে।
খবরঃ ইন্ডিয়াতে সর্বপ্রথম সুই বিহীন ডি এন এ ভ্যাক্সিনের অনুমোদন মিলেছে!
এই ছবি খানা পিক্সাবে থেকে নেয়া
করোনা ভ্যাক্সিনের লিস্টে আরেকটি নতুন সংযোজন হচ্ছে ZyCoV-D কভিড ডি এন এ (DNA) ভাক্সিন। ২৮০০০ স্বেচ্ছাসেবক এর উপর ট্রায়ালের পর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এই DNA ভাক্সিনের কার্যকারীতা পাওয়া গেছে ৬৬%! এই ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে ইন্ডিয়ার বিভিন্ন সেন্টারে। যাইডাস ক্যাডিলা (
Zydus Cadila) এই ভ্যাক্সিন টা আবিষ্কার করেছে। চলুন এটা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য আমরা জেনে নেই।
সুই-বিহীন ভ্যাক্সিন নতুন না, কিন্তু করোনা ভ্যাক্সিনের মধ্যে ZyCoV-D ই হচ্ছে প্রথম সুই-বিহীন ভ্যাক্সিন। কোন ইঞ্জেকশান শরীরে পুশ করা লাগবে না। PharmaJet এর আবিষ্কৃত টেকনোলজির মাধ্যমে ব্যাথা মুক্ত উপায়ে চামড়ায় এই টিকা নেয়া যাবে। অন্যান্য টিকা যেখানে মাংসের মধ্যে নিতে হয়, এটা সেখানে নিতে হবে চামড়ার মধ্যে।
ZyCoV-D হচ্ছে প্রথম DNA ভ্যাক্সিনে যেটা মানুষের উপর প্রয়োগ করা হচ্ছে। এর আগেও ডি এন এ ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের চেষ্টা চলেছে এবং চলছে, কিন্তু এটাই সর্বপ্রথম সফলতা। এজন্যে ইন্ডিয়াকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। এর আগে আমরা নতুন টেকনোলজির mRNA ভ্যাক্সিন পেয়েছি Pfizer and Moderna এর মাধ্যমে। এখন আমরা পেলাম DNA vaccine। এটা উল্লেখ্য যে, পশুর কিছু টিকা আছে যা ডি এন এ ভ্যাক্সিন।
অন্যান্য কভিড টিকা থেকে এটার আরো কিছু ভিন্নতা আছে। Johnson and Johnson ছাড়া আর সব করোনা ভ্যাক্সিনেরই ডোজ হচ্ছে দুইটা। কিন্তু ZyCov-D এর ডোজ হচ্ছে এখন পর্যন্ত ৩ টা। প্রথমটা নেয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৬ দিন পর তৃতীয় ডোজ নিতে হবে। অবশ্য experts রা চেষ্টা করছেন যে দুইটা দিয়ে কাজ সারা যায় কিনা।
ফাইজারের মত এই টিকা স্টোর করা নিয়েও ঝামেলা নাই। অন্যান্য টিকার মতই -২ থেকে -৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটা সংরক্ষণ করা যাবে। অর্থাৎ আমাদের হাতে থাকা ফ্রিজেই এইটা স্টোর করা যাবে। স্পেশাল কোন ফ্রিজ লাগবে না, যেটা Pfizer এর ক্ষেত্রে লাগে।
উপরেই বর্ণনা করেছি যে এটার কার্যকারীতে ৬৬% পাওয়া গেছে। এবং এটা ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধেও নাকি কার্যকর! এর উৎপাদন খরচও নাকি তুলনামুলক ভাবে কম।
আজকে তাহলে এ পর্যন্তই। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে নতুন কিছু তথ্য পেয়েছেন। কোন কিছু জানার থাকলে বা জানানোর থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন বলে আশা রাখি।
আবারও ধন্যবাদ।
হাফিয
ওমান।
PharmaJet এর নিডিল মুক্ত টিকা নেয়া পদ্ধতি জানতে এই YouTube ভিডিওটা দেখতে পারেন
নতুন একটি তথ্য পেলাম আপনার এই পোস্ট টা থেকে। ইনজেকশনে আমারও ভয় লাগে। এটা আসলে ভালোই হবে।
ধন্যবাদ ভাই। এটা অনেকেই নিতে চাইবে যারা এখনকার ভ্যাক্সিন নিতে চাচ্ছেন না।
হুম 🙂🙂
ডাঃ হাফিজ ভাই এর কাছ থেকে চিকিৎসা বিষয়ে নতুন ইনফরমেশন আশা করি সবসময়।যেমনটা আজকে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোষ্টখানি পড়ে একটা সুন্দর কমেন্ট করার জন্যে।
বাগুস সেকালি তেরিমাকাসিহ
সায়া সুকা বাঙ্গেট দেঙ্গান গয়া পোস্টিংন
দেঙ্গান কারেনা ইঙ্গাত সেলামাত👍
এটা কিতা কইলেন ভাইজান? মুই তো কিছুই বুঝবার পারলাম না।