হ্যাল্লো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম \ আদাব
সবাইকে সালাম ও আদাব জানিয়ে শুরু করছি। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। তো আমি আবারো চলে এসেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে। তো আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো টোড়া মাছ দিয়ে আলু ভাজি। এই মাছের নাম বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের নাম। আমাদের এলাকায় এই মাছের নাম টোরা বলা হয় তাই টোরা নাম দিলাম। এই মাছগুলো যারা যারা আমরা খেয়েছি তারাই বলতে পারবো এই মাছ কতো মজার। আরো নদীর মাছ বলে কথা আলু দিয়ে হোক বা বেগুন দিয়ে এবং কচুর ডাটা দিয়ে রান্না করলে টেস্ট টা দারুণ হয়ে থাকে। আসলে এক কথায় বলাই যায় নদীর ছোট মাছ বা বড় বড় সমুদ্রের ছোট মাছ অনেক মজার। এমনি এমনি মজা হয়না রান্নাটিতে যা যা মসলা দরকার সব দিয়ে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। তো আমি হাত দিয়ে মেখে নিয়ে রান্না করতেছি ছোট মাছ গুলো এই ভাবেি রান্না করলেই বেশি ভালো লাগে। কারন মাছের স্বাদ যদি না থাকে তাহলে খেয়ে তৃপ্তি পাওয়া যায়না তাই আমরা ছোট মাছ গুলো এভাবেই রান্না করে খাবো। যে কোনো নদীর ছোট মাছ গুলোই অনেক ভালো লাগে। আমরা সবাই এই ধরনের রান্না খেয়ে থাকি। এই রান্না গুলো সব বাঙালিদের প্রিয় রান্না। আর যদি রাধুনি ভালো হয়ে থাকে তাহলে কোনো কথাই নেই নিশ্চিন্তে খেতে পারি। অনেক ভাবেি রান্না করে খেয়ে থাকি আমরা। চলুন সবাই দেখে নেই রান্নাটি।
টোরা মাছ খেতে অনেক মজাদার। খুব ভালো একটি রেসিপি অধিকাংশ মানুষের এই ধরনের রান্না পছন্দ। তো আমি কিভাবে হাত দিয়ে মেখে নিয়ে রান্না করেছি সবাই দেখে নেই
| উপকরণের নাম | পরিমাণ |
|---|
| টোরদ মাছ | পরিমাণ মতো |
| আলু | পরিমাণ মতো |
| পিঁয়াজ | ৫ টি |
| কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
| লবণ | পরিমাণ মতো |
| তেল | পরিমাণ মতো |
| হলুদ | পরিমাণ মতো |
| মসলার গুরো | পরিমাণ মতো |
| প্রথমে মাছ গুলো বেছে নিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি এবং পিঠের পাশ দিয়ে ফাটিয়ে পেটা গুলো বের করে নিয়েছি। পিঠের পাশ দিয়ে ফাটিয়ে নিলে মাছ গুলল রান্নার সময় কোঁকড়া হয়ে যায়। |
|---|
| তারপর বলু গুলো চিকন করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিয়েছি ও পিঁয়াজ কাঁচা মরিচ কুঁচি করে নিয়েছি। |
|---|
| কড়াইয়ের মধ্যে পিঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুঁচি দিলাম |
|---|
| পিঁয়াজ এর মধ্যে লবণ মসলার গুড়ো হলুদ গুড়ো তেল দিয়ে সেগুলো হাত দিয়ে মেখে নিলাম |
|---|
| মেখে নেওয়ার পর মাছ গুলো দিলাম এবং মাছ সহ ভালো করে মেখে নিলাম |
|---|
| মাছ মাখা হওয়ার পর আলু দিয়ে দিলাম আলু তারপর সব গুলো ভালো ভাবে মেখে নিলাম |
|---|
| ভালো করে মেখে পরিমাণ মতো পানি দিলাম যাতে ভালো করে সিদ্ধ হয়। |
|---|
| পানি গুলো ধিরে ধিরে চুষে নিচ্ছে |
|---|
| আসতে আসতে উলটা উলটি করে ভেজে নিলাম হালকা পোড়া করছি |
|---|
সম্পুর্ন রান্নাটি শেষ করলাম জানিনা কতোটা ভালো রেসিপি শেয়ার করতে পেরেছি আশা করি সবার ভালো লেগেছে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
💞-খোদা হাফেজ-💞
Best Regards:-
@habiba01
কোথা মাছের নাম আমি প্রথম শুনলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে টোরা মাছ দিয়ে আলু ভাজি করেছেন। যেকোন মাছ দিয়ে আলু ভাজি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনার ভাজি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। গরম ভাতের সাথে এভাবে ভাজি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। এতো সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আলু দিয়ে মাছ ভুনা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই মাছের রেসিপি তৈরি করেছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে হয়েছে। এই মাছের রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে আমার অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় এই মাছটিকে ছোট বাইম মাছ বলা হয়। তবে যাই হোক অনেক সুন্দর ভাবে এই মজার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
বাইম মাছ আালাদা ভাইয়া
আলু দিয়ে রান্না আপনার মাছের রেসিপি টি দারুন লাগলো। এই মাছের নাম জীবনে প্রথম শুনলাম। সম্ভবত এটা বাইন মাছের ছোট সংস্করণ। আমরা এগুলোকে গুতুম মাছ বলি। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আলু দিয়ে ছোট মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে,আর মাছে অনেক ভিটামিন থাকে।আপ্নি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করছেন। রেসিপির ধাপ গুলো ভালো করে দেখে নিলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে কষ্ট করে শেয়ার করার জন্য
টোরা মাছ দিয়ে আলু ভাজি রেসিপি খুব সুন্দর হয়েছে। রান্নার ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রান্নার ধাপগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আমার ভালোবাসা নিও। শুভকামনা রইল।
টোড়া মাছ দিয়ে আলু ভাজি রেসিপিটি আপনি খুব চমৎকার করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনার টোড়া মাছ দিয়ে আলু ভাজি রেসিপি টি নিশ্চয়ই খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি তৈরি করেছেন আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
টোড়া মাছ নামটা আগে শুনি নাই তবে আপনার সুন্দর রেসিপি আমাকে আকর্ষিত করেছে। আসলে কিছু কিছু রেসিপি দেখলেই ট্রাই করতে ইচ্ছে করে। আপনার রেসিপি তেমনই হইছে।
আলু দিয়ে ধরনের মাছের ভুনা করলে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। যদিও এই মাছের নাম আজকে প্রথম শুনলাম।আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আপনি আমাদের মাঝে। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
টোড়া মাছের নামটা আজকে আমি প্রথম শুনলাম এই মাছের রেসিপি আমি আজও কখনো খাইনি। তবে আজকে আপনার কাছে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিলাম নতুন কিছু শেখার মধ্যে সবসময় আনন্দ কাজ করে। আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটা উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খুবই সুস্বাদু হবে খেতে।
আসলে এই ধরনের মাছের নাম আমি প্রথম শুনেছি। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে অত্যন্ত ভালো লাগলো ।আলু দিয়ে ছোট মাছ ভাজি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া অসাধারণ । এত দুর্দান্ত পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।