"সুস্বাদু কচুরমুখী দিয়ে শোল মাছের রেসিপি" (10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে।আজ আমি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে একটি সুস্বাদু রেসিপি।সেটি হলো- "কচুরমুখী দিয়ে শোল মাছের রেসিপি"।
পুরোপুরি শীতকাল চলে এসেছে।তাছাড়া ভালোই শীত পড়া শুরু হয়েছে আমাদের গ্রামের দিকে।আর শীতকালের দিন মানে ছোট ও সময় সল্প।তাই সময়ের সঙ্গে পেরে ওঠা খুবই মুশকিল শীতকালে।কখন সময় পার হয়ে যায় ঠিক ঠাওর পাওয়া যায় না।আবার রাত বড়ো তাই ঘুমিয়ে মজা।যাইহোক আমাদের বাড়ির পাশে ক্যানেল আছে,মোটামুটি সবারই জানা।তাই কয়েক মাস আগে বাবা কিছু শোল মাছের পোনা ক্যানেল থেকে ধরে আমাদের ছোট্ট পুকুরে ছেড়ে রেখেছিলেন।কিন্তু খুবই দুঃখজনক 😢যে শোল মাছগুলো যখন এই শোল মাছটির মতই বড়ো হয়েছে সব লাফিয়ে লাফিয়ে বর্ষাকালে চলে গিয়েছে।কারণ পুকুরের জল ভরে গিয়েছিল বৃষ্টির জলে।তবে কয়েকদিন আগে বাবা পুকুরে খাপজালে মাছ ধরার সময় ভাগ্যক্রমে 😊এই শোল মাছটি পান।তাই আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।তো চলুন শুরু করা যাক----
উপকরণ:
1.শোল মাছ - 500 গ্রাম
2.কচুরমুখী - 400 গ্রাম
3.আদা বাটা - 1 টেবিল চামচ
4.লবণ - 2 টেবিল চামচ
5.হলুদ- 1.5 টেবিল চামচ
6.গোটাজিরে বাটা - 2 টেবিল চামচ
7.শুকনো লঙ্কা বাটা - 2 টেবিল চামচ
8.পেঁয়াজ কুচি- 2 টি
9.রসুন - 6 কোয়া
10.কাঁচা মরিচ - 6 টি
11.সরিষার তেল- 100 গ্রাম
12.পরিমাণ মতো জল
প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কিছু গোটা কচুরমুখী নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর একটি বটির সাহায্যে কচুরমুখীর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে মাঝবরাবর কেটে নেব।কেটে নেওয়া কচুরমুখীগুলি জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
ধাপঃ 3
এবারে শোল মাছটি নিয়ে নিলাম কেটে নেওয়ার জন্য।
ধাপঃ 4
শোল মাছটির আশ ছাড়িয়ে নিয়ে বড়ো সাইজে পিচ পিচ করে কেটে নিলাম।
ধাপঃ 5
এরপর কেটে নেওয়া মাছের পিচগুলি জল দিয়ে 2 বার ধুয়ে নিয়ে একটু হালকা গরম জল দিয়ে পুনরায় ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 6
মাছের পিচগুলিতে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 7
এবারে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দেব মিডিয়াম আঁচে।কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে নেব ভালোভাবে ।তারপর মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ব্রাউন কালার করে ভেঁজে নেব।তো আমার মাছগুলো ভেঁজে নেওয়া হয়ে গেলে একটি পাত্রে উঠিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এরপর বটির সাহায্যে কিছু কাঁচা লঙ্কা কেটে নিয়ে পেঁয়াজ ও রসুনগুলি কুচি করে নেব।এরপর জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
ধাপঃ 9
এরপর শিল-নোরার সাহায্যে গোটাজিরে ও শুকনো লঙ্কা বেঁটে নেব মিহি করে এবং একটি পাত্রে তুলে নেব।
ধাপঃ 10
ধুয়ে রাখা কচুরমুখীগুলি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 11
এরপর পুনরায় কড়াইটি বসিয়ে দেব চুলায়।কড়াইতে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে কচুরমুখীগুলো নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেব হালকা করে।
ধাপঃ 12
এবারে কচুরমুখীগুলি নেড়েচেড়ে জল দিয়ে দেব পরিমাণ মতো সেদ্ধ করার জন্য।এরপর পরিমাণ মতো লবন, হলুদ ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 20 মিনিট মতো। এবার কচুরমুখীগুলি সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।
ধাপঃ 13
তারপর কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুঁচি দিয়ে হালকা ভেঁজে নেব নেড়েচেড়ে।বাটা মসলাগুলি পেঁয়াজ ভাজার মধ্যে দিয়ে হালকা কষিয়ে নেব নেড়েচেড়ে।
ধাপঃ 14
তারপর তরকারীটি পুনরায় ঢেলে দেব কড়াইতে।এবারে ভেঁজে রাখা মাছগুলি দিয়ে 10 মিনিট মতো ফুটিয়ে নেব।
ধাপঃ 15
10 মিনিট পর তরকারীটি একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।তো তৈরি হয়ে গেল আমার "সুস্বাদু কচুরমুখী দিয়ে শোল মাছের রেসিপি"।এবার এটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।শোল মাছের তরকারী কচুরমুখী জাতীয় সবজি দিয়ে খেতে দারুণ স্বাদের হয়।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
সুস্বাদু কচুরি মুখী দিয়ে শোল মাছের রেসিপি সত্যিই অসাধারণ ছিলো। আমার কাছে আপনার রেসিপিটি খুবই ভালো লেগেছে ।আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপিটি রান্না করেছেন। এমনিতেই শোল মাছ অনেক সাধের তাছাড়া যেকোন ভাবে রান্না করলে এটা ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে রেসিপি রান্না শেয়ার করেছেন যেটা খুবই ভালো লেগেছে।
আপনার কাছে রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
শোল মাছের কাঁটা কম। খেতেও দারুন স্বাদের। আপনার এই রেসিপিটি মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে অনেক। দারুন একটা স্বাদের গন্ধ পাচ্ছি। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দাদা,কাঁটা কম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে,সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শোল মাছ আর কচু দিয়ে আপনি অসাধারণ সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আমি জানি এই রেসিপিটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয় কেননা আমার বাড়িতে সবাই খুব পছন্দ করে এই রেসিপিটা। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই রেসিপিটি আপনার পরিবারের সকলের পছন্দের জেনে ভালো লাগলো।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কচুর মুখি খুবই সুস্বাদু খাবার। আমার তো এই খাবারটি খেতে ভালোই লাগে। তবে আমি কচুর মুখি চিংড়ি মাছ এবং ইলিশ মাছ দিয়ে খেয়েছিলাম। শোল মাছ দিয়ে কচুর মুখি এর আগে খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কচুরমুখী দিয়ে শোল মাছ একবার খেয়ে দেখবেন আপু।দারুণ স্বাদের খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার রেসিপি মানেই অনেক সুন্দর এবং অনেক আমার কাছে ইউনিক মনে হয়। আপনি সুস্বাদু কচুরমুখি দিয়ে শোল মাছের রেসিপি রান্না করেছেন দারুণভাবে। শোলমাছ আমার খাওয়া হয়না কিন্তু এর ঝোল খেতে অসাধারণ লাগে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো সঠিক মাত্রায় দিয়েছেন। প্রতিটি ধাপ ছিল একদম পরিষ্কার যা আমাদের সহজে বুজতে সক্ষম হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া, সত্যি বলতে আমিও শোল মাছ খাই না।আমার পরিবারের সকলে খান।খুবই স্বাদের মাছ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কচুর মুখি আর শোল 🐟 জাস্ট ওয়াও!!!! অসাধারন একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখতে খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে। দেখেই জিভে জল চলে আসলো ।মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে ।সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।আপনার জন্য অনেক অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো।
হ্যাঁ ভাইয়া, খুবই সুস্বাদু।একদিন এভাবে রেসিপি বানিয়ে খেয়ে দেখবেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
কচুমুখী দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে সুস্বাদু শোল মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার মাছের রেসিপি উপস্থাপন দেখে আমিও শিখতে পারলাম। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
সুস্বাদু কচুর মুখি দিয়ে শোল মাছের রেসিপি ওয়াও শুনেই খিদে পেয়ে গেলো আপু।আমার অনেক পছন্দের রেসিপি করেছেন। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো।
শোল মাছ আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দিদি ।আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর মজাদার রেসিপি উপস্থাপন করে থাকেন। আজ আপনি আমাদের মাঝে কচুর মুখি দিয়ে শোল মাছের রেসিপি উপস্থাপন করেছেন ।আপনার রেসিপি দেখে সত্যিই আমার জিভে জল এসে গেল, আপনার রেসিপি বরাবরই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যদিও আমি কচুর মুখি দিয়ে কখনো সোল মাছের রেসিপি খাইনি, তবে আপনার রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।এত মজাদার এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া, আপনার কাছে আমার রেসিপিগুলি ভালো লাগে জেনে খুবই খুশি হলাম।আপনার পোস্টগুলো ও আমার কাছে খুব ভালো লাগে।কচুরমুখী দিয়ে শোল মাছ একবার খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।দারুণ স্বাদের।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু শোল মাছ দিয়ে কচুর মুখির রেসিপি দেখতে অনেক সুস্বাদু লাগছে। কচুর মুখি আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। ভাতের সাথে খেতে আমার এটা অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি কালার টি অসাধারণ এসেছে আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু,আমার ও কচুরমুখী খুবই ভালো লাগে।কচুরমুখী আপনার পছন্দ জেনে ভালো লাগলো।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,সুন্দর মন্তব্যের জন্য।