প্রতিযোগিতা - ৬০||"বাদাম সহযোগে কালো কচুশাকের ফুলের পেঁয়াজু পকোড়া রেসিপি"
নমস্কার
প্রতিযোগিতা - ৬০|| "বাদাম সহযোগে কালো কচুশাকের ফুলের পেঁয়াজু পকোড়া রেসিপি"
বর্ষাকাল মানেই গরম গরম চায়ে এক চুমুক সঙ্গে মজার মজার পকোড়া রেসিপি।উহ, বেশ জমে যায় তাইনা!বৃষ্টির দিনে মন যেন শুধু খাই খাই করে আর বড্ড বেশি খিদে পায় ভাজাপোড়া খেতে,যেন আলাদা একটা তৃপ্তি অনুভূত হয়।যে তৃপ্তি মনে প্রশান্তি এনে দেয় বৃষ্টির ফোটার রিমঝিম শব্দের মতোই।বৃষ্টির দিনে এই রেসিপিটি একদম সময় উপযোগী ছিল।আসলে এই কালো কচুশাকের ফুলের পকোড়া আগে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি।প্রতিযোগিতার সুবাদে না হলেও এই প্রথমবারের মতো পকোড়া রেসিপি তৈরি করলাম অনেকটা সাহস নিয়েই।
সত্যি কথা বলতে, এই রেসিপিটি আমার কিছুদিন আগে তৈরি করা ছিল।যেহেতু এটা ইউনিক ধরনের তাই এখানে শেয়ার করলাম, কারন এই মুহূর্তে রেসিপি তৈরি করার মতো মানসিকতা ও পরিস্থিতি কোনোটাই আমার নেই।তাছাড়া কচুশাক কিন্তু অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।আমরা সাধারণত চাষ করা কচুরমুখীর ফুল খেয়ে থাকি।কিন্তু কখনো কালো কচুশাকের ফুল খাওয়া হয়নি গলা ধরার ভয়ে।প্রথমে ভাবছিলাম, এটা তৈরি করে খাওয়ার পর গলা ধরবে কিনা!।কিন্তু তৈরির পর এটা দেখতে যেমন সুন্দর ও লোভনীয় লাগছিলো তেমনি খেতেও অনেক মুচমুচে ও এতটাই মজাদার হয়েছিল যে, পরিবারের সবাই আবারো খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে।আমি ফুলগুলো প্রথমে সেদ্ধ করে নিয়েছিলাম,আর এতে বাদাম ও বেশি করে পেঁয়াজ ব্যবহার করেছি।তাছাড়া এতে আমি কোনো জল ব্যবহার করিনি।সেজন্য কোনো গলা ধরেনি,যাইহোক পরিবারের সবাই মিলে নতুন ধরনের পকোড়া রেসিপির স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে আমার রেসিপিটি।তো চলুন শুরু করা যাক--
উপকরণসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কালো কচুশাকের ফুল | 5 টি |
বাদাম | 2 টেবিল চামচ |
পেঁয়াজ | 350 গ্রাম |
বেসন | 1.5 কাপ |
কাঁচা মরিচ কুচি | 10 টি |
লবণ | 2 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1.5 টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | 1/2 টেবিল চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | 1 টেবিল চামচ |
সাদা তেল | 1/2 বাটি |
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কালো কচুশাকের ফুল ও কিছু পেঁয়াজ নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এখন কালো কচুশাকের ফুলগুলি কেটে ভিতরের অংশ ফেলে পরিষ্কার করে নিলাম।তারপর কালো কচুশাকের ফুলগুলি ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এরপর একটি কড়াইতে লো আঁচে অল্প পরিমাণ জলের মধ্যে ফুলগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 4
এবারে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিতে হবে হালকা নেড়েচেড়ে।
ধাপঃ 5
তো ফুলগুলো থেকে নীল-হলুদ রং বের হয়ে গেছে এবং সেদ্ধ হয়ে গেছে।
ধাপঃ 6
এখন ফুলগুলো জল ঝরিয়ে তুলে নিলাম একটি পাত্রে।
ধাপঃ 7
এরপর পেঁয়াজগুলির খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নেব ভালোভাবে জল দিয়ে।
ধাপঃ 8
এখন পেঁয়াজগুলি কুচি করে নিলাম লম্বা সাইজ করে।
ধাপঃ 9
এবারে বেসনের সঙ্গে বাদাম,গুঁড়া মসলা এবং কাঁচা মরিচ কুচি একত্রে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 10
এরপর কুচানো পেঁয়াজ ও সেদ্ধ করে নেওয়া কালো কচুশাকের ফুলগুলো নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 11
এখন সবগুলো উপকরণ একত্রে মিশিয়ে নিলাম ভালোভাবে।
ধাপঃ 12
এরপর মিশ্রণটি ছোট ছোট করে ভাগ করে সাজিয়ে নিলাম প্লেটে।
ধাপঃ 13
এখন একটি পরিষ্কার কড়াইতে সাদা তেল নিয়ে নিলাম পরিমাণ মতো।
ধাপঃ 14
এরপর মিডিয়াম আঁচে জ্বাল করে তেল হালকা গরম করে নিয়ে ছোট ছোট মিশ্রনের ভাগগুলি ছেড়ে দিলাম তেলের মধ্যে।
ধাপঃ 15
এবারে উল্টেপাল্টে বাদামি রঙের ও মুচমুচে করে ভেজে নিলাম পকোড়াগুলি।
শেষ ধাপঃ
একইভাবে সমস্ত পকোড়া ভেজে নিলাম।তারপর তুলে নেব একটি পাত্রে।সবশেষে একটু সাজিয়ে নিলাম।
পরিবেশন:
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "বাদাম সহযোগে কালো কচুশাকের ফুলের পেঁয়াজু পকোড়া রেসিপি"।এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অনেক মুচমুচে ও মজাদার হয়েছিল।চাইলে আপনারাও অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন।।
পোষ্ট বিবরণ:
বিষয় | প্রতিযোগিতা - ৬০ | "বাদাম সহযোগে কালো কচুশাকের ফুলের পেঁয়াজু পকোড়া" | |
---|---|---|---|
শ্রেণী | রেসিপি | ||
ডিভাইস | poco m2 | ||
অভিবাদন্তে | @green015 | ||
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP,
0.00 TRX
আমি যদিও কচু শাক বা কচু ফুল এসব কোনদিনই খাইনি। তাও রেসিপি টা দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে বেশ ভালই হবে খেতে। কেন যেন বকফুল কুমড়ো ফুল এই সবের বড়াগুলো দেখেছি বেশ ভালো হয় খেতে। দেখি কখনো বাজারে দেখতে পেলে নিয়ে এসে রান্না করব।
বকফুল কেন জানি আমার কাছে খুবই তিতা লাগে চিনি দিয়ে খেলেও।কিন্তু কুমড়ো ফুল খুবই পছন্দের।আর আপনি চাষ করা কচুরমুখীর ফুল বাজারে খুব সহজেই কিনতে পেয়ে যাবেন তবে কালো কচুশাকের ফুল পাবেন না।ধন্যবাদ দিদি।
কচু শাকের ফুলের টক খেয়েছি ছোটবেলায়, তবে কখনো এইভাবে ফুলের বড়া বানিয়ে খাওয়া হয়নি। যাইহোক, রেসিপিটা সত্যিই খুব ইউনিক হয়েছে বোন। তাছাড়া তুমি যেহেতু এত প্রকার উপকরণ দিয়েছো, এতে করে বেশি টেস্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে বেসনের সাথে একটু চালের গুঁড়ো দিয়ে দিতে পারতে, তাহলে আরো বেশি কুড়মুড়ে হতো। যাইহোক, অসংখ্য ধন্যবাদ বোন তোমাকে, এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কচু শাকের ফুলের টক,এটা প্রথম শুনলাম দাদা।তবে দাদা এটা বেশি কুড়মুড়ে না হলেও পেঁয়াজুর মতো টেস্টি ছিল।ধন্যবাদ তোমাকে।।