"চালের গুঁড়া ও ডিম ছাড়া মজাদার তালের কেক রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে।সেটি হলো -"চালের গুঁড়া ও ডিম ছাড়া মজাদার তালের কেক রেসিপি"।
বন্ধুরা,তাল আমরা সবাই পছন্দ করি কম-বেশি।আসলে তাল কাঁচা বা পাকা সব অবস্থাতেই খাওয়া যায়।তো আজ আমি পাকা তালের রেসিপি তৈরি করবো, পাকা তাল দিয়ে অনেকরকম রেসিপি বানানো যায়।তবে আমরা অধিকাংশ সময় পাকা তালের পিঠা ও পায়েসই বেশি খেয়ে থাকি।এই রেসিপিটি আমি বেশ কিছুদিন আগে তৈরি করেছিলাম কিন্তু সময়ের অভাবে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি।তাই আজ এই মজার তালের কেক রেসিপিটা শেয়ার করে নেব।আসলে এটি আমি তৈরি করেছি ডিম,দুধ ও চালের গুঁড়া ছাড়াই।তাই রেসিপিটা তৈরি করতে আমার বেশ সময় লেগে গেছে পারফেক্ট করে বানাতে।যাইহোক এটি খেতে সত্যিই বেশ মজার ও টেস্টি ছিল।তো চলুন শুরু করা যাক---
■উপকরণসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাকা তাল | 1 টি |
ময়দা | 1.5 কাপ |
চিনি | 1/2 কাপ |
খাওয়ার সোডা | 1/2 টেবিল স্পুন |
সুজি | 4 টেবিল চামচ |
সাদা তেল | 3 টেবিল চামচ |
কিসমিস | 15 টি |
(এছাড়া লবন এক প্যাকেট ব্যবহার করা হয়েছে বালির পরিবর্তে)
■প্রস্তুত-প্রণালি:
ধাপঃ 1
●●●প্রথমে আমি একটি পাকা তাল নিয়ে নেব।
ধাপঃ 2
●●●পাকা তালটি ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে রস বের করে নেব।
ধাপঃ 3
●●●এরপর একটি চালুনির মাধ্যমে আমি পরিমাণ মতো ময়দা চেলে নিয়ে নেব।
ধাপঃ 4
●●●এরপর চিনি ,খাওয়ার সোডা নিয়ে মিশিয়ে নেব ময়দাটি।
ধাপঃ 5
●●●এবারে সুজি নিয়ে নিলাম পরিমান মতো।
ধাপঃ 6
●●●এছাড়া সাদা তেল নিয়ে নেব পরিমাণ মতো।
ধাপঃ 7
●●●সবগুলো উপকরণ হাত দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 8
●●●সবশেষে তালের রস অল্প অল্প করে যোগ করতে থাকবো উপকরণগুলোতে।
ধাপঃ 9
●●●এভাবে একটি চামচের সাহায্যে অল্প অল্প তালের রস নিয়ে মিশাতে থাকবো বাটার তৈরির জন্য।
ধাপঃ 10
●●●তো কেকের জন্য বাটার আমার তৈরি করা হয়ে গেছে।
ধাপঃ 11
●●●এবারে একটি বাটি নিয়ে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ সাদা তেল দিয়ে হাত দিয়ে মেখে নিলাম আলতো করে।
ধাপঃ 12
●●●এরপর কেকের বাটারটি বাটির মধ্যে ঢেলে নিলাম এবং বাটির মধ্যে যাতে বাটার ফাঁপা না থাকে তার জন্য দুই থেকে তিনবার বাতিটি মেঝের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 13
●●●সবশেষে কিসমিস ছড়িয়ে দিলাম তালের কেকের বাটারের উপর।
ধাপঃ 14
●●●এবারে কেক তৈরির জন্য আমি একটি ডেকচি নিয়ে নিয়েছি এবং ডেকচির মধ্যে বালির পরিবর্তে খাওয়ার লবণ নিয়ে নিয়েছি পরিমাণ মতো ।এরপর একটি ছোট বাটি উপুড় করে বসিয়ে দিলাম লবণের উপর।
ধাপঃ 15
●●●ছোট বাটির উপর তালের বাটারের বাটি বসিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 16
●●●এরপর অপর একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নিলাম ডেকচির মুখ।এবারে ডেকচি চুলায় বসিয়ে মিডিয়াম আঁচে জ্বাল করে নেব।
ধাপঃ 17
●●●অনেকটা ফুলে উঠেছে ,কিছুক্ষণ পর চেক করে নিলাম।
ধাপঃ 18
●●●তো এবারে আমার কেকটি পুরোপুরি তৈরি করা হয়ে গেছে।এরপর কেকটি হালকা ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিলাম।
সর্বশেষ ধাপঃ
●●●তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল "চালের গুঁড়া ও ডিম ছাড়া মজাদার তালের কেক রেসিপি"।এবারে এটি পরিবেশন করতে হবে গরম কিংবা ঠান্ডা যেকোনো অবস্থায় ।এটি খুবই টেস্টি ও মজাদার খেতে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের কেক রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপু খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। তালের কেক আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে তালের বড়া অথবা তালের পোয়া পিঠা অনেক খেয়েছি। আপনার পোস্টে তালের কেক দেখে ভীষণ লোভ লেগে গেল। কেকটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই টেস্টি হয়েছে। চালের গুড়া ও ডিম ছাড়া আপনি কিভাবে এত মজাদার একটি কেক বানিয়েছেন, তার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এইবার অবশ্যই এভাবে ট্রাই করে দেখবেন ভাইয়া, সত্যিই এটা খুবই মজার খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার তালের কেকটি ইউনিক হয়েছে। আসলে কেক কখনো দুধ ও ডিম ছাড়া বানানো যায় আমার জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনার কেকেটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক টেস্ট হয়েছে। কালারটা দারুণ এসেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,খুবই টেস্টি হয়েছিল ।আর আমি সবসময় ডিম ছাড়া কেক তৈরি করি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও খুবই অসাধারণ আপনি খুব সুন্দর করে তালের কেক বানিয়েছেন। সত্যিই অসাধারণ আমি কখনো এভাবে কেক বানিয়ে খাইনি। তবে আপনার পোস্ট দেখে সামনে বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করব। কেক দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব অসাধারণ হয়েছে। সত্যি মন চাইতেছে সবটাই খেয়ে ফেলতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এবং অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হি হি☺️☺️,অবশ্যই এভাবে বানিয়ে খাবেন আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ভাইয়া, আপনি চাইলে এভাবে তৈরি করে দেখতে পারেন অথবা এর সঙ্গে ডিম ব্যবহার ও করতে পারেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি আপনি ঠিকই বলেছেন তাল সকলের খুব পছন্দের খাবার। পাকা কাঁচা দুটোই খেতে বেশ লাগে আমার কাছে। কচি তালের শাঁস আমার খুব ভালো লাগে।তালের বড়া পিঠা খেয়েছি কিন্তু কখনো এভাবে তালের কেক খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে চালের গুঁড়া ডিম বাদ দিয়ে খুব সুন্দর করে তালের কেক বানিয়েছেন,দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে আশাকরি খেতেও খুব সুস্বাদু হয়েছিল। একদিন বাসায় ট্রাই করবো।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল খেতে,অবশ্যই ট্রাই করবেন।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
তালের কেক বিষয়টি অনেকটাই ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। দেখে তো বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে, আমাদের বাসায়ও তাল আছে আর কিভাবে তালের কেক রেসিপি তৈরি করতে হয় সেই ধাপগুলো দেখে নিয়েছি এখন আম্মুর সাথে পরামর্শ করে এই রেসিপি বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব আসলে কতটা মজা হয়। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি।
অবশ্যই আপনার আম্মুকে তৈরি করতে বলবেন ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ডিম ছাড়া যে কেক হয় তা আগে জানা ছিল না আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শিখে নিলাম। এবং আপনার তালের কেক টি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে শিখে নিয়ে আমি বাসায় একদিন তালের কেক ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ডিম ছাড়া কেক তাও আবার পাকা তালের 😋
অসাধারণ স্বাদের জিনিস বোঝাই যাচ্ছে।
তবে আমি কিন্তু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখে নিলাম। তৈরি করার পরিকল্পনা করছি, খুব তাড়াতাড়ি।
দারুন পরিবেশন করেছেন আপনি।
তাড়াতাড়ি বানিয়ে ফেলুন ভাইয়া☺️☺️.ধন্যবাদ আপনাকে।
তাদেরকে আমি নিজেও তৈরি করেছিলাম। এই রেসিপিটি সত্যি বিষন মজাদার। কিন্তু আমি যখন তৈরি করেছিলাম তখন অবশ্যই ডিম এবং চালের গুড়া দিয়ে তৈরি করেছিলাম। কিন্তু আপনি দেখছি ডিম এবং চালের গুড়া কোনটাই ব্যবহার করেননি। এক্ষেত্রে রেসিপিটি অনেকটা ইউনিক হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু।
হ্যাঁ আপু,খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।চেষ্টা করলাম ব্যতিক্রমভাবে তৈরি করার,ধন্যবাদ আপু।