"আজ সকাল সক্কাল মনসাতলায় পূজা সেরে নিলাম"
নমস্কার
আজ বাংলা ১৪২৮ সালের ৩১ শে শ্রাবণ এবং ইংরেজি 17 আগস্ট।এই দিনে শ্রীশ্রী মনসাদেবী ও অষ্টনাগ পূজা।এই দিনে মানুষের বাড়িতে কিংবা কোনো মনসা মন্দিরে পূজা দেওয়া হয় সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
আমরাও প্রতি বছরে দুইবার ঘরোয়াভাবে শ্রাবন ও ভাদ্র মাসের শেষ দিন বাড়িতে মনসাতলায় দুধ ,কলা দিয়ে পূজা করি।সাপ এবং দেবীমায়ের সন্তুষ্ট করতে। এইজন্য আমার পরিবারের কেউ কখনো কোনো সাপ মেরে ফেলে না যদি আমাদের কখনো কোনো খাপ জালে সাপ জড়িয়ে যায় তো বাবা জাল কেটে তা ছাড়িয়ে দেন যাতে সাপের গায়ে আঘাত না লাগে।এছাড়া কখনো খালে বিলে কারেন্ট জাল ও পাতা হয় না।শুধুমাত্র সাপকে রক্ষার জন্য।সবথেকে আচার্য্য বিষয় হলো এই পুজো দেওয়ার আগের দিন থেকেই আমাদের বাড়িতে এবং ঘরের মধ্যে বার বার সাপ চলাচল করে আমাদেরকে দেখা দিয়ে স্মরন করিয়ে দেয়।এছাড়া একবার আমরা সবাই এই দিনে মনসাতলায় ভোগ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। ফলে একটি সাপ এসে আমার বাবার পায়ে জড়িয়ে ধরেছিল।যেন আমাদের সবসময় মনে করিয়ে দেয়।এইজন্য আজ ও সকাল সক্কাল উঠে পড়লাম বাড়ির মনসাতলায় ভোগ দেওয়ার জন্য।
যেভাবে পূজা সেরে ফেললাম:
প্রথমে আমরা পরিবারের সবাই আমাদের পুকুর থেকে স্নান সেরে সেই ভিজা শরীরে পবিত্র গঙ্গামায়ের জল মাথায় ছিটিয়ে আমি বিভিন্ন ফুল তুলে জড়ো করে নিলাম কিছু বাড়ির গাছ থেকে ।অন্যদিকে বাবা কলার খোল কেটে রেডি করল এবং মা পূজার উপকরণগুলি সব ধুয়ে ঠিক করে নিল।এরপর মনসা গাছের নীচে একটি উত্তর-দক্ষিণ বরাবর থান তৈরি করে নিলাম।এরপরই মায়ের থানের উপর কলার খোল বসিয়ে দিয়ে একটিতে দুধ, কলা এবং ডালিমের দানা দিলাম ,অন্যটিতে জল দিয়ে দিলাম।মনসাগাছের গায়ে একটু সিঁদুর ও ফুলগুলো সাজিয়ে দিয়ে থানের চারিপাশ গঙ্গাজল দিয়ে ছিটিয়ে দিলাম তিন বার।এর পরে ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে ও উলুধ্বনি দিয়ে আমরা সবাই মনসাতলায় নাগমাকে প্রণাম করে ঘরোয়া ছোট পূজা সম্পূর্ণ করলাম।পূজা শেষ করে পাশে থাকা কিছু লোককে মায়ের প্রসাদ খেতে দিলাম।এভাবেই আমরা ঠাকুর না ডেকে নিজেরাই পূজা সম্পূর্ণ করলাম।তারপর আমরা সবাই পূজা সম্পূর্ণ করে ভাত খেলাম।এটি আমরা বছরে দুইবার করে থাকি।সেই মুহূর্তটিই আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম কিছু ছবির মাধ্যমে।
আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।মনসা মা সকলকে মঙ্গল করুন এই প্রার্থনাই করি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
জয় মা মনসা। সকলের মঙ্গল হোক। সুন্দর করে পুজোর অনুভূতি এবং আপনার এত সুন্দর মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার জন্য ।ধন্যবাদ দিদি। সুস্থ থাকুন।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি,আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে আমি খুশি।আপনি ও ভালো থাকবেন।
আমার বাসার পাশেও প্রচুর হিন্দু লোকের বসবাস।দিনটি তারাও উদযাপন করছেন।কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি আসায় তাদের অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটেছিল।আশা করি,আপনারা তেমন সমস্যায় পরেননি😊
না,ভাইয়া বৃষ্টির মতো সমস্যাই আমাদের এখানে পড়তে হয় নি।তবে একটু একটু টুপটাপ পড়ছিল রোদের মধ্যে।আজকের দিনে বৃষ্টি হওয়া ভালো।কারণ এতে সাপের বিষ কিছুটা কম হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য।
অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্টটি। ধন্যবাদ বোন মা মনসা দেবীর পূজার কিছু মুহূর্ত গুলো তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ দাদা।
দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি❤️৷ আমার এক বান্ধুবী ও আজ এমন আয়োজন করেছিলো, আমাকে ছবি পাঠিয়েছে।
খুব ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।আমার খুবই ভালো লাগে যখন আমি আপনাদের সুন্দর মন্তব্যগুলি পড়ি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।😊
দিনটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ দাদা।মুহূর্তগুলি দেখার জন্য।
জয় মা পদ্মাবতীর জয় 🙏🙏 । আমাদের বাড়িতেও প্রতিবছর পুজো হয় । কিন্তু এবছর আমার বড় জ্যাঠা মারা যাওয়ার কারণে পুজো করা হয়নি। মা কৃপা করলে সামনের বছর থেকে আবার হবে।
অবশ্যই, আপনাদের বাড়িতেও সামনে বছর হবে।মানুষের দুঃসময় আসবে আবার তা কেটেও যাবে।এটাই প্রকৃতির নিয়ম।ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকবেন।