"করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অভিজ্ঞতা"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি, তবে ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ায় হাতে একটু বেশি ব্যাথা অনুভব করছি প্রথম ভ্যাকসিনের ডোজের তুলনায়।হয়তো বেশি ঠান্ডার প্রভাব এটি।আজ আমি সেই ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।তো চলুন শুরু করা যাক---
ভ্যাকসিন নেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা:
গতকালের কথা।আমার করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ আমাদের বর্ধমানের আমার কলেজ থেকে নিয়েছিলাম।কিন্তু এখন আমার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় চলে এসেছে।তবুও কলেজ থেকে কোনো সাড়া নেই ভ্যাকসিনের বিষয়ে।এছাড়া আবার নতুন ভাইরাসের কারনে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং আমাদের কলেজের এক্সাম ও শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে অনলাইনে।অবশ্য আমার পরিবারের সবাই করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ অনলাইনে বুকিং করে দুর্গাপুর থেকে নিয়েছিলেন।সেটি অনেকটা দূর।তাই এবার আমার দাদা অনলাইনে আমার মাকে বাদ রেখে আমাদের তিনজনের দ্বিতীয় ডোজ বুকিং করলো।সেইভাবে ভোরে 4 টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাড়ি থেকে তিনজন।বাড়ির সামনে সকাল 7 টায় বাস ধরে ট্রেন স্টেশনে পৌঁছালাম।তখন চারিদিকে কুয়াশায় চাদরে ঢাকা।ট্রেনের টিকিট কেটে অপেক্ষা করলাম কিছু সময়।তারপর ট্রেনে চেপে চলে গেলাম বর্ধমান স্টেশন।বর্ধমান স্টেশন থেকে আবারো টোটো ধরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পৌঁছে গেলাম।
ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতা:
আমরা ভেবেছিলাম খুবই ভিড় হবে তাই সকাল সকাল গেলাম।কিন্তু গিয়ে দেখি আমরা 5-6 জনের পর।তখনো অফিস ঘর খোলে নি।যাইহোক দাদা জেরক্স দোকান থেকে কয়েকটি স্লিপ বের করে নিয়ে আসলো।তারপর এখান থেকে সকাল 10 টায় স্লিপে নাম ইত্যাদি লিখতে বললো এবং 10.30 টায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বললেন।আমরা সবাই একটি রুমে বসে অপেক্ষা করার পর প্রথমেই আমাদের ডাক পড়লো ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য।তারপর ওখানে দুই জায়গায় কাগজ দেখিয়ে শেষমেষ ভ্যাকসিন নিয়েই নিলাম।প্রথমবারে যতটা অনুভব করেছিলাম,এইবারে কোনো কিছুই টের পায় নি।তাছাড়া কম বয়স্ক একটি ম্যাম খুবই সুন্দরভাবে ভ্যাকসিন দিচ্ছিলেন।তারপর উনারা আমাদের 30 মিনিট বসতে বললেন।আমরা নিয়েছিলাম আমাদের ভারতের covishield ভ্যাকসিন।তারপর কয়েকটি ছবি তুললাম, দাদা একটি সেলফি তুললো ।সেটাই শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে।
কিছু কেনাকাটা ও বাড়ীফেরা:
এরপর প্রায় 20 মিনিট পর আমরা তিনজন রুম থেকে বাইরে বের হয়ে আসলাম ।তারপর আই 💝 বর্ধমান মেডিকেল কলেজ সংক্ষেপে লেখা রয়েছে একটি স্থানে।সেইখানে একটি ছবি উঠে বাইরে বের হয়ে হাঁটতে থাকলাম কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে।পথে যেতে যেতে একটি হাওয়াই মিঠাইওয়ালাকে পেলাম।বেশ কয়েক বছর হলো এটির দেখা পাইনা।তাই কিনে নিলাম 3 প্যাকেট হওয়াই মিঠাই।এরপর সকালে বাড়ি থেকে কিছু না খেয়ে আসায় দোকান থেকে আমরা কচুরি ও মটর ডালের তরকারী কিনে খেলাম।তরকারীটি বেশ ভালো হয়েছিল খেতে।তারপর কিছু ফলমূল কিনলাম পেয়ারা ও আপেল।এরপর আমরা বর্ধমানের big বাজারে গিয়েছিলাম একটি বিশেষ শীতের জিনিস কিনতে।অবশ্য সেখানে ছবি তোলা হয়নি।জিনিসটা পছন্দ না হওয়ার ফলে টোটো ধরে স্টেশনে চলে আসলাম।তারপর বর্ধমান স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে আমাদের স্টেশনে নেমে টোটো করে বাড়ির সামনে নামলাম।তো সবমিলিয়ে আমার ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতাটি ভালোই ছিল।কারণ কোনো দেরি হয়নি বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে ও হয়নি।তো এই ছিল আমার করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতা দ্বিতীয় ডোজের।
(হাওয়াই মিঠাই)
আশা করি,আমার ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
ক্যামেরা: redmi note 10 pro max
অভিবাদন্তে: @green015
--
Enhorabuena, su "post" ha sido "up-voted" por @dsc-r2cornell, que es la "cuenta curating" de la Comunidad de la Discordia de @R2cornell.
Thank you.💝💝
ভাইয়া, সময় করে নিয়ে ফেলুন ।এটি খুবই জরুরি, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে আপনি করণা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন। আমাদের সবার আগে নিজের সুস্থতা খুবই প্রয়োজন নিজে সুস্থ থাকলে আমরা আমাদের আশেপাশের সবকিছু করতে পারব। আপনি করনা ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুভূতি এবং বিভিন্ন বিষয়ে বর্ণনা করেছেন খুব সুন্দর ভাবে। কোন ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে আপনি নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন ফলমূল করেছেন বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং সেইসাথে আসন্ন করনা মোকাবেলার জন্য আপনি সদা প্রস্তুত থাকবেন এবং নিজে সুস্থ থাকবেন এবং পরিবারকে সুস্থ রাখার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছি।
অবশ্যই আপু,নিজের সুস্থ থাকলে পরিবারের সবার প্রতি ও খেয়াল রাখা যাবে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই আপনার শরীরের সু্স্থ্যতা কামনা করছি। আশা করছি আপনি এখন অনেকটা সুস্থ্য আছেন। covishield ভ্যাকসিন দেয়া হয় আপনাদের আমাদের দিয়েছিল সিনোফার্ম। যায়হোক করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার অভিজ্ঞতা ভালোই ছিল। অনেকদিন পর দাদাকে দেখেও ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন দিদি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আমি তো ভয়ের কারণে এখনও করোনার একটা ভ্যাকসিন ও দেইনি। কারন আমার ইনজেকশন দিতে অনেক ভয় লাগে। আমি এযাবত মাত্র দুই থেকে তিনবার ইঞ্জেকশন দিয়েছি। আর ছবিতে হাওয়াই মিঠাই দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে। হাওয়াই মিঠাই এর স্বাদ কখনো ভোলার নয়। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল যেন সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে।
ভাইয়া, কোনো ভয় নেই,পিঁপড়া কামড়ে দেওয়ার মতো ।সুতরাং আপনি ও টিকা নিয়ে ফেলুন দ্রুত।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বর্তমানে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া এটা যে কত ঝামেলার বিষয় এবং কি কত বেগ পোহাতে হয় তা বলে বোঝানো কষ্টকর। তবে আপনি যে এত সকাল সকাল উঠা আপনার মাকে রেখে বাকি তিন জনের ছিরিয়াল করেছি এবং আপনার ট্রেনে চড়া মেডিকেলে যাওয়ার টিকা দেওয়া হয় সেগুলো খুবই ভালো লাগলো। আপনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনি করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং আসার সময় বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা করলেন ফল-ফ্রুট খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, প্রথমবার তো আমার পরিবারের সবাইকে খুব ঝামেলা পোহাতে হয়েছিল অনেকটা দূরে যেতে হয়েছিল ভ্যাকসিন নিতে।এইবার কোনো ঝামেলা হয় নি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার ভাবে লিখেছেন আপনার করনা ভ্যাকসিন গ্রহণের অভিজ্ঞতা। যদিও আমি এখনো ভ্যাকসিন গ্রহণ করিনি। এখন মনে হচ্ছে নিয়ে ফেলাটাই জরুরি ছিল।শুভকামনা আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে ফেলুন।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপা আপনার জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার আপনি দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিয়ে দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের যে পরিস্থিতি তাতে টিকা দিয়ে দেওয়াই ভালো। সৃষ্টিকর্তার সবাইকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করুক। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন।
হ্যাঁ, আপু সবারই এই টিকা নেওয়া উচিত।ধন্যবাদ আপনাকে।
টিকাকেন্দ্রে তেমন ভিড় নেই মনে হচ্ছে। ভ্যাকসিন দিয়েছেন নিজের ভালো হয়েছে পরিবারের সুরক্ষাও হয়েছে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন বোন।
হ্যাঁ, দাদা একদম ভিড় ছিল না।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জেনে খুশি হলাম আপনি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন। আমি নিজেও ভেক্সিন নিয়েছি ১ মাস আগে। আমি মনে করি এখনো যারা বাকি আছে অতিদ্রুত ভ্যক্সিন গ্রহন করা উচিত। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এটি সবারই নেওয়া উচিত।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।