বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।এইবারের প্রতিযোগিতাটি যেহেতু রেসিপি সংক্রান্ত তার উপরে আবার শীতকালকে কেন্দ্র করে। তাই আগে আগেই চলে আসলাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে।আর আমার যেকোনো রেসিপি তৈরি করতে খুবই ভালো লাগে।সেই ভালো লাগা থেকেই সম্পূর্ণ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার চেষ্টা করলাম।এইজন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাই আমাদের শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় বড় দাদাকে।এছাড়া এত সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই
@nusuranur আপুসহ আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল এডমিন ও মডারেটর ভাইয়া ও আপুদেরকে।
তালের আটির ফোপরা/শাঁসের ঝাল ঝাল ফুলুরি পিঠা রেসিপি:
শীতকাল মানেই আলাদা অনুভূতির মিশেল।আর এই গাড় অনুভূতির শীতকালকে আরো দৃঢ় ও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে পিঠা রেসিপি।বিভিন্ন ধরনের পিঠা রেসিপিগুলো শীতকালকে কিন্তু জমজমাট বা রমরমা করে তুলতে বেশ স্মরণীয়।যাইহোক আজ আমি একদম ইউনিক একটি পিঠা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।শীতকাল আমার যেমন প্রিয় তেমনি যেকোনো পিঠা রেসিপিও আমার খুবই প্রিয়।তাছাড়া শীতকাল মানেই অফুরন্ত পিঠার সমারোহ।সত্যিই শীত এলে মন যেন কেমন পিঠা পিঠা করে!আর শীতের সকালের মিষ্টি রোদে উঠানে বসে পিঠা খেতে কিংবা শীতের রাতে চাদর মুড়ি দিয়ে গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।
আজ আমি পাকা তালের আটির ফোপরা/শাঁস দিয়ে ঝাল ঝাল পিঠা রেসিপি তৈরি করেছি।আসলে আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরে তালবন।তাই অনেক পাকা তাল জ্বালানি করার জন্য কুড়িয়ে জড়ো করে রাখা হয়।এতে করে মজার ফোপরাও খাওয়া হয়।এই শক্ত তালের আটিগুলো কাটতে বেশ কষ্ট হয়,তাই এগুলো কাটতে আমি আমার বাবার সাহায্য নিয়েছি।এটা তৈরির পর দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছিল তেমনি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
★★উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
তালের আটির ফোপরা/শাঁস | 1থালি |
বেসন | 1.5 কাপ |
কাঁচা মরিচ কুচি | 6 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
রসুন কুচি | 4 কোয়া |
লবণ | 1.5 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1 টেবিল চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | 1 টেবিল চামচ |
জিরা গুঁড়া ও পাঁচফোড়ন | 1/2 টেবিল চামচ |
সাদা তেল | 150 গ্রাম |
★★প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কিছু তালের আটি দা দিয়ে কেটে নিলাম বাবার সাহায্যে।
ধাপঃ 2
এরপর একটি চামচের মাধ্যমে খোলা থেকে শাসগুলি একটি একটি করে তুলে নিলাম পাত্রে।
ধাপঃ 3
এবারে শাস বা ফোপরাগুলি তুলে নেওয়ার পর জল দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করে নিলাম ভালোভাবে।
ধাপঃ 4
এখন শীল ও পাটার মাধ্যমে শাস বা ফোপরাগুলি বেঁটে নেব।
ধাপঃ 5
আমি এখানে শাস বা ফোপরাগুলি একদম মিহি না করে অর্ধবাটা করে নিলাম।
ধাপঃ 6
তো অর্ধবাটা করে আমি শাস বা ফোপরাগুলি একটি পাত্রে তুলে নিলাম।
ধাপঃ 7
এবারে ঝাল,পেঁয়াজ কুচিসহ বিভিন্ন গুঁড়া মসলার উপকরণ দিয়ে দেব শাস বা ফোপরাগুলির উপর।
ধাপঃ 8
এরপর পরিমাণ মতো বেসন দিয়ে দেব শাস বা ফোপরাগুলিতে।
ধাপঃ 9
এখন সবগুলো উপকরণ একত্রে হাত দিয়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 10
এরপর গোল বলের মতো সেপ দিয়ে নেব পিঠাগুলির।
ধাপঃ 11
এবারে একটি পরিষ্কার কড়াইতে তেল দিয়ে হালকা গরম করে নিলাম মিডিয়াম আঁচে।
ধাপঃ 12
এরপর তেল গরম করা হয়ে গেলে তার মধ্যে বলের মতো ফুলুরি পিঠাগুলি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 13
এখন নেড়েচেড়ে একটু বেশি সময় ধরে ভেজে নিতে হবে।শাস বা ফোপরাগুলি যেহেতু হালকা মিষ্টি ধরনের সেইজন্য আমি এতে কোনো চিনি ব্যবহার করিনি।
ধাপঃ 14
এরপর পিঠাগুলি নেড়েচেড়ে একদম লাল লাল রঙের করে ভেজে নেব।
শেষ ধাপঃ
তো আমার ফুলুরি পিঠাগুলি ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে এখন একটি পাত্রে তুলে নেব।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "তালের আটির ফোপরা/শাঁসের ঝাল ঝাল ফুলুরি পিঠা"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে কিংবা এমনি টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।এটা খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
বিষয় | তালের আটির ফোপরা/শাঁসের ঝাল ঝাল ফুলুরি পিঠা |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি
@green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
Posted using SteemPro Mobile
টুইটার লিংক
আপনি ঠিকই বলেছেন শীতের সময় চাদর মুড়ি দিয়ে নানা রকমের পিঠা খেতে মন সবারই চায়। তবে আপনার এ ধরনের পিঠা কখনো কোন সময় খাওয়া হয়নি। পিঠাগুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা শীতকালীন পিঠার রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি। এমন রেসিপি এর আগে আমি কোনদিন দেখেছিলাম না। তালের এই আঁটির মধ্যকার শাঁস দিয়ে যে এত সুন্দর পিঠা তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না।
এটা দিয়ে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি করা যায় ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
শীতের সময় নানা রকম পিঠা তৈরি করতে ধূম পড়ে যায় একেবারে। আপনি তো দেখছি আজকে বেশি। ইউনিক একটা পিঠা তৈরি করেছেন, যেটা আজকে প্রথমবার দেখেছি। এই পিঠার নাম আগে কখনোই শোনা হয়নি, খাওয়া তো দূরের কথা। দেখে মনে হচ্ছে পিঠাগুলো অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। দিদি আপনি উপস্থাপনাটা সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে এই পিঠা তৈরি করার পদ্ধতি শিখে নিতে পারলাম। আর এটা শিখে নিতে পেরে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
চেষ্টা করি ,সবসময় ইউনিক কিছু উপস্থাপন করার জন্য।আপনি এটি প্রথমবারের মতো দেখছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি, আপনি দেখছি তালের অনেকগুলো আটিঁ সংগ্রহ করেছেন। তালের আটিঁ খেতে ভালোই লাগে। তালের আটিঁ মিষ্টি মিষ্ট লাগে, তার সাথে ঝালের কম্বিনেশন। তাহলে নিশ্চয় স্বাদটা অন্যরকম হয়েছে
ঠিক বলেছেন, হালকা হালকা মিষ্টি লাগে আর ঝাল দেওয়াতে ভিন্ন স্বাদ পাওয়া গিয়েছিল।ধন্যবাদ
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। বেশি ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি তালের শাঁস দিয়ে এই ধরনের রেসিপি কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইউনিক ও সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু,এটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের জন্য জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর শীত মানেই বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া। সেই সাথে নতুন নতুন পিঠা তৈরি করে খাওয়া। আপনি বেশ ইউনিক একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। তালের শাস দিয়ে এভাবে কখনও পিঠা খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালই লাগবে। ইউনিক একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শুধু দেখতে নয়, খেতেও অনেক মজার ও সুস্বাদু।ধন্যবাদ আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আর অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি শীতকালীন পিঠার রেসিপি নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন।আপনার পিঠার রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নতুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি আমার রেসিপি দেখে একটু হলেও শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমার বাংলা ব্লক কমিউনিটির প্রতিযোগিতা মানেই ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন দেখতে পাওয়া। তবে এরকম ভাবেও যে পিঠা বানানো যায় সেটা আজকেই প্রথম জানতে পারলাম। তবে অবাক হলাম এটা দেখে যে আপনারা এতগুলো তালের আঁটির ফোপরা জোগাড় করেছেন। যাই হোক আশা করি পিঠাটা খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আমাদের বাড়িতে প্রতিবছর-ই এমন তালের আটি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনি একদম নতুন ধরনের একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন এর আগে কখনো আমি এইভাবে তালের শাঁস দিয়ে কোন রেসিপি তৈরি করতে দেখিনি। যাইহোক রেসিপিটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। রেসিপি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
আজ দেখে নিলেন আপু,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।